শুক্রবার ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫


ছবি প্রতীকী

চা-কফি ভালোবাসেন না এমন মানুষ বোধহয় সংখ্যায় খুব কমই আছেন। বলাবাহুল্য যে চা-কফি আমাদের নেশায় পরিণত হয়েছে। স্বাদের সঙ্গে সঙ্গে এর বিভিন্ন গুণের কারণে এটি আমাদের জীবনের একটি অঙ্গ হয়ে উঠেছে। তাই বাজারে একাধিক রকমের স্বাদ ও গুণের চা ও কফির যোগান প্রচুর। বিভিন্ন ধরনের হার্বাল টি, গ্রিন টি, গ্রিন কফি প্রভৃতি রসনার তৃপ্তিদায়ক প্রোডাক্ট।
আমাদের আজকের আলোচনার বিষয়— গ্রিন কফি। এই গ্রিন কফি কারা খেতে পারেন, কাদের এড়ানো উচিত, আবার খেলে কতটা পরিমাণ এবং কতবারই বা খাওয়া স্বাস্থ্যকর প্রভৃতি বিষয় জানাব আজ আপনাদের।

গ্রিন কফি ঠিক কী?
আমরা যে ধরনের সাধারণ কফি খেয়ে থাকি সেটা কফিকে রোস্ট করার পর গ্র্যাইন্ড করে তৈরি করা হয়। রোস্ট না করে যে বিনস পাইডার তৈরি করা হয় তাই হল গ্রিন কফি।
গ্রিন কফি’র উপকারিতা
গ্রিন কফি আমাদের শরীরে ওজন কমাতে সাহায্য করে। শরীরে ফ্যাট মবিলিজেশন-এর ক্ষেত্রেও খুব ভালো। এমনকী গ্রিন কফি কোষে অতিরিক্ত ফ্যাট জমা হতে দেয় না। খাদ্য ও স্বাদ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে এই গ্রিন কফি।
গ্রিন কফি’তে এমন কিছু উপাদান থাকে, যা আমাদের রক্তে অতিরিক্ত ব্লাড সুগারের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ফলে ‘টাইপ-টু’ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে গ্রিন কফি পান করে খুবই উপকারী।
গ্রিন কফির মধ্যে থাকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা হার্টের সমস্যাকে দূরে সরিয়ে রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি, শরীরে জমা খারাপ ফ্যাটের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। আবার ভালো ফ্যাটের পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে।
যাঁদের মাইগ্রেনের সমস্যা আছে তাঁরা এই গ্রিন কফি পান করলে উপকার পাবেন। কারণ, এতে থাকা বিভিন্ন উপাদান মাইগ্রেনের প্রতিবন্ধক।
আমাদের ত্বক ভালো রাখতেও সাহায্য করে গ্রিন কফি। অ্যান্টি এজিং হিসেবেও এটি কাজ করে।

বাড়িতে গ্রিন কফি তৈরির পদ্ধতি
৩ গ্রাম ‘কফি ব্রিনস’কে এক কাপ জলে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে সেই ‘কফি ব্রিনস’কে হালকা গরম করে খেতে পারি। এছাড়া কফি পাউডার সরাসরি আমরা গরম জলে মিশিয়েও খেতে পারি। কিন্তু মনে রাখতে হবে, চিনি বা দুধ ছাড়া খেতে হবে।
কতটা পরিমাণ খাবেন
সারাদিনে আমরা ২০০-৪০০ এমএল পর্যন্ত খেতে পারি।

কারা খাবেন না
হার্টের সমস্যা থাকলে এবং প্রেগন্যান্ট মহিলাদের গ্রিন কফি খাওয়া এড়ানো উচিত। আর খেলেও কিন্তু খুব কম পরিমাণে খেতে হবে।

বেশি খেলে কী সমস্যা হতে পারে
গ্রিন কফি বেশি খেলে ডায়রিয়া হতে পারে, পেটের যন্ত্রণাও হতে পারে। তাই গ্রিন কফি সব সময় নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে খেতে হবে।

গ্রিন কফি ওজন নিয়ন্ত্রণ করে?
অনেকেই মনে করেন নিয়ম করে শুধু গ্রিন কফি খেলেই সহজে ওজন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। এটা কিন্তু ভ্রান্ত ধারণা। কারণ, আপনার ওজন নির্ভর করে আপনি সারাদিনে কতটা দৈহিক শ্রম করছেন এবং কী খাচ্ছেন তার ওপর। সারাদিনের ডায়েটে থাকা গ্রিন কফি কিছুটা শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করলেও এককভাবে ওজন কমাতে কোনওভাবেই সাহায্য করে না।

যোগাযোগ: ৯০৩৮০ ০৮০৮২

Skip to content