ছবি প্রতীকী
যে কোনও ভ্রমণেই শিশুদের আগ্রহ লক্ষণীয় এবং শিশুদের সাহচর্য ছাড়া ভ্রমণের আনন্দ হয় অসম্পূর্ণ। ভ্রমণের সময় সেই শিশুদের জন্য কী কী সতর্কতা প্রয়োজন এবং সঙ্গে কী কী ওষুধপত্র রাখতে হবে সেই সব সম্পর্কে আজ আমি আলোচনা করব।
ছোটখাট দুর্ঘটনা জনিত কাটাছেঁড়া, আঁচড় লাগা, গাটে চোট লাগা — ভ্রমণ কালে এসব খুব স্বাভাবিক ঘটনা। এর জন্য একটি ‘ফার্স্ট এইড বক্স’ রাখা জরুরি— যার মধ্যে তুলো, গজ, ব্যান্ডেজ, টু পার্সেন্ট মারকিউরোক্রম বা রোগ জীবাণু প্রতিরোধী মলম বা লোশন, ব্যান্ড-এইড ইত্যাদি রাখতে হবে।
ট্রেনে, বাসে বা অন্য গাড়িতে এমনকি বিমানে উঠলেও অনেক বাচ্চার বমি পায় বা বমি হয়। তাদেরকে গাড়িতে ওঠার দু’ঘণ্টা আগে প্রোক্লোরপেরাজিন এবং অনডেনসেট্রন ট্যাবলেট বা সিরাপ খওয়াতে হবে। ৬ থেকে ১২ বছর বয়স পর্যন্ত বাচ্চাদের ডোজ অর্ধেক ট্যাবলেট অথবা এক চামচ সিরাপ। ছয় বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের জন্য এই ডোজ অর্ধেক। মাথা ঘোরার জন্য প্রোক্লোরপেরাজিন বা সিনারাজিন ট্যাবলেট দিতে হবে।
ছোটখাট দুর্ঘটনা জনিত কাটাছেঁড়া, আঁচড় লাগা, গাটে চোট লাগা — ভ্রমণ কালে এসব খুব স্বাভাবিক ঘটনা। এর জন্য একটি ‘ফার্স্ট এইড বক্স’ রাখা জরুরি— যার মধ্যে তুলো, গজ, ব্যান্ডেজ, টু পার্সেন্ট মারকিউরোক্রম বা রোগ জীবাণু প্রতিরোধী মলম বা লোশন, ব্যান্ড-এইড ইত্যাদি রাখতে হবে।
ট্রেনে, বাসে বা অন্য গাড়িতে এমনকি বিমানে উঠলেও অনেক বাচ্চার বমি পায় বা বমি হয়। তাদেরকে গাড়িতে ওঠার দু’ঘণ্টা আগে প্রোক্লোরপেরাজিন এবং অনডেনসেট্রন ট্যাবলেট বা সিরাপ খওয়াতে হবে। ৬ থেকে ১২ বছর বয়স পর্যন্ত বাচ্চাদের ডোজ অর্ধেক ট্যাবলেট অথবা এক চামচ সিরাপ। ছয় বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের জন্য এই ডোজ অর্ধেক। মাথা ঘোরার জন্য প্রোক্লোরপেরাজিন বা সিনারাজিন ট্যাবলেট দিতে হবে।
সম্ভাব্য জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল যেমন— ক্রোসিন বা ক্যালপল সিরাপ বা ট্যাবলেট সঙ্গে রাখতে হবে। ১৫ কেজির বেশি ওজনের বাচ্চাদের জন্য সিরাপ দু’ চামচ, ১০ থেকে ১৪ কেজি ওজনের জন্য দেড় চামচ, ৩ থেকে ১০ কেজির জন্য এক চামচ এবং তার কম ওজনের বাচ্চার জন্য অর্ধেক চামচ সিরাপ দিতে হবে। গা হাত পায়ে ব্যথা, বা যন্ত্রণা হলেও এই ওষুধে উপশম হবে। মচকানো ব্যথা বা ফোলার জন্য ডাইক্লোফেনাক স্প্রে বা জেল সঙ্গে রাখুন।
