বনবাসী রামের সন্ধানে ভরতের যাত্রাপ্রস্তুতি সম্পূর্ণ হল। ভোরবেলায় শয্যা ত্যাগ করেই ভরত, উত্তম রথে আরোহণ করে, রামের দর্শনলাভের ইচ্ছায় যাত্রা শুরু করলেন। তাঁর সম্মুখবর্তী অশ্বযুক্ত সূর্যতুল্য রথে, চললেন মন্ত্রী ও পুরোহিতগণ। নয় সহস্র সুসজ্জিত হাতি ইক্ষ্বাকুকুলনন্দন ভরতের অনুগমন করল। ষাট সহস্র রথে,ধনুক ও নানা অস্ত্রধারী যোদ্ধারা যশস্বী সত্যসন্ধ ভরতের সহযাত্রী হলেন। শত সহস্র অশ্বারোহী সেনা, সত্যপ্রতিজ্ঞ জিতেন্দ্রিয় ভরতকে অনুসরণ করলেন।
সেরা পাঁচ
পর্ব-৮০: আধ্যাত্মিক জীবন গঠনের মূল কথা— সত্যের ধারণা ও পালন
আধ্যাত্মিক জীবন গঠনের মূল বিষয় বা নিয়মগুলির যে কয়েকটি আমাদের সাধারণ জীবনযাপনকে নিয়ন্ত্রিত করে তার মধ্যে একটি হল—সত্যের ধারণা ও পালন। যা কিছুকেই মানুষ সত্য বলে গ্রহণ করে। তাই তার সমগ্র সত্তা, চিন্তারাশি, অনুভূতি এবং তার আকাঙ্ক্ষাকে আকর্ষণ করে।
গল্পবৃক্ষ, পর্ব-১২: দর্দরজাতক
জীবনে বহুকৌণিক ও আপাতবিরুদ্ধ বিবিধ ধর্মের নির্ণয় ও পালনেই আসে সার্থকতা। মহাদর্দর সেই কর্তব্যের পালনে চ্যুত হননি বলেই তাঁর সেই ক্ষুদ্র তুচ্ছ জীবন একদা মিশবে মহাসাগরে, মহাজীবনের ছন্দোময় মন্দমধুর মহাধ্বনির অমলিন ঝঙ্কারে সার্থক হবে একদিন।
ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব ৪৪: ত্রিপুরার মাণিক্য রাজাগণ সর্বদা সাহিত্য সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষকতা করে গিয়েছেন
ত্রিপুরার রাজা এবং রাজপরিবারের লোকেরা নিজেরাও সাহিত্য সংস্কৃতির চর্চা করেছেন। পঞ্চদশ শতকে মহারাজা ধর্ম মাণিক্য ‘রাজমালা’ রচনা করান। বলা যায়, এর মাধ্যমেই ত্রিপুরার মাণিক্য রাজাদের সাহিত্য পৃষ্ঠপোষকতার সূচনা ঘটে। ত্রিপুরায় সঙ্গীত চর্চার প্রসারে পরবর্তী রাজা ধন্য মাণিক্য মিথিলা থেকে রাজ্যে কয়েকজন সঙ্গীতজ্ঞ আনিয়েছিলেন।
পর্ব-৬৯: টাকা-পয়সা থাকলে চোর-ডাকাতকেও লোকে সম্মান দেখায়
সোমিলক নিজের স্ত্রীকে বুঝিয়ে বললে, নিজের সামর্থ্য অনুসারে কঠোর পরিশ্রম করেও দুর্ভাগ্যবশত যদি কোনও মানুষের কার্যসিদ্ধি না হয়, তাহলেও সেই মানুষকে কিন্তু কখনই হতোদ্যম করা উচিত নয়। কারণ সে অন্তত প্রচেষ্টা করেছে। তাই অবশ্যই এখন অন্য দেশে যাওয়াটাই আমার প্রয়োজন।
