ছবি প্রতীকী, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে।
আমরা কেউই চাই না আমাদের বয়স বাড়ুক। কিন্তু প্রকৃতির নিয়মে আমাদের বয়স বাড়ে এবং বয়স বাড়ে আমাদের ত্বকেরও। এই বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বলিরেখা, কালোদাগ আমাদের ত্বকের উপর পড়ে। আমাদের জীবনযাত্রার মান ও খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বয়স বাড়ার আগেই ত্বকের উপর এই যে প্রতিকূল প্রভাবগুলি আসে সেগুলি আমরা রুখতে পারি। কী ধরনের খাবার বা কোন পর্যায়ে জীবনযাত্রার মান রাখলে আমরা এইগুলি প্রতিরোধ করতে পারব সেই নিয়েই বলব কিছু কথা৷
জলই জীবন
শরীরকে সুস্থ রাখতে আমাদের জীবনে জল অপরিহার্য৷ তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে জল অবশ্যই খেতে হবে। কিন্তু অনেকেই প্রয়োজন মতো জল খান না। ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় এবং খুব সহজেই বলিরেখা চলে আসে। যার ফলে নিজেকে খুবই বয়স্ক মনে হয়। সারাদিনে কমপক্ষে ৩ লিটার জল আমাদের খেতে হবে। সাদা জল যদি ভালো না লাগে তাহলে ডাবের জল, স্যুপ, লস্যি, আদা ও মৌরি ভেজানো জল, মধু ও লেবু দেওয়া জল প্রভৃতি খেতে পারেন। মাথায় রাখবেন তিন লিটার জল আপনাকে খেতে হবেই।
ভিটামিন-সি
প্রকৃতিজাত ভিটামিন-সি যুক্ত খাবার খেতে হবে। বিভিন্ন রকম টক ফল যেমন—আমলকী, লেবু, আম এছাড়া পেয়ারা, পাকা পেঁপে খেতে হবে। বিভিন্ন শাকসবজি খাদ্যতালিকায় যুক্ত করতে হবে ভিটামিন-সি পাওয়ার জন্য।
ভিটামিন-এ
ভিটামিন-এ যুক্ত খাবার ত্বককে উজ্জ্বল করে এবং মুখের দাগগুলিকে তুলে দিয়ে নতুনভাবে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরাতে সাহায্য করে। লাল ও কোমলযুক্ত বিভিন্ন ফল যেমন—গাজর, কুমড়ো, বিট, কমলালেবু প্রভৃতি খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে।
শরীরকে সুস্থ রাখতে আমাদের জীবনে জল অপরিহার্য৷ তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে জল অবশ্যই খেতে হবে। কিন্তু অনেকেই প্রয়োজন মতো জল খান না। ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় এবং খুব সহজেই বলিরেখা চলে আসে। যার ফলে নিজেকে খুবই বয়স্ক মনে হয়। সারাদিনে কমপক্ষে ৩ লিটার জল আমাদের খেতে হবে। সাদা জল যদি ভালো না লাগে তাহলে ডাবের জল, স্যুপ, লস্যি, আদা ও মৌরি ভেজানো জল, মধু ও লেবু দেওয়া জল প্রভৃতি খেতে পারেন। মাথায় রাখবেন তিন লিটার জল আপনাকে খেতে হবেই।
প্রকৃতিজাত ভিটামিন-সি যুক্ত খাবার খেতে হবে। বিভিন্ন রকম টক ফল যেমন—আমলকী, লেবু, আম এছাড়া পেয়ারা, পাকা পেঁপে খেতে হবে। বিভিন্ন শাকসবজি খাদ্যতালিকায় যুক্ত করতে হবে ভিটামিন-সি পাওয়ার জন্য।
ভিটামিন-এ যুক্ত খাবার ত্বককে উজ্জ্বল করে এবং মুখের দাগগুলিকে তুলে দিয়ে নতুনভাবে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরাতে সাহায্য করে। লাল ও কোমলযুক্ত বিভিন্ন ফল যেমন—গাজর, কুমড়ো, বিট, কমলালেবু প্রভৃতি খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে।
অনেক সময় ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ফ্যাট ফ্রি ডায়েট বা লো ফ্যাট ডায়েট খেয়ে থাকি। কিন্তু আমাদের বুঝতে হবে কোন কোন ফ্যাট জাতীয় খাবারগুলিকে আমরা আমাদের খাদ্যতালিকায় রাখতে পারি। কারণ এমন অনেক ফ্যাটযুক্ত খাবার আছে যেগুলি ভালো ফ্যাট। সেই ভালো ফ্যাটগুলি আমাদের হার্ট ও ত্বককে ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এই ধরনের ভালো ফ্যাটগুলি আমরা পাব আমন্ড, কাজুবাদাম, চিনাবাদাম, কুমড়োর বীজ, সূর্যমুখীর বীজ, চিয়া সিডস প্রভৃতি থেকে। এছাড়াও মাছ, ডিম ও দুধ থেকে এই ধরনের ভালো ফ্যাট আমরা পেতে পারি।
মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রোটিনের গুরুত্ব অনেকটাই আলাদা। অনেক সময় মেয়েরা ত্বককে ভালো রাখার জন্য কোলাজেন অনেক দাম দিয়ে কিনে থাকেন। কিন্তু এই কোলাজেন আমরা প্রকৃতি থেকেই পাব। এই কোলাজেন ত্বককে টানটান এবং উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে। ডাল, পনির, মাছ, দুধ, চিকেন প্রভৃতি থেকে আমরা কোলাজেন পেতে পারি।
সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং শেষ বিষয়টি হল, পর্যাপ্ত ঘুম এবং চিন্তামুক্ত থাকা। ঘুমের কথা বলার কারণ হল আমাদের ত্বককে ঠিক রাখার জন্য আমরা যে খাবারগুলি খাই সেই খাবারগুলি শরীর যাতে সঠিকভাবে গ্রহণ করতে পারে তার জন্য ঘুম একান্ত আবশ্যক। আর আপনার মন যত শান্ত থাকবে, যত চিন্তামুক্ত থাকবে ততটাই আপনার ঘুম ভালো হবে। এই ঘুম ভালোর জন্য স্মার্টফোন দূরে সরিয়ে রাখতে হবে। পর্যাপ্ত ঘুমের মধ্য দিয়ে আপনার ত্বক উজ্জ্বল হবে এবং আপনার ত্বক ভিতর থেকে ভালো থাকবে। একটি সুনির্দিষ্ট জীবনশৈলীর ধারায় আপনাকে আসতে হবে। দিনে কমপক্ষে ৮ ঘণ্টা ঘুম আপনার প্রয়োজন। আর অবশ্যই নিয়ম মেনে রোজ শরীরচর্চা করতে হবে।
আশা রাখছি, এই ঘরোয়া টোটকাগুলি আপনাদের সাহায্য করবে। কোনও সাপলিমেন্ট, মেকআপ বা কসমেটিকস ছাড়াই কিন্তু আপনি আপনার ত্বককে ভিতর থেকে ঠিক রাখতে পারবেন।
যোগাযোগ: ৯০৩৮০ ০৮০৮২