অরণ্যের আফসোস হচ্ছিল যে, তাদের টিমে একজন দক্ষ ক্যামেরাম্যান থাকা উচিত ছিল। তাহলে নিজেকে এক্সপোজ করতে সুবিধা হত। এ ভাবে ফ্রন্ট মোডে যতই ভিডিও শুট করা হোক না কেন, তা যে তেমন মানের হবে না, তা বলাই বাহুল্য।

অরণ্যের আফসোস হচ্ছিল যে, তাদের টিমে একজন দক্ষ ক্যামেরাম্যান থাকা উচিত ছিল। তাহলে নিজেকে এক্সপোজ করতে সুবিধা হত। এ ভাবে ফ্রন্ট মোডে যতই ভিডিও শুট করা হোক না কেন, তা যে তেমন মানের হবে না, তা বলাই বাহুল্য।
অস্থির লাগছিল সত্যব্রতর। যে পারত এর সঠিক ব্যাখ্যা দিতে, সেই গোবিন্দই তো থেকেও নেই। তাহলে? কার কাছে যাবেন তিনি?
শাক্য আর কী করে? আর বেশি দেরি না করে সে টেনে নিল সাপ্তাহিক জাগরণের কাটিং—কালাদেওর ইতিহাস!
রিমিতার চোখ বন্ধ, মাথার চুল ছড়িয়ে আছে, কিছু মুখের উপর এসে পড়েছে। গায়ে একটা সাদা রাতপোষাক। পূষণ জানে তার নীচে কিছু নেই, কোনও অন্তর্বাস কিংবা আর কিছু।
পুত্রশোক খুব বড় শোক। কিন্তু সত্যব্রত যখন বলল, এক সপ্তাহ আগেই বুধনের মৃত্যু হয়েছে, তখন যে প্রশ্নটা সকলকে হতবাক করে দিল, তাহলে এতদিন বুধন হিসাবে যে মারুতির ঘরে ফিরে এসেছিল সে কে? কী তার উদ্দেশ্য?
একেজি বললেন, “আমার অনুমান-শক্তি বলছে, কেসটা সাধারণ নয়। অনেক জট আছে, তার জন্য ইতিহাস-ভূগোলও ঘাঁটতে হতে পারে!”
গোবিন্দ বলল, “আমি স্যার এক্ষুনি হরিপদকে নিয়ে যাচ্ছি খোঁজ করতে। তবে স্যার বুধনের বাড়ি তো আমি চিনি না। মাস্টারবাবুর বাড়ি চিনি।
উঠে পড়েছিল শাক্য। এমন সময় মোবাইল বেজে উঠল। শাক্য ধরেই নিয়েছিল, দিদি। সে ফোন তুলে বলতে যাবে, “আসছি”, তার আগেই স্ক্রিনে দেখল ভেসে উঠেছি একেজি-র নাম।
হেলথ সেন্টার থেকে চার্চের দূরত্ব কম নয়। মিনিট পঁচিশেক তো বঠেই। এই ভরা সাঁঝের বেলা নুনিয়া সেখানে ফিরে যাবেই বা কীভাবে? সে চেঁচিয়ে ডাকল, “নুনিয়া? তুই এখানে?”
অরণ্য আর তৃধাও কৌতূহলী হয়ে সেদিকে তাকিয়েছিল। রিসর্টে পুলিশ? কোনও অপরাধীর খোঁজে, না কি মধ্যারাতে ফুর্তিফার্তার উদ্দেশ্যে, সেটাই বুঝতে চেষ্টা করল তারা।
মাস্টারবাবু বললেন, “সপ্তাহদুয়েক আগে বুধন একবার রাতের বেলা বেরিয়ে দু’দিন ফেরেনি। বাড়ির লোক পাগলের মতো খোঁজাখুঁজি করছিল। কিন্তু কোথাও তার দেখা পাওয়া যায়নি।
এমন সময় হঠাৎ গেটের কাছে একটা গাড়ি এসে থামল। তার হেডলাইটের আলো জোরালো ভাবে এসে পড়ল অরণ্য আর তৃধার চোখেমুখে।
বুধনের মতো আরও অনেকেই শর্টকাট হবে বলে, জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে যে পায়ে চলা রাস্তা আছে, তা ধরেই যায়। বুধনের আগে সাইকেল ছিল না।
সত্যব্রতর বেশ অবাক লেগেছিল। ‘পিচাশ’ মানে নিশ্চয়ই ‘পিশাচ’। কিন্তু একটা নিরীহ টিলাকে পিশাচ বলার কারণটা কী? এই নিয়ে সে প্রশ্ন করেছিল নাথানিয়েল গোবিন্দ সরেনকে।
সুদীপ্ত নামের অফিসারটির বয়স কম, বিবেচনাবুদ্ধি আছে। সে বলল, “স্যার, উনি সম্ভাবনার কথা বলেছেন। আর কথাটার মধ্যে যুক্তিও আছে। আমাদের সবরকম সম্ভাবনার কথাই মাথায় রাখতে হবে।