কাজুবাদাম ছাড়া পায়েসের কথা ভাবা যায় না। তেমনই পোলাওয়ে কাজুবাদাম দিলে স্বাদ বদলে যায়। তবে কাজুবাদাম খেলে ওজন বাড়ে, অনেকের তেমনটাই ধারণা।

কাজুবাদাম ছাড়া পায়েসের কথা ভাবা যায় না। তেমনই পোলাওয়ে কাজুবাদাম দিলে স্বাদ বদলে যায়। তবে কাজুবাদাম খেলে ওজন বাড়ে, অনেকের তেমনটাই ধারণা।
আমি এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াতে লাগলাম। হঠাৎ একটা জায়গায় গিয়ে রাস্তার ধারেই থরে থরে সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড় করানো আছে ছোট থেকে মাঝারি মাপের অনেক বিমান। আমি আর কালক্ষেপ না করে সেখানেই গাড়ি ঢোকাতে গেলাম। ওমা, গাড়িটা দাঁড় করতে গিয়ে দেখি সে আরও মজার ব্যাপার। সেখানে গাড়ি আর বিমান পাশাপাশিই দাঁড় করানো আছে।
শ্রেয়াকে যাদবপুর বা প্রেসিডেন্সির ছাত্রী বলে চালিয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু চোখের দিকে তাকিয়ে সামনের মানুষটির শরীরের মধ্যে ভয় ঢুকিয়ে দিতে জানে সে। কথা বলার এমন একটা দাপুটে ভঙ্গি, হার্ডকোর ক্রিমিনালের কথা আলাদা, কিন্তু সাধারণ আমজনতাকে ভয় পাইয়ে দেবার জন্য যথেষ্ঠ।
মা সারদা আহার হয়ে যাওয়ার পর বিশ্রাম করছেন। তখন শীতের বিকেল। বাইরের বাটিতে ডিসপেনসারিতে সেসময় স্বামী সারদেশানন্দ কাজ করছিলেন। হঠাৎ তিনি খবর পেলেন যে ‘মায়ের পেটে ব্যথা, খুব কষ্ট হচ্ছে’। তিনি ছুটে গিয়ে বিছানার পাশে দাঁড়িয়ে জানতে চাইলেন, ‘কেমন ব্যথা, কখন হয়েছে, কেন হয়েছে, কোথায় কামড়াচ্ছে’ ইত্যাদি।
বনবাসী রামের সন্ধানে ভরতের যাত্রাপ্রস্তুতি সম্পূর্ণ হল। ভোরবেলায় শয্যা ত্যাগ করেই ভরত, উত্তম রথে আরোহণ করে, রামের দর্শনলাভের ইচ্ছায় যাত্রা শুরু করলেন। তাঁর সম্মুখবর্তী অশ্বযুক্ত সূর্যতুল্য রথে, চললেন মন্ত্রী ও পুরোহিতগণ। নয় সহস্র সুসজ্জিত হাতি ইক্ষ্বাকুকুলনন্দন ভরতের অনুগমন করল। ষাট সহস্র রথে,ধনুক ও নানা অস্ত্রধারী যোদ্ধারা যশস্বী সত্যসন্ধ ভরতের সহযাত্রী হলেন। শত সহস্র অশ্বারোহী সেনা, সত্যপ্রতিজ্ঞ জিতেন্দ্রিয় ভরতকে অনুসরণ করলেন।
আধ্যাত্মিক জীবন গঠনের মূল বিষয় বা নিয়মগুলির যে কয়েকটি আমাদের সাধারণ জীবনযাপনকে নিয়ন্ত্রিত করে তার মধ্যে একটি হল—সত্যের ধারণা ও পালন। যা কিছুকেই মানুষ সত্য বলে গ্রহণ করে। তাই তার সমগ্র সত্তা, চিন্তারাশি, অনুভূতি এবং তার আকাঙ্ক্ষাকে আকর্ষণ করে।
জীবনে বহুকৌণিক ও আপাতবিরুদ্ধ বিবিধ ধর্মের নির্ণয় ও পালনেই আসে সার্থকতা। মহাদর্দর সেই কর্তব্যের পালনে চ্যুত হননি বলেই তাঁর সেই ক্ষুদ্র তুচ্ছ জীবন একদা মিশবে মহাসাগরে, মহাজীবনের ছন্দোময় মন্দমধুর মহাধ্বনির অমলিন ঝঙ্কারে সার্থক হবে একদিন।
