২৬ বৈশাখ, ১৪৩২ শুক্রবার ৯ মে, ২০২৫

রহস্য রোমাঞ্চের আলাস্কা

পর্ব-৫৬: একদিকে শ্বাসরুদ্ধকর প্রাকৃতিক দৃশ্যপট, অন্যদিকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির অনন্য নজির

পর্ব-৫৬: একদিকে শ্বাসরুদ্ধকর প্রাকৃতিক দৃশ্যপট, অন্যদিকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির অনন্য নজির

রাস্তার মাঝেই খানিকক্ষণ গাড়ি দাঁড় করিয়ে এদিক-ওদিক দেখে আবার গাড়ি করে একটু এগিয়ে গেলাম। পরের বাঁক ঘুরে যা দেখলাম, তা আরও বিস্ময়কর। হ্রদটা এখানে এসে একটা নদী হয়ে গিয়েছে। রাস্তার ধার দিয়েই কুলকুল শব্দে বয়ে চলেছে। নদীর মধ্যে ভাঙা ভাঙা পাতলা বরফের আস্তরণ। একে বলে প্যানকেক আইস।

read more
পর্ব-৫৫: সর্বত্র বরফ, কোত্থাও কেউ নেই, একেবারে গা ছমছম করা পরিবেশ

পর্ব-৫৫: সর্বত্র বরফ, কোত্থাও কেউ নেই, একেবারে গা ছমছম করা পরিবেশ

ধীরে ধীরে আকাশ ফর্সা হতে শুরু করেছে। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অপরূপ রূপের মহিমা উন্মোচন করে চলেছে পরমা প্রকৃতি। একটা পাহাড়ের ওপর থেকে নামতে গিয়ে দেখি একটি বিশাল হ্রদ, খুব সম্ভবত প্যাক্সন লেক। এখানে পৃথিবীর বক্রতার কারণেই হোক অথবা অন্য যে কোনও কারণেই হোক—পাহাড়ের উঁচু থেকে নীচের হ্রদগুলো দেখলে মনে হয় যেন একদিকে হেলে আছে।

read more
পর্ব-৫৪: গ্রীষ্মকালে আলাস্কা সত্যিই অচেনা এক দেশ

পর্ব-৫৪: গ্রীষ্মকালে আলাস্কা সত্যিই অচেনা এক দেশ

ফেয়ারব্যাঙ্কস থেকে দক্ষিণে কোথাও যেতে গেলে আমাদের আছে দুটো রাস্তা, পার্কস হাইওয়ে এবং রিচার্ডসন হাইওয়ে। সেদিন নিলাম রিচার্ডসন হাইওয়ে। সূর্য তখন সবে অস্ত গিয়েছে। ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই পৌঁছলাম ডেল্টা শহরে। তখন আবার সূর্য উঠতে শুরু করেছে। রিচার্ডসন হাইওয়ে অসাধারণ সুন্দর। এ এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা।

read more
পর্ব-৫৩: আলাস্কার দক্ষিণে রয়েছে সেই মনোরম গ্লেন হাইওয়ে

পর্ব-৫৩: আলাস্কার দক্ষিণে রয়েছে সেই মনোরম গ্লেন হাইওয়ে

বিবাহ বার্ষিকীর দিন যাত্রা শুরু করলাম। স্ত্রীকে বলেছি আলাস্কার দক্ষিণ দিকে রয়েছে মনোরম গ্লেন হাইওয়ে। সে দিকটায় যাওয়া হবে। আর ঘর থেকেই বিবাহবার্ষিকীর কেক ও তুলে নেওয়া হয়েছে। স্ত্রীকে বলেছি যে রাস্তায় যে জায়গাটা মনে হবে খুব সুন্দর সেখানেই আমরা বিবাহবার্ষিকী উদযাপন করবো। গ্রীষ্মকালে এই জিনিসটা আমরা মাঝে মাঝেই করে থাকি।

read more
পর্ব-৫২: আলাস্কায় গ্রীষ্মকালে সাজো সাজো রব, সক্কলে ব্যস্ত

পর্ব-৫২: আলাস্কায় গ্রীষ্মকালে সাজো সাজো রব, সক্কলে ব্যস্ত

এখানে লোক জনের কাছে একটা ছোট নিজস্ব বিমান থাকা খুব একটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। যেহেতু রাস্তাঘাট এখনও অনেক জায়গাতেই ভালো ভাবে তৈরি হয়নি সেহেতু অনেক ক্ষেত্রেই ওই বিমানই ভরসা কোথাও যাওয়ার জন্য। সে সব গল্পে পরে আসছি।

read more
পর্ব-৫১: রোজই দেখি আলাস্কা পর্বতশৃঙ্গের বাঁ দিকের চূড়া থেকে সূর্য উঠতে

