শনিবার ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫

রহস্য উপন্যাস: হ্যালো বাবু!

পর্ব-৫০: বাথটাবে অচৈতন্য অবস্থায় পড়েছিলেন অভিনেত্রী কৌশিকী দত্তগুপ্ত

পর্ব-৫০: বাথটাবে অচৈতন্য অবস্থায় পড়েছিলেন অভিনেত্রী কৌশিকী দত্তগুপ্ত

 বাথটাব (পর্ব-২) মূহুর্তের মধ্যে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়লো সন্ধ্যের মুখে এই খবর। কৌশিকী দত্তগুপ্ত সুন্দরী। জনপ্রিয় টেলিভিশন নায়িকা। তারপর এই পুজোতে তার প্রথম সিনেমা মুক্তি পাবে। তার আত্মহত্যা মানে নিশ্চয়ই মানসিক টানাপোড়েন। তাহলে সেই অস্থিরতার পিছনে কে বা কারা? একদিকে নিউটাউনের সেই হোটেল থেকে ঘটনার লাইভ সম্প্রচার, আর একঘেয়েমি কাটাতে স্টুডিয়োতে বসে ঘটনার চুলচেরা বিশ্লেষণ। সেখানে রয়েছেন কৌশিকীর পুরনো এক জনপ্রিয় টেলিভিশন ধারাবাহিকের পরিচালক, এক মহিলা মনোবিদ আর আগামী ছবি ‘ওহ লাভলি’-এর প্রযোজক এবং পরিচালক ছবির...

পর্ব-৪৯: হোটেলের বাথটাবে হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যা করেন অভিনেত্রী কৌশিকী

পর্ব-৪৯: হোটেলের বাথটাবে হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যা করেন অভিনেত্রী কৌশিকী

কৌশিকী ভালো অভিনেত্রী। ছবির ক্ষেত্রে যেটা খুব জরুরি সেটা হল চোখের জোরালো দৃষ্টি, আর একটা আকর্ষণীয় চেহারা। কৌশিকীর এই দুটোই ছিল। সঙ্গে প্রমোশনের জোর তো ছিলই, স্বাভাবিকভাবেই জনপ্রিয়তার নিরিখে এগিয়ে থাকা ছোটপর্দার কৌশিকী বড়পর্দার আঙিনায় পা রাখল।

পর্ব-৪৮: সুচেতার স্বপ্ন

পর্ব-৪৮: সুচেতার স্বপ্ন

নীলাঞ্জন উদ্ভ্রান্তের মতো তাকায় তারপর ‘অডিয়ো ক্লিপ’ শব্দটা বারবার বলতে থাকে, ধৃতিমান বা শ্রেয়া দু’জনেই হতভম্ব। নীলাঞ্জন বেডরুমে ছুটে গিয়ে ড্রয়ার খুলে চাবি নেয়, তারপর কী ভেবে দেওয়ালে বইয়ের দুটো র‍্যাক দুহাত দিয়ে সরিয়ে দেয়।

পর্ব-৪৭: দুবেজি যে রুষ্ট, তাঁর কথাতেই স্পষ্ট

পর্ব-৪৭: দুবেজি যে রুষ্ট, তাঁর কথাতেই স্পষ্ট

দুবেজির উচ্চারণে ‘আননেসেসারি’ বা ‘মানি’ শব্দগুলো অন্যরকম শোনায়। একটু নৈঃশব্দ্য। দুবেজি ঘর ছেড়ে গিয়েছেন কিনা এখান থেকে ঠিক বুঝতে পারছি না। একটু দূরত্ব থেকে বলা কথা শুনে মনে হলো বাড়ির মেইন ডোরের কাছ থেকে টার্ন করে আবার কথাগুলো বলছেন দুবেজি।

পর্ব-৪৬: দুবেজিকে নিয়ে ধৃতিমানের অনুমান সত্যি

পর্ব-৪৬: দুবেজিকে নিয়ে ধৃতিমানের অনুমান সত্যি

শ্রেয়ার একটা ডুয়াল চ্যানেল ওয়্যারলেস মাইক্রোফোন আছে। প্রায় ৯০-৯৫ ফুট দূর থেকে মোবাইলে কোনওরকম নয়েজ ছাড়া অডিয়ো রেকর্ড করতে পারে। ডুয়াল চ্যানেল বলে একজোড়া মাইক্রোফোন। অ্যামাজন নয়, বিদেশ থেকে আনানো ভালো কোম্পানির।

