শুক্রবার ১৮ এপ্রিল, ২০২৫

রহস্য উপন্যাস: হ্যালো বাবু!

হ্যালো বাবু! পর্ব-৭৭: গুগলি/১৩

হ্যালো বাবু! পর্ব-৭৭: গুগলি/১৩

শ্রেয়সী গুপ্ত নামি মাল্টিন্যাশানালের দামি হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজার! যোগাযোগ করার আগে শ্রেয়সী গুপ্তর সোশ্যাল মিডিয়া স্টক করতে হল। চালাকচতুর মহিলা। পড়াশোনার ইতিহাস বেশ ভালো। কলকাতা ভালো স্কুল ভালো কলেজের থেকে গ্র্যাজুয়েশন। দিল্লি থেকে পোস্ট গ্রাজুয়েশন। বিদেশের একটি ইউনিভার্সিটি থেকে ম্যানেজমেন্টের ডিপ্লোমা। ৩-৪টি নামী কোম্পানির সিঁড়ি পেরিয়ে এখন আপাতত এই মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে রয়েছেন।

হ্যালো বাবু! পর্ব-৭৭: গুগলি/১২

হ্যালো বাবু! পর্ব-৭৭: গুগলি/১২

ধৃতিমান কোন উত্তর দিল না। সে জানে পুলিশের নামে শবনম যথেষ্ট ভয় পেয়ে গিয়েছিল। তাই সে এখন আপার হ্যান্ড নিতে চাইছে। পিছনের সিটে বসে ধৃতিমান মনে মনে ভাবছিল কত বয়স হবে মেয়েটার উনিশ কুড়ি বা বড় জোর বাইশ বছর? এই বয়সে রাত করে পার্টি করছে মদ খাচ্ছে। উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন করছে! এই অনিয়ম এই ইন্দ্রিয়সর্বস্ব জীবনে কী পাবে এই মেয়েটি।

হ্যালো বাবু! পর্ব-৭৬: গুগলি/১১

হ্যালো বাবু! পর্ব-৭৬: গুগলি/১১

শুনেছি বায়োকেমিক ওষুধ ঠিক মতো ডায়াগনেসিস হলে রোগীর ম্যাজিকের মতো কাজ হয়। ধৃতিমানের মেসেজটাতেও ঠিক সেরকম কাজ হয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে না হলেও ঘণ্টা চারেক পরে একটা মেসেজ এসেছিল ইংরেজিতে। ‘Out of Town will call back soon’. তারপর কল আর আসে না… দিন ছয়েক বাদে হঠাৎ ভরসন্ধে বেলায় একটা অচেনা নম্বর থেকে ফোন।

হ্যালো বাবু! পর্ব-৭৫: গুগলি/১০

হ্যালো বাবু! পর্ব-৭৫: গুগলি/১০

‘অবসেশন’ কথাটার শুদ্ধ বাংলা হল আবেশ! কেউ কারও প্রতি আবিষ্ট থাকতে পারে। এই যেমন বুবু আমার একমাত্র সহবাসী প্রাণী। মানে আমার কাকাতুয়া যে আমায় শুধু বিশ্বাস করে, পছন্দ করে, ভালোবাসে তেমনটা নয়, বুবু আমার প্রতি একটা অধিকারবোধ অনুভব করে। মোটামুটি বাড়িতে আমি একা থাকলে বুবু খাঁচার বাইরে থাকে।

হ্যালো বাবু! পর্ব-৭৪: গুগলি/৯

হ্যালো বাবু! পর্ব-৭৪: গুগলি/৯

লিলি মৃদুলকে ভুলতে পারেনি। বরং মৃদুলের প্রত্যাখান এখনও লিলিকে কষ্ট দেয়। প্রেমিকার মানসিক কষ্ট নয়, ছুঁড়ে ফেলার রাগ। লিলি চেয়েছিল মৃদুলের সঙ্গে যা চলছে যেমন চলছে চলুক আর পেশাদারি কারণে তাকে যাঁদের যাঁদের সঙ্গে ‘সম্পর্ক’ বজায় রাখতে হয়। সে সেটা চালিয়ে যাবে। কিন্তু মৃদুল একেবারে বেদ উপনিষদ মেনেচলা খেলোয়াড় ঋকবেদের ঐতরেয় ব্রাহ্মণের ‘চরৈবেতি’ শব্দটাকে সে একেবারে আত্মস্থ করে নিয়েছে। মৃদুল সাহারা থেমে থাকতে জানে না!

