শ্যামসুন্দর বেনেগলের নির্মিত ছবিগুলির মধ্যে অঙ্কুর, নিশান্ত, মন্থন, ভূমিকা, জুনুন, কলযুগ, মন্ডি, সুরজ কা সাতয়াঁ ঘোড়া, মাম্মো এবং সরদারি বেগম ‘ক্ল্যাসিকস’ পর্যায়ে উন্নীত। দেখানোর স্বাভাবিকতা ও ক্যামেরার অসাধারণ কাজ সহজেই দর্শককে বিষয়ের গভীরে নিয়ে যায়। পিতা শ্রীধর বি বেনেগল একজন আলোকচিত্রী হওয়ায় ছোটবেলা থেকেই শ্যামের ক্যামেরার সঙ্গে পরিচয় ঘটে।
সেরা পাঁচ
দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-৪৮: প্রতিভা দেবী—ঠাকুরবাড়ির সরস্বতী
ঠাকুরবাড়ির মেয়েরা ছিলেন রূপে লক্ষ্মী গুণে সরস্বতী। ঠিক এমনটাই ছিলেন প্রতিভা দেবী, রবীন্দ্রনাথের সেজদাদা হেমেন্দ্রনাথ আর নীপময়ীর বড় মেয়ে। বেথুন স্কুলে পড়াশুনা, গুণী সঙ্গীতজ্ঞদের কাছে গান এবং সেতার শিখেছিলেন প্রতিভা। ভাই হিতেন্দ্রনাথের সঙ্গে ‘বিদ্বজ্জন সভা’য় সেতারও বাজিয়েছেন। কিন্তু প্রতিভার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের ‘বাল্মীকি প্রতিভা’র সংযোগটাই অমরতা পেল।
পর্ব-৬৮: কাপুরুষরাই শুধু দৈবের দোহাই দিয়ে নিজেকে ভাগ্যের হাতে সঁপে দেয়
বায়স লঘুপতনকের আচরণে খুবই প্রসন্ন হয়েছিলেন মন্থরক। সে যেমন করে মূষিক হিরণ্যককে আশ্বস্ত করে আরও বললে, এছাড়া পরদেশে বাস করতে হচ্ছে বলে দুঃখ করবারও কোনও কারণ নেই। ধৈর্যবান মননশীল মানুষজনের কাছে বিদেশই বা কি আর স্বদেশই বা কি? তিনি তো যে দেশেই থাকেন সে দেশকেই আপন বাহুবলে নিজের অধীন করে নেন।যেমন সিংহ যে বনেই যায় সেখানেই নিজ দাঁত, নখ আর লেজকে অস্ত্র করে হাতিকে পর্যন্ত হত্যা করে তার রক্তলেখায় নিজের পিপাসা নিবারণ করে।
ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব ৪৩: বীরবিক্রম ত্রিপুরায় শিক্ষা সম্প্রসারণে বহুমুখী উদ্যোগ নিয়েছিলেন
বীরবিক্রম তাঁর রাজত্বকালে ত্রিপুরায় শিক্ষা সম্প্রসারণেও বহুমুখী উদ্যোগ নিয়েছিলেন। নতুন স্কুল প্রতিষ্ঠা, প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা, গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় স্হাপনের উদ্যোগ, শিক্ষায় উৎসাহদানের জন্য নানা রকম স্কলারশিপ-স্টাইপেন্ড ইত্যাদির প্রবর্তনে রকম বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছিলেন রাজা। শিক্ষাকে আরও ব্যাপক ও অর্থবহ করার জন্যও সচেষ্ট ছিলেন তিনি।
নক্ষত্রপতন! প্রয়াত পরিচালক শ্যাম বেনেগাল
