রবীন্দ্রনাথের পত্র পাবার আগেই বীরচন্দ্র ‘মুকুট’ ও ‘রাজর্ষি’ পড়ে ফেলেছিলেন বলে তাঁর পত্র সূত্রে জানা যায়। ইতিহাস-আশ্রিত গল্প ‘মুকুট’ রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন’রাজর্ষি’র আগে। পরবর্তী সময়ে তিনি তার নাট্যরূপ দেন।

রবীন্দ্রনাথের পত্র পাবার আগেই বীরচন্দ্র ‘মুকুট’ ও ‘রাজর্ষি’ পড়ে ফেলেছিলেন বলে তাঁর পত্র সূত্রে জানা যায়। ইতিহাস-আশ্রিত গল্প ‘মুকুট’ রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন’রাজর্ষি’র আগে। পরবর্তী সময়ে তিনি তার নাট্যরূপ দেন।
একটা ম্যাচ মৃদুল খুব ভালো ব্যাট করে জিতিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু তার পরের ম্যাচটাতে মাত্র চার রানে বাউন্ডারি লাইনের ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যায়। হারা ম্যাচ দলের অন্যান্য খেলোয়াড়রা মিলেজুলে কোনক্রমে বাঁচিয়ে দেয়। মৃদুলের রেকর্ড খুবই ভালো, তার জন্যই সেদিনের ম্যাচে বেঙ্গল সিলেক্টররা এসেছেন খেলা দেখতে।
শ্রীমা একদিন বেলা প্রায় চারটের সময় অনেক মহিলা ভক্তের সঙ্গে বসেছিলেন। তাদের মধ্যে শ্রীম’র স্ত্রী, ডাক্তার দুর্গাপদবাবুর স্ত্রী, গৌরীমা ও তাঁর পালিতা কন্যা, ‘দুর্গাদিদি’ বলে যাকে সরযূদেবী ডাকে আর বরেনবাবুর পিসি ছিলেন। শ্রীমা হাসিমুখে সকলের সঙ্গে কথা বলছেন। তিনি সরযূদেবীকে দেখে বসতে বললেন। সরযূদেবী গৌরীমাকে দিয়ে নিচে অফিস থেকে ‘নিবেদিতা’ ও ‘ভারতে বিবেকানন্দ’ বইদুটি আনালেন। তাঁর ইচ্ছা শ্রীমা ‘নিবেদিতা’ বই থেকে কিছু শোনেন।
জাতকমালার যে কাহিনি আজকের প্রতিপাদ্য সেখানে বোধিসত্ত্বের প্রত্যক্ষ ভূমিকা দেখা যাবে না। কাল বারাণসীরাজ ব্রহ্মদত্তের শাসনকাল, স্থান হিমালয়ের গহন বন। বোধিসত্ত্ব সেবার নাকি ওই বনের কোনও এক বনস্পতিতে বৃক্ষদেবতা হয়ে জন্মান্তর লাভ করেছেন। তিনি এই কথার নীরব সাক্ষী, মুখ্য চরিত্রগুলির মধ্যে তাঁর অন্তর্ভাব নেই।
বাজশ্রবা সেদিন খুব ব্যস্ত। রাশভারী লোক। সকলে তাঁর কথায় তটস্থ। শুধু ঠ্যাঁটা ছেলেটার কোনও ভয়ডর নেই। জ্বালিয়ে খেল আর কী। শিশু মনস্তত্ত্ব তিনিও খানিক বোঝেন। একেই আজ বিশ্বজিৎ যাগের শেষে দানানুষ্ঠান সম্পন্ন করার তাড়া, তার ওপর হতচ্ছাড়া ছেলেটা বলে কি, “আমায় কাকে দিচ্ছ?”
মন্থরক একজন অভিজ্ঞ দার্শনিকের মতো হিরণ্যককে বোঝাচ্ছিলেন, যে সম্পদ ব্যবহার হয় না, তার থাকা না-থাকা সমান। ফলে তাই নিয়ে দুঃখ করবার কোনও কারণ নেই। মন্থরকের মতে, মানুষেরমানই হল শ্রেষ্ঠ সম্পদ।যেদিন সেই মানসম্মানটুকুও মানুষের থাকে না, তখনই তাকে দরিদ্র বলতে হয়। না হলে সামান্য একটা বৃষকে মাত্র সম্পদ করে দেবাদিদেব মহাদেব একজন ধনীব্যক্তির মতন নিশ্চিন্তেকি ঘুরে বেড়াতে পারতেন!
