নতুন বছরে এক সপ্তাহ পার হয়ে গেল। এখনও কনকনে ঠান্ডার নামগন্ধ নেই। তাহলে কি এবছর আর কাঁপুনি দিয়ে ঠান্ডা পড়বে না? কি বলছে আবহাওয়া দফতর?

নতুন বছরে এক সপ্তাহ পার হয়ে গেল। এখনও কনকনে ঠান্ডার নামগন্ধ নেই। তাহলে কি এবছর আর কাঁপুনি দিয়ে ঠান্ডা পড়বে না? কি বলছে আবহাওয়া দফতর?
শুধু তাপমাত্রা কমা নয়, বেড়েছে কুয়াশার মাত্রাও। ভোরে চতুর্দিক কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে। তবে বেলা বাড়লে কুয়াশার আস্তরণ সরেও যাচ্ছে।
নতুন বছরে সেই কাঁপুনি দেওয়া শীত নেই। অন্যান্য বারের তুলনায় ২০২৪ এর প্রথম দিনে কলকাতার তাপমাত্রার পারদ বেশ কিছুটা বেশি। কবে থেকে জমাটি ঠান্ডা পড়বে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
ঠান্ডা স্বমহিমায় ফিরবে কি না? শীতকাতুরেদের এই প্রশ্নের জবাব মিলেছে আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে।
গ্যাস ডিলার বা বিক্রেতাদের দাবি, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ডিস্ট্রিবিউটরদের আধার তথ্য যাচাইয়ের কাজ সারতে বলেছে তেল সংস্থাগুলি। এই পরিস্থিতিতে গ্রাহকদের অভিযোগ, যাচাই ঘিরে ক্রমশ হয়রানি বাড়ছে।
কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মঙ্গলবার সকালে ছিল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ডিসেম্বর মাসের এই সময়ের নিরিখে এই তাপমাত্রা স্বাভাবিক।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর আগেই জানিয়ে ছিল, এই অসময়ের দুর্যোগ সহজে কাটবে না।
তিন দিন ধরে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। যদিও ঘূর্ণিঝড়ের দাপট খুব বেশি থাকবে না। বাংলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণের পূর্বাভাস রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়, তা হলে তার নাম হবে ‘মিগজাউম’। ‘মিগজাউম’ নামটি মায়নমারের দেওয়া। যদিও এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাবে ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঘোষণা করা হয়নি।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার কলকাতার পাশাপাশি আরও কয়কটি জায়গার তাপমাত্রা চলতি মরসুমে থেকে কম ছিল। বৃহস্পতিবার কলকাতার পারদ ছিল ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে।
বাঁকুড়া, পুরুলিয়া-সহ পশ্চিমের জেলাগুলিতে আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির কাছাকাছি পৌঁছতে পারে। তাই দক্ষিণবঙ্গে আপাতত কিছু দিন শীতের শিরশিরানি বজায় থাকবে।
আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় বাংলার দিকে বেশ কিছুটা এগিয়ে এসেছে। বুধবার রাতে দিঘা থেকে ৬৭০ কিলোমিটার দূরত্বে ছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে সেই দূরত্ব কমে দাঁড়িয়েছে ৪১০ কিলোমিটার।
আবহাওয়া দফতর জানিয়ে দিয়েছে, এখন আর নভেম্বরের শুরুর দিকে শীত আসে না। তবে দক্ষিণবঙ্গে হালকা বৃষ্টি হতে পারে কালীপুজোর আগের শেষ সপ্তাহান্তে। তার পর ধীরে ধীরে পারদ পতন হতে পারে।
পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশার ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়বে। তবে সব জেলায় প্রভাব পড়বে না। ওড়িশার পুরী, জগৎসিংহপুর এবং কেন্দ্রাপাড়ায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই গভীর নিম্নচাপের জেরে পুজোর মধ্যেই একাধিক জেলায় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার থেকে কলকাতা-সহ পাঁচ জেলায় বৃষ্টিপাত শুরু হতে পারে।