দরজার বাইরে আবলুশ কাঠের মতো কালো আর রোগা একটি বাচ্চা মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বছর বারো কি চোদ্দ বয়স হবে। পরনে একখানা মলিন ফ্রক। মাথার চুল রুক্ষ কিন্তু দীর্ঘ, প্রায় হাঁটু পর্যন্ত। খালি পা।

দরজার বাইরে আবলুশ কাঠের মতো কালো আর রোগা একটি বাচ্চা মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বছর বারো কি চোদ্দ বয়স হবে। পরনে একখানা মলিন ফ্রক। মাথার চুল রুক্ষ কিন্তু দীর্ঘ, প্রায় হাঁটু পর্যন্ত। খালি পা।
পূষণ অবাক হয়ে বলল, “এ তো একপ্রকার নরবলিই। কেবল ফর্মটা আলাদা। রূপকথার গল্পে ছোটবেলা পড়েছি, পাহাড়ের মাথায় থাকে এক রাক্ষস। তাকে সন্তুষ্ট করার জন্য প্রতি মাসে একজনকে পাঠাতে হতো।
অনিল অন্যদিকে তাকাল। তার গলাটা শুকিয়ে আসছে। সে একটা জলের বোতলের জন্য ঘরের দিকে পা বাড়াল।
পূষণ পাশের একজনকে জিজ্ঞাসা করল, “আচ্ছা, কালাদেওটা কে? কোন দেবতা?”
শুকনো পাতার উপর মৃদু শব্দ। শিকারী অন্য পথ ধরবে এবার। উপরে অপেক্ষমান সেও জানত এটা। তার চোয়াল কঠিন। জ্বলে উঠল চোখ। শিকারীর পিছু নিল আর এক আনাড়ি কিন্তু স্থিরলক্ষ্য কেউ।
কালাদেওর গপ্পো ছড়িয়ে এ-কোনও সত্যকে আড়াল করতে চাইছে হয়তো! সে এগিয়ে গেল, “মঙ্গল! মঙ্গল! এই সরো সরো! কী হয়েছে আমায় দেখতে দাও।”
তৃধা কিছুক্ষণ আগেও উপভোগ করছিল স্নানদৃশ্য। অরণ্য তাকে ডেকেওছিল। যদিও তার রিল থাকত না। কিন্তু তৃধা যায়নি। একে তো সে কোন উপযুক্ত স্নানপোশাক নিয়ে আসেনি।
পুষণ ইয়ার্কি করার চেষ্টা করেছিল, “তুমি আমাকে দেখবে না কি বাইরের ওই একঘেঁয়ে দৃশ্য দেখবে?”