পর্ব-১০৬: ‘একবার মাখিলেই চুল ওঠে’ — জোড়াসাঁকোয় তৈরি ভেষজ তেলের সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ
ক্ষিতীশবাবুর মাথায় রকমারি ভাবনা খেলা করত। ভেষজ নিয়ে তাঁর ভীষণ আগ্রহ ছিল। করতেন রকমারি পরীক্ষা-নিরীক্ষা। নিজের ঘরে বসে এক ধরনের মাথায় মাখার সুগন্ধি তেল তৈরি করেছিলেন। সে তেলের একটা সুন্দর নামও দিয়েছিলেন। ‘অলকানন্দা হেয়ার অয়েল’। তেল তৈরির পর মাথায় এক ব্যবসায়িক বুদ্ধি আসে। অনেকানেক তেল তৈরি করবেন, বিক্রি করবেন। যেমন ভাবা তেমন কাজ। বোতলে ভরে বিক্রির ব্যবস্থা হয়।
বসুন্ধরা এবং…, ৩য় খণ্ড, পর্ব-৫০: পুনরুত্থান
এরমধ্যে সুরঙ্গমার কাছে বাবলির একটা চিঠি এল। সেই চিঠির সঙ্গে বসুন্ধরা গ্রুপ অফ কোম্পানির কাছে পাঠানো আলাদা আলাদা করে প্রণয়কান্তি ও বাবলি’র ই-মেল মারফৎ আবেদনের ছাপা কপি রয়েছে। প্রণয়কান্তি জানিয়েছে, তার যদি কিছু কিছু অর্থকরী পাওনা হয়ে থাকে সেই টাকা স্টাফ ওয়েলফেয়ার ফান্ডে সে দান করে দিতে চায়।
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৮১: সুন্দরবনের পাখি—বেনে বউ
স্কুলের তিনতলায় পশ্চিম দিকের শেষ রুমে পরীক্ষার নজরদারি করছিলাম। স্কুলের পেছন দিকে আকাশমণি ও জারুল গাছের মাথা তিন তলার জানালা সমান উঁচু। হঠাৎই ‘চ্যা চ্যা কোয়াক’ শব্দে জানালা দিয়ে দৃষ্টি গেল গাছের দিকে। কিছুই দেখা গেল না। পর মুহুর্তেই আবার ‘চ্যা চ্যা কোয়াক’। স্পষ্ট দেখলাম একটা হলদে বিদ্যুৎ যেন ঝলসে গেল জানালার এপার থেকে ওপারে। উৎসুক হয়ে গেলাম জানালার কাছে।
পর্ব-৯৬: যদি হই চোরকাঁটা
অনিলের কথায় অরণ্য হালকা-তরল মুড ছেড়ে আবার সিরিয়াস গম্ভীর হয়ে গেল। বলল, “না! অনিলকে কে মারল আর কেনই বা মারল, সেই প্রশ্ন আমাকে কুরে-কুরে খাচ্ছে আর্য! আমি যত ভাবছি, তত অবাক হয়ে যাচ্ছিস!”
আর্য বলল, “আমিও!”
শুধু মুখশুদ্ধি হিসাবে নয়, জানেন কি অনেক রোগের ঝুঁকি কমিয়ে দিতে পারে মৌরির জল?