হঠাৎ কোন অ্যালার্জি বা র্যা শ শরীরের কোথাও দেখা দিলে তাৎক্ষণিক কোনও অ্যান্টিহিস্টামিন যেমন লিভোসেট্রিজিইন বা প্রোমেথাজিন দিতে হবে। তাই এগুলোও সঙ্গে রাখুন। বড় শিশুদের জন্য এক চামচ এবং ছোটদের জন্য অর্ধেক চামচ বা ২.৫ মিলি দিতে হবে। লিভোসেট্রিজিইন সিরাপ বা ট্যাবলেট দিনে একবার এবং প্রোমেথাজিন একবার দিলেই হয়।
হঠাৎ কোন অ্যালার্জি বা র্যা শ শরীরের কোথাও দেখা দিলে তাৎক্ষণিক কোনও অ্যান্টিহিস্টামিন যেমন লিভোসেট্রিজিইন বা প্রোমেথাজিন দিতে হবে। তাই এগুলোও সঙ্গে রাখুন। বড় শিশুদের জন্য এক চামচ এবং ছোটদের জন্য অর্ধেক চামচ বা ২.৫ মিলি দিতে হবে। লিভোসেট্রিজিইন সিরাপ বা ট্যাবলেট দিনে একবার এবং প্রোমেথাজিন একবার দিলেই হয়।
আরও পড়ুন:
ছোটদের যত্নে: শিশুকে কোন ওষুধ কখন খাওয়াবেন? ওষুধ খাওয়ার সঠিক নিয়ম কী? জানুন শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
ত্বকের পরিচর্যায়: অবাঞ্ছিত চুল নিয়ে বিব্রত? সমস্যার সমধানে এই বিষয়গুলি মেনে চলছেন তো?
শৈল শহর গুলিতে তাপমাত্রা খুব কম থাকার জন্য শিশুদের সর্দি কাশি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। সর্দিতে নাক বন্ধ হয়ে যেতে পারে, সেজন্য সঙ্গে একটা নাসাল ড্রপ যেমন অক্সিমেটাজোলিন এবং সর্দি কাশির জন্য প্যারাসিটামল এবং অ্যান্টিহিস্টামিন-যুক্ত ট্যাবলেট (যেমন কোল্ডেইড, কোল্ডাক্ট ইত্যাদি) বা সিরাপ সঙ্গে রাখতে হবে। বড় বাচ্চাদের জন্য একবারে অর্ধেক ট্যাবলেট বা এক চামচ সিরাপ রোজ দু’বার দিতে হবে। ছোটদের জন্য এই ডোজ অর্ধেক। তবে সর্দি কাশির জন্য অ্যান্টিবায়োটিক শিশু বিশেষজ্ঞ না দেখিয়ে দিতে নেই।
যে সমস্ত বাচ্চার শ্বাসকষ্টের রোগ যেমন চাইল্ডহুড অ্যাজমা রয়েছে — তাদের জন্য লিভোসালবুটামল ইনহেলার অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে। তাছাড়া শ্বাসকষ্টের জন্য ব্রোকোডাইলেটর সিরাপ যেমন সালবুটামল বা অ্যাস্থালিন সঙ্গে নিতে হবে।
যে সমস্ত বাচ্চার শ্বাসকষ্টের রোগ যেমন চাইল্ডহুড অ্যাজমা রয়েছে — তাদের জন্য লিভোসালবুটামল ইনহেলার অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে। তাছাড়া শ্বাসকষ্টের জন্য ব্রোকোডাইলেটর সিরাপ যেমন সালবুটামল বা অ্যাস্থালিন সঙ্গে নিতে হবে।