চলচ্চিত্র জগতে নক্ষত্রপতন। প্রয়াত হয়েছেন পরিচালক শ্যাম বেনেগাল। মৃত্যুকালে পরিচালকের বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। ২৩ ডিসেম্বর সন্ধে ৬টা বেজে ৩০ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
বসুন্ধরা এবং…, ৩য় খণ্ড, পর্ব-৪৯: আত্মশুদ্ধি
সুজাতা চিৎকার করে উঠলেন। তাড়াহুড়ো করে প্রণয়কে বাধা দিতে গিয়ে হুইলচেয়ারের চাকায় পা জড়িয়ে গিয়ে মুখ থুবড়ে পুরো শরীরের ভার নিয়ে মেঝের ওপর পড়ে গেলেন। নাক-মুখ থেকে গলগল করে রক্ত বের হতে লাগলো। সুরঙ্গমা আর বাবলি ছুটে গিয়ে সুজাতাকে সোজা করে শোয়াতে গিয়ে দেখলেন সুজাতার জ্ঞান নেই।
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৮০: সুন্দরবনের পাখি—দোয়েল
শীত যাই-যাই করতে শুরু করলেই শুরু হয়ে যায় দোয়েলের বিচিত্র সুরমূর্ছনা। গায়ক পাখি হিসেবে দোয়েলের খ্যাতি তো দুনিয়াজোড়া। তবে হ্যাঁ, দোয়েলদের বংশে শুধু গায়কই হয়, গায়িকা হয় না! আর রূপেও স্ত্রী দোয়েলদের টেক্কা দেয় পুরুষ দোয়েল। পুরুষ দোয়েলকে রূপ আর গুণের জন্য পাখি-সাম্রাজ্যের ‘কার্তিক’ বললে মনে হয় অত্যুক্তি হয় না।
পর্ব-৯৫: পরবর্তী পদক্ষেপ
সত্যব্রতর কাছ থেকে ফেরার সময় গাড়িতে শাক্য বা সুদীপ্ত কেস নিয়ে কোন কথা বলছিল না। শাক্যই বারণ করেছিল। এখন সে কাউকেই বিশ্বাস করতে পারছে না। যাদের বিরুদ্ধে পুলিশ বিভাগ লড়াই শুরু করেছে, তারা যে যথেষ্ট শক্রিশালী কোন গ্যাং, তাতে কোন সন্দেহ নেই। এর সঙ্গে আবার যুক্ত হয়েছে, পিশাচপাহাড় রিসর্টের মার্ডার। কালাদেও কেন যে পিশাচপাহাড় রিসর্টে ঢুকে মার্ডার করতে যাবে, এটা শাক্য বা সুদীপ্ত কারওই মাথায় আসেনি।
মুলো খেতে আপত্তি নেই, তা হলে তার পাতার কী দোষ করল? এই শাকের কত পুষ্টিগুণ জানেন?
শীতকালের একটি পুষ্টিকর সব্জি হল মুলোশাক। দামও কম। মুলোশাক ভিটামিন কে, ভিটামিন সি, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ফোলেট এবং ক্যালশিয়ামে পরিপূর্ণ। এই সব্জিকে শীতকালীন স্বাস্থ্যের সুপার হিরো বলা যেতে পারে। সস্তার এই শাকের পুষ্টিগুণ প্রচুর। তাই একে খাদ্য তালিকায় রাখা যেতে পারে।
পর্ব-৬১: বাথটাব/১৩
জানো চ্যাম্প, আমি এমনি এমনি তোমায় এই নামটা দিইনি। তুমি সত্যানুসন্ধানী তুমি নাট্যকার, পরিচালক, আবার তুমিই চিত্রনাট্যকার সিনেমা এবং তথ্যচিত্রনির্মাতা! ব্যোমকেশ লিখতে পারলে শরদ্বিন্দুকে অজিত সাজতে হত না। আবার দেখো ফেলুদা সঙ্গে একজন সুপারহিট রহস্যকাহিনিকার থাকতেও লেখার স্বত্ব একজন সেরা লেখককে দিয়েছেন।
