দুই ভাই কিশোরকুমার ও অনুপকুমারের মাঝে।
ছেলে অভিনয়ের জগতে থাকলেও নায়িকাদের সঙ্গে তাঁর মাখামাখি পছন্দ হয়নি কুঞ্জলাল গাঙ্গুলি ও গৌরীদেবীর৷ বেশিদিন এরকম চলতে থাকলে ছেলের মাথা বিগড়ে যেতে পারে এই ভয়ে কুঞ্জলালবাবু স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে অশোককুমারকে ডেকে পাঠালেন খান্ডোয়ায়৷ মধ্যপ্রদেশের খান্ডোয়া অশোককুমারের পৈতৃক বাড়ি৷ তখন ‘বচন’ ছবির শ্যুটিং চলছে৷ খান্ডোয়া রেল স্টেশনে নেমে অশোককুমার দেখেন বাবা দাঁড়িয়ে আছেন৷ জানালেন, এখুনিই কলকাতায় যেতে হবে৷ কেন? কুঞ্জলালবাবুর মুখে কোনও উত্তর নেই৷ ঘণ্টাচারেক পর একটা বড় জংশন স্টেশনে ট্রেন থামতেই তিনি ছেলেকে বললেন, ‘যাও লেডিস কোচে তোমার বউদিকে গিয়ে একবার দেখে এসো৷’ অশোককুমারের এক জ্ঞাতিদাদার স্ত্রী৷ বাবার কথা শুনে আকাশ থেকে পড়লেন৷ বউদিও চলেছেন? কী ব্যাপার? শেষ পর্যন্ত বউদি তাঁর দেওরকে গোপন কথাটি একগাল হেসে বলেই ফেললেন—তোমার যে বিয়ে!
কলকাতায় পৌঁছে অশোককুমার জানতে পারেন দু’দিনের মাথায় তাঁর বিয়ে৷ বিয়েটা হচ্ছে শুক্রবার৷ শেষ পর্যন্ত মায়ের পছন্দ করা পাত্রীকে বিয়ে করতে রাজি হলেন অশোককুমার৷ তাঁকে মেয়ের ছবিও দেখানো হল৷ এবার বাগড়া দিলেন পুরোহিত৷ শুক্রবার ছেলের জন্মবার৷ সেই বারে বিয়ে চলবে না৷ এরপর অশোককুমার নিজেই বেঁকে বসলেন৷ এরকম চলতে থাকলে তিনি বিয়ে না করেই বম্বে ফিরে যাবেন৷ প্রচুর কাজ পড়ে আছে তাঁর৷ অবশেষে ট্রেন থেকে নামার পরদিনই অর্থাৎ বৃহস্পতিবার পাত্রী শোভার সঙ্গে বিয়ে হয়ে গেল অশোককুমার গাঙ্গুলির৷
গৌরীদেবীর আশঙ্কা ছিল এত তাড়াহুড়ো করে বিয়ে দেওয়া হল ছেলেটার, বউ হয়তো-বা মনোমতো হয়নি৷ কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই সেই আশঙ্কা দূর হয়ে গেল৷ ধীর-স্থির মিষ্টি স্বভাবের মেয়ে শোভা নিজেকে সুন্দর মানিয়ে নেন অত্যন্ত জনপ্রিয় এক নায়কের ঘরনি হিসেবে৷ পঞ্চাশ বছরের বিবাহবার্ষিকী পালন করার সব আয়োজন সেরেও শোভা এ পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চলে গিয়েছিলেন মূল অনুষ্ঠানের মাত্র তিন দিন আগে৷ একথা জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ভুলতে পারেননি দাদামণি৷
