চলচ্চিত্র জগতে নক্ষত্রপতন। প্রয়াত হয়েছেন পরিচালক শ্যাম বেনেগাল। মৃত্যুকালে পরিচালকের বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। ২৩ ডিসেম্বর সন্ধে ৬টা বেজে ৩০ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

চলচ্চিত্র জগতে নক্ষত্রপতন। প্রয়াত হয়েছেন পরিচালক শ্যাম বেনেগাল। মৃত্যুকালে পরিচালকের বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। ২৩ ডিসেম্বর সন্ধে ৬টা বেজে ৩০ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
সুজাতা চিৎকার করে উঠলেন। তাড়াহুড়ো করে প্রণয়কে বাধা দিতে গিয়ে হুইলচেয়ারের চাকায় পা জড়িয়ে গিয়ে মুখ থুবড়ে পুরো শরীরের ভার নিয়ে মেঝের ওপর পড়ে গেলেন। নাক-মুখ থেকে গলগল করে রক্ত বের হতে লাগলো। সুরঙ্গমা আর বাবলি ছুটে গিয়ে সুজাতাকে সোজা করে শোয়াতে গিয়ে দেখলেন সুজাতার জ্ঞান নেই।
শীত যাই-যাই করতে শুরু করলেই শুরু হয়ে যায় দোয়েলের বিচিত্র সুরমূর্ছনা। গায়ক পাখি হিসেবে দোয়েলের খ্যাতি তো দুনিয়াজোড়া। তবে হ্যাঁ, দোয়েলদের বংশে শুধু গায়কই হয়, গায়িকা হয় না! আর রূপেও স্ত্রী দোয়েলদের টেক্কা দেয় পুরুষ দোয়েল। পুরুষ দোয়েলকে রূপ আর গুণের জন্য পাখি-সাম্রাজ্যের ‘কার্তিক’ বললে মনে হয় অত্যুক্তি হয় না।
সত্যব্রতর কাছ থেকে ফেরার সময় গাড়িতে শাক্য বা সুদীপ্ত কেস নিয়ে কোন কথা বলছিল না। শাক্যই বারণ করেছিল। এখন সে কাউকেই বিশ্বাস করতে পারছে না। যাদের বিরুদ্ধে পুলিশ বিভাগ লড়াই শুরু করেছে, তারা যে যথেষ্ট শক্রিশালী কোন গ্যাং, তাতে কোন সন্দেহ নেই। এর সঙ্গে আবার যুক্ত হয়েছে, পিশাচপাহাড় রিসর্টের মার্ডার। কালাদেও কেন যে পিশাচপাহাড় রিসর্টে ঢুকে মার্ডার করতে যাবে, এটা শাক্য বা সুদীপ্ত কারওই মাথায় আসেনি।
শীতকালের একটি পুষ্টিকর সব্জি হল মুলোশাক। দামও কম। মুলোশাক ভিটামিন কে, ভিটামিন সি, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ফোলেট এবং ক্যালশিয়ামে পরিপূর্ণ। এই সব্জিকে শীতকালীন স্বাস্থ্যের সুপার হিরো বলা যেতে পারে। সস্তার এই শাকের পুষ্টিগুণ প্রচুর। তাই একে খাদ্য তালিকায় রাখা যেতে পারে।
জানো চ্যাম্প, আমি এমনি এমনি তোমায় এই নামটা দিইনি। তুমি সত্যানুসন্ধানী তুমি নাট্যকার, পরিচালক, আবার তুমিই চিত্রনাট্যকার সিনেমা এবং তথ্যচিত্রনির্মাতা! ব্যোমকেশ লিখতে পারলে শরদ্বিন্দুকে অজিত সাজতে হত না। আবার দেখো ফেলুদা সঙ্গে একজন সুপারহিট রহস্যকাহিনিকার থাকতেও লেখার স্বত্ব একজন সেরা লেখককে দিয়েছেন।
অসম সবুজের দেশ। পশু-পাখিও রয়েছে অসংখ্য। কোথাও ঘন জঙ্গল তো কোথাও আবার ঘন জন বসতি, সব মিলিয়েই আমাদের অসমের পূর্ণতা। মানুষের আধুনিক জীবনের থেকে অনেক দূরে প্রকৃতির কোলে রয়েছে এই বন্য পশু-পাখিরা। অসমে মোট পাঁচটি জাতীয় উদ্যান রয়েছে। প্রায় ১৫টিরও বেশি অভয়ারণ্য রয়েছে এই রাজ্যে। নানান বনজ উদ্ভিদের সমারোহ অসমের জঙ্গলে।
দুপুরের নিস্তব্ধতা ভেঙে আওয়াজ আসে, সব্জি নেবে গো সব্জি। ভ্যান ঠেলে ঠেলে নিয়ে চলে এক শীর্ন দেহি মহিলা। ক্লান্ত দুটি চোখ। মাথায় একটা টুপি। ভ্যান ভরা মরসুমি সব্জি। নাম দীপা বিশ্বাস। কোভিডের সময় থেকে বাজার উঠে এসেছিল বাড়ি বাড়ি। পুরুষদেরই সব্জি ফেরি করতে দেখেছি এতদিন কল্যাণীতে।
