বাইগা রিসর্টে অনেকগুলি ওয়াচ টাওয়ার আছে। ওয়াচ টাওয়ার থেকে আপনি যেমন চারপাশের প্রকৃতির অনবদ্য সৌন্দর্য উপভোগ করবেন, তেমন হঠাৎ দূরে দেখতে পাবেন সারদা দাদার ড্যাম।

বাইগা রিসর্টে অনেকগুলি ওয়াচ টাওয়ার আছে। ওয়াচ টাওয়ার থেকে আপনি যেমন চারপাশের প্রকৃতির অনবদ্য সৌন্দর্য উপভোগ করবেন, তেমন হঠাৎ দূরে দেখতে পাবেন সারদা দাদার ড্যাম।
ভোরামদেব অরণ্যে যে পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা চেকপোস্ট এর মধ্য দিয়ে আমরা গিয়েছিলাম, সেই রাস্তায় জঙ্গল এত গভীর যে দুপুর বেলা একটার সময় প্রায় অন্ধকারাচ্ছন্ন পথ দিয়ে গা ছমছম করতে করতে আমাদের যাত্রা।
আপনি শিরপুরে এসেছেন আর বারনোয়াপাড়া সংরক্ষিত অভয়ারণ্যে যাবেন না তাতো আর হয় না। ‘জঙ্গল বুক’ আবার লেখা হলে নিশ্চয়ই বারনোয়ায়পাড়ার কথা রুইয়ার্ড কিপলিং লিখতেন। এই বনাঞ্চল এখনো আনএক্সপ্লোরড।
সুরঙ্গটিলার যে ধ্বংসাবশেষ সেটিও বিশাল এলাকা জুড়ে পাওয়া গিয়েছে। সাদা পাথরের মন্দির এবং ৯ মিটার উঁচুতে অবস্থিত। এবং ৩০টি সিঁড়ি অতিক্রম করে এখানে উঠতে হয়।
পুরাতত্ত্ববিদরা বলছেন, এটি ভারতবর্ষে আবিষ্কৃত সবচেয়ে বড় বৌদ্ধ সাইট। নালন্দা থেকে অনেক অনেক বড়। আমরা এটাও জানি বিখ্যাত বৌদ্ধ সাধক নাগার্জুনা তিনি শিরপুরে গিয়েছিলেন।
শিরপুর রায়পুর থেকে মোটামুটি ৬৫ কিলোমিটার দূরে, পুরনো দক্ষিণ কোশলের রাজধানী শ্রীপুর বা শিরপুর সপ্তম শতকে নির্মিত। শিরপুরের খ্যাতি মূলত বৌদ্ধ বিহারের জন্য।
পুজোর উপকরণ মন্দিরের বাইরে থেকে সংগ্রহ করে গর্ভগৃহে প্রবেশ করতে পারলেই ইচ্ছাপূরণ হওয়া সম্ভব। মন্দিরে বিশেষভাবে পুজো দিতে চাইলে তার জন্যও পৃথক বন্দোবস্ত রয়েছে।
মাইলের পর মাইল যাচ্ছেন কোথাও চায়ের দোকান কিংবা ছোট খাটো খাবারের দোকান পাবেন না। যতটুকু বুঝতে পারা গেল স্থানীয়রা চা খাওয়ার মতো সৌখিনতাকে প্রায় বর্জন করেছে।
উৎসবের দিন এরা পশু বলি দেয়, সমবেত নৃত্য করে এবং ভাত মিলেট কিম্বা মহুয়ার জারানো রসে মাতাল হয়ে ওঠে। গোষ্ঠী স্বাতন্ত্র্যের কারণে কেউ কেউ কূলদেবতায় বিশ্বাস করেন, কেউবা টোটেমে বিশ্বাস করেন।
ছত্তিসগড়কে ভারতের ‘রাইস বোল’ বলা যেতে পারে। ধান, ভেন্ডি, আলু আর কিছু আপনি এখানে খুব একটা পাবেন না। আর যেসব সব্জি পাওয়া যায় যেমন কুমড়ো, লাউ কেবলমাত্র আদিবাসীরাই খায়।
ঘাসিদাস জাতীয় উদ্যান। এটি ছত্তিসগড়ের একদম উত্তরদিকে সরগুজা জেলায় ২৩০০ বর্গকিমি জুড়ে ছড়িয়ে আছে। বিভিন্ন নদী উপনদীর জলধারার পরিপুষ্ট অরণ্য। এই অরণ্যটি কিন্তু সত্যি কথা জল সমৃদ্ধ।
একটা সময় ছিল যখন বৃদ্ধ অথবা মৃত্যুপথযাত্রী ব্যক্তিরা কাশীবাসী হতেন শিবলোকপ্রাপ্তির আশায়। কাশীর মহিমায় আকৃষ্ট হয়েই হোক অথবা কাশীর পরিবেশের আকর্ষণে বহু বাঙালি এখানে থাকতে শুরু করেন।
এখানে আপনি হিমালয় পর্বত খুঁজলে পাবেন না। বরফ ঢাকা হিমালয়ের ধ্যানগম্ভীর মৌনরূপ এখানে নেই। আকাশছোঁয়া গম্ভীর ভয়ঙ্কর পাহাড়, তার খাদ সেই সৌন্দর্যও এখানে পাবেন না। তবে আছে কী? পাহাড় আর অরণ্যের মেলামেশা।
এটি সরকারি উদ্যোগে হলেও এর প্রমোদতরী পরিচালনার দায়িত্ব থাকবে বেসরকারি সংস্থার হাতে। কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, দেশ জুড়ে এমন অনেক জলপথ পরিবহণের ব্যবস্থা করা হবে।
বিশ্বনাথমন্দিরের বিশদ ইতিহাস নিয়ে আলোচনা তো হবেই। তবে তারও আগে এটা বলা খুব জরুরি যে এই মন্দিরকে কেন্দ্র করে যে বিখ্যাত অলিগলি তাদের গল্পও বড় কম নয়। মন্দিরে ঢোকার বেশ কয়েকটি গেট রয়েছে।