অভিষেক অবাক হলেন। এই আজকালকার ছেলে-ছোকরারা যারা এই লাইনে আসছে, তারা সবাই নিজেদের ব্যোমকেশ বক্সী, কিরীটী রায় কিংবা ফেলুদা বলে মনে করে। কাজে বেলায় অষ্টরম্ভা।

অভিষেক অবাক হলেন। এই আজকালকার ছেলে-ছোকরারা যারা এই লাইনে আসছে, তারা সবাই নিজেদের ব্যোমকেশ বক্সী, কিরীটী রায় কিংবা ফেলুদা বলে মনে করে। কাজে বেলায় অষ্টরম্ভা।
অজয় বাবু গম্ভীর মুখে বললেন, “যদি না, কেউ আগেই ওনার স্কাল ভারি কিছুর আঘাতে চুরমার করে দিয়ে ওপর থেকে নীচে ছুঁড়ে ফেলে। তবেই এভাবে স্কাল গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে যাওয়া পসিবল!”
শাক্য বলল, “গণেশ দাঁ। স্থানীয় ব্যবসায়ী। মশলার আড়ত আছে। কলকাতা থেকে মাল কিনে ফিরছিলেন। সঙ্গে অনেক টাকা ছিল। প্রায় হাজার চল্লিশের মতো।
বছর দশেক আগে থেকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তার কারণও আছে। এই অঞ্চল এবং অন্যান্য অঞ্চলের বেশ কয়েকজন ওই কুয়ায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছিল। সবার পরিচয়ও জানা যায়নি।
পূষণ বলল, “স্নান কে করবে এই সাত-সকালে? বললাম না, আমরা সেক্স করতে যাচ্ছি! ওয়াশরুম সেক্স এখন আর ওই সব স্নান-টানের কথা ভেবো না, এখন টাইম অনলি ফর ফান-এর!”
রামদাস চলে যায় দ্রুত। সুদীপ্তের মুখ-চোখের চেহারা, উত্তেজনা দেখে সে বেশ ঘাবড়ে গিয়েছে। যদিও সে জানে, পারলে এই থানার মধ্যে সুদীপ্তই পারবে রহস্যভেদ করতে।
শাক্য গম্ভীর ভাবে বলল, “জটিল তো বটেই! কেস কালাদেও এতটা সহজ কোনও মিস্ট্রি নয় যে, রাতারাতি তার সমাধান করে ফেলা যাবে।
সুবল অবাক হল, বিরক্তও। কে তাকে ডাকে এমন অসময়ে? কর্মচারীদের এখানে সাড়ে ছটার মধ্যে উঠে রেডি হয়ে যেতে হয়। আর এখন তো পাঁচটা বাজে মাত্র।
ঘড়ির কাঁটা দেখল শাক্য। বেশিক্ষণ হয়নি। আশা করি ফাইলগুলি পড়ে ফেলতে পারবে আজকের মধ্যেই। সে আর সময় নষ্ট না করে আবার ফাইলে ডুবে যায়।
নুনিয়া কুল খাচ্ছিল। কাঁচা কুল। অনেকখানি নুন সে চার্চের রসুই থেকে চেয়ে এনেছে। রসুইয়ের ধীরাজ স্যামুয়েল মহাপাত্র তাকে খুব ভালোবাসে।
সাম্প্রতিককালে কালাদেওর কীর্তি বলে যা পরিচিত, সেখানে দেখা যাচ্ছে যে, মৃতদেহর মুখের প্রতিই তাঁর আক্রোশ বেশি। অনেক ক্ষেত্রে বডিতে অন্যান্য চিহ্ন দেখে সে কারণেই মৃতদেহ সনাক্ত করতে হচ্ছে।
অরণ্যের আফসোস হচ্ছিল যে, তাদের টিমে একজন দক্ষ ক্যামেরাম্যান থাকা উচিত ছিল। তাহলে নিজেকে এক্সপোজ করতে সুবিধা হত। এ ভাবে ফ্রন্ট মোডে যতই ভিডিও শুট করা হোক না কেন, তা যে তেমন মানের হবে না, তা বলাই বাহুল্য।
অস্থির লাগছিল সত্যব্রতর। যে পারত এর সঠিক ব্যাখ্যা দিতে, সেই গোবিন্দই তো থেকেও নেই। তাহলে? কার কাছে যাবেন তিনি?
শাক্য আর কী করে? আর বেশি দেরি না করে সে টেনে নিল সাপ্তাহিক জাগরণের কাটিং—কালাদেওর ইতিহাস!
রিমিতার চোখ বন্ধ, মাথার চুল ছড়িয়ে আছে, কিছু মুখের উপর এসে পড়েছে। গায়ে একটা সাদা রাতপোষাক। পূষণ জানে তার নীচে কিছু নেই, কোনও অন্তর্বাস কিংবা আর কিছু।