ভ্রমণকালে অনেক শিশুরই পেট খারাপ হয়। এ জাতীয় সংক্রমণ সাধারণত খাবার থেকেই ঘটে। পাতলা পায়খানার জন্য প্রথমে ওআরএস খাওয়াতে হয়। ওআরএস খাওয়ালে জল-অল্পতা বাড়তে পারে না। তবে ওআরএস খেয়ে শিশু বমি করলে বমি বন্ধ হওয়ার সিরাপ যেমন অনডেনসেট্রন বা ডমপেরিডোন আগে দিয়ে আধ ঘণ্টা পরে আবার ওআরএস খাওয়ানো শুরু করতে হবে। ওআরএস খাওয়ানোর সঙ্গে স্বাভাবিক খাবার যেমন ডাল, ভাত, আলুসেদ্ধ বা খিচুড়ি এবং ছোট শিশুদের বুকের দুধ খাইয়ে যেতে হবে। কিন্তু বিস্কিট, আটার রুটি, কেক —এসব না দেওয়াই ভালো। এসব করেও যদি পাতলা পায়খানা বা আমাশয় না কমে তখন ওফ্লোক্সাসিন-অর্নিডাজল সিরাপ দেওয়া যেতে পারে। তাই এই সমস্ত ওষুধ অবশ্যই সঙ্গে নিতে হবে।
যে কোনও কারণের জন্যই পেটে ব্যথা হতে পারে। তাই ডাইসাইক্লোমিন বা ড্রোটাভেরিন সিরাপ সঙ্গে নিতে হবে। বমির জন্য নিতে হবে ডমপেরিডন বা অনডেনসেট্রন সিরাপ। সবথেকে ভালো ভ্রমণকালে শিশুদের ওষুধের ডোজ নিয়ে আপনারা ফোনে আপনাদের গৃহ চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করতে পারেন।
যে কোনও কারণের জন্যই পেটে ব্যথা হতে পারে। তাই ডাইসাইক্লোমিন বা ড্রোটাভেরিন সিরাপ সঙ্গে নিতে হবে। বমির জন্য নিতে হবে ডমপেরিডন বা অনডেনসেট্রন সিরাপ। সবথেকে ভালো ভ্রমণকালে শিশুদের ওষুধের ডোজ নিয়ে আপনারা ফোনে আপনাদের গৃহ চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করতে পারেন।
আরও পড়ুন:
ডিমেনশিয়া ও অ্যালঝাইমার্সের ঝুঁকির মধ্যে আপনি নেই তো? সতর্ক হতে হবে গোড়াতেই/ পর্ব: ১
স্বাস্থ্য সচেতন কিন্তু গাজর খেতে ভালো লাগে না, তাহলে তো পুষ্টিও সম্পূর্ণ হচ্ছে না, কেন খাবেন, কীভাবে খাবেন জেনে নিন
ভ্রমণের সময় শিশুরা সঙ্গে থাকলে তাদের জন্য সবথেকে বড় সতর্কতা হল— ট্রেনে, বাসে যাতায়াতের সময় যাতে গেটের দিকে বাচ্চা না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যেসব বাচ্চারা সাঁতার জানেনা তাঁরা যেন বিপজ্জনক জলাশয়ের কাছে না যায়। পাহাড় বা পিচ্ছিল পথে হাঁটার সময় শিশুদের হাত ধরেই বড়দের হাঁটতে হবে। কোনও ঝোপ জঙ্গল যেখানে সরীসৃপ যেমন সাপ থাকতে পারে, শিশুরা যেন সেখানে না যায়। শিশু যেন সবসময় বড়দের চোখে চোখে থাকে তাহলেই আপনাদের ভ্রমণ হবে সর্বাঙ্গীণ সুন্দর।
ছবি: সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে
যোগাযোগ: ৯৮৩০২৯৪৯৩২
ছবি: সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে
যোগাযোগ: ৯৮৩০২৯৪৯৩২