কলেজ স্ট্রিটে মেডিকেল কলেজের কাছেই সবুজ রঙের সাইনবোর্ডে সোনালি অক্ষরে লেখা ‘এইচ মুখার্জি অ্যান্ড ব্যানার্জি সার্জিক্যাল প্রাইভেট লিমিটেড’। সেখানে গিয়ে স্টিকারটা পরীক্ষা করিয়েও এসেছে ধৃতিমান।

কলেজ স্ট্রিটে মেডিকেল কলেজের কাছেই সবুজ রঙের সাইনবোর্ডে সোনালি অক্ষরে লেখা ‘এইচ মুখার্জি অ্যান্ড ব্যানার্জি সার্জিক্যাল প্রাইভেট লিমিটেড’। সেখানে গিয়ে স্টিকারটা পরীক্ষা করিয়েও এসেছে ধৃতিমান।
সকালে কাঠবাদামের ঠোক্কর দিতে দিতে হঠাৎ বুবু ‘বাবু স্টিকার বাবু স্টিকার’ বলে চেঁচাতে লাগল। এ সব চিৎকার চেঁচামেচির খানিক পরেই বুবু বলতে থাকবে, ‘চেঁচাচ্ছিস কেন? কিরে? চেঁচাচ্ছিস কেন?’
বাবু বুবুর কথা স্পষ্ট বুঝতে পারে।
নিখিল সেনের পরামর্শে কিছুটা আর্থিক সাহায্য করার জন্য এগিয়ে গিয়েছিলেন সেই নামী ক্রিকেটার। মৃতের বাড়ির থেকে সেই সাহায্য নিতে অস্বীকার করা হয়েছিল। নিখিল সেন সত্যি সত্যি সাহায্য করতে তো চাননি। সাহায্য করার একটা বাতাবরণ তৈরি করতে চেয়েছিলেন।
একবারও পিছনের দিকে না তাকিয়ে শ্রুতি সেন সিঁড়ি দিয়ে দোতলায় উঠে যাচ্ছেন। তাঁর দিকে তাকিয়ে ধৃতিমান ভাবছিল হয়ত সবই ঠিকঠাক বলছেন। কিন্তু যদি না বলতেন তাহলে? শ্রেয়া ম্যাডাম কি ধমকে চমকেও এনার কাছ থেকে কোনও কথা বের করতে পারবেন?
শ্রেয়া বাসু কনস্টেবল দত্তকে নিয়ে একবার ঘুরে এসেছেন। তাঁরা তাদের মতো জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। কিন্তু বাবুর মনে হল তার নিজের একবার যাওয়া উচিত। শ্রুতি সেনের সঙ্গে গিয়ে একবার কথা বলাটা জরুরি। শ্রুতি নিখিল সেনের স্ত্রী।
সঞ্জয়কে ভয় দেখাতে পুনম বিবাহ বিচ্ছেদের মামলার হুমকি দিল। ব্যবসাকে আলাদা করে নেবারও কথা জানিয়ে দিল। আসলে পুনম এগুলো সবই অভিমান থেকে করেছিল। যাতে সঞ্জয় ভুল বুঝতে পেরে তার কাছে আবার ফিরে আসে। ঠিক আগের মত।
পুলিশ রেকর্ড আর কোর্টের নথি ঘেঁটে বাবু নিখিল সেনের সাম্প্রতিক অতীতের কয়েকটি কেসের খুঁটিনাটি বের করে ফেলল। তিনটি কেসেই মিল হল, নিশ্চিত খুনের দায় থেকে অপরাধীদের বেকসুর খালাস করতে সক্ষম হয়েছেন ব্যারিস্টার নিখিল সেন।
সেদিন রিসর্ট-এর ঘরে দ্বিতীয়বার খুঁজতে গিয়ে খাটের পাশে কার্পেটের উপর চকচকে কিছু একটা চোখে পড়ল। আঠা হালকা হয়ে আসা খুদে একটা হলোগ্রাফিক স্টিকার। সেই একটা ছোট্ট স্টিকার অনেক কিছু বলে দিল।
এসকর্টদের মধ্যে থেকেশেষ দিনের সেই মেয়েটির কাছে। জানা গেল এটা একটা প্রায় নিখুঁত খুন। কিন্তু খুনীর মুখোমুখি পৌঁছেও প্রথম আর সম্ভবত এই শেষবারের মতো ধৃতিমান খুনিকে ছেড়ে দিল। কিন্তু কেন?
চক্রবর্তী সাহেবের ফোন পেয়েই তড়িঘড়ি তৈরি হয়ে নিয়ে ধৃতিমান ওলা চড়ে রওনা দিল দক্ষিণ শহরতলীর উপকন্ঠের সেই রিসর্টে। এই রিসর্টের আসল মালিক রাজ্যের এক প্রভাবশালী মন্ত্রী।
ড্রাইভার ছিল না লোকটি নিজেই ড্রাইভ করছিলেন। কলকাতা পর্যন্ত অনেকটা রাস্তা শুধু থানার ওই মেজ বাবুর ফোন নম্বরের ভরসা করে রাস্তায় বের হননি এই ব্যবসায়ী।
অপরাধের তদন্ত সঠিক সময় না হলে টেলিভিশনের পর্দায় চায়ের কাপ হাতে নিয়ে দীপক চ্যাটার্জি এবং রতনলালরা বসে পড়বেন। তাই পুলিশের ব্যাকরণ বইতে আইনকানুন হল কর্মধারয় সমাস। যাহাই আইন তাহাই কানুন।
বউদি বিউটি বলেছিল ভুল হয়ে গিয়েছে। তার পরদিন অফিসফেরতা টেস্টের ডিবে নিয়ে এসেছিলেন। শ্রেয়া আর দত্ত গিয়ে বিউটির হাওড়ার কলেজ থেকে একটা ইনভেস্টিগেশন সেরে এসেছেন।
ভবানী পাল কয়েকবার সুষমা করের সঙ্গে বাড়ি বিক্রির ব্যাপারে কথা বলেছে, কিন্তু সুষমার ছেলে এবং বৌমা পল্লব আর বিউটির সঙ্গে ভবানী পালের আদায় কাচকলায় সম্পর্ক। এই ব্যাপারটা আবার কাকুকে সন্দেহ থেকে সরিয়ে দিচ্ছে। কি
ধৃতিমান নিজের পদ্ধতিতে ইনভেস্টিগেশন শুরু করে কতকগুলো গুরুত্বপূর্ণ ‘লিড’ পেল। এক পল্লবের ব্যবসা খুব একটা ভালো চলে না। দুই যে প্রোমোটার বাড়িটা নেবে সে শুধুমাত্র সূষমা করের দোতলাবাড়িটুকুই নেবে না।