কলকাতায় পৌঁছে অশোককুমার জানতে পারেন দু’দিনের মাথায় তাঁর বিয়ে৷ বিয়েটা হচ্ছে শুক্রবার৷ শেষ পর্যন্ত মায়ের পছন্দ করা পাত্রীকে বিয়ে করতে রাজি হলেন অশোককুমার৷ তাঁকে মেয়ের ছবিও দেখানো হল৷ এবার বাগড়া দিলেন পুরোহিত৷ শুক্রবার ছেলের জন্মবার৷ সেই বারে বিয়ে চলবে না৷ এরপর অশোককুমার নিজেই বেঁকে বসলেন৷ এরকম চলতে থাকলে তিনি বিয়ে না করেই বম্বে ফিরে যাবেন৷ প্রচুর কাজ পড়ে আছে তাঁর৷ অবশেষে ট্রেন থেকে নামার পরদিনই অর্থাৎ বৃহস্পতিবার পাত্রী শোভার সঙ্গে বিয়ে হয়ে গেল অশোককুমার গাঙ্গুলির৷
গৌরীদেবীর আশঙ্কা ছিল এত তাড়াহুড়ো করে বিয়ে দেওয়া হল ছেলেটার, বউ হয়তো-বা মনোমতো হয়নি৷ কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই সেই আশঙ্কা দূর হয়ে গেল৷ ধীর-স্থির মিষ্টি স্বভাবের মেয়ে শোভা নিজেকে সুন্দর মানিয়ে নেন অত্যন্ত জনপ্রিয় এক নায়কের ঘরনি হিসেবে৷ পঞ্চাশ বছরের বিবাহবার্ষিকী পালন করার সব আয়োজন সেরেও শোভা এ পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চলে গিয়েছিলেন মূল অনুষ্ঠানের মাত্র তিন দিন আগে৷ একথা জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ভুলতে পারেননি দাদামণি৷
সুচিত্রা সেনের সঙ্গে হসপিটাল ছবিতে।
শোভা গাঙ্গুলি মারা যান ১৯৮৭ সালের এপ্রিলে৷ ঠিক তার ছ’মাস পরেই অক্টোবর মাসে মারা গেলেন ছোটভাই কিশোরকুমার৷ পরপর দুজন সবথেকে কাছের মানুষের মৃত্যু একদম একা করে দিয়ে যায় অশোককুমারকে৷ মেজভাই অনুপকুমারের মৃত্যুও তাঁকে কম কষ্ট দেয়নি৷ অশোককুমারের এক বোন ছিলেন শচীদেবী৷ তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল হিন্দি ছবির ডাকসাইটে প্রযোজক ও পরিচালক শশধর মুখোপাধ্যায়ের৷ পরে শশধরবাবু এবং অশোককুমার ফিল্মিস্তান গড়ে তোলেন৷ ফিল্মালয় স্টুডিও তাঁদের হাতেই তৈরি৷ অভিনয়ের পাশাপাশি ছবি প্রযোজনা করার ইচ্ছে থেকেই প্রোডাকশনের কাজে নেমে পড়েন অশোককুমার৷
পঁয়ষট্টি বছরের কাছাকাছি অশোককুমারের অভিনয়-জীবন৷ অভিনয়ের মধ্য দিয়ে সর্বদা শিল্পসৃষ্টির যে তাগিদ তিনি অনুভব করেছেন ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে তা এক বিরল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে৷ এত দীর্ঘ পথ কেউ পরিক্রমা করেননি৷ তাই বেঁচে থাকতেই কিংবদন্তি হয়ে ওঠেন অশোককুমার৷ কাননদেবী, মধুবালা, নিম্মি, মীনাকুমারী, নার্গিস, নূতন, নিরূপা রায়, রেণুকাদেবী, স্নেহপ্রভা, বৈজয়ন্তীমালা, মালা সিনহা, সুচিত্রা