ত্রিপুরার রাজা এবং রাজপরিবারের লোকেরা নিজেরাও সাহিত্য সংস্কৃতির চর্চা করেছেন। পঞ্চদশ শতকে মহারাজা ধর্ম মাণিক্য ‘রাজমালা’ রচনা করান। বলা যায়, এর মাধ্যমেই ত্রিপুরার মাণিক্য রাজাদের সাহিত্য পৃষ্ঠপোষকতার সূচনা ঘটে। ত্রিপুরায় সঙ্গীত চর্চার প্রসারে পরবর্তী রাজা ধন্য মাণিক্য মিথিলা থেকে রাজ্যে কয়েকজন সঙ্গীতজ্ঞ আনিয়েছিলেন।
সোমিলক নিজের স্ত্রীকে বুঝিয়ে বললে, নিজের সামর্থ্য অনুসারে কঠোর পরিশ্রম করেও দুর্ভাগ্যবশত যদি কোনও মানুষের কার্যসিদ্ধি না হয়, তাহলেও সেই মানুষকে কিন্তু কখনই হতোদ্যম করা উচিত নয়। কারণ সে অন্তত প্রচেষ্টা করেছে। তাই অবশ্যই এখন অন্য দেশে যাওয়াটাই আমার প্রয়োজন।
ক্ষিতীশবাবুর মাথায় রকমারি ভাবনা খেলা করত। ভেষজ নিয়ে তাঁর ভীষণ আগ্রহ ছিল। করতেন রকমারি পরীক্ষা-নিরীক্ষা। নিজের ঘরে বসে এক ধরনের মাথায় মাখার সুগন্ধি তেল তৈরি করেছিলেন। সে তেলের একটা সুন্দর নামও দিয়েছিলেন। ‘অলকানন্দা হেয়ার অয়েল’। তেল তৈরির পর মাথায় এক ব্যবসায়িক বুদ্ধি আসে। অনেকানেক তেল তৈরি করবেন, বিক্রি করবেন। যেমন ভাবা তেমন কাজ। বোতলে ভরে বিক্রির ব্যবস্থা হয়।
এরমধ্যে সুরঙ্গমার কাছে বাবলির একটা চিঠি এল। সেই চিঠির সঙ্গে বসুন্ধরা গ্রুপ অফ কোম্পানির কাছে পাঠানো আলাদা আলাদা করে প্রণয়কান্তি ও বাবলি’র ই-মেল মারফৎ আবেদনের ছাপা কপি রয়েছে। প্রণয়কান্তি জানিয়েছে, তার যদি কিছু কিছু অর্থকরী পাওনা হয়ে থাকে সেই টাকা স্টাফ ওয়েলফেয়ার ফান্ডে সে দান করে দিতে চায়।
স্কুলের তিনতলায় পশ্চিম দিকের শেষ রুমে পরীক্ষার নজরদারি করছিলাম। স্কুলের পেছন দিকে আকাশমণি ও জারুল গাছের মাথা তিন তলার জানালা সমান উঁচু। হঠাৎই ‘চ্যা চ্যা কোয়াক’ শব্দে জানালা দিয়ে দৃষ্টি গেল গাছের দিকে। কিছুই দেখা গেল না। পর মুহুর্তেই আবার ‘চ্যা চ্যা কোয়াক’। স্পষ্ট দেখলাম একটা হলদে বিদ্যুৎ যেন ঝলসে গেল জানালার এপার থেকে ওপারে। উৎসুক হয়ে গেলাম জানালার কাছে।
অনিলের কথায় অরণ্য হালকা-তরল মুড ছেড়ে আবার সিরিয়াস গম্ভীর হয়ে গেল। বলল, “না! অনিলকে কে মারল আর কেনই বা মারল, সেই প্রশ্ন আমাকে কুরে-কুরে খাচ্ছে আর্য! আমি যত ভাবছি, তত অবাক হয়ে যাচ্ছিস!”
আর্য বলল, “আমিও!”
রেস্তরাঁতে পেটপুজোর পর মৌরি খেতে দেওয়া হয়। মৌরি হজমে সাহায্য করে। হালকা মিষ্টি স্বাদের এই মৌরি শুধু মুখশুদ্ধি হিসাবেই নয়, রান্নাতেও ব্যবহার করা হয়। শুধু মৌরি চিবিয়ে খেলেই যে এর উপকার পাওয়া যায় তা নয়, মৌরি-জলও সমান উপকারী।
হুচরি অসমের একটি জনপ্রিয় লোক উৎসব। বৈশাখ মাসের বিহু অর্থাৎ রঙ্গালি বিহুতে পালিত হয়। এই অনুষ্ঠান সংক্রান্তির দিন থেকে টানা সাতদিন ধরে চলে। এই অনুষ্ঠানে শুধু পুরুষরাই অংশ নিতে পারে। হরিনামের গুনগান দিয়েই এই উৎসবের শুরু এবং শেষ হয়।