রাজা দশরথের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। চতুর্দশ দিবসে রাজার কর্মসহায়ক মন্ত্রীরা সকলে মিলিত হয়ে ভরতকে বললেন, মন্ত্রীদের মাননীয় রাজা দশরথ। তাঁর গুরুত্ব গুরুর থেকেও বেশি। জ্যেষ্ঠ রাম ও মহাবীর লক্ষ্মণকে নির্বাসিত করে, রাজা আজ প্রয়াত হয়েছেন। নেতৃত্বহীন রাজ্যে কোন অপরাধমূলক কাজ এ পর্যন্ত ঘটেনি। হে মহাযশস্বি রাজনন্দন, আপনি আমাদের রাজা হন।
ছেলেদের খাওয়া হয়ে গেলে শ্রীমা মেয়েদের খেতে দিয়ে তাদের সঙ্গে নিজেও একটু খেতেন। ভক্তদের আনা ফলমিষ্টি শ্রীমা সামান্যই মুখে দিতেন, সেসব অন্যেরাই পেত। ইদানীং তাঁর দাঁত গেছে, চারটি মুড়িই জল খাওয়া, তাও চিবোতে পারেন না। তাই আঁচলে মুড়ি নিয়ে একটা নোড়া দিয়ে সেগুলো গুঁড়ো করে নবাসনের বৌকে ডেকে বলেন, ‘বৌমা, দাও তো একটু নুন, লঙ্কা’।
মৃণালিনী দেবীর জীবনের সময় তো খুব বেশিদিন ছিল না, পরিচিতি বলতে প্রতিভাবান কবির স্ত্রী। জীবনের সংক্ষিপ্ত পরিসরে স্বামী সন্তান আর ঘরের দেখভাল করতে থাকা মৃণালিনীর গল্প সকলের জানা। আমি বরং আজ মৃণালিনীর চিঠির দেরাজ খুলে বসি আর অক্ষরের উপর অক্ষর সাজিয়ে এক নতুন মৃণালিনীকে খুঁজতে থাকি। যদি বলি, যে কয়টি চিঠি পড়তে পেরেছি, আর তাঁর প্রত্যুত্তরগুলি থেকে যেটুকু আভাস পেয়েছি আমার মনে হয়েছে একটু সুযোগ আর সময় পেলে মৃণালিনী দিব্যি রম্যরচনা লিখতে পারতেন।
সেবার বোধিসত্ত্ব স্বর্গের অন্যতম দেবপুত্রভাবে অবস্থান করছেন। ব্রহ্মদত্ত তখন বারাণসীর রাজা, সেসময় বারাণসীতে এক বিশাল উত্সব আয়োজিত হল। বারাণসী বলে কথা! সেই মহোত্সবে নাগ, পক্ষী, দেবগণ নানালোক থেকে বারাণসীতে আসতে থাকলেন। নানাবিধ স্বর্গলোক থেকে দেবতারা আসছেন, তাঁদের মধ্যে চারজন দেবপুত্র ছিলেন। বোধিসত্ত্ব এঁদের অন্যতম।
ত্রিপুরার রাজা বীরবিক্রম কিশোর মাণিক্য তাঁর পূর্বপুরুষদের মতোই ছিলেন শিক্ষা ও সংস্কৃতির গভীর অনুরাগী। রাজ্যে শিক্ষা বিস্তারে তিনি যেমন বহুমুখী উদ্যোগ নিয়েছিলেন, তেমনই সাহিত্য সংস্কৃতিরও উদার পৃষ্ঠপোষকতা করে গিয়েছেন এই রাজা। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ‘ভারত ভাস্কর’ উপাধি দিয়েছিলেন তিনি।
জাকির হুসেনের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ সঙ্গীতকুল। স্তব্ধ হল তবলায় জাদুস্পর্শ। রবিবার কিংবদন্তি তবলাবাদক, সঙ্গীতজ্ঞ, অভিনেতা উস্তাদ জাকির হুসেন সান ফ্রান্সিসকোর হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন। কিংবদন্তি র প্রয়াণের খবর নিয়ে নানা বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল। যদিও সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, তবলাবাদক উস্তাদ জাকির হুসেন প্রয়াত হয়েছেন।
আশ্রমে আনন্দ-আহরণের অফুরান আয়োজন ছিল। নৃত্যগীতি পরিবেশন থেকে নাট্যাভিনয়, এমনকি ফুটবলও। ছাত্র ও শিক্ষকের সম্মিলিত উপস্থাপন, ফলে আনন্দও হত দেদার। আনন্দ হত পিকনিকেও। আনন্দের জন্যেই তো সেই আয়োজন। শীতকালেই পিকনিক হত বেশি।