সেন, ওয়াহিদা রহমান, রাখী, রেখা, শাবানা আজমি, মাধুরী দীক্ষিত—সেই তিনের দশক থেকে শুরু করে ২০০১ সাল পর্যন্ত অসংখ্য অভিনেতা- অভিনেত্রীর সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি৷ এটা অবশ্যই একটা রেকর্ড—যা কোনওদিন কেউ ভাঙতে পারবে না৷ ভাঙা সম্ভবও নয়৷ কারণ, ঈশ্বরের আশীর্বাদে দীর্ঘায়ু ছিলেন দাদামণি৷ আর জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত অবাক করে দেওয়ার মতো কর্মক্ষম ছিলেন তিনি৷
কলকাতা-মুম্বই মিলিয়ে অশোককুমারের সঙ্গে আমার বেশ কয়েকবার দেখাসাক্ষাৎ হয়েছে৷ একবার তাঁর চেম্বুরের ইউনিয়ন পার্কের বাংলোয় গিয়েছি৷ দেখলাম, একটানা কথা বলতে গিয়ে হাঁপিয়ে উঠছেন৷ ইনহেলার ব্যবহারের পর ঘড়ি ধরে ৩০ সেকেন্ড থেকে বড়জোর এক মিনিট চুপ করে থাকতেন৷ তারপর আবার কথা৷ কত গল্প দাদামণির! না, মানুষটা পরিশ্রান্ত হতে জানতেন না৷ শিশুর মতন হয়ে যেতেন কথা বলতে গিয়ে৷ সোজা-সরল কথাবার্তা৷ স্নেহ-মমতা মাখানো মহীরুহ এক ব্যক্তিত্ব অচিরেই মনের মানুষ হয়ে উঠতেন৷ তাঁর নায়িকাদের কথা জানতে চেয়েছিলাম৷ দাদামণি হেসে ফেললেন৷ হাসতে হাসতেই বলেছিলেন, ‘এসব ব্যক্তিগত কথা কি কেউ কাউকে বলে? আর সাংবাদিকদের তো কখনও বলতে নেই৷ সুযোগ পেলেই ছাপিয়ে দেবে৷’ কয়েক মুহূর্ত চুপ করে থেকে একথাও বলেন, ‘তোমাকে শুধু সাংবাদিক নয়, বাড়ির একজন বলেও মনে করি৷ তুমি কিছু মনে কোরো না৷’
নিম্মির অভিনয়ের খুব প্রশংসা করেন দাদামণি৷ বলেছিলেন, ‘ও দারুণ অভিনেত্রী৷ দর্শকের নজর কাড়তে জুড়ি ছিল না৷ নিম্মি বর্ন-অ্যাক্ট্রেস৷ কোনও অহংকার ছিল না৷ স্টারসুলভ ভাবভঙ্গি ছিল না৷ তবে ভালো অভিনেত্রী হওয়া সত্ত্বেও কদর পেল না৷’ নূতনের কাছ থেকেও যে অভিনয়ের কিছু কিছু জিনিস শিখেছিলেন সেকথা জানাতে সেদিন এতটুকুও দ্বিধাবোধ করেননি দাদামণি৷ বলেছিলেন, ‘আমি বড় অভিনেতা এরকম ভাবনা কোনওকালেই আমার ছিল না৷ আমি আজও শেখার চেষ্টা করি৷ খোলা মন নিয়ে চলি৷ তাই কেউ ভালো কিছু বললে নির্দ্বিধায় সেটা গ্রহণ করি৷ যেমন, নূতন একবার শ্যুটিংয়ে আমাকে বলেছিল, দাদা এভাবে করবেন না৷ অন্যভাবে সংলাপ বলুন৷ ওর কথা শুনে রাগ করিনি৷ একথা আমার মনেও হয়নি আরে নূতন তো আমার জুনিয়র৷ আমাকে উপদেশ দিচ্ছে কেন? বরং আমার মনে হয়েছিল, নূতন ঠিকই বলছে৷ এমনকী কোনও সিনিয়র কলাকুশলীও সাহস করে সেটে অভিনয় শুধরে