শনিবার ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

চলো যাই ঘুরে আসি

দেখব এবার জগৎটাকে, পর্ব-৬: ভাবতেও পারিনি এত কাছ থেকে দু’ দু’বার মৃত্যুকে অনুভব করব

দেখব এবার জগৎটাকে, পর্ব-৬: ভাবতেও পারিনি এত কাছ থেকে দু’ দু’বার মৃত্যুকে অনুভব করব

পরের দিন সকালে ঘুম ভাঙল এক অদ্ভুত শব্দে। একটু ভূতুড়ে মতো, অনেক মানুষ একসঙ্গে, খুব জোরে জোরে শব্দ করে গোঙাতে শুরু করলে যেমন আওয়াজ হবে, অনেকটা সেইরকম। তার সঙ্গে মাঝে মাঝে যোগ হচ্ছে সামরিক চলচ্চিত্রের প্রেক্ষাপটে সৈনিকরা যেমন ঠোঁটে আঙুল দিয়ে উলু দেওয়ার মতো যেমন আওয়াজ করে সেরকম আওয়াজ। ধড়ফড় করে উঠে বসলাম। আমি তো প্রথমেই ভাবলাম যে হয়তো মরে গিয়েছি। নরকে যমদূতেরা আমাকে ফুটন্ত কড়াইতে দেওয়ার আগে অমন শব্দ করছে, বা হয়তো যাদের ইতিমধ্যেই ফুটন্ত কড়াইতে ফেলে দিয়েছে তারাই গোঙাচ্ছে কষ্টে। খানিক পরে যখন আশ্বস্ত হওয়া গেল যে, না......

read more
দেখব এবার জগৎটাকে, পর্ব-৫: ঘুমনোর আগে দেবদেবীর কাছে প্রার্থনা, কাল যেন এই পৃথিবীতেই আবার চোখ খুলি

দেখব এবার জগৎটাকে, পর্ব-৫: ঘুমনোর আগে দেবদেবীর কাছে প্রার্থনা, কাল যেন এই পৃথিবীতেই আবার চোখ খুলি

প্রায় চার পাঁচ ঘণ্টা একটানা হেঁটে বেলা গড়িয়ে যখন প্রায় সূর্যাস্ত, আমরা এসে পৌঁছলাম এক ছোট্ট নদীর ধারে। বলাই বাহুল্য, সেদিনের ওই পথ পরিবর্তনের খাতিরে, সময় বাঁচানোর জন্য দুপুরের খাওয়াদাওয়ার আশা ত্যাগ করতে হয়েছে আমাদের। তাছাড়া, আবার যদি একই রকম কিছু ঘটনা ঘটে এবং আরও কিছু ঘণ্টা বেশি সময় লাগে তখন টান পড়বে মজুত খাবারে এবং জলে। সূর্যাস্তের প্রাক্কালে যেখানে এসে দাঁড়ালাম, সেটা গহন অরণ্যের মধ্যে একটা জংলি নদী। নদী না বলে তাকে নালা বলাই ভালো। শীর্ণস্রোতা, অগভীর, হাঁটু অব্দি জল। তবে সে জল খুব পরিষ্কার। আঁজলা ভরে সেই জলই...

read more
দেখব এবার জগৎটাকে, পর্ব-৪: অরণ্যের অভ্যন্তরে আমাদের পথপ্রদর্শক— ঈশ্বর, পরমেশ্বর, গার্ডিয়ান এঞ্জেল…

দেখব এবার জগৎটাকে, পর্ব-৪: অরণ্যের অভ্যন্তরে আমাদের পথপ্রদর্শক— ঈশ্বর, পরমেশ্বর, গার্ডিয়ান এঞ্জেল…

