শুক্রবার ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

রহস্য উপন্যাস: হ্যালো বাবু!

পর্ব-৫৫: খুনি কয়েকদিন ধরেই কৌশিকীকে নিখুঁতভাবে অনুসরণ করেছে

পর্ব-৫৫: খুনি কয়েকদিন ধরেই কৌশিকীকে নিখুঁতভাবে অনুসরণ করেছে

সম্ভবত কৌশিকী তখন বাথটাবেই ছিল অর্ডার দেওয়া ওয়াইন বাইরে রাখতে বলেছিল। প্রতিদিন কাজের শেষে সন্ধেবেলায় নিয়মিত কৌশিকী ওয়াইন অর্ডার করেছে একটা নির্দিষ্ট সময়ে। হোটেলের সিস্টেম থেকে এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে। তার মানে যে খুনি সে এই তিন চারদিন ধরে কৌশিকীর নানা হ্যাবিট নিখুঁতভাবে ফলো করেছে।

পর্ব-৫৪: আততায়ী এক, নাকি দুই?

পর্ব-৫৪: আততায়ী এক, নাকি দুই?

ধৃতিমানের হঠাৎ সুজাতা মুখার্জি হত্যা রহস্যের দায়ী সেই লরির কথা মনে পড়ল। রাস্তার সিসিটিভিতে লরির নাম্বার প্লেট ধরা পড়েনি। নম্বর প্লেটে কিছু একটা আড়াল ছিল। পরে যে সিসিটিভি ফুটেজ ছিল তাতে অসংখ্য একই ধরনের লরির ভিড়ে ঘাতক লরি মিশে গিয়েছিল। গাড়ির ‘FASTag’ RFID বা রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন থেকে সেই ঘাতক লরি খুঁজে বের করতে হয়েছিল।

পর্ব-৫৩: হোটেলের যে বিশেষ কর্মী কৌশিকীর রুমে ঢুকেছিলেন, ক্যামেরায় তার মুখ স্পষ্ট নয়

পর্ব-৫৩: হোটেলের যে বিশেষ কর্মী কৌশিকীর রুমে ঢুকেছিলেন, ক্যামেরায় তার মুখ স্পষ্ট নয়

রণজয়কে বলেছিল পুলিশ আসার আগে এই হোটেল কর্মী ভিকটিমের ঘরে ঢুকেছে এবং ঘর থেকে বেরিয়েছে। তাই এই অংশের ভিডিয়োটা সে বারবার দেখতে চায়। পুলিশ ওইদিনের সমস্ত ক্যামেরার সমস্ত ভিডিয়ো ক্লিপিং বাজেয়াপ্ত করেছে।

পর্ব-৫২: বাথটাব: কৌশিকী হত্যার ক্রাইম-সিন কি বদলে ফেলা হয়েছে?

পর্ব-৫২: বাথটাব: কৌশিকী হত্যার ক্রাইম-সিন কি বদলে ফেলা হয়েছে?

 বাথটাব (পর্ব-৪)তখনও বাথটাবে কৌশিকীর শরীরটা ভাসছে। ফরেন্সিকের মফিজুল ও তার সহকারি সূত্র খুঁজে বেড়াচ্ছে। কৌশিকীর চোখ বোজানো। শিরা কাটা বাঁহাতটা বাথটাব থেকে ঝুলছে। মানে সম্ভবত ক্রাইমসিনের কোনও বদল করা হয়নি। বাথটাব ঘেঁষা র‍্যাকে একটা দামী ওয়াইনের অর্ধেক খালি বোতল। পাশে দুটো মোবাইল। তার শরীরে শুধু একটা তোয়ালে ঢাকাদেওয়া। ধৃতিমান নিশ্চিত এটা মফিজুল-এর কাজ। তারা দু'জনে একসঙ্গে বহু মৃতদেহের প্রথম তদন্তে পৌঁছেছে। স্ত্রী-পুরুষ নির্বিশেষে মফিজুল মৃতদেহের নিরাভরণ শরীরের ওপর ফরেন্সিকের ছাপ মারা তোয়ালে চাপা দিয়ে দেয়।...

পর্ব-৫১: বাথটাব: এটা শবর দাশগুপ্তদের যুগ!

পর্ব-৫১: বাথটাব: এটা শবর দাশগুপ্তদের যুগ!

