মঙ্গলবার ৯ জুলাই, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।

চিয়া সিড বা চিয়া বীজ একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার। সুপারফুড হিসেবেও এর নামডাক রয়েছে। কারণ এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ও পর্যাপ্ত পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর উপাদান কোয়েরসেটিন, কেম্পফেরল, ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড, ক্যাফিকঅ্যাসিড আছে। পাশাপাশি এতে একাধিক খনিজ লবণ যেমন পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, ক্যালশিয়াম এবং দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় ফাইবার প্রচুর মাত্রায় উপস্থিত।

এখানেই শেষ নয়, এতে রয়েছে দুধের চেয়ে প্রায় ৫ গুণ বেশি ক্যালশিয়াম, কমলা লেবুর চেয়ে প্রায় ৭ গুণ বেশি ভিটামিন সি, পালং শাকের চেয়ে প্রায় ৩ গুণ বেশি আয়রন, কলার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ পটাশিয়াম, মুরগির ডিম থেকে প্রায় ৩ গুণ বেশি প্রোটিন, স্যামন মাছের চেয়ে প্রায় ৮ গুণ বেশি ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে।
 

চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা কী কী

 

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে করে

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য চিয়াসিড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও ইনসুলিন তৈরিতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। ফলে শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে। রক্তে চিনির ভারসাম্য স্বাভাবিক রাখে বলে ডাইবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
 

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়

চিয়া সিডে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমাতে সাহায্য করে। তা ছাড়াও ক্ষতিকর কোলস্টেরল অর্থাৎ এলডিএল-এর মাত্রা খুব সহজেই কমিয়ে দেয়।

আরও পড়ুন:

হেলদি ডায়েট: এই গরমে চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য রইল ১০টি জরুরি টিপস

তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি! এসি ছাড়া গতি নেই! সারা রাত এসি চালিয়েও কী করে বিল কম আসবে?

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-১৯: পাকা আম খাবেন, নাকি কাঁচা আম?

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৩৪: স্বপ্ন ও দুঃস্বপ্নের ‘রাত-ভোর’

 

ওজন কমাতে

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চিয়া সিড ভীষণ উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে, যা শরীরে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
 

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে

এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে শরীরকে আরও শক্তিশালী করে তোলে।
 

হাড় মজবুত করে

আমরা সবাই জানি হাড়কে শক্তিশালী করতে ক্যালশিয়ামের বড় ভূমিকা রয়েছে। চিয়া সিডে উপস্থিত ক্যালশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম হাড়কে মজবুত করে আমাদের শক্তিশালী বানায়। এক কথায় বলা যায়, হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় চিয়া সিড খুব ভালোভাবে কাজ করে। হাঁটু ও জয়েন্টের ব্যথাও কমায়।

আরও পড়ুন:

ভিতর বাহিরে অন্তরে অন্তরে, বাচ্চা খেতে খেতে টিভি দেখে কিংবা ফোন ঘাঁটে?

দহনকালের দুপুরেও সঙ্গম? শরীরের উষষ্ণতাও তো বাড়ন্ত! সুস্থ থাকতে কী করবেন?

অনেক ওষুধ কেনার খরচ বেঁচে যেতে পারে এই ম্যাজিক পাতার ব্যবহার জানলে

 

কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়

চিয়া সিডে থাকা ফাইবার কোলন পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। তাই কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমে।
 

সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে

ত্বক, চুল এবং নখ সুন্দর করতে চিয়া সিড ভীষণভাবে সাহায্য করে। এতে উপস্থিত ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আমাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতেও সহায়তা করে।
 

শক্তি বাড়াতে

চিয়া সিডে প্রাকৃতিকভাবে অনেক খনিজ লবণ এবং ভিটামিন থাকে, যা শরীরকে ভিতর থেকে শক্তি জোগায়। ফলে স্বাভাবিক ভাবে শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়ে।

আরও পড়ুন:

বৈষম্যের বিরোধ-জবানি, পর্ব-১৯: উন্নয়নের কাণ্ডারী নির্ণয়ে পিতৃতান্ত্রিক পক্ষপাতিত্ব

চলো যাই ঘুরে আসিঃ মধ্যপ্রদেশ বা ছত্তিশগড় নয়, আমাদের এই বাংলাতেই রয়েছেন ডোকরা শিল্পীরা

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৬২: প্রথম রবীন্দ্রজীবনী

 

চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম

চিয়া সিড একটি স্বাদ ও গন্ধবিহীন একটি খাবার। একে খাওয়ার জন্য আলাদা করে রান্না করারও দরকার হয় না। তাই খুব সহজেই খাওয়া যায় চিয়া সিড। হালকা গরম জলে সারারাত ভিজিয়ে রেখে পরের দিন যে চিয়া সিড খাওয়া যায়।

চাইলে ওটস, পুডিং, জুস, স্মুদি ইত্যাদির সঙ্গে মিশিয়ে খেয়ে নেওয়া যায়। এ ছাড়াও কেউ দুধ, টকদই, রান্না করা সব্জি বা স্যালাড, অঙ্কুরিত বিভিন্ন রকমের ডাল ইত্যাদির ওপরে ছড়িয়েও খেতে পারেন।

সবচেয়ে ভালো এক গ্লাস হালকা গরম জলে এক চামচ চিয়া সিড সারা রাতের জন্য ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে খালি পেটে খেলে ভালো। তবে এ ভাবে খাওয়া সম্ভব না হলে চেষ্টা করবেন অবশ্যই ব্রেকফাস্টে এক চামচ ভেজানো চিয়া সিড খেতে। ব্যাস, তাহলেই হবে।

যোগাযোগ: ৯৮৩০৭৬৮১৫২

* হেলদি ডায়েট (Healthy Diet): সুতনুকা পাল (Sutanuka Paul), পুষ্টিবিদ, ডায়েট-টু-ফাইট।

Skip to content