ঘুম এবং খাওয়া-দাওয়া নিয়ম মতো না হওয়ায় পেটে গ্যাস ও হজমের সমস্যা দেখা যায়। তাই পুজোর কটা দিন এবং তার পরে আরও বেশ কিছুদিন খাদ্য তালিকায় কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি। সেই সব খাবার পেটের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে। পাতে কী কী রাখবেন?

ঘুম এবং খাওয়া-দাওয়া নিয়ম মতো না হওয়ায় পেটে গ্যাস ও হজমের সমস্যা দেখা যায়। তাই পুজোর কটা দিন এবং তার পরে আরও বেশ কিছুদিন খাদ্য তালিকায় কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি। সেই সব খাবার পেটের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে। পাতে কী কী রাখবেন?
সুবিনয় পায়চারি করছে ছাদে। ছাদের রেলিং ঘেঁষে বেশ কয়েকটি ফুলের টব। তাতে গাঁদা-চন্দ্রমল্লিকা-ডালিয়া ফুটে রয়েছে। ওরা বাপ-বেটি যে যখন সময় পায় পরিচর্যা করে ওদের। প্রিয়া ফুল খুব ভালোবাসে। বড় দুঃখী তার মেয়েটা। জন্মের মাত্র ছ’মাস পরেই মাকে হারাল। সুমিতা না থাকলে কী করে যে প্রিয়াকে মানুষ করত, ভাবতেও ভয় করে সুবিনয়ের।
বাড়ির বড়দের কাউকে চা খেতে দেখলেই মুশকিল। সঙ্গে সঙ্গে চা খেতে ছুটে আসে পরিবারের ছোট সদস্যরা। ব্যস, শুরু হয়ে যায় তাঁদের চা খাওয়ার আবদার। তবে শিশুকে দুধ এবং চিনি দিয়ে ফোটানো গরম চা দেওয়া উচিত নয়। শুধু তাই নয়, ওদের লিকার চা বা কফি খাওয়ানোও সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। কেউ কেউ খুদের আবদার অদের মেটাতে গ্রিন টি খেতে দিয়ে থাকেন।
বেদের মায়া ও তন্ত্রের মহামায়া সমার্থক না হলেও ব্রহ্ম ও মহামায়া মূলত এক। ঈশ্বর ও প্রকৃতি শক্তি যেমন অভেদ। সৃষ্টির আদিতে ব্রহ্মই একমাত্র ছিল। শক্তিকে আশ্রয় করে সৃষ্টি শুরু হলে এই জীবজগৎ প্রকাশ করে তার মধ্যে চৈতন্য রূপে প্রকাশিত হতে থাকল। বেদ ও তন্ত্রের পার্থক্য এই যে, বেদ সিদ্ধান্ত শাস্ত্র আর তন্ত্র সাধন শাস্ত্র। বেদ প্রাচীন অপৌরুষেয় হলেও শক্তিপুজোর উল্লেখ রয়েছে।
রণজয় রায়ও কৃতী অফিসার কিন্তু একজন পেশায় সখের গোয়েন্দা, যার নাটকের দল আছে। যিনি দুটি মাত্র ফিচার ছবি আর কিছু ডকুমেন্টারি বানিয়েছেন তাকে নিয়ে ভৈরব চক্রবর্তীর মাতামাতি কিছুতেই সহ্য করতে পারে না। রণজয় তার ব্যক্তিগত পরিসরে মন্তব্যও করেছে ফেলুদা ব্যোমকেশ পরাশর কিরীটী রায় বা দীপক চ্যাটার্জি এককালে ছিল, এটা শবর দাশগুপ্তদের যুগ!