রণজয় রায়ও কৃতী অফিসার কিন্তু একজন পেশায় সখের গোয়েন্দা, যার নাটকের দল আছে। যিনি দুটি মাত্র ফিচার ছবি আর কিছু ডকুমেন্টারি বানিয়েছেন তাকে নিয়ে ভৈরব চক্রবর্তীর মাতামাতি কিছুতেই সহ্য করতে পারে না। রণজয় তার ব্যক্তিগত পরিসরে মন্তব্যও করেছে ফেলুদা ব্যোমকেশ পরাশর কিরীটী রায় বা দীপক চ্যাটার্জি এককালে ছিল, এটা শবর দাশগুপ্তদের যুগ!

পর্ব-৫০: বাথটাবে অচৈতন্য অবস্থায় পড়েছিলেন অভিনেত্রী কৌশিকী দত্তগুপ্ত

পর্ব-৫০: বাথটাবে অচৈতন্য অবস্থায় পড়েছিলেন অভিনেত্রী কৌশিকী দত্তগুপ্ত

 বাথটাব (পর্ব-২) মূহুর্তের মধ্যে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়লো সন্ধ্যের মুখে এই খবর। কৌশিকী দত্তগুপ্ত সুন্দরী। জনপ্রিয় টেলিভিশন নায়িকা। তারপর এই পুজোতে তার প্রথম সিনেমা মুক্তি পাবে। তার আত্মহত্যা মানে নিশ্চয়ই মানসিক টানাপোড়েন। তাহলে সেই অস্থিরতার পিছনে কে বা কারা? একদিকে নিউটাউনের সেই হোটেল থেকে ঘটনার লাইভ সম্প্রচার, আর একঘেয়েমি কাটাতে স্টুডিয়োতে বসে ঘটনার চুলচেরা বিশ্লেষণ। সেখানে রয়েছেন কৌশিকীর পুরনো এক জনপ্রিয় টেলিভিশন ধারাবাহিকের পরিচালক, এক মহিলা মনোবিদ আর আগামী ছবি ‘ওহ লাভলি’-এর প্রযোজক এবং পরিচালক ছবির...

পর্ব-৪৯: হোটেলের বাথটাবে হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যা করেন অভিনেত্রী কৌশিকী

পর্ব-৪৯: হোটেলের বাথটাবে হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যা করেন অভিনেত্রী কৌশিকী

কৌশিকী ভালো অভিনেত্রী। ছবির ক্ষেত্রে যেটা খুব জরুরি সেটা হল চোখের জোরালো দৃষ্টি, আর একটা আকর্ষণীয় চেহারা। কৌশিকীর এই দুটোই ছিল। সঙ্গে প্রমোশনের জোর তো ছিলই, স্বাভাবিকভাবেই জনপ্রিয়তার নিরিখে এগিয়ে থাকা ছোটপর্দার কৌশিকী বড়পর্দার আঙিনায় পা রাখল।

পর্ব-৪৮: সুচেতার স্বপ্ন

পর্ব-৪৮: সুচেতার স্বপ্ন

নীলাঞ্জন উদ্ভ্রান্তের মতো তাকায় তারপর ‘অডিয়ো ক্লিপ’ শব্দটা বারবার বলতে থাকে, ধৃতিমান বা শ্রেয়া দু’জনেই হতভম্ব। নীলাঞ্জন বেডরুমে ছুটে গিয়ে ড্রয়ার খুলে চাবি নেয়, তারপর কী ভেবে দেওয়ালে বইয়ের দুটো র‍্যাক দুহাত দিয়ে সরিয়ে দেয়।

পর্ব-৪৭: দুবেজি যে রুষ্ট, তাঁর কথাতেই স্পষ্ট

পর্ব-৪৭: দুবেজি যে রুষ্ট, তাঁর কথাতেই স্পষ্ট

দুবেজির উচ্চারণে ‘আননেসেসারি’ বা ‘মানি’ শব্দগুলো অন্যরকম শোনায়। একটু নৈঃশব্দ্য। দুবেজি ঘর ছেড়ে গিয়েছেন কিনা এখান থেকে ঠিক বুঝতে পারছি না। একটু দূরত্ব থেকে বলা কথা শুনে মনে হলো বাড়ির মেইন ডোরের কাছ থেকে টার্ন করে আবার কথাগুলো বলছেন দুবেজি।

