উপভুক্তধন সোমিলককে দেখে এবং তাঁর পরিচয় পেয়ে একেবারে উঠে এসে অভ্যর্থনা করে ঘরের মধ্যে নিয়ে গেল। উপভুক্তধন তাঁকে যথেষ্ট সমাদর করে অনেক ভোজ্যদ্রব্য দিলেন। রাত্রে বিশ্রামের জন্য কিছু বস্ত্র এবং মনোরম একটা বিছানাও দিলেন। সোমিলক সেই ভব্যশয্যায় বেশ আরামে নিদ্রা গেল। স্বপ্নে আবার সে ওই দু’জন পুরুষকে নিজেদের মধ্যে কথা বলতে শুনল।
সেরা পাঁচ
ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব ৪৭: মহারাজা বীরচন্দ্রের হাতে এসেছিল তরুণ কবি রবীন্দ্রনাথের ‘ভগ্ন হৃদয়’
১২৮৯ বঙ্গাব্দ। মহারাজা বীরচন্দ্র তাঁর প্রিয়তমা রানি ভানুমতীর অকাল মৃত্যুতে শোকে মুহ্যমান। শোকাকুল হৃদয়ে রাজা কবিতা লিখে শোকভার লাগবে সচেষ্ট। ঠিক এমনই একটা সময়ে মহারাজা বীরচন্দ্রের হাতে আসে তরুণ কবি রবীন্দ্রনাথের ‘ভগ্ন হৃদয়’।
গল্পবৃক্ষ, পর্ব-১৪: কোকালিক জাতক, বেশি কথার বিপদ
বোধিসত্ত্ব সে জন্মে রাজা ব্রহ্মদত্তের এক প্রধান অমাত্য হয়ে রাজসন্নিধানে রাজসেবা করছেন। বারাণসীরাজ ব্রহ্মদত্ত অত্যন্ত বাচাল ছিলেন। রাজপদে আসীন থেকে এমন বাচালতা কাম্য নয়, উল্টে তা বিপদ ডেকে আনতে পারে। অমাত্য সুযোগের অপেক্ষা করতে লাগলেন, অপেক্ষা করতে লাগলেন একটা যথাযথ দৃষ্টান্তের, যার সাহায্যে তিনি রাজাকে সচেতন করতে পারবেন।
পর্ব-১০৮: শিশুর মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলেছিলেন দ্বারকানাথ
প্রিন্স দ্বারকানাথের কর্মকাণ্ডের ভুল ব্যাখ্যা হয়ে চলেছে। সঠিক মূল্যায়নে কারও কারও কুণ্ঠা আছে। বুঝে না বুঝে তাঁর কর্মকাণ্ডের অপব্যাখ্যা হচ্ছে। ইংরেজ সরকারের সঙ্গে দ্বারকানাথের আপাত সখ্যকে কেউ ভেবেছেন প্রগাঢ় বন্ধুত্ব। সখ্য যদি কিছু থেকেও থাকে, ভিতরের নয়, বাইরের। একেবারেই প্রয়োজনভিত্তিক। ব্যবসা-বাণিজ্য চালানোর জন্য তার প্রয়োজন ছিল। কত রকমের, কত ধরনের ব্যবসা। ব্যাঙ্ক-ব্যবসা থেকে কয়লাখনি, এমনকি চা-বাগানও। অভূতপূর্ব সাফল্য পেয়েছেন ব্যবসায়।
গীতা: সম্ভবামি যুগে যুগে, পর্ব-১৬: হে পূর্ণ, তব চরণের কাছে
পবিত্র ধর্মগ্রন্থের মাহাত্ম্য শ্রীমদ্ভগবদ্গীতাকে ঘিরে রেখেছে। তবে বাহ্য প্রদর্শনে, ধর্মীয় আচারের পালনেই তার সার্থকতা নয়। তার সাফল্য অন্তর্গত গীতিময় বাণীর ধারণে, যাপনে, উপলব্ধিতে।
পোষ্যকে নিয়ে বেড়াতে যাচ্ছেন? হাতের কাছে রাখতে পারেন ঘরে বানানো এই ৩ খাবার
গৃহপালিত সারমেয়রা সাধারণত যে কোনও খাবারে চট করে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারে না। এখন অবশ্য সর্বত্র কুকুরের জন্য শুকনো খাবার পাওয়া যায় ঠিকই, তবে বাড়িতে বানিয়ে কুকুরের খাবার সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়াই শ্রেয়।
পর্ব-১: আকাশ এখনও মেঘলা
মেয়েটির উত্তর শেষ হতে না দিয়েই মাঝবয়েসী লোকটিকে কথাটা বলে ঘরের দিকে হাঁটা দিলেন টেক সলিউশন কলকাতার ফাউন্ডার সিইও অতনু সেন! বড় বড় পা ফেলে দূরের খোলা জানালার আলোর দিকে অপসৃয়মান ঝকঝকে অতনু সেনকে দেখতে দেখতে দিয়া ভাবছিল, ঠিক সিনেমায় যেমন হয়।
নিয়ম করে কারিপাতা চিবোলে সত্যিই কি চুল পড়া কমে? এই পাতায় কী এমন আছে?