পর্ব-৪৫: শ্রেয়ারও একটা রক্তাক্ত যন্ত্রণার ইতিহাস রয়েছে

পর্ব-৪৫: শ্রেয়ারও একটা রক্তাক্ত যন্ত্রণার ইতিহাস রয়েছে

ফোনের ডিসপ্লেতে ফুটে ওঠা নামটা ‘দুবেজি’! ফোনটা বেজে যাচ্ছে। নীলাঞ্জন জানতে চাইছে, সে কী করবে? আমি ঠোঁটে আঙুল দিয়ে আমার আর শ্রেয়ার দিকে হাত দেখালাম। নীলাঞ্জন সম্মতি জানাল, সে বুঝতে পেরেছে।

পর্ব-৪৪: আমি ফোন না করলে বুঝবে, অ্যাম ইন ট্রাবল…

পর্ব-৪৪: আমি ফোন না করলে বুঝবে, অ্যাম ইন ট্রাবল…

শ্রাদ্ধের কাজ মিটে বাড়ি ফাঁকা হল ফোন চার্জিং কমপ্লিট হল। ততক্ষণে শ্রেয়া এসে উপস্থিত হয়েছেন। আমরা একটি হলে বসলাম। ফোন অন হতে পরপর মেসেজ আসার শব্দ, একসময় থমকাল। নীলাঞ্জন আমার দিকে তাকালেন।

পর্ব-৪৩: বাবুর সম্বল ছিল বুবু ও বুবুর খাঁচা

পর্ব-৪৩: বাবুর সম্বল ছিল বুবু ও বুবুর খাঁচা

ধৃতিমান পারতপক্ষে কোথাও কখনও শ্রাদ্ধে যেতে চায় না একেবারে পারিবারিক সূত্রে কলকাতা শহরে যেগুলো সেখানে ইচ্ছে না থাকলেও যেতে হয়। কিন্তু কিছুতেই শ্রাদ্ধের পুজোআচ্চা যেখানে হয় তাঁর ত্রিসীমানায় থাকে না সে। দূরে দূরে এদিক-সেদিক ঘোরাফেরা করে।

পর্ব-৪২: নীলাঞ্জনের স্পষ্ট কথা, ক্ষতিপূরণ দিয়ে সুচেতার জীবনের মূল্য বিচার করা যাবে না

পর্ব-৪২: নীলাঞ্জনের স্পষ্ট কথা, ক্ষতিপূরণ দিয়ে সুচেতার জীবনের মূল্য বিচার করা যাবে না

নীলাঞ্জনের বাড়িতে বইয়ের কালেকশন দারুণ। ছিমছাম আড়ম্বরহীন সাজসজ্জায় তারিফ করার মতো হলো বই। নীলাঞ্জন যতক্ষণ পুজোয় ব্যস্ত ছিল তার কাছে অনুমতি নিয়ে ধৃতিমান ততক্ষণ বই দেখছিল। এমন নয় যে অনেক অনেক বই কিন্তু বইয়ের কালেকশনটা নানা ধরনের।

পর্ব-৪১: সুচেতার গাড়িটা ডানলপ থেকে বালিঘাট স্টেশনের দিকেই যাচ্ছিল

পর্ব-৪১: সুচেতার গাড়িটা ডানলপ থেকে বালিঘাট স্টেশনের দিকেই যাচ্ছিল

এযাবৎকাল এমন কোনও তদন্তে ধৃতিমান হাত দেয়নি যাতে এরকমভাবে তাকেও মানবিক যন্ত্রণার শরিক হতে হয়েছে। তাই বাবু ছোট্ট জবাব দিল—পরশু আমি আসব! ঠিকানা আমার কাছে আছে।

পর্ব-৪০: দুর্ঘটনায় আহত নিউজ টিভির সঞ্চালক সুচেতার মৃত্যুর খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ল

পর্ব-৪০: দুর্ঘটনায় আহত নিউজ টিভির সঞ্চালক সুচেতার মৃত্যুর খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ল

