একমাত্র ছেলে গৌতমকে শৈশবকে সঙ্গ দিতে না পারার বেদনা, যেমন উত্তমকে কুরে কুরে খেত, অন্যশদিকে ছেলেকে কেন্দ্র করে মায়ের ইচ্ছাপূরণে ঘাটতি হলেই গৌরীর অবুঝপনা শুরু হতো।
উত্তম কথাচিত্র
পর্ব-১৭: মনের মাধুরী মিশায়ে রচেছি তোমারে ‘কল্যাণী’
সংগীত পরিচালনায় অনুপম ঘটক শাস্ত্রীয় দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন সত্যন কিন্তু মনলোভা বা চিত্তজয়ী নির্মাণ যা, একটা ছবির সাফল্যয়কে অনেক বাড়িয়ে দেয় সেখানে অনেক খামতি ছিল এ ছবিতে।
পর্ব-১৬: সংসার সুখের হয় ‘চাঁপাডাঙার বৌ’-র গুণে
ছবির প্রেক্ষাপট সম্পর্কে একটা কথা বোধহয় অতিশয়োক্তি হয়ে যাবে, সত্যাজিৎ রায় ‘পথের পাঁচালী’ ছাড়া যদি কোন কাহিনির চিত্ররূপ দিতে সমচিন্তন করতেন তা, একমাত্র ‘চাঁপাডাঙার বৌ’।
পর্ব-১৫: যখন ‘ওরা থাকে ওধারে’
মুক্তির তারিখ: ০৫/০২/১৯৫৪ প্রেক্ষাগৃহ: উত্তরা, পুরবী ও উজ্জ্বলা উত্তম অভিনীত চরিত্রের নাম: চঞ্চলউঠতি উত্তম কুমারের আরেকটি মজার ছবি।
পর্ব-১৪: আশা-নিরাশা ও ভরসার সে এক অন্য ‘মনের ময়ূর’
এই প্রথম মিনার, বিজলী এবং ছবিঘর-এর চেইনে উত্তমের ছবি রিলিজ করল। ছবির কর্তৃপক্ষ দারুণ আশাবাদী ছিলেন ছবিটির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে। কিন্তু খুব ভালো সাফল্যন পেল না ছবিটি।
পর্ব-১৩: আশা-যাওয়ার পথের ধারে ‘নবীন যাত্রা’ [১১/০৯/১৯৫৩]
কেরিয়ারের প্রথম পাঁচ বছর নীতিন বসু থেকে দেবকী বসু—কে না ছিলেন সে তালিকায়! বরং কেরিয়ারের শেষের দিকে যখন উত্তমের চোখের ঈশারায় টলিউড চলত তখন একঝাঁক মধ্যনমেধার মাঝারিয়ানাতে তাঁকে নাম লেখাতে হয়েছিল।
পর্ব-১২: সে এক ‘বউঠাকুরাণীর হাট’ [১০/০৭/১৯৫৩]
এমন সময় মেঘ না চাইতে জল-র মতো নটশেখর নরেশ মিত্র মহাশয় উত্তমকে ডেকে পাঠালেন। নরেশবাবু তখন যেমন নাট্যরজগতের মধ্যগগনে, তেমনি চিত্রজগতেও তিনি সুপ্রতিষ্ঠিত।
পর্ব-১১: ভাগ্যের ফেরে হাস্যকর ‘লাখ টাকা’ [১০/০৭/১৯৫৩]
উত্তম কুমার-এর না দেখা ছবির তালিকাভুক্ত আরেকটি ছবি। উত্তম-সাবিত্রী জুটির দ্বিতীয় ছবি। ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ ছবির একটানা জনপ্রিয়তা বাংলা ছবিতে মনে রাখার মতো ঘটনা।
পর্ব-১০: কান্না-হাসির দোল দোলানো ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ [২০/০২/১৯৫৩]
খুব নিরুপায় হয়ে উত্তম জানালেন, ”গৌরী! এ ভাবে অফিসের কাজে যে আর ফাঁকি দেওয়া যাচ্ছে না। আমি চাকরিটা ছেড়ে দিতে চাই— ভবিষ্যতে যদি হেরে যাই তুমি আঘাত পাবে না তো?”
পর্ব-৯: দুঃসময়ের স্মৃতিগুলো ‘কার পাপে’? [১৫/০৮/১৯৫২]
উত্তম কুমার নামক ক্ষণজন্মা একজন অভিনেতা যে সময়ে ছবির জগতে এসেছেন প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাণ অনেকটা তখন ফিকে হতে শুরু করেছে। ব্যক্তিগত তথা একক প্রযোজনা সংখ্যায় বেশি দেখা দিচ্ছিল।
পর্ব-৮: মুখে হাসি ফোটানোর দায়িত্বে ‘বসু পরিবার’
‘বসু পরিবার’ ছবিটি খুব খুঁটিয়ে ফ্রেম টু ফ্রেম বিশ্লেষণ করলে এবং সে সময়ে উত্তমের ব্যরক্তি জীবনের হলহকিকত জানা থাকলে এককথায় বলা যাবে এ অরুণ থেকে উত্তম হওয়ার লড়াইয়ের ইতিকথা।
পর্ব-৭: হারিয়ে যাওয়ার আগে এ এক বিফল মৃত—‘সঞ্জিবনী’ [০৮/০২/১৯৫২]
‘সঞ্জিবনী’-র সবচেয়ে বড় দুর্বলতা ছিল প্লেয়ার কাস্টিং। প্রতিমা দেবীর গল্পের অভিনবত্বে সত্যি ই চমক ছিল। কিন্তু উত্তমের বয়স অনুযায়ী রোলটা ছিল চ্যাললেঞ্জিং।
পর্ব-৬: সে এক হতভাগ্যের ‘নষ্ট নীড়’ [২৪/০৮/১৯৫১]
১৯৫১ সাল অরুণ তথা উত্তম-র জীবনটাকে যেন তছনছ করে দিয়ে গেল। বাড়িতে গৌতম হাঁটি হাঁটি পা পা করে চারিদিক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, অন্য-দিকে অনন্ত চোরাবালির মধ্যে হারিয়ে যাচ্ছে তাঁর শিল্পী সত্তা।
পর্ব-৫: কবে আসবে তুমি মননের সে ‘সহযাত্রী’? [০৯/০৩/১৯৫১]
সন্তোষবাবুর সুস্থ মতামতে অরুণ স্বস্তির নিশ্বাস ফেলল। সঙ্গে সঙ্গে মাস মাইনের কথাটা চূড়ান্ত হয়ে গেল। প্রথম বছর চারশো, দ্বিতীয় বছর ছ’শো আর তৃতীয় বছর সাতশো।
পর্ব-৪: ধীরে চলো ‘ওরে যাত্রী’ [০২/০২/১৯৫১]
আগের ছবি ‘দৃষ্টিদান’, ‘কামনা’ ও ‘মর্যাদা ‘ প্রভৃতির রিলিজিং ডেট দেখলে বোঝা যায়, একটি ছবির সঙ্গে আরেকটির দূরত্ব কখনও এক বছর কখনও বা দেড় বছর।