আমাদের অদম্য উৎসাহ, আশপাশে নাম-না-জানা সব বিশাল বিশাল উঁচু উঁচু গাছ। সবটাই ছায়া ঘেরা। সুয্যিমামাকে অনেক কষ্ট করতে হচ্ছিল আমাদের ছোঁয়ার জন্য। ক্রমে অরণ্য গাঢ় থেকে গাঢ়তর হতে শুরু করল, গাছের উচ্চতা বাড়তে লাগল, পথ আরও দুর্গম। আবিলো চলেছে সবার সামনে৷ তার হাতে একটা বড় ছোরার মতো ধারালো অস্ত্র। তার এককোপেই সে কেটে ফেলতে পারছিল পথরোধকারী আগাছা আর সরু গাছের ডালগুলো। আর আমরা চলেছিলাম তাকে অনুসরণ করে। আর সবার পিছনে বাদিয়া, সে খেয়াল রাখছিল সবকিছু পেছন থেকে, সঙ্গে বয়ে নিয়ে যাচ্ছিল খাবার এবং কিছু জলের বোতল।সব কিছু ঠিকই চলছিল...

read more
বাংলা: ‘বাংলার রূপ আমি দেখিয়াছি তাই…’

বাংলা: ‘বাংলার রূপ আমি দেখিয়াছি তাই…’

মহারাষ্ট্রের অন্যতম জনপ্রিয় ভ্রমণ শো 'মাস্ট মহারাষ্ট্র'-এর অনুকরণে এবার বাংলায় আসতে চলেছে 'সোনার বেঙ্গল'। 'জি-জেস্ট' অভিনেত্রী সুমনা চক্রবর্তী থাকবেন এই শোয়ের হোস্ট হিসাবে। 'জি জেস্ট' এবং জি বাংলায় এবার শুরু করতে চলেছে আকর্ষণীয় ভ্রমণ শো 'সোনার বঙ্গাল'। মহারাষ্ট্রের মতো বাংলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানের সঙ্গে জড়িত সেখানকার ঐতিহ্যগত রীতি, জনজীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত শিল্প, সভ্যতা, সংস্কৃতির মৌলিকত্বের দিকগুলি তুলে ধরবে এই শো। আগামী ৩০ মার্চ ২০২২ থেকে প্রতি বুধবার জি জেস্টে এই শো সম্প্রচারিত হতে চলেছে রাত ৮টায়। আগামী ৩...

read more
বাংলা: গ্রামের মোড়কে মোড়ানো আধুনিক  জীবনের ছবি

বাংলা: গ্রামের মোড়কে মোড়ানো আধুনিক জীবনের ছবি

কোভিড বিধিসহ ইঁদুর দৌড়ের ব্যস্ত জীবনে হাঁপিয়ে উঠেছিলাম বেশ কিছুদিন ধরেই। অনেকদিন ধরেই মনে মনে ভাবছি কোথাও ঘুরে আসি। অথচ সময় হাতে নেই। কাছেপিঠে যদি কোথাও একটু ঘুরে আসা যেত একদিনের জন্য, একটু যদি বুক ভরে নেওয়া যেত বিশুদ্ধ অক্সিজেন—তাহলে বড় ভালো হত। ভাবতে ভাবতেই গুগলে সন্ধান মিলল সুন্দরগ্রামের। গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। কলকাতার কেন্দ্রস্থল থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে রাজেন্দ্রপুরে সুন্দরগ্রাম একটি ইকো ভিলেজ। দিগন্তবিস্তৃত সবুজ ধানখেতে ঘেরা রিসর্টটিতে দূষণমুক্ত নির্মল গ্রাম্য জীবনের স্বাদ। স্বল্প সময়ে শহুরে জীবনের...

read more
দেখব এবার জগৎটাকে, পর্ব-৩: ম্যাকাও পাখির উপত্যকা—ভয়ংকরের মধ্যে একরত্তি সুন্দর