দিতেন রাগ করতাম না৷ আসলে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের খোলা মন নিয়ে চলতে হয়৷ তা না হলে অভিনয় শেখা যায় না৷ বম্বে টকিজ-এর হিমাংশু রায় আমাকে বলতেন, অভিনয় করতে গেলে বিনয়ী হতে হয়৷ কাজটা শিখতে হয় ঠিক পুজোর মতনই৷ অভিনয়ের মধ্য দিয়ে ঈশ্বরকে তুমি পুজো করছ৷ মিঃ রায়ের এই কথাগুলো চিরকাল মাথায় রেখে চলেছি৷ সবজান্তাভাব এসে গেলেই পা হড়কাবে৷’
পঁয়ষট্টি বছরের কাছাকাছি অশোককুমারের অভিনয়-জীবন৷ অভিনয়ের মধ্য দিয়ে সর্বদা শিল্পসৃষ্টির যে তাগিদ তিনি অনুভব করেছেন ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে তা এক বিরল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে৷ এত দীর্ঘ পথ কেউ পরিক্রমা করেননি৷ তাই বেঁচে থাকতেই কিংবদন্তি হয়ে ওঠেন অশোককুমার৷ কাননদেবী, মধুবালা, নিম্মি, মীনাকুমারী, নার্গিস, নূতন, নিরূপা রায়, রেণুকাদেবী, স্নেহপ্রভা, বৈজয়ন্তীমালা, মালা সিনহা, সুচিত্রা সেন, ওয়াহিদা রহমান, রাখী, রেখা, শাবানা আজমি, মাধুরী দীক্ষিত—সেই তিনের দশক থেকে শুরু করে ২০০১ সাল পর্যন্ত অসংখ্য অভিনেতা- অভিনেত্রীর সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি৷ এটা অবশ্যই একটা রেকর্ড—যা কোনওদিন কেউ ভাঙতে পারবে না৷ ভাঙা সম্ভবও নয়৷ কারণ, ঈশ্বরের আশীর্বাদে দীর্ঘায়ু ছিলেন দাদামণি৷ আর জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত অবাক করে দেওয়ার মতো কর্মক্ষম ছিলেন তিনি৷
কলকাতা-মুম্বই মিলিয়ে অশোককুমারের সঙ্গে আমার বেশ কয়েকবার দেখাসাক্ষাৎ হয়েছে৷ একবার তাঁর চেম্বুরের ইউনিয়ন পার্কের বাংলোয় গিয়েছি৷ দেখলাম, একটানা কথা বলতে গিয়ে হাঁপিয়ে উঠছেন৷ ইনহেলার ব্যবহারের পর ঘড়ি ধরে ৩০ সেকেন্ড থেকে বড়জোর এক মিনিট চুপ করে থাকতেন৷ তারপর আবার কথা৷ কত গল্প দাদামণির! না, মানুষটা পরিশ্রান্ত হতে জানতেন না৷ শিশুর মতন হয়ে যেতেন কথা বলতে গিয়ে৷ সোজা-সরল কথাবার্তা৷ স্নেহ-মমতা মাখানো মহীরুহ এক ব্যক্তিত্ব অচিরেই মনের মানুষ হয়ে উঠতেন৷ তাঁর নায়িকাদের কথা জানতে চেয়েছিলাম৷ দাদামণি হেসে ফেললেন৷ হাসতে হাসতেই বলেছিলেন, ‘এসব ব্যক্তিগত কথা কি কেউ কাউকে বলে? আর সাংবাদিকদের তো কখনও বলতে নেই৷ সুযোগ পেলেই ছাপিয়ে দেবে৷’ কয়েক মুহূর্ত চুপ করে থেকে একথাও বলেন, ‘তোমাকে শুধু সাংবাদিক নয়, বাড়ির একজন বলেও মনে করি৷ তুমি কিছু মনে কোরো না৷’
