পীঠস্থানগুলোতে বছরের সারা সময়ই ভিড় লেগে আছে দর্শনার্থীদের। যাওয়ার কোনও নির্দিষ্ট সময় নেই। আর পুজোপার্বনের দিনে তো উপচে পরে ভিড়। আশেপাশে ও দোকানপাটের ব্যবসার রমরমা।

পীঠস্থানগুলোতে বছরের সারা সময়ই ভিড় লেগে আছে দর্শনার্থীদের। যাওয়ার কোনও নির্দিষ্ট সময় নেই। আর পুজোপার্বনের দিনে তো উপচে পরে ভিড়। আশেপাশে ও দোকানপাটের ব্যবসার রমরমা।
“তারা ছাঁকনি চড়ে সাগর পাড়ি দেবে, দেবেই দেবে…” এরা সত্যজিৎ রায়ের পাপাঙ্গুল। ছাঁকনি দিয়ে জল উঠলে বৈয়াম চড়বে। ঝুড়ি চেপে নদীতে পাড়ি দিতে পাপাঙ্গুলে কথাই মনে হচ্ছিল। তারা তো কাল্পনিক। ননসেন্স কবিতার চরিত্র।
শ্রীশ্রী মা যে বিশ্বাসের ভিতে পুজো শুরু করেছিলেন সে ভিত হয়েছে আরও শক্ত। জয়রামবাটির জগদ্ধাত্রী পুজোর সমারোহ দেখার মতো।
মধুপুরে একদিন পুরোনো সব বাড়ি দেখতে গেলাম।বেশির ভাগ বাড়ি এখন জঙ্গল। দেওয়াল ছাদ দিয়ে বড় বড় গাছ উঠেছে। কিছু জায়গা ভেঙে পড়েছে। সবকটা বাড়িই মস্ত জায়গা নিয়ে।
তিনচুলে পাহাড়ের কোলে ছোট একখানি গ্রাম। নিজের সৌন্দর্যেই সুন্দর। আঁকা-বাঁকা পথ, পাইনের বন, কমলা লেবুর খেত, চা বাগান। পায়ে পায়ে এগুলো ঘুরে বেড়ালেই মন ভরে ওঠে।
চিকমাগলুর। এ অঞ্চলটি যে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার এটি আমি জানতাম না। বোধ করি অনেকেই জানেন না। পাহাড়ের ওপরে শহর।আবহাওয়ার এক অদ্ভুত পরিবর্তন ওপরে।
ইছামতীর জলের কি ভাগ হয়? ওই যে নদীর পাড়ে মস্ত বটগাছ সে কি ভাঙা বাড়ি ছেড়েছে? মানুষই এমন নিষ্ঠুর ভাবে ভাগ করতে পারে। বিসর্জনের ঢাক বাজে। চিৎকার, আনন্দ, জনসমুদ্র। গান বাজে এপারে।
গাছের নিচে প্লাস্টিকের চাদর ধরে দাঁড়াচ্ছে দু’জন। আরেকজন গাছে উঠে ঝাকাচ্ছে। ব্যস, ঝরঝরিয়ে নাশপাতি বৃষ্টি চাদরে। একটাই কথা মনে এল, Here is God’s plenty.
এখানকার আসল সৌন্দর্য্য রাতের বেলা। ঝিলের ওপর দিয়ে জলটুঙ্গি যাবার পথটিতে আলোর মালা ঝলমলিয়ে উঠলো। ঝিলের চারদিকে ছোট ছোট টুনি লাইটের আলো জ্বলে উঠলো।
সভ্যতার কৃত্রিমতার বাইরে শুধু প্রকৃতির দেওয়া সৌন্দর্যতে যারা বুঁদ হয়ে থাকতে চান তেমন ট্যুরিস্টদের জন্য চটকপুর। যারা বিশুদ্ধ বাতাস, নিস্তব্ধতা আর প্রকৃতির আন্তরিক আলিঙ্গনে ধরা দিতে চান তাদের জন্য চটকপুর।
পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে সাসারামের কথা বড় একটা শোনা যায় না। শের শাহের নামের সঙ্গেই ইতিহাসে শহরটিকে স্মরণীয় করে রেখেছে।
এক বাঁধনহীন রাজ্যে এসে পড়েছি। কোথাও আবার ছাউনির ভেতর তাকিয়া পাতা। কেউ যদি রাজকীয় মেজাজ পেতে চায়। একটু এগিয়ে দেখি দড়ির ওপর হাঁটা চলছে। নিচে ঢোলক বাজছে।
এ জায়গাটি ভুটান বর্ডার। পৃথিবী তো একটা। আমরা তাকে ভাগাভাগি করে নিয়েছি। ছোট্ট নদীর ওধারের পাহাড়টাই নাকি ভুটান। কতগুলো পাহাড়। কোনটা ভুটান, কোনটা আমাদের এসব ওখানে গিয়ে হিসেব রাখা মুশকিল।
বৈতরণী নদী নিয়ে আমরা কত রকম গল্প শুনেছি। মৃত্যুর পরপারে পৌঁছনোর নদী। পুন্যাত্মারা স্বর্গলাভ করেন। তাদের বৈতরণী পার করার জন্য নৌকো আসে। আর পাপাত্মাদের এখানেই বিনাশ।
মরুভূমি ও পিরামিডের দেশ। পিরামিডের ভিতরে ঢুকতে দেয় না এখন। অনেক লুঠতরাজ হয়েছে ভিতরে। কারণ মৃতদেহের সঙ্গে দামি জিনিসপত্র দেওয়ার প্রথা ছিল মিশরে।