শনিবার ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫

রহস্য উপন্যাস: হ্যালো বাবু!

পর্ব-৬৫: বাথটাব/১৭

পর্ব-৬৫: বাথটাব/১৭

শ্রেয়া গাড়ি নিয়ে অফিস চলে আসার পর একা একা রাস্তা হাঁটতে হাঁটতে ধৃতিমানের মাথায় এইসব ঘুরছিল। তাই প্রাথমিক প্রশ্নগুলোর পরে এই প্রশ্নটাই তার মাথায় প্রথম এসেছিল। আর এটাই যে লক্ষ্যভেদ করবে সেটা ধৃতিমান আঁচ করতে পারেনি।

পর্ব-৬৪: বাথটাব/১৬

পর্ব-৬৪: বাথটাব/১৬

শ্রেয়া অফিসে পা দিয়েই বুঝে গেল লালবাজারের নির্দেশ এসে পৌঁছেছে এবং খুব স্বাভাবিকভাবে তার প্রতিক্রিয়া সুখকর নয়। তাঁর গ্রেফতার করা আসামিকে গোয়েন্দা ধৃতিমান চৌধুরী জেরা করবেন, ব্যাপারটার রণজয় রায়ের মোটেই পছন্দ হয়নি। জয়েন সিপি ক্রাইমের কাছে এসিপি রণজয় রায় যথেষ্ট উষ্মা প্রকাশ করেছেন।

পর্ব-৬৩: বাথটাব/১৫

পর্ব-৬৩: বাথটাব/১৫

শ্রেয়াকে যাদবপুর বা প্রেসিডেন্সির ছাত্রী বলে চালিয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু চোখের দিকে তাকিয়ে সামনের মানুষটির শরীরের মধ্যে ভয় ঢুকিয়ে দিতে জানে সে। কথা বলার এমন একটা দাপুটে ভঙ্গি, হার্ডকোর ক্রিমিনালের কথা আলাদা, কিন্তু সাধারণ আমজনতাকে ভয় পাইয়ে দেবার জন্য যথেষ্ঠ।

পর্ব-৬২: বাথটাব/১৪

পর্ব-৬২: বাথটাব/১৪

ধৃতিমানের আশঙ্কা সত্যি হল। ভোররাতে গ্রেফতার করা হল ডাক্তার সুরজিৎ ব্যানার্জিকে। পরদিন কলকাতার প্রায় সমস্ত প্রথমসারির দৈনিক শেষরাতে পাওয়া এই গুরুত্বপূর্ণ খবর ছোট করে হলেও প্রথমপাতায় ছেপে দিলেন। তবে কোনও এক অজানা কারণে খবরওয়ালারা, কৌশিকী ও ডাক্তার সুরজিৎ ব্যানার্জির মধ্যের রগরগে রসায়নের খোঁজ এখনও পাননি।

পর্ব-৬১: বাথটাব/১৩

পর্ব-৬১: বাথটাব/১৩

জানো চ্যাম্প, আমি এমনি এমনি তোমায় এই নামটা দিইনি। তুমি সত্যানুসন্ধানী তুমি নাট্যকার, পরিচালক, আবার তুমিই চিত্রনাট্যকার সিনেমা এবং তথ্যচিত্রনির্মাতা! ব্যোমকেশ লিখতে পারলে শরদ্বিন্দুকে অজিত সাজতে হত না। আবার দেখো ফেলুদা সঙ্গে একজন সুপারহিট রহস্যকাহিনিকার থাকতেও লেখার স্বত্ব একজন সেরা লেখককে দিয়েছেন।

পর্ব-৬০: বাথটাব/১২

পর্ব-৬০: বাথটাব/১২

ফোনটা কেটে গেল। শ্রেয়া এখন বিদেশে ফোন করে ডিসি ডিডি বিভূতি চক্রবর্তীকে হোয়াটসঅ্যাপ কলে পেয়ে তারপর ধৃতিমানকে জুড়বে। সময় লাগতে পারে। হঠাৎ খালি মাথায় একটা বিদ্যুতের ঝিলিক অনুভব করল ধৃতিমান! কিন্তু সেটা কি বোঝার আগেই শ্রেয়ার হোয়াটসঅ্যাপ কল চলে এল।

পর্ব-৫৯: বাথটাব/১১

পর্ব-৫৯: বাথটাব/১১

না, ইউটিউবার সরাসরি ডাক্তার সুরজিত ব্যানার্জির নাম উল্লেখ করেছেন তাঁর মধ্যরাতের ভিডিয়োতে। আর গত ভিডিয়োতে এয়ার টিকিট, রিভার ক্রুজের টিকিট সব জায়গায় ডক্টর লেখার পরের অংশটুকু কালো কালিতে ঢাকা ছিল। আজকের ভিডিয়োতে সেই ডকুমেন্টগুলোতেই আর কোনও রাখঢাক নেই।

পর্ব-৫৮: বাথটাব/১০

পর্ব-৫৮: বাথটাব/১০

এ সব ভাবতে ভাবতেই ইতিমধ্যে রাত বারোটা বেজে গিয়েছে সেটা বাবুর খেয়াল ছিল না। খেয়াল হলো শ্রেয়া বাসুর ফোন পেয়ে। শ্রেয়া জানাল ইউটিউবানন্দের ভিডিওর কথা! সন্ধেবেলায় প্রথম ভিডিওটাও শ্রেয়া দেখেছে। কথামতো এখন দ্বিতীয় ভিডিওতে ডাক্তারবাবুর পরিচয় দিয়েছে ইউটিউবার! তিনি কি সুরজিত ব্যানার্জি নাকি অন্যকেউ?

