নারদীয় ভক্তির প্রকাশ হল ভক্তি প্রার্থনার মধ্যেই নিজেকে কৃত-কৃতার্থ অনুভব করা। ঈশ্বরীয় সুখে লীন হয়ে যাওয়া। এগোপিনীদের দুঃখ প্রকাশ না চির সুখের অনুভব!

নারদীয় ভক্তির প্রকাশ হল ভক্তি প্রার্থনার মধ্যেই নিজেকে কৃত-কৃতার্থ অনুভব করা। ঈশ্বরীয় সুখে লীন হয়ে যাওয়া। এগোপিনীদের দুঃখ প্রকাশ না চির সুখের অনুভব!
কোজাগরী পূর্ণিমার রাতে বাঙালির ঘরে ঘরে যে লক্ষ্মীর আরাধনা হয়, সেই সব লক্ষ্মী মেয়ে তো পরিবারের মধ্যেই থাকে। ঠাকুর পরিবারেও ছিল। দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের মেয়ে সৌদামিনী দেবী। সারদা দেবীর মৃত্যুর পর বড় মেয়ে সৌদামিনীর হাতেই সংসারের সব ভার দিয়ে নিশ্চিন্ত ছিলেন দেবেন্দ্রনাথ। সৌদামিনীও জড়িয়ে পড়েছিলেন ঠাকুরবাড়ির সঙ্গে।
ত্রিপুরার রাজপরিবারের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনায় অনেক খানি জুড়ে আছেন রাধাকিশোর পুত্র মহারাজকুমার ব্রজেন্দ্র কিশোর। বন্ধু রাজা রাধাকিশোর ও রাজপুত্র ব্রজেন্দ্র কিশোরের সঙ্গে পত্র যোগাযোগের সূত্রেই আমাদের কাছে ধরা দেন এক অন্য রবীন্দ্রনাথ।
মিত্রসম্প্ৰাপ্তি বিবাহের শুভ মুহূর্ত যখন প্রায় উপস্থিত, তার কিছু সময় পূর্বে থেকেই সে দেশের শ্রেষ্ঠীর ঘরের দরজার সামনে সজ্জিত মণ্ডপে তাঁর পুত্রী বিবাহ বেদীতে মঙ্গলসূত্র বেঁধে বিবাহের উপযুক্ত মঙ্গল বেশভূষা ধারণ করে প্রতিক্ষা করছিল বরকীর্তির জন্য। ঠিক সে সময়েই কোথা থেকে এক মদমত্ত হাতি তার পিঠে বসা মাহুতকে মেরে পালাতে পালাতে বরযাত্রীদের কোলাহলের মধ্যে ঢুকে পড়লো। তাকে দেখে সকল বরযাত্রীরা বরকে শুদ্ধ নিয়ে প্রাণ বাঁচাতে এদিক ওদিক পালিয়ে গেল। ঠিক সেই সময়েই ‘প্রাপ্তব্যমর্থ’ ভয়ে চঞ্চল নেত্রে স্থিত কন্যাকে দেখে বললো ‘মা...
ভোগবিলাসের আবর্তে দেবেন্দ্রনাথ ঘুরলেও কখনও রুচি বিসর্জন দেননি। যতই অর্থবান হোক না কেন, রুচিহীন মানুষজনকে কৌশলে তিনি ধিক্কারও জানিয়েছেন। তিনি বাবুয়ানায় মজে ছিলেন সত্য, আবার সেই জায়গা থেকে সহসা সরেও দাঁড়িয়েছিলেন।
অরুণাভ-বাবলিকে একসঙ্গে দেখে প্রণয়ের হিংসা তাকে অপহরণ করার ছক তারপর সেই ঘটনা হাতের বাইরে চলে যাওয়ার মুহূর্তে নিজের ভুল বুঝতে পেরে বাড়ির কথায় নিজের স্বভাবসিদ্ধ ঔদ্ধত্য ভুলে আত্মসমর্পণ। এই সব কিছু প্রণয়কে একেবারে বদলে দিল। সেই বদলটা বাইরের নয় ভেতর থেকে বদলে গেল প্রণয়কান্তি দত্ত। কিন্তু এতদিনের যে ভুল যে অন্যায় প্রণয় করেছে তার মাশুল তো তাকে দিতেই হবে। এক ভয়ংকর মাশুল দিতে হল তাকে।
কালীপুজোর তিন দিন আগে থেকেই ছিল আকাশের মুখ ভার। টিভিতে শুনলাম, বঙ্গোপসাগরে আবার নিম্নচাপ। ধেয়ে আসতে পারে ঘুর্ণিঝড় ‘কায়ান্ত’। কালীপুজোর আগের দিন সকাল থেকে শুরু হল বৃষ্টি। সকাল থেকে প্রায় গৃহবন্দি। বেলা বাড়তে কমে এল বৃষ্টির দাপট। বেলা বারোটা নাগাদ হঠাৎ উঠল ঝকঝকে রোদ। আমি ঠিক সেই সময় স্নান করে স্নানঘর থেকে বেরিয়েছি। দেখি, আমার বাড়ির পরিচারিকা ও আমার কন্যা করিডোরের খোলা জানালা দিয়ে পশ্চিমদিকে দূরে কিছু একটা দেখার চেষ্টা করছে। আমি ব্যাপারটা জানতে চাইলাম। আমার পরিচারিকা আঙুল দিয়ে আমাকে পশ্চিমদিকে আমার বাড়ি থেকে চারটে...