দেখব এবার জগৎটাকে, পর্ব-৩: ম্যাকাও পাখির উপত্যকা—ভয়ংকরের মধ্যে একরত্তি সুন্দর

আবিলো আর বাদিয়া এসে পৌঁছল তখন বেলা গড়িয়ে প্রায় সাড়ে তিনটে। রারেনবাকের উপকণ্ঠে বেনি নদী। সেই বেনির উৎস মুখে জলপথে চলতে হবে প্রায় ঘণ্টা দুয়েক। তবেই পৌঁছনো যাবে অরণ্য প্রান্তরে। আবিলো তার চেনা এক মাঝিকে স্থানীয় ভাষায় কিছু বলতেই সে তার নৌকো প্রস্তুতে লেগে গেল। আমরা এক এক করে লাফিয়ে উঠে পড়লাম তাতে। আধঘণ্টা চলার পরেই আশপাশের দৃশ্যপট পরিবর্তন শুরু হল। যত সময় যাচ্ছে দু'পারে শুধু গাছ আর গাছ—সূচকীয় মাত্রায় বেড়ে চলেছে তাদের ঘনত্ব। তারই মাঝখান দিয়ে এক পার্বত্য প্রস্তর উঠে গিয়েছে হঠাৎ করে অনেক উঁচুতে। সেখান দিয়ে ঝরে পড়ছে...

read more
বাংলা: পৌরাণিক অনন্যতায় ঘুড়িষা

বাংলা: পৌরাণিক অনন্যতায় ঘুড়িষা

সর্বপ্রাচীন টেরাকোটা শিল্পের আঙ্গিকে পুরাণ, রামায়ণ, মহাভারতের রূপচিত্র দেখতে হলে অবশ্যই ঘুড়িষায় যেতে হবে৷ ঘুড়িষা বীরভূমের ইলামবাজার ব্লক ও থানার অন্তর্গত। বোলপুর থেকে টোটোতে, গাড়িতে বা জাম্বুনি বাসস্ট্যান্ড থেকে উঠে ঘুড়িষা আমবাগান স্টপেজে নামতে হবে। আমরা সরাসরি গাড়িতে গিয়েছিলাম। ঘুড়িষার ভট্টাচাৰ্যপাড়ায় বাংলার সর্বপ্রাচীন টেরাকোটার মন্দিরটি লক্ষিত হয়। প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন রঘুনাথ ভট্টাচাৰ্য। উঁচু বেদির ওপর চারচালা রঘুনাথ মন্দিরটি রক্ষণাবেক্ষণ করেন ভট্টাচাৰ্য পরিবার। ওই বাড়ির একজন মাঝবয়েসি গৃহবধূ সদস্যার সঙ্গে কথা হয়...

read more
দেখব এবার জগৎটাকে, পর্ব-২: অরণ্যের প্রান্তে

দেখব এবার জগৎটাকে, পর্ব-২: অরণ্যের প্রান্তে

তো যাই হোক, আমরা গিয়ে নামলাম রারেনবাক বিমানবন্দরে৷ প্রচলিত ধারণার বাইরে, এখানকার বিমানবন্দর পুরোপুরি আলাদা৷ বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে আমাদের পাড়ার মুদির দোকান৷ কোনওরকমে একটা রানওয়ে আছে যেখানে প্রতিদিন দুবার দুটো উড়ান ওঠানামা করে। নিরাপত্তাজনিত ব্যবস্থাও সবই আছে তবে অনেকটাই গয়ংগচ্ছ৷ রানওয়ে থেকে বন্দরের সদর দরজায় আসার রাস্তাটাও জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে৷ এই জঙ্গল মতো জায়গাটাতেই প্রথম দেখা পেলাম ক্যাপিবারার৷ ক্যাপিবারা হল সবচাইতে বড় প্রজাতির ইঁদুর। দৈর্ঘ্য প্রস্থে মোটামুটি একটা কুকুর, কী একটা ছোট শুয়োরের মতো হবে। লেজ নেই।...

