বইমেলায় খুদের জন্য কী বই কিনবেন? শুনুন কী বলছেন বানান ঠাকুমা?

বইমেলায় খুদের জন্য কী বই কিনবেন? শুনুন কী বলছেন বানান ঠাকুমা?
শব্দ-ব্রহ্ম: ঘট
সরস্বতী পুজো ও কলকাতা আন্তর্জাতিক পুস্তক মেলা নিয়ে কী বলছেন বানান ঠাকুমা? শুনুন।
বানান ঠাকুমার আসর: অনুর্স্বর, ঙ এবং র, ও, ড় এর ব্যবহার জানা? সন্তানকে বাংলা বানান শেখান সহজ উপায়ে
অনেকেই মনে করেন, মোটা হলেই বুঝি ফ্যাটি লিভার বাসা বাঁধে শরীরে। তবে এই ধারণাও ভুল, রোগারাও এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। রোজের নানা অভ্যাসের জেরে অনেক অল্পবয়সিও এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
শিশুর জন্ম স্বাভাবিকভাবে হোক কিংবা সিজার করেই হোক, জন্মের এক থেকে দু’ ঘণ্টার মধ্যেই তাকে মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। জন্মের পরে যত তাড়াতাড়ি মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো শুরু করা যাবে, তত তাড়াতাড়ি মায়ের দুধও পর্যাপ্ত পরিমাণে নিঃসরণ হতে শুরু করবে।
সংসারজীবন ও ধর্মজীবনের টানাপোড়েনে মনের অস্থিরতা তখন তীব্র, ঠিক তখনই রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে হেমন্তবালার যোগাযোগ। দিশাহীন জীবনে দিশা মেলে, ক্রমেই কবির প্রতি তাঁর নির্ভরতা বাড়ে। হেমন্তবালা লিখেছেন, ‘আমার প্রয়োজন ছিল একটা দৃঢ় অবলম্বন লাভ করবার। আমি তখন হাল-পাল-বিহীন নৌকার অবস্থায় আছি।’ রবীন্দ্রনাথ জীবনের শেষ-বেলায় হেমন্তবালাকে লেখা অজস্র চিঠিতে নিজেকে মেলে ধরেছিলেন। টানা দশ বছর চলছে এই পত্রচর্চা, পত্রের আদানপ্রদান।
কবির পরম স্নেহভাজন অবনীন্দ্রনাথও বাড়ির কাজের লোকদের কতখানি স্নেহ করতেন, তা বললে গল্পকথার মতো শোনাবে! স্নেহ করতেন পরিণত বয়েসে, স্নেহ পেয়েছেন ছেলেবেলায়। সে-স্নেহ আত্মীয়স্বজনের থেকে কোনও অংশে কম নয়। শৈশবে-বাল্যে পদ্মদাসী শুনিয়েছে কত না গল্প-ছড়া! সমাজজীবনে ছড়িয়ে থাকা লোকায়ত ছড়া রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তিনিও সংগ্ৰহ করেছেন।
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর তখন নর্মাল স্কুলের ছাত্র। নিতান্তই বালক বয়সে তাঁর হয়েছিল এক নিদারুণ অভিজ্ঞতা। সাহেবসুলভ উচ্চারণে ‘পুডিং’কে ‘পাডিং’ না বলে প্রবলভাবে তিরস্কৃত হয়েছিলেন। বকাঝকা নয়, সাহেব-মাস্টারমশায়ের সেই হৃদয়হীন প্রহার পিতা গুণেন্দ্রনাথেরও মর্মযন্ত্রণার কারণ হয়ে ওঠে৷ ঢের হয়েছে, আর স্কুলে নয়, ব্যবস্থা হয়েছিল গৃহশিক্ষার। অবনীন্দ্রনাথের নিজেই বলেছেন, ‘এক ‘পাডিং’-এই ইংরেজি বিদ্যে শেষ।’
