শশা হজমে খুব সাহায্য করে
● কম ক্যালরির এই ফলে প্রচুর জলীয় পদার্থ থাকে বলে এটি গরমে শিশুদের ডিহাইড্রেশন দূর করে। জল পিপাসা নিবারণে ২০০ মিলি জল ও ৫০ গ্রাম ওজনের একটা শশার ভূমিকা সমান। খুব ছোট শিশুরা অবশ্য শশা খেতে পারে না। শসাতে ভিটামিন-এ, বি, সি থাকায় এটি শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও শক্তি বাড়ায়। পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও সিলিকন থাকার জন্য শশা ত্বক রঞ্জক হিসাবে কাজ করে। শশা শিশুদের হজমে সাহায্য করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। শশাতে সিলিকা থাকায় ইহা শিশুদের চুল নখ সতেজ রাখে এবং কার্টিলেজ ও লিগামেন্টের টিসু গড়তে সাহায্য করে।
পেঁপে সর্দি কাশিতে ভীষণ উপকারী
● অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই ফলে প্রচুর ভিটামিন-এ এবং ভিটামিন-সি থাকায় শিশুদের চোখের সমস্যা এবং সর্দি কাশিতে ভীষণ উপকারী। পাকা পেঁপে শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
রক্তাল্পতা প্রতিরোধ করে জামরুল
● হালকা মিষ্টি রসালো এই ফল গরমকালে জল পিপাসা মেটায়। জামরুলে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও আয়রন থাকে। ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস শিশুদের হাড় গঠনে সাহায্য করে। আর আয়রন রক্তাল্পতা প্রতিরোধ করে।
পেয়ারা মস্তিষ্ক গঠনে সাহায্য করে
● পেয়ারার পুষ্টিগুণ কমলালেবুর থেকে চার গুণ ও আপেলের থেকে তিনগুণ বেশি। পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ, বি১, বি২ ,বি৩ এবং মূল্যবান ফসফরাস, সোডিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সেলেনিয়াম থাকে। হাই ক্যালোরি ও প্রোটিন যুক্ত এই ফল শিশুদের মস্তিষ্ক গঠনে সাহায্য করে।
আপেল হাড়কে শক্ত রাখে
● আপেলে প্রচুর পরিমাণ বোরন থাকে যা শিশুদের হাড়কে শক্ত রাখে। এটি গরমকালে শিশুদের জলশূন্যতা দূর করে, তৃষ্ণা মেটায় ও শরীর ঠান্ডা রাখে। আপেল শিশুদের জ্বর কমাতে সাহায্য করে (এন্টিপাইরেটিক)।
কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
● পাকা কলা শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে কিন্তু কাঁচকলা কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়ায়। কলায় প্রচুর ভিটামিন, আয়রন ও ক্যালরি থাকে।
ছবি: সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে
যোগাযোগ: ৯৮৩০২৯৪৯৩২