১৯৫৭ সালে মুক্তি পেল ‘প্যায়াসা’, ঠিক তার দু’বছর আগে ‘দেবদাস’-এ প্রথম তাঁর গলায় শোনা গিয়েছিল কীর্তনাঙ্গের ‘আন মিল আন মিল শ্যাম সাঁবরে’, তারই যেন সঠিক অনুরণন হল ‘প্যায়াসা’তে।
দশভুজা
যে গান যায়নি ভোলা— প্রাক জন্মদিনে তাঁর প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধার্ঘ্য…/১
দশ ভাইবোনের পঞ্চম তিনি আর তাদের ঘেঁষাঘেঁষির সংসার। বাঙালি হাই স্কুলে পড়তে শুরু করলেও পড়ায় মন ছিল না, মন ছিল গানে। মীনা কুমারীর মতো ধ্বস্ত শৈশব তাঁর না হলেও খানিক ধ্বস্ত কৈশোরের সাক্ষী ছিলেন তিনি।
দু’শো বছর আগে হলে তিনি ইঞ্জিনিয়ারের বদলে সতী হতেন
এ ললিতা অকাল বৈধব্যকে সঙ্গে করে শিশুকে নিয়ে এক বাড়ি ছেড়ে চলে আসেন। বাবার অভাব যাকে বুঝতে দেননি, সেই শ্যামলা মায়ের স্মরণে বলেছিলেন, তাঁর মা সেই সময়ের অন্যতম খোলা মনের মানুষ ছিলেন।
রুমা দেবী—তিরিশ হাজার মহিলার ভাগ্য পরিবর্তনের কান্ডারি তিনি
ফ্যাশন শো বলতে রুমা বুঝতেন স্বল্পবাসের নারী পুরুষদের স্টেজে উঠে যাতায়াত। কিন্তু ২০১৬ সালে তাঁর সেই ধারণা বদলে যায়। সাহস আর সততাকে সম্বল করে তিনি রাজস্থান হেরিটেজ উইকে ফর্ম ভরে দেন।
সোনার মেয়ে কার্তিকা
যোধপুরের সেন্ট অস্টিন স্কুলে পড়াশোনা শেষ করে সেখানকার জয় নারায়ণ ব্যাস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি আইন পাশ করেন। তাঁর সাফল্যের কৃতিত্ব তিনি তাঁর পরিবারকে দিয়েছেন।
দেবীপক্ষের প্রাককালে তিনিই তো দুর্গা…
চিন্ময়ী রেখা সবসময় অনন্যা — সিস্টেমের মধ্যে থেকে সিস্টেমকে চ্যালেঞ্জ করে সসম্মানে উত্তীর্ণা তিনি। তিনি আর কেউ নন, তিনি মুম্বই রেল পুলিশের (সিআরপিএফ) সাব-ইন্সপেক্টর মধ্য তিরিশের রেখা মিশ্র।
শম্ভু, শম্ভু, শিব মহাদেব শম্ভু, খুদার ইবাদত যাঁর গলায় তাঁর আর কাকে ভয়?
গানের আবার জাত বিচার— অভীলিপ্সা পাণ্ডা পর ফরমানী নাজ, তাঁর তীক্ষ্ণ কণ্ঠস্বরের জাদুতে দেশকে আবার শম্ভু, শম্ভু, শিব মহাদেব শম্ভু, শুনতে বলতে বাধ্য করেছেন।
তিনিই সারস্বত সাধনার প্রতিরূপা সত্যিকারের দশভুজা
অধ্যবসায়ের অন্য নাম অধ্যাপিকা সি সন্থাম্মা — অনভ্যাসে বিষং শাস্ত্রম্ অর্থাৎ অভ্যাসহীন জ্ঞান মানুষের জীবনে বিষের মতো কাজ করে। কিন্তু সি সন্থাম্মা অর্থাৎ চিলুকুরি সন্থাম্মার জীবন সবসময় এই সংস্কৃত প্রবাদের বিপরীতে গিয়েছে।
গৃহিণীদের মধ্যে বইয়ের নেশা বাড়াতে কাঁধে ঝোলা নিয়ে ঘুরে বেড়ান রাধা, ‘চলমান পাঠাগার’ তাঁর পরিচয়!
রাধা প্রথমে একটা সংস্থায় কাজ করতেন। কিন্তু তাতে তাঁর সংসার চালানো দুষ্কর হয়ে পড়ছিল। ওই রোজগারে ছেলেমেয়ের পড়াশোনার খরচ চালাতে অসুবিধায় পড়েন তিনি। তাই অন্যকোনও কাজের সন্ধান করছিলেন তিনি।
১০ বছরে ১১টি দেশ ঘোরা সব্জি বিক্রেতা বৃদ্ধার জীবনদর্শন— জীবনকে উপভোগ করতে হবে
নাম মলি। বয়স ৬১ বছর। থাকেন কেরলের এর্নাকুলামে। বাজারে সব্জি বিক্রি করেন। তাঁর জীবনের দর্শনই হল, কাজ করো, টাকা জমাও আর পৃথিবী ঘুরে দেখো।
ক্যানসারকে হারিয়ে, কেবল মনের জোরেই আজ ‘জেট সেট গো’-এর মালকিন ৩২-র কণিকা
কণিকা টেকরিওয়ালের বয়েস মাত্র ২২ বছর। এই বয়সেই তাঁর মাথায় চাপে বসে ব্যবসার ঝোঁক। আর যেই না ঝোঁক চাপা তেমনি সটান কাজে নেমে পড়া।
আমার উড়ান: থামতে শেখেননি ইন্দুবেন, বড়া পাও-তেই বাজিমাত!