আমাদের জেনে রাখা দরকার যে, বিটা-ক্যারোটিন শরীরে গিয়ে সংশ্লেষের মাধ্যমে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়। কারিপাতা মাথার ত্বকে সেবাম উৎপাদন এবং ক্ষরণের সমতা বজায় রাখতেও খুবই উপকারী।
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৮৪: সুন্দরবনের পাখি—বাঁশপাতি
যেহেতু এটি সুন্দরবন এলাকার মধ্যে এবং একসময় নোনা জলের জোয়ার-ভাটা খেলত তাই এখন মিষ্টি জলের জলাশয়ে রূপান্তরিত হলেও অতীতের গেঁওয়া ও হরগোজা গাছ প্রচুর জন্মে রয়েছে এই ঝিলের ধারে। এই ঝিলের মালিকানা এখন আমাদের স্কুলের হাতে। স্বচ্ছ জল। মাঝে মাঝে দ্বীপের মতো কচুরিপানার দল। জলে নানা ধরনের যথেষ্ট মাছ আছে। মাঝে মাঝে বেশ লাফায়। পানকৌড়িকে দল বেঁধে ডুব দিতে দেখি।
পর্ব-৯৯: কে? কে ওখানে?
রাতে ডিনারের পর সামান্য পড়াশোনা করেন সত্যব্রত। এ-তাঁর অনেককালের অভ্যাস। এর আগে যে-ব্লকে ছিলেন, সেখানে পেশেন্টের চাপ খুব বেশি ছিল। দিনরাত বলে আলাদা কিছু ছিল না। লেবার রুমের বেড খালি থাকত না কখনই। তার উপর রাতবিরেতে কেউ মদ খেয়ে মাথা ফাটিয়ে এসে হাজির হতো, কেউ আবার সন্দেহজনক আগুনে পোড়া শরীর নিয়ে হাজির হত। পেশেন্টপার্টির ছিল মাথা গরম। ডাক্তার যেন ভগবান।
আপনার বারান্দার রেলিং ভরবে ফুলে, গৃহসজ্জায় কোন লতানে গাছ বেছে নেবেন?
সুন্দর ফুল নামী-দামি ঘর সাজানোর জিনিসকেও নিমেষে টেক্কা দিতে পারে। কিন্তু বুঝে উঠতে পারছেন না তো লতানে কোন গাছে সাজিয়ে তুলবেন শখের বারান্দা কিংবা বাড়িতে ঢোকার গেট? তিন ফুলের গাছের রইল হদিশ।
শীতকালীন সব রান্নায় ধনেপাতা দিচ্ছেন? জানেন এর ফলে কী হচ্ছে
ধনেপাতা স্বাদে যেমন খাসা, পুষ্টিগুণেও ভরপুর। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিসের রোগীরাও নিশ্চিন্তে রান্নায় ধনেপাতা খেতে পারেন। রান্নার সময় রোজ যে একমুঠো ধনেপাতা কুচি ডালে, মাছের ঝোলে, তরকারিতে ছড়িয়ে দিচ্ছেন, তার উপকারিতা কত জেনে রাখুন।
দ্রুত ওজন ঝরাতে চান? শরীরচর্চার সঙ্গে প্রতিদিন একটি করে লেবু খান, পার্থক্য নজরে পড়বে
আমরা সবাই ওজন ঝরাতে কত কী ই না করে থাকি! অনেকেই আছেন যারা সকালে উঠে দৌড়তে যান। কেউ কেউ আবার পছন্দের খাবারের দিকে ভুলেও তাকান না। ভ্যাপসা গরমেও জিমে গিয়ে কসরত করেন।
পর্ব-৯৮: রামানুজ ভরত ও লক্ষ্মণ, আনুগত্যের প্রকাশে দু’জনেই অনন্য
বনবাসী জ্যেষ্ঠ রামকে ফিরিয়ে আনতে চলেছেন কুমার ভরত। পথে রামের সখা নিষাদরাজ গুহর সঙ্গে সাক্ষাৎ। নিষাদপতির মনে সন্দেহের জটিলতা। এই সশস্ত্র ভরত, হয়তো রামের কারণে, নিষাদরাজের অস্তিত্ব বিপন্ন করে তুলবেন। নিজেদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করে, তিনি ভরতের সাক্ষাতে নিজের আশঙ্কা প্রকাশ করলেন। গুহর সমস্ত আশঙ্কা দূর করলেন ভরত।
পর্ব-৬৫: বাথটাব/১৭
শ্রেয়া গাড়ি নিয়ে অফিস চলে আসার পর একা একা রাস্তা হাঁটতে হাঁটতে ধৃতিমানের মাথায় এইসব ঘুরছিল। তাই প্রাথমিক প্রশ্নগুলোর পরে এই প্রশ্নটাই তার মাথায় প্রথম এসেছিল। আর এটাই যে লক্ষ্যভেদ করবে সেটা ধৃতিমান আঁচ করতে পারেনি।