ছবি প্রতীকী
স্তন্যপানের সময় কেমন হবে মা ও শিশুর অবস্থান?
স্তন্যপানের সময় শিশুর মুখের অবস্থান কেমন হবে
শিশুর নীচের ঠোঁট স্তন্যের নীচে কিন্তু বাইরের দিকে থাকবে। উপরের ঠোঁট স্তন্যের উপরে কিন্তু বাইরের দিকে থাকবে— অনেকটা মাছের মুখের মতো। শিশুর জিভ আংশিক বেরিয়ে থাকা অবস্থায় স্তন্যপান করাতে হবে। তবে যতটুকু অংশ মুখে নিলে শিশুর মুখ ভরে যায় ততটুকু অংশই শিশু মুখেপুরে স্তন্যপান করবে। এটাই শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সফল স্তন্যপান।
শিশুকে জন্মের প্রথম এক মাস পর্যন্ত দু’ ঘণ্টা অন্তর এবং তারপরে আড়াই থেকে তিনঘণ্টা অন্তর বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। প্রতিবারই দুটো স্তন্যপান করানোই নিয়ম। প্রত্যেকটা স্তন্য ১০ থেকে ১৫ মিনিট অর্থাৎ প্রত্যেকবার দুটো স্তন্য ২০ থেকে ৩০ মিনিট ধরে পান করবে শিশু।
কীভাবে বুঝবেন শিশুর পেট ভরে গিয়েছে?
শিশুকে কতক্ষণ অন্তর খাওয়াবেন?
স্তন্যপান করানোর দুটো প্রচলিত পদ্ধতি আছে— একটা হল চাহিদা অনুযায়ী, অন্যটি ঘড়ি দেখে নির্দিষ্ট সময় অন্তর। আমার পরামর্শ সব সময় শিশুকে একটা নির্দিষ্ট সময় অন্তর খেতে দিতে হবে। দু’ ঘণ্টা কিংবা তিন ঘণ্টা অন্তর বা বড় বাচ্চা হলে চার ঘণ্টা অন্তর খেতে দেওয়াই ভালো। শিশু জানবে যে তার সকাল ছ’টার পরে ন’টা বা তারপরে ১২টায় তার খাওয়ার সময়। তাই এই তিন ঘণ্টা থাকার জন্য তার প্রয়োজনীয় দুধ বা অন্য যা কিছু হোক সে খেয়ে নেবে। পরবর্তী সময় না হওয়া পর্যন্ত তার খিদে পাবে না এবং সে খিদের জন্য কাঁদবে না। সে বুঝবে তার খাবার একটা নির্দিষ্ট সময় আছে এবং তার আগে মা তাকে আর খাবার দেবে না।
এভাবে খাওয়ানোর মধ্য দিয়ে শিশুর জীবনে নিয়মানুবর্তিতা শুরু হবে। অন্যদিকে শিশু কাঁদলেই মা সঙ্গে সঙ্গে দুধ দিলে একটু দুধ টানার পরে খানিকটা তৃপ্তি মিটলেই শিশু খাওয়া ছেড়ে দেবে। এভাবে আধপেটা খাওয়ার ফলে কিছুক্ষণ পর আবার কাঁদবে। আবার সামান্য দুধ খেয়ে ছেড়ে দেবে। ফলে ওজন বৃদ্ধি হবে না। পরবর্তীকালে মা জোর করে খাওয়াতে যাবেন আর শিশু বমি করবে। দেখা যাবে পরবর্তীকালে খাওয়ার সময় খাবে না, পড়ার সময় পড়বে না, উশৃঙ্খল জীবনযাপন শুরু হবে। সুতরাং একটা রুটিন অনুযায়ী শিশুকে খাওয়ানো উচিত।
ঘুমাছন্ন শিশুকে কীভাবে দুধ খাওয়াবেন
ছবি: সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে
যোগাযোগ: ৯৮৩০২৯৪৯৩২