৮ ফাল্গুন, ১৪৩১ শুক্রবার ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক

পর্ব-৮৮: পালাবার কোনও পথ নেই

পর্ব-৮৮: পালাবার কোনও পথ নেই

রুমটি প্রায়ান্ধকার। জানালার ভারি পর্দাগুলি সব ভালো করে টানা। পড়ন্ত বিকেলের রোদের আভা যে তাতে সম্পূর্ণ আটকানো গেছে, এমনটা নয়। সারা ঘরময় একটা মিহিন কুয়াশার মতো আলো ছড়িয়ে আছে। ঘরের মধ্যে কুলার চলছে, ফলে রুমের ভিতরের আবহাওয়া খুব মনোরম। বাইরের তপ্ত চাটুর মতো গনগনে হাওয়া রুমের ভিতরে একরত্তিও নেই।

read more
পর্ব-৮৭: নকল বুধন মাহাতো

পর্ব-৮৭: নকল বুধন মাহাতো

সুদীপ্ত বসে ছিল। তার মুখচোখ ভাবলেশহীন। দেখে বোঝার উপায় নেই, সত্যব্রতর কথাকে সে আদৌ গুরুত্ব দিচ্ছে কি না। তবে শাক্য জানে, এই মুহূর্তে সে পকেটে থাকা স্পাই ক্যামেরা অন করে দিয়েছে, যাতে এই সাক্ষাৎকারের সবকিছুর ভিডিও রেকর্ডিং থাকে। নাহ্‌, তারা ভাবছে না, ডাক্তার অপরাধী কিংবা অপরাধীদেরই কেউ, পুলিশকে মিসলিড করার জন্য যিনি মনগড়া গপ্পো ফেঁদে বসেছেন।

read more
পর্ব-৮৬: ‘অরণ্যবার্তা’র অফিসে

পর্ব-৮৬: ‘অরণ্যবার্তা’র অফিসে

পূষণ আন্দাজ বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ ‘অরণ্যবার্তা’র অফিসের সামনে এসে অপেক্ষা করছিল। রিমিতাও তার সঙ্গে আছে। মালাকারবাবুকে ফোন করে অনুমতি নিয়েই তারা এসেছে। মালাকার বলেছেন, স্থানীয় অঞ্চলে তারা ঘুরতেই পারে। তাতে পুলিশের আপত্তি নেই। কিন্তু স্টেশন লিভ করার ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ আছে।

read more
পর্ব-৮৫: সত্যব্রতর অনুমান

পর্ব-৮৫: সত্যব্রতর অনুমান

সত্যব্রত কুণ্ঠিত ভঙ্গিতে বললেন, “চা-কফি কিছু খাবেন? তাহলে গোবিন্দকে আনতে বলি। কফি আনতে গেলে নার্সদিদিদের কোয়াটার্স থেকেই আনতে হবে। গোবিন্দ কফি তেমন বানাতে পারে না। এ দিকে আমার মিসেস তার বাচ্চাদের নিয়ে কলকাতায় ফিরে গিয়েছেন। কালাদেওর আতঙ্কে তিনি এতটাই আতঙ্কিত যে, আর এখানে ফিরে আসবেন না জানিয়েছেন।

read more
পর্ব-৮৪: ঝোপে-ঝাড়ে হায়েনা

পর্ব-৮৪: ঝোপে-ঝাড়ে হায়েনা

রাতে হাসপাতাল এবং চার্চের ভিতরের অংশের আলো ছাড়া আর কোনও আলো জ্বলে না কোথাও, বিশেষ করে আবাসিকদের হোস্টেল যেখানে আছে, সেই অংশে কয়েকটি বাল্ব ছাড়া আর কিছুই জ্বলে না রাতে। তাও গাছপালার অন্ধকারে বাল্বের আলো পর্যাপ্ত বলে মনে হয় না। আবাসিকদের বিল্ডিংয়ের গায়েই খেলাধুলার জায়গা, ব্যাডমিন্টন কোর্ট, তার ওপাশে তিন তলা স্কুলবাড়ি।

read more
পর্ব-৮৩: তুরুপের তাস

পর্ব-৮৩: তুরুপের তাস

শাক্য মন দিয়ে শুনছিল সুদীপ্তর কথা। আগেই সে শুনেছে যদিও। কিন্তু সুদীপ্ত গোটা ঘটনাটা তাকে আর-একবার ব্রিফ করছিল। শাক্য মাঝেমাঝে প্রশ্ন করছিল। সুদীপ্ত তার মতো করে উত্তর দিচ্ছিল। আসলে অপেক্ষার সময়টাও এতে কাটছে, কিন্তু বোর হতে হচ্ছে না। শাক্য নিজে মনে করে একটা কেস যতবার যত জনের সঙ্গে আলোচনা-পুনরালোচনা করা যাবে, তত নতুন নতুন অ্যাঙ্গেল বেরিয়ে আসবে এবং সমাধানের সম্ভাবনাও বাড়বে।

read more
পর্ব-৮২: খটকা

পর্ব-৮২: খটকা

কয়েকদিন পর পিশাচপাহাড় রিসর্টের বোর্ডাররা সকলে রাতের খাবারের জন্য রিসর্টের ডাইনংয়ে হাজির হয়েছিলেন। রিসর্টের তরফ থেকে আজকের ডিনারের আয়োজন। এই ডিনারের জন্য বোর্ডারদের কোনও পে করতে হবে না। দু’-দুটি মৃত্যুর পর পিশাচপাহাড় রিসর্টের রেপুটেশনের যে ক্ষতি হয়েছে, তা পূরণ করার জন্যই কাপাডিয়া এই বিশেষ কমপ্লিমেন্টারি ডিনারের ব্যবস্থা করেছেন।

