মুখের শীতের মাস্কটা একটু ভালো করে নিঃশাস নেওয়ার জন্য এক মিনিটের জন্য খুলে রেখেছি। তার পরে সেটা পরতে গিয়ে দেখি সেটাও পুরো জমে কাঠ। মুখের নিঃশ্বাসে যে ভাপ বেরোচ্ছে সেটা ওই মাস্কের একদিকে জমে বরফ হয়ে গিয়েছে।
রহস্য রোমাঞ্চের আলাস্কা
পর্ব-১৬: আলাস্কায় শীতকাল মানেই ‘এই রাত তোমার আমার…শুধু দু’ জনে’
পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যা প্রায় ১০.৫ কোটি, যেখানে আলাস্কার জনসংখ্যা মাত্র ৭.৫ লক্ষ। অর্থাৎ আলাস্কা পশ্চিমবঙ্গের তুলনায় পরিমাপের নিরিখে প্রায় ৫ গুণ বড় অন্যদিকে আলাস্কার জনসংখ্যা পশ্চিমবঙ্গের ১৪২ ভাগের চেয়েও কম।
পর্ব-১৫: ফেয়ারব্যাঙ্কসের তুলনাল কলকাতার জনঘনত্ব প্রায় ৮০ গুণ বেশি!
গোটা ফেয়ারব্যাঙ্কস শহরের জনঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে মাত্র তিনশকুড়ি যেখানে কলকাতায় প্রতি বর্গ কিলোমিটারে চব্বিশহাজারেরও বেশি লোক বসবাস করে। অর্থাৎ ফেয়ারব্যাঙ্কসের তুলনাল কলকাতার জনঘনত্ব প্রায় ৮০ গুণ বেশি।
পর্ব-১৪: অন্ধকারের উৎস হতে—শীতকালের প্রতিরাত
এই পর্বে শীতকালের সেই প্রতিরাতের কথাই বলবো। তীব্র শীত, মাসের পর মাস শুধু অন্ধকার, তার মধ্যে কেমন ভাবে চলে এখানকার আমাদের জীবন সেসব কথাই বলবো এই পর্বে।
পর্ব-১৩: এখানকার একমাত্র ভারতীয় রেস্তরাঁর মালিকও বাঙালি
জানুয়ারির ১৭-১৮ নাগাদ থেকে ঠান্ডা কমে গিয়েছে অনেকটাই। তাপমাত্রা মাইনাস ২০-এর ওপরে থাকছে প্রায় সবসময়েই। মানে উইসকনসিনের মতোই আর কী।
পর্ব-১২: দ্রুত গাড়ি চালিয়ে ঢুকে পড়লাম নিকটবর্তী একটা অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সে
মুঠোফোনের ব্যাটারি শেষ হয়ে যাওয়া নিয়ে মজার অভিজ্ঞতা হয়েছিল। আসার দু’দিন পর একদিন গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছি। নতুন এসেছি বলে তেমন কিছুই চিনি না। গুগল ম্যাপ ধরে চালাচ্ছি। যেখানে থামছি ছবি তুলছি।
পর্ব-১১: কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই দু’ একটি ছবি তুলতে না তুলতেই হাত অসাড় হয়ে যাচ্ছিল
প্রায় প্রতিদিনই গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছি। কখনও বাড়িতে ইন্টারনেটের বন্দোবস্ত করার জন্য, কখনও কিছু জিনিস কেনার জন্য বা বিভিন্ন রকম কাজে। সমস্ত রকম সতর্কবাণী উপেক্ষা করেই বেরিয়েছি।
পর্ব-১০: ব্যস্ত পৃথিবী ছাড়িয়ে কোথায় যেন চলে এলাম উত্তরমেরুর জনমানবহীন এই জঙ্গলে, যেখানে এখন শুধুই রাত