রেস্তরাঁতে পেটপুজোর পর মৌরি খেতে দেওয়া হয়। মৌরি হজমে সাহায্য করে। হালকা মিষ্টি স্বাদের এই মৌরি শুধু মুখশুদ্ধি হিসাবেই নয়, রান্নাতেও ব্যবহার করা হয়। শুধু মৌরি চিবিয়ে খেলেই যে এর উপকার পাওয়া যায় তা নয়, মৌরি-জলও সমান উপকারী।
অসমের আলো অন্ধকার, পর্ব-৪৩: নাচে-গানে অসম
হুচরি অসমের একটি জনপ্রিয় লোক উৎসব। বৈশাখ মাসের বিহু অর্থাৎ রঙ্গালি বিহুতে পালিত হয়। এই অনুষ্ঠান সংক্রান্তির দিন থেকে টানা সাতদিন ধরে চলে। এই অনুষ্ঠানে শুধু পুরুষরাই অংশ নিতে পারে। হরিনামের গুনগান দিয়েই এই উৎসবের শুরু এবং শেষ হয়।
পর্ব-৬২: বাথটাব/১৪
ধৃতিমানের আশঙ্কা সত্যি হল। ভোররাতে গ্রেফতার করা হল ডাক্তার সুরজিৎ ব্যানার্জিকে। পরদিন কলকাতার প্রায় সমস্ত প্রথমসারির দৈনিক শেষরাতে পাওয়া এই গুরুত্বপূর্ণ খবর ছোট করে হলেও প্রথমপাতায় ছেপে দিলেন। তবে কোনও এক অজানা কারণে খবরওয়ালারা, কৌশিকী ও ডাক্তার সুরজিৎ ব্যানার্জির মধ্যের রগরগে রসায়নের খোঁজ এখনও পাননি।
পর্ব-১০৫: রবীন্দ্রনাথ ভয় পেতেন মহর্ষিদেবকে
যশোরের সারদাসুন্দরী যখন ঠাকুরবাড়িতে বধূ হয়ে এলেন, দেবেন্দ্রনাথের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন, তখন তাঁর বয়স ছয়। কেউ বলে আট। ছয়-আট যাই হোক না কেন, তখন তিনি যে নিতান্তই বালিকা, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। ক্রমে তাঁদের পনেরোটি পুত্র-কন্যার জন্ম হয়। একটি পুত্র ও একটি কন্যা অকালে মারা যায়। অল্পায়ু কন্যাটি সম্পর্কে কিছুই জানা যায় না। নামকরণ হওয়ার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছিল।
পর্ব-৭৮: মা সারদার ‘পরকে আপন করা’
মা সারদার নতুন বাড়ি হওয়ায় সেখানে দুধের অভাব দূর করার জন্য জ্ঞানানন্দ মহারাজ দুটি ভালো গরু কিনে আনেন। সুরেন্দ্রনাথ গুপ্ত এই গরু কেনার খরচ বহন করেন। তবে শ্রীমা সংসারী হয়েও সন্ন্যাসিনী ছিলেন, নিজের জন্য কোনো ঝঞ্ঝাট বাড়াতে চাইতেন না। নিজের জন্য আলাদা বাড়ির ইচ্ছাও তাঁর ছিল না। যখন তাঁর ভাইরা আলাদা হয়ে নিজেদের বাড়ি করে তখন কালীকুমার তাঁর দিদি শ্রীমার সাহায্যে ভালো বাড়ি, বৈঠকখানা করেন।
পর্ব-৯৫: বিরোধিতায় নয়, মৈত্রীবন্ধনেই রয়েছে পারিবারিক ও রাজনৈতিক সমস্যার সমাধানসূত্র
দুর্যোধনের পরিকল্পিত চক্রান্ত ও বিভেদ সৃষ্টির মাধ্যমে পাণ্ডবদের মধ্যে বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি করে তাঁদের ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়ার পন্থায় কর্ণের মোটেই আস্থা নেই। কর্ণের প্রস্তাব ছিল—চতুরঙ্গ সেনা নিয়ে সোজাসুজি দ্রুপদরাজ্য আক্রমণ এবং পাণ্ডবদের দ্রুত নিজেদের রাজ্যে এনে তাঁদের বশে আনা। সন্তুষ্ট প্রৌঢ় রাজা ধৃতরাষ্ট্র প্রাজ্ঞ,বিজ্ঞ স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের পরামর্শগ্রহণে আগ্রহী।