পর্ব-৫১: রোজই দেখি আলাস্কা পর্বতশৃঙ্গের বাঁ দিকের চূড়া থেকে সূর্য উঠতে

গ্রীষ্মকালে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের সময়টা আমার নিজেকে বড় দুঃখবিলাসী মনে হয়। ঠিক যেমনটা ছিল বিভূতিভূষণের ‘পথের পাঁচালির’ অপু। নিশ্চিন্দিপুরের অপুর মতো আমারও দূরে দিগন্তে সূর্যটাকে ঠিক যেন মনে হয় মহাভারতের কর্ণের রথের চাকা। সূর্যাস্তের সময় সে যেন তলিয়ে যাচ্ছে ওই দূরদিগন্তে মাটির ভিতর। তার চারপাশে নানা রঙের আর নানান গড়নের মেঘগুলো যেন সত্যিই কর্ণের রথের মতোই দেখতে লাগে।

read more
পর্ব-৫০: রোজই দেখি আলাস্কা পর্বতশৃঙ্গের বাঁ দিকের চূড়া থেকে সূর্য উঠতে

পর্ব-৫০: রোজই দেখি আলাস্কা পর্বতশৃঙ্গের বাঁ দিকের চূড়া থেকে সূর্য উঠতে

আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণে আলাস্কা পর্বতমালা। আমার জানলা দিয়ে ঠিক সোজাসুজি তাকালে চার-পাঁচটা বেশ উঁচু পর্বতশৃঙ্গ বা পাহাড়ের চূড়া দেখা যায়। ওই সময় আমি রোজই দেখি একদম বাঁ দিকের চূড়ার থেকে সূর্যটা উঠল। পাশাপাশি দু-তিনটে চূড়া কোনওরকমে পার করে আবার ডানদিকের চূড়ার গা বেয়েই আবার ঢলে পড়ল অস্তাচলে।

read more
পর্ব-৪৯: তমসো মা জ্যোতির্গময়: গ্রীষ্মকালে আলাস্কায় রোজদিন

পর্ব-৪৯: তমসো মা জ্যোতির্গময়: গ্রীষ্মকালে আলাস্কায় রোজদিন

একমাস আগেই যে জায়গাগুলোকে দেখলে মনে হতো অন্ধকারের শহর, মৃতের শহর, সাদা বরফের চাদরের ভিতরে যার হারিয়ে গেছে সব কিছু; আজ সেখানে শুধুই আলোর উদযাপন, জীবন যাপন, শুধুই রঙের খেলা, উৎসবের মেলা। তার সঙ্গে যুক্ত হয় আরও সব অন্য রকমের অ্যাডভেঞ্চার সেই সমস্ত কথাই এ বার বলবো এই অধ্যায়ে।

read more
পর্ব-৪৮: এখানে দিন-রাত-শীত-গ্রীষ্ম-আলো-অন্ধকার, সব কিছুরই হিসেব আলাদা

পর্ব-৪৮: এখানে দিন-রাত-শীত-গ্রীষ্ম-আলো-অন্ধকার, সব কিছুরই হিসেব আলাদা

বিমান উড়তেই যেন একটা অদ্ভুত অনুভূতি। যেন স্থান-কালের একটা বিস্ময়কর জায়গা থেকে আমি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলাম। কি অদ্ভুত, কি বিস্ময়কর, তাকে ভাষায় বর্ণনা করা যায় না। সত্যিই স্থান-কালের এক অদ্ভুত জায়গায় এই ফেয়ারব্যাঙ্কস।

read more
পর্ব-৪৭: আলাস্কায় লোকে বিমানের পাশে গাড়িও দাঁড় করিয়ে রাখে

পর্ব-৪৭: আলাস্কায় লোকে বিমানের পাশে গাড়িও দাঁড় করিয়ে রাখে

আমি এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াতে লাগলাম। হঠাৎ একটা জায়গায় গিয়ে রাস্তার ধারেই থরে থরে সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড় করানো আছে ছোট থেকে মাঝারি মাপের অনেক বিমান। আমি আর কালক্ষেপ না করে সেখানেই গাড়ি ঢোকাতে গেলাম। ওমা, গাড়িটা দাঁড় করতে গিয়ে দেখি সে আরও মজার ব্যাপার। সেখানে গাড়ি আর বিমান পাশাপাশিই দাঁড় করানো আছে।

