উত্তম কুমারের অত্যন্ত অনালোচিত এবং দুষ্প্রাপ্য ছবি ‘ডাক্তারবাবু’। কারণ ছবিটির প্রিন্ট আর পাওয়া যায় না। আর নতুন প্রজন্মের কাছে এরকম অদেখা ছবির আকর্ষণ খুব বেশি নেই। কিন্তু সালতামামির নিরিখে ১৯৫৮ সালে উত্তমবাবু যে সব ছবি করেছেন তার মধ্যে এই ছবিটির গুরুত্ব অনেক অংশে দেখা যায়।
উত্তম কথাচিত্র
পর্ব-৬২: ধনময়ী জ্ঞানময়ী-র পাশে ‘মানময়ী গার্লস স্কুল’
ছবিটিতে নায়িকার ভূমিকা সুযোগ পেয়েছিলেন অরুন্ধতী মুখোপাধ্যায়। এ ছাড়া ছবিটির অন্যান্য অংশে চাঁদেরহাট বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পুরুষদের মধ্যে ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, জহর গঙ্গোপাধ্যায়, জহর রায়, ধীরাজ ভট্টাচার্য, তুলসী চক্রবর্তী এবং প্রেমাংশু রায়—কে ছিলেন না ছবিটিতে!
পর্ব-৬১: ‘বন্ধু’ তোমার পথের সাথী
বাঙালি জনমানসে দীর্ঘ কয়েক বছরের যাত্রা পথে এ ধরনের ঘটনা জল ভাত হয়ে গিয়েছিল। উত্তমকুমারের আগে বা উত্তমকুমারের পরে কোনও মূল ধারার বাণিজ্যিক ছবির নায়কের কপালে এ জয় টিকা দেখা যায়নি।
পর্ব-৬০: নতুন পথে রাজলক্ষ্মী ও শ্রীকান্ত
ছবিটির পরিচালক হরিদাস ভট্টাচার্যের এক অনবদ্য রূপায়ণ এ ছবির প্রতিটি অংশ। ওস্তাদ জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষের সুরে সেই মাদকতা ছিল যা শরৎকাহিনীতে দেখতে পাওয়া যায়। প্রতিটি পর্বে ফুটে উঠেছে পরেরটিকে ছাপিয়ে এগিয়ে যাবার চেষ্টা।
পর্ব-৫৯: হারিয়ে যাওয়ার ‘জীবন তৃষ্ণা’
উত্তম কুমারের ক্যারিয়ারের সমস্ত ছবি আলোচনা করলে দেখা যাবে বেশিরভাগ ছবিতেই তার অভিনয় বাকচাতুর্যে ভরা। কিন্তু যে ধরনের চরিত্র পেলে একজন অভিনেতা অভিব্যক্তি দিয়ে তা ফুটিয়ে তুলতে পারেন সে ধরনের চরিত্র সে সময় তাঁকে কেউ দেয়নি।
পর্ব-৫৮: কোন অজানায় ‘পথে হল দেরী’
‘পথে হল দেরী’-র কাহিনি শেখালেন কলকাতার অভিজাত মহল কীভাবে চলাফেরা করতো। তাদের বাস্তবিক জীবন কেমন ছিল সেই চিত্র ফোটাতে পরিচালক যে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন তা, যে কোনও দেশের প্রথম শ্রেণির ছবির সঙ্গে তুলনা করা যায়।
পর্ব-৫৭: হারায়ে খুঁজি চন্দ্রনাথ
চন্দ্রনাথ ছবিটি চাটুজ্জেদের ছবি। কাহিনি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, চিত্রনাট্য নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায়, পরিচালনা কার্তিক চট্টোপাধ্যায়, সংগীত পরিচালনা রবীন চট্টোপাধ্যায় এবং রূপায়ণের অন্যতম কাণ্ডারী উত্তমকুমার চট্টোপাধ্যায়।