হ্যালো বাবু! পর্ব-৭৩: গুগলি/৮

হ্যালো বাবু! পর্ব-৭৩: গুগলি/৮

লিলি নিয়মিত গান গাইত জলসায়। তারপর টেলিভিশনে প্রায় তার অনুষ্ঠান। মৃদুল আসলে খুব দ্রুত প্রেম জমাতে পারতো। বয়সের বাদ-বিচার খুব একটা ছিল না। আর যৌবন ফেলে আসা প্রেমিক মনের স্ত্রী বা পুরুষ নির্বিশেষে সকলে প্রায়শই ভুবনের চারপাশে পেতে রাখা প্রেমের ফাঁদে পড়তে চায়।

হ্যালো বাবু! পর্ব-৭২: গুগলি/৭

হ্যালো বাবু! পর্ব-৭২: গুগলি/৭

প্রতিমা দত্ত থেকে প্রফেসর বিশ্বদীপ চৌধুরীকে বিয়ে করে প্রতিমা চৌধুরী। দু’জনের কোনও সন্তানাদি ছিল না। বিশ্বদীপ চৌধুরী পড়াশোনার জগতের মানুষ। বিদেশের নানান বিশ্ববিদ্যালয়ে খুব ভালো যোগাযোগ ছিল। মোটামুটি প্রতিমার সঙ্গে একটা রফা করে বিশ্বদীপ বছরের বেশির ভাগ সময়টা বিদেশেই থাকতেন।

হ্যালো বাবু! পর্ব-৭১: গুগলি/৬

হ্যালো বাবু! পর্ব-৭১: গুগলি/৬

বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে চক্রবর্তী সাহেবের কাছ থেকে আবার একটা জরুরি ফোন এসেছিল বাড়ির একতলার রাজ এসটিডিতে। মৃতদেহের ময়না তদন্তে ড্রাগ ওভারডোজ পাওয়া গিয়েছে। খেলোয়াড়দের শরীরে ডোপ টেস্ট করে দেখা হয় যে তারা শারীরিক সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কোনওরকম নিষিদ্ধ দ্রব্যের সাহায্য নিচ্ছে কিনা।

হ্যালো বাবু!, পর্ব-৭০: গুগলি/৫

হ্যালো বাবু!, পর্ব-৭০: গুগলি/৫

মাঝদুপুরে রাস্তা খালি। হুশ করে আকাশবাণী টপকে ইডেনগার্ডেনস ডান দিকে ফেলে ধৃতিমানের ট্যাক্সি ছেলেটিকে নিয়ে স্ট্র্যান্ড রোডে পড়ে বাঁদিকে ঘুরল। একটু এগিয়ে ফোর্ট উইলিয়ামসের উল্টোদিকে গোয়ালিয়র মনুমেন্ট আর স্কুপ রেস্তরাঁর মাঝে ট্যাক্সিটা ছেড়ে দিল। খুব জোরে গাড়ি যাতায়াত করছে। একটু সময় নিয়ে সাবধানে রাস্তা পার হয়ে গঙ্গার ধারে গিয়ে দাঁড়াল ছেলেটিকে নিয়ে।

হ্যালো বাবু!, পর্ব-৬৯: গুগলি/৪

হ্যালো বাবু!, পর্ব-৬৯: গুগলি/৪

একটা ম্যাচ মৃদুল খুব ভালো ব্যাট করে জিতিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু তার পরের ম্যাচটাতে মাত্র চার রানে বাউন্ডারি লাইনের ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যায়। হারা ম্যাচ দলের অন্যান্য খেলোয়াড়রা মিলেজুলে কোনক্রমে বাঁচিয়ে দেয়। মৃদুলের রেকর্ড খুবই ভালো, তার জন্যই সেদিনের ম্যাচে বেঙ্গল সিলেক্টররা এসেছেন খেলা দেখতে।