অসমের আলো অন্ধকার, পর্ব-৪২: অসমের জাতীয় উদ্যান বরাবরই পর্যটকদের নজর কাড়ে
অসম সবুজের দেশ। পশু-পাখিও রয়েছে অসংখ্য। কোথাও ঘন জঙ্গল তো কোথাও আবার ঘন জন বসতি, সব মিলিয়েই আমাদের অসমের পূর্ণতা। মানুষের আধুনিক জীবনের থেকে অনেক দূরে প্রকৃতির কোলে রয়েছে এই বন্য পশু-পাখিরা। অসমে মোট পাঁচটি জাতীয় উদ্যান রয়েছে। প্রায় ১৫টিরও বেশি অভয়ারণ্য রয়েছে এই রাজ্যে। নানান বনজ উদ্ভিদের সমারোহ অসমের জঙ্গলে।
শক্তিরূপেন সংস্থিতা: স্বয়ংসিদ্ধা
দুপুরের নিস্তব্ধতা ভেঙে আওয়াজ আসে, সব্জি নেবে গো সব্জি। ভ্যান ঠেলে ঠেলে নিয়ে চলে এক শীর্ন দেহি মহিলা। ক্লান্ত দুটি চোখ। মাথায় একটা টুপি। ভ্যান ভরা মরসুমি সব্জি। নাম দীপা বিশ্বাস। কোভিডের সময় থেকে বাজার উঠে এসেছিল বাড়ি বাড়ি। পুরুষদেরই সব্জি ফেরি করতে দেখেছি এতদিন কল্যাণীতে।
পর্ব-৯৪: দশরথপুত্র ভরত, এক ব্যতিক্রমী চরিত্র, বর্তমানের নিরিখে এক বিরলতম প্রজাতি
রাজা দশরথের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। চতুর্দশ দিবসে রাজার কর্মসহায়ক মন্ত্রীরা সকলে মিলিত হয়ে ভরতকে বললেন, মন্ত্রীদের মাননীয় রাজা দশরথ। তাঁর গুরুত্ব গুরুর থেকেও বেশি। জ্যেষ্ঠ রাম ও মহাবীর লক্ষ্মণকে নির্বাসিত করে, রাজা আজ প্রয়াত হয়েছেন। নেতৃত্বহীন রাজ্যে কোন অপরাধমূলক কাজ এ পর্যন্ত ঘটেনি। হে মহাযশস্বি রাজনন্দন, আপনি আমাদের রাজা হন।
পর্ব-৭৭: কোয়ালপাড়া আশ্রমের রাজেন মহারাজ ও মা সারদার প্রসাদী
ছেলেদের খাওয়া হয়ে গেলে শ্রীমা মেয়েদের খেতে দিয়ে তাদের সঙ্গে নিজেও একটু খেতেন। ভক্তদের আনা ফলমিষ্টি শ্রীমা সামান্যই মুখে দিতেন, সেসব অন্যেরাই পেত। ইদানীং তাঁর দাঁত গেছে, চারটি মুড়িই জল খাওয়া, তাও চিবোতে পারেন না। তাই আঁচলে মুড়ি নিয়ে একটা নোড়া দিয়ে সেগুলো গুঁড়ো করে নবাসনের বৌকে ডেকে বলেন, ‘বৌমা, দাও তো একটু নুন, লঙ্কা’।
দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-৪৭: মৃণালিনীর চিঠি
মৃণালিনী দেবীর জীবনের সময় তো খুব বেশিদিন ছিল না, পরিচিতি বলতে প্রতিভাবান কবির স্ত্রী। জীবনের সংক্ষিপ্ত পরিসরে স্বামী সন্তান আর ঘরের দেখভাল করতে থাকা মৃণালিনীর গল্প সকলের জানা। আমি বরং আজ মৃণালিনীর চিঠির দেরাজ খুলে বসি আর অক্ষরের উপর অক্ষর সাজিয়ে এক নতুন মৃণালিনীকে খুঁজতে থাকি। যদি বলি, যে কয়টি চিঠি পড়তে পেরেছি, আর তাঁর প্রত্যুত্তরগুলি থেকে যেটুকু আভাস পেয়েছি আমার মনে হয়েছে একটু সুযোগ আর সময় পেলে মৃণালিনী দিব্যি রম্যরচনা লিখতে পারতেন।