read more
বিদেশ: রোমের ভ্যাটিকান কথা

বিদেশ: রোমের ভ্যাটিকান কথা

পশ্চিমি রেনেসাঁ আমলে শিল্পকলা সাহিত্য সংস্কৃতি ক্ষেত্রে দিশারি শহরের শিরোনামে ফ্লোরেন্স, রোম। যা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আজ আমার কলমে সেই রোমের ভ্যাটিকান সিটির কথা। হ্যাঁ, সহজেই অনুমেয় বিশ্বের সেরা সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকা চার্চ—মানব সম্প্রদায়ের কাছে এক ঐতিহাসিক দৃষ্টান্তস্বরূপ। সেন্ট পিটার ছিলেন যিশুখ্রিস্টের বারোজন প্রধান শিষ্যের একজন আর তাঁর সম্মানার্থেই এই ভ্যাটিকান চার্চ। পিটারের আসল নাম ছিল সিমন। যা গ্রিক ভাষায় পেট্রস ল্যাটিনে পেট্রাস ও ইংরেজিতে পিটার। বাংলায় তাঁকে সিমন পিটার নামেই ডাকা হয়ে থাকে। এখানেই...

read more
দেখব এবার জগৎটাকে, পর্ব-১: গন্তব্য আমাজন

দেখব এবার জগৎটাকে, পর্ব-১: গন্তব্য আমাজন

'উদ্ভ্রান্ত সেই আদিম যুগে, স্রষ্টা যখন নিজের প্রতি অসন্তোষে নতুন সৃষ্টিকে বারবার করছিলেন বিধ্বস্ত, তাঁর সেই অধৈর্যে ঘন-ঘন মাথা-নাড়ার দিনে রুদ্র সমুদ্রের বাহু প্রাচী ধরিত্রীর বুকের থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গেল তোমাকে, বাঁধলে তোমাকে বনস্পতির নিবিড় পাহারায় কৃপণ আলোর অন্তঃপুরে। সেখানে নিভৃত অবকাশে তুমি সংগ্রহ করছিলে দুর্গমের রহস্য, চিনছিলে জলস্থল-আকাশের দুর্বোধ সংকেত, প্রকৃতির দৃষ্টি-অতীত জাদু মন্ত্র জাগাচ্ছিল তোমার চেতনাতীত মন। বিদ্রূপ করছিলে ভীষণকে বিরূপের ছদ্মবেশে, শঙ্কাকে চাচ্ছিলে হার মানাতে আপনাকে উগ্র করে বিভীষিকার...

read more
বাংলা: ‘পথে পথেই দেশ…’

বাংলা: ‘পথে পথেই দেশ…’

'পথ আমারে শুধায় লোকে পথ কি আমার পড়ে চোখে'—এই হবে যার মনের দশা সে তো ছুটবেই পথের তোয়াক্কা না করেই! আর অমনিই সব চেনাপথের আগলহীন গল্পকুটির কুড়িয়ে নেবে সে পথভোলাকে, তারপর? কী আর? গল্প গল্প এবং গল্প!! সেই গল্পই বলি আজ তবে একটা। মেদিনীপুর জেলাসদরের দশ কিলোমিটারের মধ্যেই আছে এমন এক নিশ্চিন্দিবোনা গল্পের দেশ। সেখানে কাঁসাই নদীর চিকচিকানির পাশ দিয়ে সমান্তরালে বইছে আবহমান এক জনপদ, 'একই বৃন্তে দুটি কুসুম'—এই ছেলেমানুষি বিশ্বাস এখনও যেন কেমন করে বিশ্বস্ত সে অবাক-করা দেশটায়! দেশ? হ্যাঁ তো! যেখানে বিশু দোলুই আর সাবিয়া খাতুন...

read more
দেশ: ব্যস্ত শহুরে জীবন থেকে সাময়িক মুক্তির আদর্শ ঠিকানা রম্ভা

দেশ: ব্যস্ত শহুরে জীবন থেকে সাময়িক মুক্তির আদর্শ ঠিকানা রম্ভা

চিল্কার এই অংশটায় নৌকোভ্রমণ বেশ রোমাঞ্চকর৷ বড় বড় ঢেউ এসে মাঝেমাঝেই আমাদের ভিজিয়ে দিতে লাগল৷ বেশ কিছু সময় পর আমরা পৌঁছে গেলাম ব্রেকফাস্ট আইল্যান্ড৷

read more
বাংলা: ‘…তাই আমি পৃথিবীর রূপ  খুঁজিতে যাই না আর!’