পর্ব-৪৬: দুবেজিকে নিয়ে ধৃতিমানের অনুমান সত্যি

পর্ব-৪৬: দুবেজিকে নিয়ে ধৃতিমানের অনুমান সত্যি

শ্রেয়ার একটা ডুয়াল চ্যানেল ওয়্যারলেস মাইক্রোফোন আছে। প্রায় ৯০-৯৫ ফুট দূর থেকে মোবাইলে কোনওরকম নয়েজ ছাড়া অডিয়ো রেকর্ড করতে পারে। ডুয়াল চ্যানেল বলে একজোড়া মাইক্রোফোন। অ্যামাজন নয়, বিদেশ থেকে আনানো ভালো কোম্পানির।

পর্ব-৪৫: শ্রেয়ারও একটা রক্তাক্ত যন্ত্রণার ইতিহাস রয়েছে

পর্ব-৪৫: শ্রেয়ারও একটা রক্তাক্ত যন্ত্রণার ইতিহাস রয়েছে

ফোনের ডিসপ্লেতে ফুটে ওঠা নামটা ‘দুবেজি’! ফোনটা বেজে যাচ্ছে। নীলাঞ্জন জানতে চাইছে, সে কী করবে? আমি ঠোঁটে আঙুল দিয়ে আমার আর শ্রেয়ার দিকে হাত দেখালাম। নীলাঞ্জন সম্মতি জানাল, সে বুঝতে পেরেছে।

পর্ব-৪৪: আমি ফোন না করলে বুঝবে, অ্যাম ইন ট্রাবল…

পর্ব-৪৪: আমি ফোন না করলে বুঝবে, অ্যাম ইন ট্রাবল…

শ্রাদ্ধের কাজ মিটে বাড়ি ফাঁকা হল ফোন চার্জিং কমপ্লিট হল। ততক্ষণে শ্রেয়া এসে উপস্থিত হয়েছেন। আমরা একটি হলে বসলাম। ফোন অন হতে পরপর মেসেজ আসার শব্দ, একসময় থমকাল। নীলাঞ্জন আমার দিকে তাকালেন।

পর্ব-৪৩: বাবুর সম্বল ছিল বুবু ও বুবুর খাঁচা

পর্ব-৪৩: বাবুর সম্বল ছিল বুবু ও বুবুর খাঁচা

ধৃতিমান পারতপক্ষে কোথাও কখনও শ্রাদ্ধে যেতে চায় না একেবারে পারিবারিক সূত্রে কলকাতা শহরে যেগুলো সেখানে ইচ্ছে না থাকলেও যেতে হয়। কিন্তু কিছুতেই শ্রাদ্ধের পুজোআচ্চা যেখানে হয় তাঁর ত্রিসীমানায় থাকে না সে। দূরে দূরে এদিক-সেদিক ঘোরাফেরা করে।

পর্ব-৪২: নীলাঞ্জনের স্পষ্ট কথা, ক্ষতিপূরণ দিয়ে সুচেতার জীবনের মূল্য বিচার করা যাবে না

পর্ব-৪২: নীলাঞ্জনের স্পষ্ট কথা, ক্ষতিপূরণ দিয়ে সুচেতার জীবনের মূল্য বিচার করা যাবে না

নীলাঞ্জনের বাড়িতে বইয়ের কালেকশন দারুণ। ছিমছাম আড়ম্বরহীন সাজসজ্জায় তারিফ করার মতো হলো বই। নীলাঞ্জন যতক্ষণ পুজোয় ব্যস্ত ছিল তার কাছে অনুমতি নিয়ে ধৃতিমান ততক্ষণ বই দেখছিল। এমন নয় যে অনেক অনেক বই কিন্তু বইয়ের কালেকশনটা নানা ধরনের।

পর্ব-৪১: সুচেতার গাড়িটা ডানলপ থেকে বালিঘাট স্টেশনের দিকেই যাচ্ছিল

পর্ব-৪১: সুচেতার গাড়িটা ডানলপ থেকে বালিঘাট স্টেশনের দিকেই যাচ্ছিল

এযাবৎকাল এমন কোনও তদন্তে ধৃতিমান হাত দেয়নি যাতে এরকমভাবে তাকেও মানবিক যন্ত্রণার শরিক হতে হয়েছে। তাই বাবু ছোট্ট জবাব দিল—পরশু আমি আসব! ঠিকানা আমার কাছে আছে।

Skip to content