read more
পর্ব-৪৬: আলাস্কার আকাশে অহরহ ব্যক্তিগত বিমান ওঠানামা করে

পর্ব-৪৬: আলাস্কার আকাশে অহরহ ব্যক্তিগত বিমান ওঠানামা করে

এখন দেশের অটো-টোটো বা গাড়ির প্রাচুর্যের সঙ্গে তুলনা করলেই বোঝা যাবে এখানে বিমান বা হেলিকপ্টারের প্রাচুর্য ঠিক কতটা। এই কথাটা আমি আগেই শুনেছিলাম, কিন্তু ওই ইন্টারভিউয়ের দিন চাক্ষুষ করার আগে ব্যাপারটা ঠিক উপলব্ধি করতে পারিনি। প্রথমত ইন্টারভিউয়ের সময় যখনই ওই ডিন মহাশয়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় পরিভ্রমণে বেরিয়েছিলাম তখনই আকাশে দেখেছি ওই ব্যক্তিগত বিমানগুলো উড়ছে মুহুর্মুহু।

read more
পর্ব-৪৫: বহু আলাস্কাবাসীর ব্যক্তিগত বিমান বা হেলিকপ্টার রয়েছে!

পর্ব-৪৫: বহু আলাস্কাবাসীর ব্যক্তিগত বিমান বা হেলিকপ্টার রয়েছে!

দু’ পাশের সারি সারি বরফ ঢাকা গাছ। তার মধ্যে দিয়ে আঁকাবাঁকা বরফে ঢাকা নদী। আর ওপর দিয়ে আমি চলে যাচ্ছি স্লেজে চেপে। মাথার ওপরে খেলা করছে মেরুজ্যোতি। যেন আমাকে নিয়ে চলে যাচ্ছে স্বর্গের কাছাকাছি, যেখানে সান্তাক্লজ এখুনি আমার জন্য স্বর্গের দরজাটা খুলে দেবে।

read more
পর্ব-৪৪: আলাস্কার স্যামন মাছ জগদ্বিখ্যাত

পর্ব-৪৪: আলাস্কার স্যামন মাছ জগদ্বিখ্যাত

চেনা নদীর ওপরে অনেক রকম বিনোদন মূলক কার্যকলাপ হয়। তারমধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হল ‘রিভারবোট ডিসকভারি ক্রুজ’। গ্রীষ্মকালে একটা চারতলা বিশাল নৌকায় চাপিয়ে ফেয়ারব্যাঙ্কস থেকে পর্যটকদের নিয়ে যাওয়া হয় চেনা নদীর মোহনায় যেখানে সেটা ট্যানানা নদীর সঙ্গে মিশেছে।

read more
পর্ব-৪৩: ফেয়ারব্যাঙ্কস শহরকে ঘিরে রেখেছে ছোট্ট একটি নদী

পর্ব-৪৩: ফেয়ারব্যাঙ্কস শহরকে ঘিরে রেখেছে ছোট্ট একটি নদী

এই সফেদ পর্বতমালা থেকেই উৎপন্ন হয়েছে চেনা নদী যাকে ঘিরে আমার আদিখ্যেতার সবটুকু। এখন উত্তরে সফেদ পর্বতমালা আর দক্ষিণে আলাস্কা পর্বতমালা পেরিয়ে দু’ দিক থেকেই ফেয়ারব্যাঙ্কস শহরের একদম কাছাকাছি চলে এলে দেখা যাবে যে এই শহর কয়েকটা ছোট ছোট পাহাড় দিয়ে ঘেরা।

read more
পর্ব-৪২: মেরুজ্যোতির শহর ফেয়ারব্যাঙ্কস

পর্ব-৪২: মেরুজ্যোতির শহর ফেয়ারব্যাঙ্কস

অ্যাঙ্করেজ আর ফেয়ারব্যাঙ্কস তুলনা করতে গেলে সেই ছোটবেলায় শহর ও গ্রামের তুলনা করে রচনা লেখার কথা মনে পড়ে যায়। অ্যাঙ্করেজে সুযোগ সুবিধা অনেকটাই বেশি ফেয়ারব্যাঙ্কসের তুলনায়। আমাদের ভারতীয়দের দৈনন্দিনের দিক থেকে দেখতে গেলে সেখানকার সুবিধাগুলো আরও বেশি করে চোখে পড়ে।

read more

Skip to content