বাংলা: ‘…তাই আমি পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে যাই না আর!’

আমার নিদারুণ উল্টিপাল্টি শাড়ির খোঁয়াড় (ভদ্রসংজ্ঞায় আলমারি!) থেকে পেঁয়াজ রঙের শাড়িটি যখন ঝুপ করে কোলে এসে পড়ল, তখন ফের তাকে স্বস্থানে ফিরতের ঝামেলায় না ফেঁসে সাপটেই নিলাম। তখনও জানাই ছিল না আদিগন্ত পেঁয়াজ খেতের দিকেই ছুটে চলেছে আজকের 'উঠল বাই' যাত্রাপথ। বারাসতের নীলগঞ্জের হাট পেরিয়ে বাঁ দিগরে ঢুকলেই পুরো 'নেচে নেচে আয় মা শ্যামা'—ইস্টাইলে চলল গাড়ি! পাশে পাশে চিলতে সুখের পলকা কুঁড়ের গা ঘেঁষেই সমত্থ সব ঢাউসপানা বাড়ি, টেংরু বিল্লি, উমনোঝুঁটি খুকু, নেন্টুপুটু খোকনকোলে বেড়ার বাড়ির মা-জননী আর বাঁকবদলে...

read more
ইতিহাস যেখানে ঘুমিয়ে আছে

ইতিহাস যেখানে ঘুমিয়ে আছে

অতিমারির আবহে একদিকে জীবন-মৃত্যুর ভয় আর একদিকে যাপনহীন জীবনে যখন হাঁসফাঁস অবস্থা, তখন মন চাইছিল কোথাও একটু ঘুরে আসি। কিন্তু কোথায় যাব! অন্য রাজ্যে তো যাওয়ার উপায় নেই, যদি লকডাউন হয়ে যায়, তাহলে ফিরতে সমস্যা হবে। এই সব সাত-পাঁচ ভাবতে ভাবতেই মনে হল মায়াপুর ঘুরে আসি। বর্তমানে আমি কলকাতার বাসিন্দা হলেও কৃষ্ণনগরই আমার জন্মস্থান। তাই মায়াপুর আমার কাছে নতুন কিছু নয়। তবুও বাংলার অক্সফোর্ড নবদ্বীপ ও তৎসংলগ্ন মায়াপুরের আকর্ষণ চির অম্লান। সময়টা ছিল ফেব্রুয়ারি মাস। যাত্রার দিনক্ষণ স্থির হল। বাবা বললেন, মায়াপুর...

read more
বিদেশ: উটাহ: প্রাচীন জলনগরীর রূপকথা

বিদেশ: উটাহ: প্রাচীন জলনগরীর রূপকথা

যেখানে পাহাড় সেখানেই কোনও নতুন গল্প, সেই গল্পের অবসরেই নতুন কোনও জীবন ও সংস্কৃতিকে খুঁজে পাওয়া৷ উটাহ নগরীতে গিয়ে সেই অভিজ্ঞতাই হল৷ কলোরাডোর পর্বত ঘেরা রাস্তা, যেখানেই চোখ যায় ছোট বড় নানান মাপের পাহাড়ে পড়ে থাকা আলোর ছটা, কখনও মেঘ, বা বৃষ্টির নেমে আসা এসবের বাইরে উটাহ ছিল এক ভিন্ন ভ্রমণের অভিজ্ঞতা৷ পার্থক্য বলতে ছিল, পর্বতের সৌন্দর্য থেকে প্রাচীনতম জলনগরীর রুক্ষ কঠিন ভূমিকে নতুনভাবে আবিষ্কার করা৷ আর সেই জায়গাটির সংস্কৃতির ভূমিপুত্রদের সম্পর্কে কৌতূহল তৈরি হওয়া৷ উটাহ মূলত একটি পর্যটন স্টেট বা রাজ্য৷ এর বিভিন্ন...

read more

 

 

Skip to content