সেদিন রিসর্ট-এর ঘরে দ্বিতীয়বার খুঁজতে গিয়ে খাটের পাশে কার্পেটের উপর চকচকে কিছু একটা চোখে পড়ল। আঠা হালকা হয়ে আসা খুদে একটা হলোগ্রাফিক স্টিকার। সেই একটা ছোট্ট স্টিকার অনেক কিছু বলে দিল।

সেদিন রিসর্ট-এর ঘরে দ্বিতীয়বার খুঁজতে গিয়ে খাটের পাশে কার্পেটের উপর চকচকে কিছু একটা চোখে পড়ল। আঠা হালকা হয়ে আসা খুদে একটা হলোগ্রাফিক স্টিকার। সেই একটা ছোট্ট স্টিকার অনেক কিছু বলে দিল।
এসকর্টদের মধ্যে থেকেশেষ দিনের সেই মেয়েটির কাছে। জানা গেল এটা একটা প্রায় নিখুঁত খুন। কিন্তু খুনীর মুখোমুখি পৌঁছেও প্রথম আর সম্ভবত এই শেষবারের মতো ধৃতিমান খুনিকে ছেড়ে দিল। কিন্তু কেন?
চক্রবর্তী সাহেবের ফোন পেয়েই তড়িঘড়ি তৈরি হয়ে নিয়ে ধৃতিমান ওলা চড়ে রওনা দিল দক্ষিণ শহরতলীর উপকন্ঠের সেই রিসর্টে। এই রিসর্টের আসল মালিক রাজ্যের এক প্রভাবশালী মন্ত্রী।
ড্রাইভার ছিল না লোকটি নিজেই ড্রাইভ করছিলেন। কলকাতা পর্যন্ত অনেকটা রাস্তা শুধু থানার ওই মেজ বাবুর ফোন নম্বরের ভরসা করে রাস্তায় বের হননি এই ব্যবসায়ী।
অপরাধের তদন্ত সঠিক সময় না হলে টেলিভিশনের পর্দায় চায়ের কাপ হাতে নিয়ে দীপক চ্যাটার্জি এবং রতনলালরা বসে পড়বেন। তাই পুলিশের ব্যাকরণ বইতে আইনকানুন হল কর্মধারয় সমাস। যাহাই আইন তাহাই কানুন।
বউদি বিউটি বলেছিল ভুল হয়ে গিয়েছে। তার পরদিন অফিসফেরতা টেস্টের ডিবে নিয়ে এসেছিলেন। শ্রেয়া আর দত্ত গিয়ে বিউটির হাওড়ার কলেজ থেকে একটা ইনভেস্টিগেশন সেরে এসেছেন।
ভবানী পাল কয়েকবার সুষমা করের সঙ্গে বাড়ি বিক্রির ব্যাপারে কথা বলেছে, কিন্তু সুষমার ছেলে এবং বৌমা পল্লব আর বিউটির সঙ্গে ভবানী পালের আদায় কাচকলায় সম্পর্ক। এই ব্যাপারটা আবার কাকুকে সন্দেহ থেকে সরিয়ে দিচ্ছে। কি
ধৃতিমান নিজের পদ্ধতিতে ইনভেস্টিগেশন শুরু করে কতকগুলো গুরুত্বপূর্ণ ‘লিড’ পেল। এক পল্লবের ব্যবসা খুব একটা ভালো চলে না। দুই যে প্রোমোটার বাড়িটা নেবে সে শুধুমাত্র সূষমা করের দোতলাবাড়িটুকুই নেবে না।
জেরার মুখে বৌমা বিউটি সেটা অস্বীকার করেননি। অস্বীকার না করার যুক্তিযুক্ত কারণ দুটো। এক নম্বর ফ্রিজের মধ্যে যে দুটো সন্দেশ রয়ে গিয়েছে এটা বিউটি জানতেন না।
রাতে খাওয়াদাওয়া করে গিয়েছিল। কাজের মাসি মলিনা রাতে বাড়িতে ছিল। বাইরে থেকে বাড়িতে আসার পুরনো দু’ পাল্লার সদরদরজার বদলে এক পাল্লার ডোর লক লাগানো দরজা হয়েছে। এত বছরে এই একটাই পরিবর্তন।
বুবু বাবুর সঙ্গে স্টুডিয়ো শুটিং-এ যেতো তবে আউটডোরে নয়। তখন বুবু থাকতো বাবুর নাটকের দলের একজনের বাড়িতে অতিথি হয়ে। বুবু বাবুর সঙ্গে খাঁচায় নয়, হারনেস বাঁধা বুবু বাবুর কাঁধে চেপে স্টুডিয়োতে যেত।
মৃতা সুষমা দেবীর ছেলে পল্লব এখনও গুম হয়ে আছে। কথা জিজ্ঞেস করলে একটা দুটো উত্তর দিচ্ছে। বৌমা’র কান্না থামছে না। বাবু মানে আমাদের ধৃতিমান একটা ব্যাপারে বেশ অবাক হল।
ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্টের লোকজন আসার আগে মৃতদেহ ময়নাতদন্তে যাবে না। ধৃতিমান এক ঝলকে দেখে নিল বিভূতি বা ডিপার্টমেন্টের কেউ তখনও পৌঁছননি। সুতরাং ধরে নেওয়া যেতে পারে ক্রাইম স্পট একই রকম আছে।
বাবুকে চেনেন? না, না সন্দীপ রায় নন। তবে বাবুও ছবি বানিয়েছে। মানে চিত্রপরিচালক। নাম বললেই ফস করে চিনে ফেলার মতো বিখ্যাত সে নয়। নাম ধৃতিমান। না, চ্যাটার্জিও নয়।