বরফের উষ্ণতা থাকে শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর এই মেরুর দেশে তার চাইতে আরও ৩০ থেকে ৪০ ডিগ্রি কম। এখানে ফ্রস্টবাইটে চামড়ার অনেক ভিতরে থাকা শরীরের কলা-কোষগুলি নষ্ট হতে থাকে রক্ত চলাচলের অভাবে।

বরফের উষ্ণতা থাকে শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর এই মেরুর দেশে তার চাইতে আরও ৩০ থেকে ৪০ ডিগ্রি কম। এখানে ফ্রস্টবাইটে চামড়ার অনেক ভিতরে থাকা শরীরের কলা-কোষগুলি নষ্ট হতে থাকে রক্ত চলাচলের অভাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম দিন গিয়ে বুঝলাম যে ৪-৫ ডিগ্রি পার্থক্য তো কিছুই নয়। নতুন চাকরিতে যোগদানের দিন সকালেই নিকটবর্তী পাহাড়ে তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ১৮ ডিগ্রি আর নিচে মাইনাস ৩৭ ডিগ্রি।
দপ্তর থেকেও সবাই বেরিয়ে গিয়েছে যে তাঁদের বলে কিছু ব্যবস্থা করা যাবে। আমি প্রথমেই ওরায়নকে জানালাম ব্যাপারটা। সে বললো যে দেখছে কিছু ব্যবস্থা করা যায় কিনা।
সবার মধ্যেই বেশ একটা খুশির আমেজ। তাঁদের কাছ থেকেই শুনলাম যে, এরকম তুষারপাত এর আগে কখনও এখানে হয়নি। এর আগে ১৯৯৬ সালে একবার অনেক বরফ পড়েছিল, তাও এবারের থেকে অনেক কম।
চিন্তার সূত্রপাত হল ঠিক তখন থেকেই। উড়ান এসে ফেয়ারব্যাঙ্কস বিমানবন্দরে নামার সঙ্গে সঙ্গেই দেখলাম মুঠোফোনে চারপাঁচটি মেসেজ, ওরায়ন অর্থাৎ আমার সহ অধ্যাপকের নম্বর থেকে।
এখানে খাদ্য সরবরাহ প্রচণ্ড ব্যয় সাপেক্ষ। তাই বহু মানুষই শিকারের উপর নির্ভরশীল। মাছের সঙ্গে সঙ্গে মেরুর কাছে বলে অনেকেই এখানে তিমি, শ্বেতভল্লুক, সীল মাছ ইত্যাদিও শিকার করে থাকে জীবনধারণের উদ্দেশ্যে।