নিম্মির অভিনয়ের খুব প্রশংসা করেন দাদামণি৷ বলেছিলেন, ‘ও দারুণ অভিনেত্রী৷ দর্শকের নজর কাড়তে জুড়ি ছিল না৷ নিম্মি বর্ন-অ্যাক্ট্রেস৷ কোনও অহংকার ছিল না৷ স্টারসুলভ ভাবভঙ্গি ছিল না৷ তবে ভালো অভিনেত্রী হওয়া সত্ত্বেও কদর পেল না৷’ নূতনের কাছ থেকেও যে অভিনয়ের কিছু কিছু জিনিস শিখেছিলেন সেকথা জানাতে সেদিন এতটুকুও দ্বিধাবোধ করেননি দাদামণি৷ বলেছিলেন, ‘আমি বড় অভিনেতা এরকম ভাবনা কোনওকালেই আমার ছিল না৷ আমি আজও শেখার চেষ্টা করি৷ খোলা মন নিয়ে চলি৷ তাই কেউ ভালো কিছু বললে নির্দ্বিধায় সেটা গ্রহণ করি৷ যেমন, নূতন একবার শ্যুটিংয়ে আমাকে বলেছিল, দাদা এভাবে করবেন না৷ অন্যভাবে সংলাপ বলুন৷ ওর কথা শুনে রাগ করিনি৷ একথা আমার মনেও হয়নি আরে নূতন তো আমার জুনিয়র৷ আমাকে উপদেশ দিচ্ছে কেন? বরং আমার মনে হয়েছিল, নূতন ঠিকই বলছে৷ এমনকী কোনও সিনিয়র কলাকুশলীও সাহস করে সেটে অভিনয় শুধরে দিতেন রাগ করতাম না৷ আসলে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের খোলা মন নিয়ে চলতে হয়৷ তা না হলে অভিনয় শেখা যায় না৷ বম্বে টকিজ-এর হিমাংশু রায় আমাকে বলতেন, অভিনয় করতে গেলে বিনয়ী হতে হয়৷ কাজটা শিখতে হয় ঠিক পুজোর মতনই৷ অভিনয়ের মধ্য দিয়ে ঈশ্বরকে তুমি পুজো করছ৷ মিঃ রায়ের এই কথাগুলো চিরকাল মাথায় রেখে চলেছি৷ সবজান্তাভাব এসে গেলেই পা হড়কাবে৷’
পরিণীতা ছবিতে আশোককুমার ও মীনাকুমারী।
অশোককুমারের মতে, মীনাকুমারী ভালো অভিনেত্রী হলেও সাংঘাতিক কিছু নন৷ মীনাকুমারীর সঙ্গে একই বন্ধনে বৈজয়ন্তীমালাকে ফেলেন তিনি৷ তবে সুচিত্রা সেন এবং ওয়াহিদা রহমানের খুব প্রশংসা করেন অশোককুমার৷ বলেছিলেন, ‘এঁরা দুজনেই বুদ্ধিমতী ও সুন্দরী৷ সুচিত্রার অতি অভিনয়ের দিকে একটু ঝোঁক ছিল ঠিকই, ওঁর বুদ্ধিদীপ্ত অভিনয়ে সব দোষ ঢাকা পড়ত৷ আমার মনে হয় ওয়াহিদা বেটার অ্যাক্ট্রেস৷’ শাবানা আজমি ও মাধুরী দীক্ষিতকে অসাধারণ বলে মন্তব্য করেছিলেন দাদামণি৷ উল্লেখ্য, সুচিত্রা সেনের সঙ্গে ‘হসপিটাল’ ও ‘মমতা’য় অভিনয় করেন অশোককুমার৷