পর্ব-৫৬: ভয়ের না ‘অভয়ের বিয়ে’
সময়ের কি অলঙ্ঘ্য বাঁধুনি, যে মাসে ‘হারানো সুর’ রিলিজ করল সেই মাসেই মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে অভয়ের বিয়ে রিলিজ করল ‘অভয়ের বিয়ে’। পরিচালক এক এবং অদ্বিতীয় সুকুমার দাশগুপ্ত।
পর্ব-৫৫: সুর হারানো হারানো সুর
যে ছবি কথার পিঠে কথা দিয়ে, সুরের পরে সুর দিয়ে দর্শকসমাজে নিবেদিত হয়েছে, তার বিশ্লেষণ ইতিহাসের এক একটি সোপান বটে। তার কথা কয়েক প্রজন্ম একই মেধায় একই মননে সঞ্চিত রাখবে। ছবির নাম ‘হারানো সুর’।
পর্ব-৫৪: সে যেন অন্য এক ‘পূনর্মিলন’
উত্তম কুমার কোনও নির্দিষ্ট ফর্মুলা মেনে চলতেন না কখনও। অভিনেতার মূল কর্তব্যই তো চরিত্র অনুযায়ী নিজেকে বদলে বদলে নেওয়া। সেটাই কাঙ্খিত।
পর্ব-৫৩: ‘সুরের পরশে’ তুমি-ই যে শুকতারা
উত্তমবাবুরও ক্যারিশমা বলিহারি! প্রত্যেক ছবিতেই নতুন নতুন কিছু সংযোজন করবেন, যা মানুষকে মশা মারতে ভুলিয়ে রাখবে। প্রতিটা ছবিতে চরিত্র অনুযায়ী তার চিত্রায়ণ অন্যান্য অভিনেতা অভিনেত্রীদের থেকে উত্তমবাবুকে অনেক কদম এগিয়ে দিয়েছিল।
পর্ব-৫২: সব ঘরই ‘তাসের ঘর’
‘তাসের ঘর’ ছবিটি হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সংগীত পরিচালনায় গানের দিক দিয়ে খুব এগিয়ে ছিল। বিশেষত ‘শূন্যে ডানা মেলে, পাখিরা উড়ে গেলে’ গানটি বাংলার মুখে মুখে ফিরত।
পর্ব-৫১: সেই ‘পৃথিবী আমারে চায়’
আমরা সত্যজিৎ রায়ের ‘নায়ক’ দেখে উত্তমবাবুর জীবন আলেখ্য ভাবার চেষ্টা করি। কিন্তু ‘শাপমোচন’, ‘পৃথিবী আমারে চায়’, ‘দেয়া নেয়া’ এবং ‘সোনার খাঁচা’ উত্তম কুমারের চারটি বয়সে চারটি ছবি।
পর্ব-৫০: স্বপ্নের ‘যাত্রা হলো শুরু’
উত্তমকুমার সুচিত্রা সেন দু’জনেই বাংলা সিনেমায় ‘অগ্নিপরীক্ষা’ উত্তর যে ১০টি বছর সোনার ফসলে ভরে রেখেছিলেন সত্যজিৎ বাবুর ‘পথের পাঁচালী’-র পর ৩৫ টা বছর লেগেছিল সেই সোনার ফসল তৈরি করতে।
পর্ব-৪৯: অনেক যতনে ‘বড়দিদি’-র পর্ব রাখিনু সেথা
এই সেই ছবি যা ১৯৫৭ সালের প্রেক্ষিতে সুপার ফ্লপ হয়েছিল। আসলে মানুষ ভাবে এক আর হয় আর এক। ৫৭ সালের সমগ্র ফিল্মি কেরিয়ার বিবেচনা করলে আমরা দেখতে পাব, একটি ছবি উত্তমকুমার আশাহত করেছিল তার মধ্যে ‘বড়দিদি’ অন্যতম।