বেগম রোকেয়া বিংশ শতাব্দীর শুরুতে মেয়েদের জন্য এক স্বপ্নের জগত দেখেছিলেন তাঁর ‘Sultana's Dream’- এ। অন্দরমহল থেকে বাইরে। জেনানা ফটকে আটকে নেই তারা। মেয়েরা বাইরের সবরকমের কাজ করছে। আর ছেলেরা ঘরে। এমন স্বপ্নের জগৎ অনেকটাই সত্যি হয়েছে আজ। মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গবাদ শহরে এমন একটি সাধু উদ্যোগ নিয়ে সরকার মেয়েদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। পর্যটনকে এগিয়ে নিতে ওখানকার এমটিডিসি-র (MTDC) মস্ত রিসর্টের দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন মহিলাদের হাতে। তিন মাস হল এটি চালু হয়েছে। গত বছর নভেম্বর থেকে। শুধু ঔরঙ্গবাদ নয়। জানা গেল নাগপুরেও এমন উদ্যোগ নেওয়া...
দশভুজা
সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-১০: লীলা মজুমদার— নতুন রূপকথার হলদে পাখি
আজকের কথকতার কেন্দ্রে থাক লীলা মজুমদার। দুই লেখকের ভাববিনিময় নিয়েই গাঁথা যাক আজকের কথামালা। শৈশবের এক আশ্চর্য রূপকথা তৈরি হয়েছে লীলা মজুমদারের সাহিত্যে।
সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-৯: নিরুপমা দেবী— তাঁকে নিয়েই গল্প হোক!
নিরুরমা দেবী একজন লেখক ছিলেন। সংবেদনশীল মন, আকর্ষনীয় ব্যক্তিত্ব, সৃজনশীলতা সবটাই ছিল। আর কী ছিল? আর ছিল ব্যথার পাহাড়। সেই পাহাড় ডিঙোনো সম্ভব না হলেও নিরুপমা লিখে গিয়েছেন।
শক্তিরূপেন সংস্থিতা, পর্ব-৭: রূপান্তরী
মেজ মেয়েটি মাছ খেতে বড় ভালোবাসে। ঠাকুমা বলেন, আগের জন্মে বেড়াল ছিল। তবে এ জন্মে মাছ তো কালভদ্রে জোটে। যদি পাশের পুকুরে ছিপ ফেলে দু’ একটা ল্যাটা, পুঁটি জোটে…তার থেকে বাবার পাতেই যায়।
দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-৮: শান্তা দেবী— এক মহীয়সী!
শান্তিনিকেতনে দু’ বছর থেকে নন্দলাল বসুর কাছে আঁকা শিখেছিলেন। দেশ বিদেশে আঁকা প্রশংসিত হয়েছে তাঁর। এরপর শান্তাদেবীর বিবাহ হয় বিখ্যাত ঐতিহাসিক কালিদাস নাগের সঙ্গে। স্বামীর সঙ্গে দেশ-বিদেশে ঘুরে অনেক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করলেন, তার প্রতিফলন ঘটল লেখায়।
শক্তিরূপেন সংস্থিতা, পর্ব-৬: ত্রিবেণী শক্তি
মেয়েটি শ্বশুরবাড়ি থেকে উৎখাত হল ছোট্ট ছেলেকে নিয়ে। গানের টিউশন করে। সামান্য টাকায় চলে না। বাপের বাড়ির অবস্থাও তো তথৈবচ। টিউশনের সুবাদে এক তবলার মাস্টারমশাইয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হল।
দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-৭: আশাপূর্ণা দেবী—স্বপ্ন আর সত্যির লেখক!