একবার দাদামণির অভিনয়ের ধারা নিয়ে বি আর চোপড়ার সঙ্গে আমার কথাবার্তা হয়৷ তিনি বলেছিলেন, ‘দাদামণির অভিনয়ের সবথেকে বড় জিনিস হল, ওঁর সহজ-সরল আন্তরিক অভিনয়৷ হিন্দি ছবির এক সময়ের যাত্রাধর্মী অভিনয়কে মূলত উনিই আমূল বদলে আমজনতার দরবারে পৌঁছে দেন৷ এ ব্যাপারে দাদামণিই পথ দেখান৷ খুবই দরদি মন ওঁর৷ আরেকটা কথা, এই যে আজ আমি বম্বের মাটিতে দাঁড়িয়ে আছি দাদামণির সাহায্য না পেলে কিছুই হত না৷ তাঁর প্রতি আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই৷
পরিচালক বাসু চাটার্জি আমাকে বলেছিলেন, দাদামণির মতন অভিনয়ের এত অভিজ্ঞতা তো আর কারও নেই৷ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর অভিনয়কেও অদ্ভুতভাবে বদলে নিতে পেরেছেন৷ এজন্যই তিনি কিংবদন্তি অভিনেতা৷
অনেকেরই হয়তো জানতে ইচ্ছে করে অশোককুমার কত পারিশ্রমিক পেতেন? ছয়ের দশকের গোড়ায় প্রতিদিন তাঁর পারিশ্রমিক ছিল দশ হাজার টাকা৷ তিনি পার-ডে পারিশ্রমিক নেওয়াই পছন্দ করতেন৷ প্রতিদিন এই বিপুল অঙ্কের টাকা প্রযোজকরা অশোককুমারকে দিতে এককথায় রাজি ছিলেন৷ কারণ, একেকটা হিট-সুপারহিট ছবির মাধ্যমে তাঁদের ফিরিয়ে দিতেন চতুর্গুণ৷ নায়ক ও চরিত্রাভিনেতা হিসেবে জীবনে প্রায় তিনশোর কাছাকাছি ছবিতে অভিনয় করেছেন৷
একবার দাদামণির অভিনয়ের ধারা নিয়ে বি আর চোপড়ার সঙ্গে আমার কথাবার্তা হয়৷ তিনি বলেছিলেন, ‘দাদামণির অভিনয়ের সবথেকে বড় জিনিস হল, ওঁর সহজ-সরল আন্তরিক অভিনয়৷ হিন্দি ছবির এক সময়ের যাত্রাধর্মী অভিনয়কে মূলত উনিই আমূল বদলে আমজনতার দরবারে পৌঁছে দেন৷ এ ব্যাপারে দাদামণিই পথ দেখান৷ খুবই দরদি মন ওঁর৷ আরেকটা কথা, এই যে আজ আমি বম্বের মাটিতে দাঁড়িয়ে আছি দাদামণির সাহায্য না পেলে কিছুই হত না৷ তাঁর প্রতি আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই৷
পরিচালক বাসু চাটার্জি আমাকে বলেছিলেন, দাদামণির মতন অভিনয়ের এত অভিজ্ঞতা তো আর কারও নেই৷ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর অভিনয়কেও অদ্ভুতভাবে বদলে নিতে পেরেছেন৷ এজন্যই তিনি কিংবদন্তি অভিনেতা৷
অনেকেরই হয়তো জানতে ইচ্ছে করে অশোককুমার কত পারিশ্রমিক পেতেন? ছয়ের দশকের গোড়ায় প্রতিদিন তাঁর পারিশ্রমিক ছিল দশ হাজার টাকা৷ তিনি পার-ডে পারিশ্রমিক নেওয়াই পছন্দ করতেন৷ প্রতিদিন এই বিপুল অঙ্কের টাকা প্রযোজকরা অশোককুমারকে দিতে এককথায় রাজি ছিলেন৷ কারণ, একেকটা হিট-সুপারহিট ছবির মাধ্যমে তাঁদের ফিরিয়ে দিতেন চতুর্গুণ৷ নায়ক ও চরিত্রাভিনেতা হিসেবে জীবনে প্রায় তিনশোর কাছাকাছি ছবিতে অভিনয় করেছেন৷