হ্যালো বাবু!, পর্ব-৬৮: গুগলি/৩

হ্যালো বাবু!, পর্ব-৬৮: গুগলি/৩

মিস্টার চৌধুরীর সেই ঠাকুমা ভাবতেও পারবেন না যে সেখানে দোষটা ড্যাকরা পোলাপানের ছিল। আজও মৌমাছিরা তো স্বভাব দোষে ফুল বদলায়। তবে ফুলেরাও কিন্তু এখন সময়ে সময়ে মৌমাছি বদলে নেয় । এসব ভাবতে ভাবতেই ধৃতিমানের মনে হল সম্পর্কের ক্ষেত্রেও আমরা এখন যথেষ্ট “উদার এবং উন্নত” রিলেশনশিপ-এর মতোই আজকাল খুব চালু শব্দ হল সিচুয়েশনশিপ। মানে সম্পর্কে আছি কিন্তু দুজনেরই সম্পর্কের কোনও দায় নেই!

হ্যালো বাবু!, পর্ব-৬৭: গুগলি/২

হ্যালো বাবু!, পর্ব-৬৭: গুগলি/২

ধৃতিমান ভাবেনি এত তাড়াতাড়ি সে একটা গোটা মৃত্যু তদন্ত হাতে পেয়ে যাবে। ল্যান্ডলাইন নম্বরটা দেখে ভেবেছিল এটা অফিসের ফোন। সুতরাং তাকে বুঝিয়ে বলতে হবে সে কে এবং কেন এই ফোনটা করছে বা কার সঙ্গে কথা বলতে চায়। কথাবার্তায় এটা বোঝা গিয়েছে যে ভৈরব চক্রবর্তী মানুষটা যতই সহজ হন। কলকাতা পুলিশের তাঁর পদাধিকার যথেষ্ট উঁচুতে।

হ্যালো বাবু!, পর্ব-৬৬: গুগলি/১

হ্যালো বাবু!, পর্ব-৬৬: গুগলি/১

এই গল্পের সময়টা একটু পিছিয়ে। মানে এই রহস্য সমাধানের সূত্র ধরেই আজকের ডিসিডিডি ভৈরব চক্রবর্তীর সঙ্গে ধৃতিমানের আলাপ। গড়িয়া রথতলার শ্রেয়া বাসু তখনও ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে। বাবা কনস্টেবল ত্রিদিব বসু কলকাতা পুলিশের কর্মী। এরও বেশ কয়েক বছর পর শ্রেয়া যখন ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে হাতে কলকাতার একটি মাঝারি ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি থেকে চাকরির চিঠি পেয়েছে, তখনই তাদের সংসারে সেই ভয়ংকর বিপর্যয় ঘটে গিয়েছিল।

পর্ব-৬৫: বাথটাব/১৭

পর্ব-৬৫: বাথটাব/১৭

শ্রেয়া গাড়ি নিয়ে অফিস চলে আসার পর একা একা রাস্তা হাঁটতে হাঁটতে ধৃতিমানের মাথায় এইসব ঘুরছিল। তাই প্রাথমিক প্রশ্নগুলোর পরে এই প্রশ্নটাই তার মাথায় প্রথম এসেছিল। আর এটাই যে লক্ষ্যভেদ করবে সেটা ধৃতিমান আঁচ করতে পারেনি।

পর্ব-৬৪: বাথটাব/১৬

পর্ব-৬৪: বাথটাব/১৬

শ্রেয়া অফিসে পা দিয়েই বুঝে গেল লালবাজারের নির্দেশ এসে পৌঁছেছে এবং খুব স্বাভাবিকভাবে তার প্রতিক্রিয়া সুখকর নয়। তাঁর গ্রেফতার করা আসামিকে গোয়েন্দা ধৃতিমান চৌধুরী জেরা করবেন, ব্যাপারটার রণজয় রায়ের মোটেই পছন্দ হয়নি। জয়েন সিপি ক্রাইমের কাছে এসিপি রণজয় রায় যথেষ্ট উষ্মা প্রকাশ করেছেন।

Skip to content