লেখক হতেই হত আশাপূর্ণাকে। কারণ কবিতা প্রকাশের পরেই চিঠি এল পত্রিকার কর্মাধ্যক্ষ শ্রীসরোজকুমার চক্রবর্তীর। আশাপূর্ণার কাছে গল্প চেয়ে চিঠি লিখেছেন। আশাপূর্ণার বয়স তেরো।
শক্তিরূপেন সংস্থিতা, পর্ব-৫: বিদ্যারূপেন…
পাত্র জুডিসিয়াল পরীক্ষায় সফল হয়ে চাকরির অপেক্ষায়। তার পিতা ছেলের বিয়ের জন্য আর অপেক্ষা করতে নারাজ। তাই চাকরিতে যোগদানের আগেই ছেলেকে সংসারী করে দিলেন। শিক্ষিত, সচ্চরিত্র, ছেলে। তার পরিবারও।
সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-৬: রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন—মেয়েদের আলোর দিশারী
কলকাতায় ফিরে ১৯১১ সালের ১৬ মার্চ তিনি একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলেন। ছাত্রী সংখ্যা আট। স্বামীর স্মৃতিতে নাম দিলেন ‘সাখাওয়াত মেমোরিয়াল!’ ধীরে ধীরে ছাত্রী সংখ্যা বাড়ল। উর্দু আর বাংলা ভাষাভাষি মুসলমানদের জন্য আলাদা শাখা তৈরি হল।
শক্তিরূপেন সংস্থিতা, পর্ব-৪: আকাশী ফুল
ছেলের এমএ পরীক্ষা শেষ করে কিছু একটা পেলেই ও আবার জোর কদমে আকাশী ফুলের মতো হাত বাড়াবে। অনে–ক দূর পর্যন্ত। যেমনটি সাধ ছিল।
সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-৫: ঠাকুরবাড়ির দখিনা বাতাস— জ্ঞানদানন্দিনী দেবী
উনিশ শতকের নারীশিক্ষা নারী স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলব অথচ জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির প্রসঙ্গ আসবে না— এ অসম্ভব। ঠাকুরবাড়ি নারী স্বাধীনতার বিষয়ে প্রথম অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিল। ঠাকুরবাড়ির কন্যা এবং পুত্রবধূরাও বাঙালি মেয়েদের সামনে দৃষ্টান্ত স্বরূপ। আজ আমাদের কথকতা জ্ঞানদানন্দিনীকে নিয়ে।
শক্তিরূপেন সংস্থিতা, পর্ব-৩: মালতীর কথা…
মালতি যেখানে কাজ করত সেখান থেকে তার স্বনির্ভর হওয়ার মানসিকতা, সততা, ভাইবোনকে ভালোবাসা এ সব শিক্ষা পেয়েছিল। শ্বশুরবাড়িতে খুব অসুস্থ হয়ে পড়ল বেশ কিছুদিন। রক্তশূন্য, দুর্বল। কিন্তু কারও ভ্রূক্ষেপ নেই সে জন্য।
সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-৪: কৃষ্ণভাবিনী দাসী— প্রথম মহিলা ভ্রমণ কাহিনিকার
মেয়েদের মনের মুক্তির পথ তৈরি করে দিয়ে কৃষ্ণভাবিনী নিজেই যেন হারিয়ে গেলেন কুসংস্কারাচ্ছন্ন সমাজের আঁধারে। শুধু রয়ে গেল তাঁর বই। বাংলা সাহিত্যের এক অমূল্য নিদর্শন।
শক্তিরূপেন সংস্থিতা, পর্ব-২: একলা চলো রে…
পড়াশুনায় ভালো। তুখোড় বুদ্ধি। স্কুলে প্রাইজের দিন প্রাইজ পায়। সবার বাবা-মা আদর করে। এ মেয়ের প্রাইজ নিয়ে দেখানোর জন্য বাবা-মা নেই। কেঁদে কেঁদে বাড়ি ফিরে না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। বাবা-মা তো কলকাতায়।
সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-৩: কৈলাসবাসিনী দেবী, অন্তঃপুরের বিপ্লব এবং মহিলা প্রাবন্ধিক
কৈলাসবাসিনীর বাংলা গদ্য ছিল দৃপ্ত ও অত্যন্ত উন্নতমানের। কৈলাসবাসিনী দুর্গাচরণকে বসিয়েছিলেন গুরুর স্থানে। তাঁর তৃতীয় বই ‘বিশ্বশোভা’ তিনি উৎসর্গ করেছিলেন দুর্গাচরণকে, কবিতার আকারে।