‘আমি ভয় করব না ভয় করব না দুবেলা মরার আগে মরব না ভাই মরব না।’ রবিঠাকুরের এই পংক্তিগুলির মর্মার্থকে যথাযথভাবে উপলব্ধি করে দেখিয়েছেন গুজরাতের ইন্দুবেনে। কোনও প্রতিকূলতাই তাঁকে জীবনে ঘুরে দাঁড়ানো থেকে আটকে রাখতে পারেনি। তাই তো কেবল মনোবলই আজ তাঁকে করে তুলেছে সর্বজয়া। তিনি ইন্দুবেন রাজপুত।
অনন্যা: ‘অন্ধকারের উৎস হতে’
ক্ষমতায়নের নিয়মই হল তার বিপরীতে থাকা মানুষটিকে বা শ্রেণিসমূহকে সবসময় অবদমিত করে রাখা। সেই প্রবণতা থেকেই হয়তো ভারতীয় মহিলাদের পড়াশোনা না শেখানোর সিদ্ধান্তটা আধিপত্যকামী পিতৃতন্ত্র যেনতেন প্রকারে বহুযুগ ধরে বাস্তবায়িত করে এসেছে। উনিশ শতকের ইউরোপীয় শিক্ষার সংস্পর্শে আসার পরে নারীদের পড়াশোনা শেখানোর একটা প্রয়োজন অনুভূত হলেও সেই প্রয়োজনের গুরুত্বও নির্ধারিত হয়েছিল পুরুষের প্রয়োজনের নিরিখেই। একজন পুরুষের যোগ্য সহধর্মিণী হয়ে ওঠার জন্য, দিনান্তে তার মনোরঞ্জনের জন্য, যতটুক প্রয়োজন ততটুকুই পড়াশোনার মেয়াদ বরাদ্দ ছিল...
আমার উড়ান: স্বাতী মোহন: এক এবং অন্যতমার আখ্যান…
সেই ছেলেবেলা থেকেই অসীমের প্রতি মানুষের এক অমোঘ আকর্ষণ। কারও কারও বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই আকর্ষণ দৈনন্দিন বাস্তবতার সঙ্গে মিশে গিয়ে পৃথকভাবে স্বাতন্ত্র্যবাহী আকার ধারণ করতে পারে না, আবার কারও ক্ষেত্রে সেই আকর্ষণই তাকে করে তোলে সাধারণের মধ্যে সবিশেষ। আর সেইরকমই বিশেষ এক ব্যক্তিত্ব হলেন ড. স্বাতী মোহন। যিনি মাত্র ন-বছর বয়সেই বুঝে গিয়েছিলেন ওই বিপুল মহাকাশের গভীর অন্তস্তলেই লুকিয়ে রয়েছে তাঁর ভবিষ্যৎজীবনের সকল প্রাপ্তির চাবিকাঠি। এই প্রাপ্তি কেবল ব্যক্তিগত পার্থিব জীবনকেন্দ্রিক প্রাপ্তি নয়, এই প্রাপ্তির সঙ্গে...
অনন্যা: বিশ্ব নাট্যদিবসে বিশেষ শ্রদ্ধার্ঘ্য: ‘তুমি কোথায় থাকো অনন্য!’
'দেয়ালির আলো মেখে নক্ষত্র গিয়েছে পুড়ে কাল সারারাত কাল সারারাত তার পাখা ঝরে পড়েছে বাতাসে চরের বালিতে তাকে চিকিচিকি মাছের মতন মনে হয় মনে হয় হৃদয়ের আলো পেলে সে উজ্জ্বল হতো৷ সারারাত ধরে তার পাখাখসা শব্দ আসে কানে মনে হয় দূর হতে নক্ষত্রের তামাম উইল উলোট-পালোট হয়ে পড়ে আছে আমার বাগানে৷' আত্মহনন চিরকাল নির্বাক এক বিমূর্ত অনুভূতির শিকার হিসাবে মনুষ্যহৃদয়কেই নিশানাবদ্ধ করতে চেয়েছে, কিন্তু তাও তো থাকে কিছু বেপরোয়া অভাগা যারা নক্ষত্রের যাবতীয় তামাম উইল ওলোটপালোট হয়ে গেলে অব্যক্ত বাতাসের সুরে আত্মহননের পদধ্বনি শুনে ঘুমোতে...