আমার প্রথম বছরের ফল কালারের অভিজ্ঞতা আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরেই। তবে এই জায়গাটি উইসকনসিনের একদম দক্ষিণ প্রান্তে। কাজেই সারা রাজ্য ঘুরে এদিকে রং আসে সবার শেষে।

আমার প্রথম বছরের ফল কালারের অভিজ্ঞতা আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরেই। তবে এই জায়গাটি উইসকনসিনের একদম দক্ষিণ প্রান্তে। কাজেই সারা রাজ্য ঘুরে এদিকে রং আসে সবার শেষে।
জন্মাষ্টমীর আগের দিনটিতে মথুরায় উৎসবের সমারোহ চোখে পড়ল। চারিদিকে তীব্ৰ রোদ। সরকারি মিউজিয়াম দেখে লাঞ্চ করে টোটো ধরে কৃষ্ণজন্মভূমি মন্দির পৌঁছনো আমাদের লক্ষ্য ছিল।
ইউনিভার্সিটি অফ উইসকনসিনে অধ্যাপনার এই চাকরিটি গ্রহণ করার পেছনে কিছুটা হলেও এই অনুপ্রেরণাটিও কাজ করেছিল। এখানে প্রতি বছর ফল কালার এলেই আমি বেরিয়ে পড়ি গাড়ি নিয়ে।
অবশেষে এসে পৌঁছেছি সুদীর্ঘ তুষারলিঙ্গের সামনে। অনাবিষ্কৃত যে গুহার দ্বার খুলে গিয়েছিল কাশ্মিরী মেষপালকের হাতে, যে গুহায় বসে ধ্যান করেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ, যে গুহার স্বপ্ন দেখেছি কত রাতে…।
কত ধরনের যে যাত্রী এ পথে। দেহাতি বধূ সিন্থেটিকের শাড়ি পড়ে, রঙচটা শাল জড়িয়ে বোঁচকা মাথায় নিয়ে, হাওয়াই চটি পরে চলেছেন। পাহাড়ে হাঁটতে গেলে বিশেষ ধরণের পোশাক বা জুতো ব্যবহার করতে হয়।
লেক সুপিরিয়রে ওই হুড়োহুড়ি করতে করতেই দেখলাম যে লোকে ওই জমে থাকা হ্রদের ওপর দিয়েই গাড়ি নিয়ে চলে যাচ্ছে বহুদূর। ওই গাছের ডাল লাগানো রাস্তা ধারে সম্ভবত এপোস্টল আইল্যান্ড পর্যন্ত।
বালতাল হয়ে একদিনে অমরনাথ যাত্রা করা সম্ভব হলেও কিসের আকর্ষণে এ পথে তিনদিন ধরে অনেক কষ্ট স্বীকার করে বেশিরভাগ মানুষ যাত্রা করে, এ যেন শেষনাগে পৌঁছে বুঝতে পারলাম। সূর্য অস্তাচলে চলেছে।
প্রথমে তো আমরা ঠিকই করতে পারছিলাম না যে কোনখান থেকে হ্রদ শুরু আর কোনখানেই বা পাড় আর কথায়ই বা গাড়ি রাখার জায়গা। সবটাই বরফ জমে একই রকম হয়ে আছে।
টানা তিন দিন বন্ধ থাকবে টয় ট্রেন পরিষেবা। দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে বৃহস্পতিবার নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে আগামী শুক্রবার থেকে রবিবার টয় ট্রেন বন্ধ থাকবে।
কনকনে ঠান্ডা। গতকাল জম্মু থেকে পহেলগাঁও দীর্ঘ যাত্রার পর একটু দোলাচলে ছিলাম, আজ আদৌ রওনা দিতে পারব কি না! ঘুম ভাঙার পর মনে হল— পারব, নিশ্চয়ই পারব। ভোরের আবছা আলোয় রওনা দিলাম চন্দন বাড়ি।
এ যেন এক অজানা অচেনা পৃথিবী বা হয়তো স্বর্গেরই প্রতিরূপ। ঈশ্বর যখন নিজের আদলেই মানুষকে গড়েছেন; হয়তো তার থাকার জায়গাটিও কিছু জায়গায় বানিয়ে দিয়েছেন নিজের হাতেই, তাঁর স্বর্গের মতোই।
সে এক স্বপ্নের দেশ যেন! চারদিকে শুধু সবুজ আর সবুজ। ড্রাইভার ভাই জানাল যে আমরা কাশ্মীরে এসে পড়েছি। অদূরে পাহাড় দেখা গেলেও সেই চড়াই উতরাই পথ আর নেই। গাড়ি চলেছে তীব্র গতিতে।
উড়ানের টিকিট কাটার আগে কিছু বিষয় মাথায় রাখলে সময়-টাকা দুটিই বাঁচবে। এক ঝলকে দেখে নিন কী কী উপায় অবলম্বন করলে, সস্তায় মিলবে প্লেনের টিকিট।
ভোর রাত থেকে সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বড় বড় যন্ত্রপাতির আওয়াজ আর সময়ে সময়ে সড়ককর্মীদের চেঁচামেচি। আমার বাড়ি একদম শহরের কেন্দ্রস্থলে হওয়ায় এ আমার প্রতিদিনের অভিজ্ঞতা।
আলো ফোটেনি তখনও। চলেছি স্টেডিয়ামের পথে। আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। বহুদিনের ইচ্ছা ফলপ্রসূ হওয়ার অপেক্ষায়। অমরনাথ যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি অনেক। তাই চলছে পুরোদমে।