হাসপাতালের সামনে দেখল বেশ কয়েকটা গাড়ি! এত রাতে এখানে এতও গাড়ি কেন? ক্যাবটা একটু আগেই ছেড়ে দিল নীলাঞ্জন। হঠাৎ নজরে এল নিউজ টিভি ওবি ভ্যান, সুচেতার অফিসের লোকেরা কি রাতে ডিউটির পর এসেছে? পুলিশের দুটো গাড়ি হয়তো সুচেতার কেসটা প্রশাসন হাই প্রোফাইল কেস হিসেবে দেখছে।

পর্ব-৩৯: সন্ধেবেলা তো সুচেতার বাড়ি ফেরার কথা, তাহলে উল্টোদিকে যাচ্ছিল কেন?

পর্ব-৩৯: সন্ধেবেলা তো সুচেতার বাড়ি ফেরার কথা, তাহলে উল্টোদিকে যাচ্ছিল কেন?

ধৃতিমান চৌধুরী নামটা শোনা লাগছে। নীলাঞ্জনের বড্ড ভুলোমন, কিন্তু এটা স্পষ্ট মনে আছে এই নামটা সে সুচেতার কাছেই শুনেছে। হ্যাঁ, ধৃতিমান চৌধুরী পেশায় একজন নাট্য ও চিত্র পরিচালক এবং নেশায় গোয়েন্দা। দুর্দান্ত কম্বিনেশন।

পর্ব-৩৮: তড়িঘড়ি জিপ ড্রাইভ করে  নীলাঞ্জনের কাছে পৌঁছলেন দুঁদে গোয়েন্দা শ্রেয়া

পর্ব-৩৮: তড়িঘড়ি জিপ ড্রাইভ করে নীলাঞ্জনের কাছে পৌঁছলেন দুঁদে গোয়েন্দা শ্রেয়া

 অডিয়ো ক্লিপ, পর্ব-৪ মিস্টার সরখেলের কথা শোনার পর নীলাঞ্জনের কান মাথা ভোঁভোঁ করছে। প্রতিবার প্লেন থেকে নামার পর নীলাঞ্জনের এই সমস্যাটা হয়। কী অদ্ভুত সুচেতা কখনওই এরকম অসুবিধের মুখোমুখি হয় না। অনেকেরই হয় না কারও কারও হয়। একে এরোপ্লেন ইয়ার বা ব্যারোট্রমা বলে। ঠিক ধরেছেন এই ব্যারো শব্দটা ব্যারোমিটার থেকেই এসেছে। প্লেন ওড়ার সময় বা নামার সময় অনেকটা উঁচুতে যাওয়া কিংবা হঠাৎ উঁচু থেকে নিচে আসার সময় কানের ভিতরের বায়ুর চাপের সঙ্গে বাইরের কমতে বা বাড়তে থাকা বায়ুর চাপের তফাতটা খুব বেড়ে গেলেই এই সমস্যা শুরু...

পর্ব-৩৭: এই দুর্ঘটনাটি ‘অ্যাটেম্পট টু মার্ডার’ও হতে পারে!

পর্ব-৩৭: এই দুর্ঘটনাটি ‘অ্যাটেম্পট টু মার্ডার’ও হতে পারে!

মিস্টার সরখেলের মোবাইলে সুচেতাদের দুর্ঘটনাগ্রস্থ গাড়িটার ভয়ঙ্কর ছবি দেখার পর নীলাঞ্জনের মাথাটা টলে গিয়েছিল। ভাগ্যিস মৃদুল পাশে ছিল, সে নীলাঞ্জনকে শক্ত করে ধরে ফেলে। গাড়ির এই অবস্থা হলে মানুষগুলোর কি অবস্থা হয়েছিল।

পর্ব-৩৬: নীলাঞ্জন ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই দ্রুত ছুটে এলো ঋষভ-মৃদুল

পর্ব-৩৬: নীলাঞ্জন ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই দ্রুত ছুটে এলো ঋষভ-মৃদুল

বেলুড় স্টেট জেনারেল হসপিটাল বালি ব্রিজ দিয়ে হয়তো কাছে পড়তো, কিন্তু বেশি রাতে ওখানে লরি ছেড়ে দেবে তাই হাওড়া ব্রিজ হয়ে ডান দিক নিতে হল নীলাঞ্জনকে।

Skip to content