স্ক্রিনে চিত্রনাট্য, শিল্প নির্দেশনা প্রভৃতি হাজারো অসুবিধা থাকলেও উত্তমবাবুর উপস্থাপন ভঙ্গিতে তা মুহূর্তেই যেন প্রাণ পেত। দেবী সরস্বতীর এমন এক আশীর্বাদ উনার উপর বিরাজ করতো যে প্রতিটা মুহূর্তকে ফ্রেমবন্দি করার একটা দুর্লভ সাহস উনি দেখাতে পারতেন।
রবীন্দ্রনাথ নিজেও মৃণালিনী দেবীকে পড়িয়েছেন। ভ্রাতুষ্পুত্র বলেন্দ্রনাথও বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন। সরাসরি পড়ানো নয়, তিনি যখন যে বই পড়তেন, তা অবশ্যই শোনাতেন তাঁর ‘কাকিমা’কে। রথীন্দ্রনাথের লেখায় আছে, ‘বলুদাদার কাছ থেকে শুনে শুনে মায়ের এই তিন ভাষার সাহিত্যের সঙ্গে বেশ ভালো করেই পরিচয় হয়েছিল।’ বলা বাহুল্য, বাংলা, ইংরেজি ও সংস্কৃত ভাষার কথা বলেছেন কবিপুত্র।
বইমেলাতে বই থাকবে একটাই স্বাভাবিক। এবারের বইমেলাতে বইয়ের স্টলের সন্নিবেশ বেশ ভালো। যিনি বই খুঁজবেন তিনি পথ হারাবেন না। এছাড়াও প্রাতরাশ থেকে ডিনার সব বইমেলাতে পাওয়া যাচ্ছে। অনেকেই আউটিংয়ের জন্য আসছেন। মনের খাবারের সঙ্গে পেটের খাবার আছে। চয়েস আপনার।
বইমেলায় রাশি রাশি বইয়ের মাঝে ইতস্তত নজরে পড়বে পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বই উঁকি মারছে। দীপ প্রকাশন থেকে প্রকাশিত ‘ঠাকুরবাড়ির সত্যকথন’-এর সব লেখাই ‘সময় আপডেটস’-এ ‘গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি’ শিরোনামে প্রকাশিত হয়েছে। শেষ ত্রিশটি লেখা নিয়ে এই বইটি বেরিয়েছে। আজ মেলার শেষ দিন। বইয়ের জন্য কাতারে কাতারে হাজারে হাজারে মানুষ ভিড় করবে।
অতনু সেনের রেকমেন্ডেশন বলেই কি দিয়ার এথেনা ইনফোটেক-এ চাকরি পেতে খুব একটা অসুবিধে হয়নি? ভদ্রতার জন্যই তো তাঁকে একটা… ফোন নম্বর চাইবে? কিন্তু মিস্টার চ্যাটার্জি যদি কিছু মনে করেন?
মানি প্ল্যান্ট বা জেড প্ল্যান্ট নিয়ে অসুবিধা নেই। কিন্তু বুঝতে পারছেন না সাদা ফুলের পিস লিলি গাছ রাখলে সৌন্দর্য বাড়বে বাহারি পাতার অ্যাগলোনিমা ঘরের শ্রীবৃদ্ধি ঘটাবে।
ফিঙেরা উঁচু জায়গায় বসে থেকে চারদিকে লক্ষ্য-নজর রাখে। ফলে কোথাও কোনও পাতার আড়ালে শিকার ধরার অপেক্ষায় শিকরে বাজ বা চিল চুপচাপ বসে থাকলে কিংবা আকাশে উড়তে দেখলে ফিঙের নজর এড়ায় না। আর তৎক্ষনাৎ সে অবিকল শিকরে বাজের মতো ‘কিক-কি কিক-কি’ করে ডাকতে শুরু করে। আসলে এটা অন্য পাখিদের সতর্কীকরণের ডাক।
এই পৃথিবীতে মানুষ যেমন রাগে-ক্ষোভে-লোভে-স্বভাবে মৃত্যু, ধ্বংস, অপরাহ কিংবা পাপ করে চলে, কোনও সভ্যতা-কোনও মনীষীর বাণী তাদের সেই পথ থেকে বিচ্যুত করতে পারে না, তেমনই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডেও একই নিয়ম। সৃষ্টি কখন চিরন্তন নয়, কিন্তু ধ্বংস চিরন্তন। কিংবা হয়তো সৃষ্টির জন্ম নেয় ধ্বংসের বীজ গর্ভে নিয়েই। আলোর গর্ভেই থাকে অন্ধকারের গোপন অঙ্কুর।
অসংযম জাগতিক দ্বন্দ্বের মূলগত। পারস্পরিক বিদ্বেষ কিংবা জুগুপ্সা, ঈর্ষা কিংবা পরশ্রীকাতরতা, অহংবোধের দুর্দমনীয় আকর্ষণ কিংবা পরপীড়ায় সুখানুভূতি মানুষকে সদাসর্বদা ঘিরে রেখেছে। নাগরিক জীবনে, রাষ্ট্রজীবনে, ব্যক্তিজীবনে অথবা সংসারে পরপ্রবঞ্চনা ও আত্মপ্রবঞ্চনার দুর্বিপাক মানুষের অহংবোধকে নিয়ত তৃপ্ত ও আগ্রাসী করে তুলছে।