মনে মনে ভাবলাম যে তুমি আমার ঈশ্বরের দূত। তার নাম ডেল। সে বিমানবন্দরে কাজ করে। এই পথে বাড়ি ফেরে। সে এসে আমার চাকার চারিদিক দেখে বলল যে, আর পরিষ্কার করার কিছু নেই।
পর্ব-৯: আগে তো প্রাণে বাঁচি, তার পরে না হয় বিমার নিয়ম কানুনের কথা ভাবা যাবে
ইষ্টনাম জপে দিলাম এক্সেলেরেটরে চাপ। কিন্তু প্রকৃতির ক্রিয়া কলাপে ইষ্টেরও হাত থাকে না। এতো কিছুর পরেও যে কে সেই। অর্থাৎ চাকা বনবন ঘুরে যাচ্ছে আর এগোনো বা পিছন যাচ্ছে না এতটুকুও।
পর্ব-৮: যেখানে বাঘের ভয় সন্ধে ঠিক সেখানেই হয়, আমারও ঠিক তাই হল
কিছু কিছু ক্ষেত্রে রাস্তা যদি একেবারে সমতল হয়, বরফ জমে যাচ্ছে একদম মসৃণ হয়ে। সে এমন মসৃণ যে তাতে পাশাপাশি গাছের প্রতিফলন দেখা যায়।
পর্ব-৭: একটার পর একটা রেস্তরাঁয় ফোন করে জানতে পারলাম ৫ মাইল দূরে একটি খোলা আছে
যাই হোক, মনস্থির করে ফেললাম যখন বেরোবো, তখন আর দেরি করে লাভ নেই। ধীরে ধীরে গাড়ি চালিয়ে ঠিক পৌঁছে যাবো, এরকম ভেবেই আবার বাইরে বেরোনোর জন্য প্রস্তুত হলাম।
পর্ব-৬: বাড়িতে ঢুকে জুতো মজা দস্তানা খুলে প্রথমেই দেখলাম ‘ফ্রস্টবাইট’ হয়ে গিয়েছে কিনা!
বরফের উষ্ণতা থাকে শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর এই মেরুর দেশে তার চাইতে আরও ৩০ থেকে ৪০ ডিগ্রি কম। এখানে ফ্রস্টবাইটে চামড়ার অনেক ভিতরে থাকা শরীরের কলা-কোষগুলি নষ্ট হতে থাকে রক্ত চলাচলের অভাবে।
পর্ব-৫: মেরুর দিকে পৃথিবী কিছুটা চাপা, তাই এখানে দুটি কাছাকাছি অঞ্চলের মধ্যেও সূর্যালোকের পার্থক্য অনেকটা
বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম দিন গিয়ে বুঝলাম যে ৪-৫ ডিগ্রি পার্থক্য তো কিছুই নয়। নতুন চাকরিতে যোগদানের দিন সকালেই নিকটবর্তী পাহাড়ে তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ১৮ ডিগ্রি আর নিচে মাইনাস ৩৭ ডিগ্রি।
পর্ব-৪: ভাবলাম এ যাত্রায় কোনও রকমে বাঁচা গেল, কিন্তু এতো সবে সন্ধ্যে! রাত তখনও অনেক বাকি…
দপ্তর থেকেও সবাই বেরিয়ে গিয়েছে যে তাঁদের বলে কিছু ব্যবস্থা করা যাবে। আমি প্রথমেই ওরায়নকে জানালাম ব্যাপারটা। সে বললো যে দেখছে কিছু ব্যবস্থা করা যায় কিনা।
পর্ব-৩: বিমানবন্দর থেকে বেরিয়েই উইসকনসিনের সঙ্গে পার্থক্যটা টের পেলাম, মুহূর্তে ঠোঁট, গাল জমে যেতে লাগল
সবার মধ্যেই বেশ একটা খুশির আমেজ। তাঁদের কাছ থেকেই শুনলাম যে, এরকম তুষারপাত এর আগে কখনও এখানে হয়নি। এর আগে ১৯৯৬ সালে একবার অনেক বরফ পড়েছিল, তাও এবারের থেকে অনেক কম।