সিদ্ধার্থের যখন বয়স বারো, তখন একদিন নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালানোর সময় অ্যাক্সিডেন্টে ভীষণভাবে আহত হয় বাবা। দিন তিনেক নার্সিংহোমে শুয়ে থাকার পর মারা যায়। একটুও কষ্ট তো সিদ্ধার্থের হয়ইনি, বরং স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিল এই ভেবে, যে মাকে আর রোজ রোজ অপমানিত হতে হবে না। কিন্তু সিদ্ধার্থের ভাবনায় একটু ভুল ছিল।
শিল্পপতি রতন টাটা প্রয়াত হয়েছেন। তিনি বয়সজনিত সমস্যা নিয়ে মুম্বইয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। বুধবার রাতে সেই হাসপাতালেই তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।
রাজা দশরথ সদ্য প্রয়াত হয়েছেন। অযোধ্যায় সুগভীর শোকের আঁধার গভীরতর হল। সুদীর্ঘ রাত যেন আরও দীর্ঘ মনে হতে লাগল। অযোধ্যার আকাশে বাতাসে, শোকার্ত নাগরিকদের হাহাকার ধ্বনি। দুঃখভারাক্রান্ত রাত্রি অবশেষে অতিবাহিত হল। দিনের আলোয় শুরু হল রাজকর্মচারীদের কর্মতৎপরতা। বিশিষ্ট ব্রাহ্মণ মন্ত্রীরা তাঁদের মূল্যবান অভিমত প্রকাশ করলেন।
খ্যাতির শীর্ষে তখন রবীন্দ্রনাথ। সারা পৃথিবীর মানুষ তাঁকে স্বীকৃতি দিয়েছে। খ্যাতির শীর্ষে অবস্থান করেও আশ্রম-পড়ুয়াদের নিয়ে তাঁর ভাবনার অন্ত ছিল না। তাদের জন্য ছিল কবির গভীর ভালোবাসা। সে ভালোবাসায় কোনও খাদ ছিল না। ছোটরা যদি এমন ভালোবাসা পায়, তবে তারা লেখাপড়া করবে প্রাণের আনন্দে। ফুলের মতো ফুটে উঠবে।
স্বামী অরূপানন্দ অল্পবয়সে সংসার ত্যাগ করে সন্ন্যাসী হয়ে একটি আশ্রমে যোগ দেন। সেখানে তাঁকে কঠোর পরিশ্রম করতে হত। থাকা ও খাওয়ার কষ্ট তো ছিলই, তাছাড়া আশ্রমের প্রধান তাঁকে অনেক সময় পীড়ন করতেন। এতসব সহ্য করেও অরূপানন্দ ওই আশ্রমের অধ্যক্ষকে শ্রদ্ধার চোখে দেখতেন। তাই নিদারুণ কষ্ট সহ্য করেও তিনি ওই আশ্রমে অনেকদিন ছিলেন।
গল্প শোনার আগ্রহ মানুষের চিরকালীন প্রবণতা। কেন ভালো লাগে? অবসরের বিনোদন হল গল্প, অনেককিছু জানা যায় বৈকী! কোথায় গল্প হচ্ছে না? রাস্তায়, বাড়িতে, বাসে, ট্রেনে, বাজারে, চায়ের আড্ডায় কিংবা কেজি থেকে পিজির ক্লাসে, হোটেল থেকে হোস্টেলে, বোর্ড মিটিং থেকে রাজনীতির ময়দানে কল্পনা জল্পনা মিশিয়ে যে সংলাপধর্মী বার্তালাপ চলে, তাকে ভালো কথায় আড্ডা, আলাপচারিতা বলা যায়।
ভারি মিষ্টি মেয়ে প্রিয়া। সিদ্ধার্থের যখন এমএ ফাইনাল ইয়ার, তখন ওর এক বন্ধু প্রিয়াকে পড়াবার কথা বলেছিল ওকে। প্রিয়ার তখন বিএ ফার্স্ট ইয়ার। একদিন বিকেলে ইউনিভার্সিটি থেকে ফিরে সিদ্ধার্থ কবিতাকে বলেছিল, “মা, একটা টিউশনি পেয়েছি। মেয়েটি ফার্স্ট ইয়ারে পড়ে।
এখন দ্রোহকাল। বিপ্লবের সময়। আজ এক বিদ্রোহিনীর গল্প বলি। হয়তো তিনি লেখক হতে পারতেন। তিনি তাঁর জীবনযাপনের মধ্যেই উনিশ শতকে ঠাকুরবাড়ির অন্দরমহলে চিকের আড়ালে কত জ্যোতির্ময়ী আলোর শিখা যে প্রচারের আলো পাননি, ভাবলে অবাক লাগে। সময়টা মেয়েদের জন্য গহীন আঁধারের। সেই যুগে দাঁড়িয়ে দৃপ্ত ভঙ্গিতে নিজেদের ইচ্ছের মর্যাদা রাখতে পেরেছিলেন যাঁরা, তাঁরা প্রত্যেকেই আলোকবর্তিকা। এমনই একজনের কথা বলবো আজ। দ্বারকানাথ ঠাকুরের পুত্র গিরীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্ত্রী যোগমায়া দেবী।
যে কোনও উৎসবের সঙ্গে মিষ্টিমুখের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। উৎসব দিনে মিষ্টি না খেলে অসম্পূর্ণ থেকে যায়। যদিও যাঁদের রক্তে শর্করার মাত্রা বিপদসীমা অতিক্রম করেছে, তাঁদের মনে মিষ্টি খাওয়ার আগে মনে একটা দুর্ভাবনা তৈরি হয় বৈকী।