১৯৭০-এ স্মিতা পাতিল বম্বে দূরদর্শন কেন্দ্রের সংবাদপাঠিকা ছিলেন। এরপর ১৯৭৬-এ শ্যাম বেনেগলের ‘মন্থন’ ছবিতে ২১ বছর বয়সে প্রথম আত্মপ্রকাশ। ১৯৮৪ নাগাদ স্মিতার ভূমিকা, চক্র, অর্থ, সদ্গতি, বাজার, মান্ডি, মির্চ মশালা, ওয়ারিস এরকম অসংখ্য ছবিতে একাধিক জাতীয় পুরস্কার ফিল্মফেয়ার-সহ একাধি পুরস্কার পাওয়া হয়ে গিয়েছে। ১৯৮৫-তে পদ্মশ্রী পুরস্কার পেয়েছেন স্মিতা পাতিল।
কাপাডিয়া রিসেপশনে বসে সেই কথাই ভাবছিলেন। যদি পিশাচপাহাড় নামের এই রিসর্টটি এখানে না চালু হত, তাহলে আজ এই জায়গার যে-রমরমা, তা স্বপ্নই থেকে যেত। কথাটা অহংকারের মতো শোনালেও, আশেপাশের অন্যান্য রিসর্ট-হোটেলগুলিও এতকাল এই কথা স্বীকার করে এসেছে।
গ্যাসের সমস্যায় কমবেশি প্রত্যেকেই ভোগেন। সঙ্গে অ্যাসিডিটি, বদহজম, পেটে ব্যথা ইত্যাদি সমস্যা তো রয়েইছে। এ সবের মূল হল, কারণ জীবনযাত্রার পরিবর্তন এবং খারাপ খাদ্যাভ্যাস। যে কারণে আমাদের পরিপাক ক্ষমতা ভীষণ ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। আর তার ফলে বিভিন্ন রকম সমস্যার দেখা যায়।
সেবার বোধিসত্ত্ব রাজার ঘরে জন্মেছেন। ক্রমে ক্রমে তিনি কালের নিয়মেই সিংহাসনে আসীন হলেন। রাজ্যাধিকার পেয়ে ধর্মমতে প্রজাপালন করতে লাগলেন। এক ব্রাহ্মণ রাজার রাজপুরোহিত ছিলেন, তাঁর নাম রুহক। এই কাহিনি এই রুহকের। জাতকমালার অন্তর্গত রুহক জাতক।
কাজিরাঙার উত্তর দিকে রয়েছে অসমের সর্ব বৃহৎ নদ ব্রহ্মপুত্র। দক্ষিণে রয়েছে কার্বি পাহাড়ের অংশ বিশেষ। কাজিরাঙায় প্রতিবছরই পরিযায়ী পাখিরা আসে। পাখিদের অন্যতম জায়গা হয়ে উঠে উদ্যানের ভিতরে থাকা ছোট ছোট জলাশয়। সেখানে তারা মাছ খায়। অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত পরিযায়ী পাখিরা এখানে আতিথেয়তা গ্রহণ করে।
না, ইউটিউবার সরাসরি ডাক্তার সুরজিত ব্যানার্জির নাম উল্লেখ করেছেন তাঁর মধ্যরাতের ভিডিয়োতে। আর গত ভিডিয়োতে এয়ার টিকিট, রিভার ক্রুজের টিকিট সব জায়গায় ডক্টর লেখার পরের অংশটুকু কালো কালিতে ঢাকা ছিল। আজকের ভিডিয়োতে সেই ডকুমেন্টগুলোতেই আর কোনও রাখঢাক নেই।
পিতার মৃত্যু ও জ্যেষ্ঠ রাম ও সীতা, লক্ষ্মণের বনবাস এবং তার কারণ জেনে, কৈকেয়ীপুত্র ভরত, শোকে বিধ্বস্ত ও উত্তেজিত হলেন। বাগ্বিশারদ, ঋষি বশিষ্ঠ ভরতকে সান্ত্বনা দিলেন। হে রাজপুত্র মহাযশস্বি ভরত, শোকার্ত হয়ো না। সময় হয়েছে। নৃপতি দশরথের পারলৌকিক ক্রিয়া সম্পন্ন কর। অলং শোকেন ভদ্রং তে রাজপুত্র মহাযশঃ। প্রাপ্তকালং নরপতে কুরু সংযানমুত্তমম্।।
শ্রীমার জনৈক ভক্ত তাঁর প্রসাদ পাবার জন্য অতি ব্যাকুল হল। মা সারদা একটি সন্দেশ হাতে নিয়ে ঠাকুরকে দৃষ্টিভোগ দিয়ে এবং নিজের জিহ্বাগ্রে সেটি ঠেকিয়ে ভক্তকে খুব আনন্দের সঙ্গে দিলেন ও বললেন,’বাবা, খাও প্রসাদ’। স্বামী সারদেশানন্দ ঠাকুর এবং শ্রীমার দেশ দেখে কলকাতায় ফিরছিলেন।