আদ্যাশক্তি মহামায়া হলেন স্বয়ং শক্তি, ব্রহ্মময়ীস্বরূপা। ব্রহ্মশব্দ ক্লীবলিঙ্গ ব্রহ্মণ শব্দ থেকে নিষ্পন্ন হয়েছে। যখন ব্রহ্ম ও শক্তি নিরাকার থাকে অর্ধনারীশ্বরভাবে, তখন কোন সৃষ্টি হয় না। অখণ্ড কালে নিহিত থাকে নিরাকার চৈতন্য বা জ্ঞানরূপ পরব্রহ্ম। জ্ঞানশব্দও ক্লিবলিঙ্গ। কিন্তু যে ব্রহ্মজ্ঞানকে মননের মাধ্যমে ঋষিরা মন্ত্রশক্তি পেয়েছিলেন তা হল সংস্কৃতে পুংলিঙ্গ শব্দ।
‘বড় হলে সে যে কবি হবে, বাবার প্রতিভা তার মধ্যেই প্রকাশ পাবে।’ এমন মনে হয়েছিল রথীন্দ্রনাথের। যাঁর সম্পর্কে এসব কথা, প্রশস্তি-প্রশংসা, তিনি রথীন্দ্রনাথের আদরের ছোট ভাই শমী। রবীন্দ্রনাথেরও কনিষ্ঠ পুত্রকে নিয়ে দুর্বলতা ছিল। সকৌতুকে নিজের নামের সঙ্গে নাম মিলিয়ে বলতেন, ‘শমী ঠাকুর’।
গুণেন্দ্রনাথ, জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ও ঠাকুরবাড়ির জামাতা সারদাপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায় — এই তিনজন মিলে ‘জোড়াসাঁকো নাট্যশালা’ প্রতিষ্ঠার কথা ভেবেছিলেন। সূচনাপর্বে মঞ্চস্থ হয়েছিল মাইকেল মধুসূদনের দুটি নাটক, ‘কৃষ্ণকুমারী’ ও ‘একেই কি বলে সভ্যতা’। অচিরেই একেবারে আনকোরা নাটক মঞ্চস্থ করার ইচ্ছে জাগে। সমাজের কোনো অনাচার-কদাচার নিয়ে যদি সে-নাটক লেখা হয়, তবে তো আরও ভালো হয়! যেমন ভাবা, তেমন কাজ।
খ্যাতির শীর্ষে তখন রবীন্দ্রনাথ। সারা পৃথিবীর মানুষ তাঁকে স্বীকৃতি দিয়েছে। খ্যাতির শীর্ষে অবস্থান করেও আশ্রম-পড়ুয়াদের নিয়ে তাঁর ভাবনার অন্ত ছিল না। তাদের জন্য ছিল কবির গভীর ভালোবাসা। সে ভালোবাসায় কোনও খাদ ছিল না। ছোটরা যদি এমন ভালোবাসা পায়, তবে তারা লেখাপড়া করবে প্রাণের আনন্দে। ফুলের মতো ফুটে উঠবে।
সারদা স্মৃতিচারণা করেছেন যে, ঠাকুর একদিন তাঁকে বললেন, চাঁদমামা যেমন সব শিশুর মামা, তেমনি ঈশ্বরও সকলের আপনার। তাঁকে ডাকার অধিকার উচ্চ, নীচ, ধনবান-ধনহীন সকলেরই আছে। যে ডাকবে, তিনি তাকেই দেখা দিয়ে ধন্য করবেন। ‘তুমি ডাক তো তুমিও তাঁর দেখা পাবে’। সারদাও ঠাকুরের উপদেশ শুনে নিজের জীবনকে গঠন করার সঙ্কল্প নিলেন।
দাদা সোমেন্দ্রনাথ ও ভাগ্নে সত্যপ্রসাদ — দু’জনেই বয়েসে রবীন্দ্রনাথের থেকে বড়, তাদের পড়াশোনা অবশ্য একই সঙ্গে চলত। ঠাকুরবাড়ির ‘ক্যাশবহি’তে মদনমোহন তর্কালঙ্কারের ‘শিশুশিক্ষা’ তিন কপি কেনার হিসেব রয়েছে। বলা বাহুল্য, তিনকপি বই একই সঙ্গে কেনা হয়েছিল। বই কেনার তারিখ দেখে বোঝা যায়, অন্তত দশ বছর আগে বিদ্যাসাগরের ‘বর্ণপরিচয়’ বের হলেও রবীন্দ্রনাথ ‘বর্ণপরিচয়’, নয় ‘শিশুশিক্ষা’ পড়েছিলেন।
সম্ভবত পৃথিবীর সবচেয়ে বড় লেবু জাতীয় ফল এই বাতাবি লেবু। জাম্বুরা, পোমেলা, জাবং, শ্যাডক ইত্যাদি বিভিন্ন নামে প্রচলিত এই বাতাবি লেবুর বৈজ্ঞানিক নাম সাইট্রাস ম্যাক্সিমা। অত্যন্ত সুস্বাদু ঈষৎ টক-মিষ্টি স্বাদের এই ফল বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানে ভরপুর হওয়ায় অনেক অসুখ-বিসুখের প্রতিরোধ ও প্রতিকারের সাহায্য করে।