‘সঞ্জিবনী’-র সবচেয়ে বড় দুর্বলতা ছিল প্লেয়ার কাস্টিং। প্রতিমা দেবীর গল্পের অভিনবত্বে সত্যি ই চমক ছিল। কিন্তু উত্তমের বয়স অনুযায়ী রোলটা ছিল চ্যাললেঞ্জিং।
![পর্ব-৭: হারিয়ে যাওয়ার আগে এ এক বিফল মৃত—‘সঞ্জিবনী’ [০৮/০২/১৯৫২]](https://samayupdates.in/wp-content/uploads/2022/10/samayupdates_Uttam-Kumar-7.jpg)
‘সঞ্জিবনী’-র সবচেয়ে বড় দুর্বলতা ছিল প্লেয়ার কাস্টিং। প্রতিমা দেবীর গল্পের অভিনবত্বে সত্যি ই চমক ছিল। কিন্তু উত্তমের বয়স অনুযায়ী রোলটা ছিল চ্যাললেঞ্জিং।
১৯৫১ সাল অরুণ তথা উত্তম-র জীবনটাকে যেন তছনছ করে দিয়ে গেল। বাড়িতে গৌতম হাঁটি হাঁটি পা পা করে চারিদিক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, অন্য-দিকে অনন্ত চোরাবালির মধ্যে হারিয়ে যাচ্ছে তাঁর শিল্পী সত্তা।
সন্তোষবাবুর সুস্থ মতামতে অরুণ স্বস্তির নিশ্বাস ফেলল। সঙ্গে সঙ্গে মাস মাইনের কথাটা চূড়ান্ত হয়ে গেল। প্রথম বছর চারশো, দ্বিতীয় বছর ছ’শো আর তৃতীয় বছর সাতশো।
আগের ছবি ‘দৃষ্টিদান’, ‘কামনা’ ও ‘মর্যাদা ‘ প্রভৃতির রিলিজিং ডেট দেখলে বোঝা যায়, একটি ছবির সঙ্গে আরেকটির দূরত্ব কখনও এক বছর কখনও বা দেড় বছর।
‘কামনা’-র আশাতীত ফ্লপ, নায়ক হওয়ার সমস্ত আশাকে দুমড়ে মুচড়ে তছনছ করে দিল। মাত্র কয়েক মাস আগে মুক্তি পাওয়া ‘কবি’ সিনেমার কদর তখন বাংলার ঘরে ঘরে।
নায়ক হিসাবে প্রথম ছবি। গতানুগতিক ধারায় তাল মিলিয়ে ছবি অবশ্যই উত্তমকেন্দ্রিক নয়। বাণিজ্যিক ছবির যে ধারা অনুসৃত হতো এ ছবির বেলায় তার ব্যতিক্রম হয়নি।
নামে অনেক কিছুই এসে যায়। যদি অরুণ কুমার, অরূপ কুমার বা নিদেনপক্ষে উত্তম চট্টোপাধ্যায় এরকম হতো তাহলেও কোথায় যেন একটা মনভাঙা ইমেজ তৈরি হবে।