‘বকুল’ ছবির আলোচনা যেটা সবচেয়ে প্রধান বিষয় সেটা হল নিউ থিয়েটার্স-র ব্যানারে ছবি তৈরি হচ্ছে। পরিচালক ভোলানাথ মিত্র। এর আগে মাত্র একটা ছবি তৈরি করেছেন সে ছবিটাও নিউ থিয়েটার্সের ব্যানারে।

‘বকুল’ ছবির আলোচনা যেটা সবচেয়ে প্রধান বিষয় সেটা হল নিউ থিয়েটার্স-র ব্যানারে ছবি তৈরি হচ্ছে। পরিচালক ভোলানাথ মিত্র। এর আগে মাত্র একটা ছবি তৈরি করেছেন সে ছবিটাও নিউ থিয়েটার্সের ব্যানারে।
শুধু গানের কথা নিয়ে গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের সঙ্গে ২২ বার পরিচালক কাটাকুটি খেলা করেছিলেন। যেটা সে সময় বেশ একটা সাড়া জাগানো ঘটনা।
সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের সারাজীবনের সালতামামিতে ১৯৫৪ সাল স্মরণীয় বছর। প্রাক ‘অগ্নিপরীক্ষা’ যুগের উত্তম তাঁর কাছে আলেয়ার মতো মিলিয়ে গিয়েছিল। আর এই অংশেই অভিভাবকেরা তাদের রোজগেরে মেয়ের পাশে এসে দাঁড়াননি।
উত্তমের তাকানোর উত্তরে সুচিত্রা যেন সবচেয়ে বেশি প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে ওঠেন। দু’জনের চারচোখ কোন অদৃশ্যত বাঁধনে বাঁধা হয়ে আছে তা, ওরা নিজেরাও বোঝে না।
একমাত্র ছেলে গৌতমকে শৈশবকে সঙ্গ দিতে না পারার বেদনা, যেমন উত্তমকে কুরে কুরে খেত, অন্যশদিকে ছেলেকে কেন্দ্র করে মায়ের ইচ্ছাপূরণে ঘাটতি হলেই গৌরীর অবুঝপনা শুরু হতো।
সংগীত পরিচালনায় অনুপম ঘটক শাস্ত্রীয় দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন সত্যন কিন্তু মনলোভা বা চিত্তজয়ী নির্মাণ যা, একটা ছবির সাফল্যয়কে অনেক বাড়িয়ে দেয় সেখানে অনেক খামতি ছিল এ ছবিতে।
ছবির প্রেক্ষাপট সম্পর্কে একটা কথা বোধহয় অতিশয়োক্তি হয়ে যাবে, সত্যাজিৎ রায় ‘পথের পাঁচালী’ ছাড়া যদি কোন কাহিনির চিত্ররূপ দিতে সমচিন্তন করতেন তা, একমাত্র ‘চাঁপাডাঙার বৌ’।
মুক্তির তারিখ: ০৫/০২/১৯৫৪ প্রেক্ষাগৃহ: উত্তরা, পুরবী ও উজ্জ্বলা উত্তম অভিনীত চরিত্রের নাম: চঞ্চলউঠতি উত্তম কুমারের আরেকটি মজার ছবি।
এই প্রথম মিনার, বিজলী এবং ছবিঘর-এর চেইনে উত্তমের ছবি রিলিজ করল। ছবির কর্তৃপক্ষ দারুণ আশাবাদী ছিলেন ছবিটির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে। কিন্তু খুব ভালো সাফল্যন পেল না ছবিটি।
কেরিয়ারের প্রথম পাঁচ বছর নীতিন বসু থেকে দেবকী বসু—কে না ছিলেন সে তালিকায়! বরং কেরিয়ারের শেষের দিকে যখন উত্তমের চোখের ঈশারায় টলিউড চলত তখন একঝাঁক মধ্যনমেধার মাঝারিয়ানাতে তাঁকে নাম লেখাতে হয়েছিল।
এমন সময় মেঘ না চাইতে জল-র মতো নটশেখর নরেশ মিত্র মহাশয় উত্তমকে ডেকে পাঠালেন। নরেশবাবু তখন যেমন নাট্যরজগতের মধ্যগগনে, তেমনি চিত্রজগতেও তিনি সুপ্রতিষ্ঠিত।
উত্তম কুমার-এর না দেখা ছবির তালিকাভুক্ত আরেকটি ছবি। উত্তম-সাবিত্রী জুটির দ্বিতীয় ছবি। ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ ছবির একটানা জনপ্রিয়তা বাংলা ছবিতে মনে রাখার মতো ঘটনা।
খুব নিরুপায় হয়ে উত্তম জানালেন, ”গৌরী! এ ভাবে অফিসের কাজে যে আর ফাঁকি দেওয়া যাচ্ছে না। আমি চাকরিটা ছেড়ে দিতে চাই— ভবিষ্যতে যদি হেরে যাই তুমি আঘাত পাবে না তো?”
উত্তম কুমার নামক ক্ষণজন্মা একজন অভিনেতা যে সময়ে ছবির জগতে এসেছেন প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাণ অনেকটা তখন ফিকে হতে শুরু করেছে। ব্যক্তিগত তথা একক প্রযোজনা সংখ্যায় বেশি দেখা দিচ্ছিল।
‘বসু পরিবার’ ছবিটি খুব খুঁটিয়ে ফ্রেম টু ফ্রেম বিশ্লেষণ করলে এবং সে সময়ে উত্তমের ব্যরক্তি জীবনের হলহকিকত জানা থাকলে এককথায় বলা যাবে এ অরুণ থেকে উত্তম হওয়ার লড়াইয়ের ইতিকথা।