read more
পর্ব-৮১: শাক্যর চ্যালেঞ্জ

পর্ব-৮১: শাক্যর চ্যালেঞ্জ

কেবিনের বাইরে থমথমে মুখে বসে ছিল শাক্য। মালাকার, সুদীপ্ত এরাও আছেন। আরও দু’জন পুলিশ রয়েছে কেবিনের বাইরে। কিছুক্ষণ আগে পাভেলের অপারেশন করা হয়েছে। মাথার পিছনে রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছিল। অনেকখানি রক্ত বেরিয়ে যাওয়ায় তার অবস্থা অতি সঙ্কটজনক। চার বোতল রক্ত দিতে হয়েছে তাকে।

read more
পর্ব-৮০: বুধন মাহাতো কেস

পর্ব-৮০: বুধন মাহাতো কেস

থানায় বসে থাকতে থাকতে প্রথমত সত্যব্রত ভাবছিলেন, কতক্ষণে সেকেন্ড অফিসার আসবেন আর তাঁর কথা শুনবেন। তারপর সেই অফিসার সুদীপ্তবাবু এলেন কিন্তু কথা শুরু হওয়ার মুহূর্তেই বাধা পড়ল। একটা ফোনকল, কোথাও কিছু ঘটেছে। সুদীপ্তবাবুর মুখে সামান্য বিরক্তিসূচক ভঙ্গি দেখতে পেলেন সত্যব্রত, যদিও পরক্ষণেই তা মুছে গিয়ে একজন দায়িত্বশীল অফিসারের মুখোশ পরে নিলেন তিনি।

read more
পর্ব-৭৯: সংশয় আর সন্দেহ

পর্ব-৭৯: সংশয় আর সন্দেহ

তেতো মুখে নিজের রুমে বসেছিল অঞ্জন। উন্মেষাও তার মুখোমুখি বসে। রুম-সার্ভিসে ব্ল্যাক কফির অর্ডার দিয়েছিল উন্মেষা। কফি দিয়ে গিয়েছে। দুজনের হাতেই ধরা কফিমগ ভর্তি কফি। কিন্তু কেউই তাতে চুমুক দিচ্ছিল না।

read more
পর্ব-৭৮: নুনিয়া যখন ত্রাতা

পর্ব-৭৮: নুনিয়া যখন ত্রাতা

পাভেলের বিপদ হয়েছে শুনে শাক্য হতভম্ব হয়ে গিয়েছিল। সে বেঁচে আছে কি-না জানা নেই। মনে মনে সে প্রার্থনা করছিল যেন পাভেল অন্তত বেঁচে থাকে। তার সঙ্গে শাক্যর প্রতিনিয়ত খিটিমিটি লাগে, ঝগড়া হয়, কিন্তু তা-ও তাকে নিজের ভাইয়ের মতো, বন্ধুর মতো মনে করে সে।

read more
পর্ব-৭৭: কথা কিছু কিছু

পর্ব-৭৭: কথা কিছু কিছু

ভবানীবাবুও এবার একগাল হেসে বললেন, “আপনার মেমারি সাংঘাতিক মশাই। একবার দেখাতে যে-ভাবে নাড়ি-নক্ষত্র মনে রেখেছেন, তা প্রশংসা করার মতো। লোকে পথের আলাপ পথেই ভুলে যায়!”

read more
পর্ব-৭৬: আর্যর কথা

পর্ব-৭৬: আর্যর কথা

আর্য ফিরে এসেছে—এই কথাটা চাউর হতে দেরি হয়নি রিসর্টে। রিসেপশনিস্ট তাকে ঢুকতে দেখে জিজ্ঞাসা করেছে, রিসর্টের অন্যান্য কর্মচারীরাও তাকে ঢুকতে দেখে অবাক হয়েছে। বেলার দিকে না-হয়ে আর্য যদি রাতের বেলা কিংবা সন্ধ্যের পরও ফিরে আসত, তাহলে একেবারে হুলুস্থুল পড়ে যেত। কালাদেওর কাণ্ডকারখানার পরে সকলেই তাকে তখন ভূত বলে ভাবত।

read more
পর্ব-৭৫: সত্যব্রত সকাশে

পর্ব-৭৫: সত্যব্রত সকাশে

সত্যব্রত অপেক্ষা করছিলেন। অভিষেক মালকর এটা-ওটা বলছিলেন, আর হাতে-ধরা মোবাইলে সময় দেখছিলেন। সুদীপ্ত ছেলেটা যে কেন এত দেরি করছে? তিনি সত্যব্রতকে বললেন, “চা খাবেন?” “নাহ্! থানায় আসবার আগেই খেয়েছি। এখন আর খাবো না!” সত্যব্রত সবিনয়ে বললেন।

read more
পর্ব-৭৪: কথায়-কথায়

পর্ব-৭৪: কথায়-কথায়

শাক্য অবাক হয়ে গেল। মেয়েটির কি মাথা খারাপ না কি? তাহলে তো তাকে বিশ্বাস করে তার পিছু পিছু এতদূর আসাটা উচিত হয়নি একদমই! সে নুনিয়াকে ডাকতে যাবে, এমন সময় নুনিয়া নিজেই নেমে এল।

read more

Skip to content