প্রাথমিক উপসর্গ
জ্বর, কাঁপুনি , ক্লান্তি, মাথাযন্ত্রণা, মাংসপেশীর দুর্বলতা, ত্বকে জলভর্তি ফোসকার মতো উপসর্গ দেখা যায়। এই উপসর্গের সঙ্গে সাধারণ জল বসন্তের কিছুটা মিল রয়েছে। কিন্তু মাঙ্কি পক্স ভাইরাস সংক্রমণে প্রায়ই গলার বা বগলের গ্রন্থিগুলো ফুলে যায় এবং ব্যথা হয়। যেটা জলবসন্তের ক্ষেত্রে কোনও সময়ই হয় না, এটাই জলবসন্ত সংক্রমণের সঙ্গে মাঙ্কি পক্স সংক্রমণের মূল পার্থক্য। মাঙ্কি পক্স সংক্রমণে রোগের ভয়াবহতা জলবসন্ত রোগের তুলনায় অনেকটাই বেশি।
কীভাবে এই রোগ ছড়ায়?
সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে, সংক্রমিত আসবাবপত্র, পশুর চামড়া বা আঁচড়ানোর মাধ্যমে এই ভাইরাসে অন্য ব্যক্তিকে সংক্রমিত করতে পারে। আবার শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে অথবা কাটা ছেড়া জায়গা দিয়ে, মুখ ও চোখের মাধ্যমেও এই ভাইরাস সুস্থ ব্যক্তিকে সংক্রমিত করতে পারে। হাঁচি-কাশির মাধ্যমেও সংক্রমিত হতে পারে৷
সংক্রমণ কতদিন থাকে
রোগের লক্ষণ শুরু হওয়ার প্রথম দিন থেকে ২২ দিন পর্যন্ত অসুস্থের শরীরে এই ভাইরাস থাকে। তাই এই সময়ের মধ্যে তাঁর সংস্পর্শতে কোনও সুস্থ ব্যক্তি এলে তিনিও সংক্রমিত হতে পারেন।
চিকিৎসা
সাধারণত দুই থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে বেশিরভাগ রোগীই সুস্থ হয়ে ওঠেন। কিছু ক্ষেত্রে লক্ষণ অনুযায়ী জল বসন্তের মতো চিকিৎসা করতে হয়। কদাচিৎ কোনও রোগীর অবস্থা মারাত্মক আকার ধারণ করে। মাঙ্কি পক্স রোগীর ক্ষেত্রে মৃত্যুর হার সামান্য। এই রোগে কিছু মৃত্যুর ঘটনা পশ্চিম আফ্রিকায় ঘটেছে।
কীভাবে প্রতিরোধ করবেন
৮৫ শতাংশ ক্ষেত্রে জল বসন্তের টিকা মাঙ্কি পক্স ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে কার্যকরী। সর্বোপরি মাঙ্কি পক্স ভাইরাস সংক্রমণের ক্ষেত্রে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। তবে কারও যদি এই সংক্রমণ প্রবণ অঞ্চলে যাতায়াতের ইতিহাস থাকে এবং জ্বরের সঙ্গে সন্দেহজনক ত্বকের সংক্রমণ থাকে, তাহলে শীঘ্রই স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী সংস্থা বা ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। সন্দেহ হলেই রোগীকে আলাদা করে রাখতে হবে।
ছবি: সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে
যোগাযোগ: ৯৮৩০২৯৪৯৩২