পর্ব-৫৭: বাথটাব/৯

পর্ব-৫৭: বাথটাব/৯

এখন পুলিশ ডিপার্টমেন্টে খবরের কাগজ, নিউজ চ্যানেল আর সেই সঙ্গে ইউটিউবার তিনে মিলে ত্র্যহস্পর্শ যোগ! একটা না একটা সূত্রে গুরুত্বপূর্ণ খবর লিক হয়ে যায়। পরীক্ষার খাতা চুরি হয়, ব্যাঙ্কের ক্যাশ টাকা চুরি হয়, সোনার দোকানে সোনা চুরি হয়, আর খবরের খনি থেকে খবর চুরি হবে না সেটা কি হয়?

পর্ব-৫৬: কৌশিকী তার তিন কুড়ি বয়সের ডাক্তারের সঙ্গে সম্পর্কে জড়াল কেন?

পর্ব-৫৬: কৌশিকী তার তিন কুড়ি বয়সের ডাক্তারের সঙ্গে সম্পর্কে জড়াল কেন?

শহরের অত্যন্ত সফল হার্ট স্পেশালিস্ট ডাঃ সুরজিৎ ব্যানার্জী। তাঁর বয়স ৬৫। অন্যদিকে কৌশিকীর বয়স সাড়ে ২২। ডাঃ ব্যানার্জীর সঙ্গে সিনেমার কোনও যোগাযোগ নেই। তাহলে কৌশিকী তার তিন কুড়ি বয়সের ডাক্তারের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লেন কেন?

পর্ব-৫৫: খুনি কয়েকদিন ধরেই কৌশিকীকে নিখুঁতভাবে অনুসরণ করেছে

পর্ব-৫৫: খুনি কয়েকদিন ধরেই কৌশিকীকে নিখুঁতভাবে অনুসরণ করেছে

সম্ভবত কৌশিকী তখন বাথটাবেই ছিল অর্ডার দেওয়া ওয়াইন বাইরে রাখতে বলেছিল। প্রতিদিন কাজের শেষে সন্ধেবেলায় নিয়মিত কৌশিকী ওয়াইন অর্ডার করেছে একটা নির্দিষ্ট সময়ে। হোটেলের সিস্টেম থেকে এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে। তার মানে যে খুনি সে এই তিন চারদিন ধরে কৌশিকীর নানা হ্যাবিট নিখুঁতভাবে ফলো করেছে।

পর্ব-৫৪: আততায়ী এক, নাকি দুই?

পর্ব-৫৪: আততায়ী এক, নাকি দুই?

ধৃতিমানের হঠাৎ সুজাতা মুখার্জি হত্যা রহস্যের দায়ী সেই লরির কথা মনে পড়ল। রাস্তার সিসিটিভিতে লরির নাম্বার প্লেট ধরা পড়েনি। নম্বর প্লেটে কিছু একটা আড়াল ছিল। পরে যে সিসিটিভি ফুটেজ ছিল তাতে অসংখ্য একই ধরনের লরির ভিড়ে ঘাতক লরি মিশে গিয়েছিল। গাড়ির ‘FASTag’ RFID বা রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন থেকে সেই ঘাতক লরি খুঁজে বের করতে হয়েছিল।

পর্ব-৫৩: হোটেলের যে বিশেষ কর্মী কৌশিকীর রুমে ঢুকেছিলেন, ক্যামেরায় তার মুখ স্পষ্ট নয়

পর্ব-৫৩: হোটেলের যে বিশেষ কর্মী কৌশিকীর রুমে ঢুকেছিলেন, ক্যামেরায় তার মুখ স্পষ্ট নয়

রণজয়কে বলেছিল পুলিশ আসার আগে এই হোটেল কর্মী ভিকটিমের ঘরে ঢুকেছে এবং ঘর থেকে বেরিয়েছে। তাই এই অংশের ভিডিয়োটা সে বারবার দেখতে চায়। পুলিশ ওইদিনের সমস্ত ক্যামেরার সমস্ত ভিডিয়ো ক্লিপিং বাজেয়াপ্ত করেছে।

পর্ব-৫২: বাথটাব: কৌশিকী হত্যার ক্রাইম-সিন কি বদলে ফেলা হয়েছে?

পর্ব-৫২: বাথটাব: কৌশিকী হত্যার ক্রাইম-সিন কি বদলে ফেলা হয়েছে?

 বাথটাব (পর্ব-৪)তখনও বাথটাবে কৌশিকীর শরীরটা ভাসছে। ফরেন্সিকের মফিজুল ও তার সহকারি সূত্র খুঁজে বেড়াচ্ছে। কৌশিকীর চোখ বোজানো। শিরা কাটা বাঁহাতটা বাথটাব থেকে ঝুলছে। মানে সম্ভবত ক্রাইমসিনের কোনও বদল করা হয়নি। বাথটাব ঘেঁষা র‍্যাকে একটা দামী ওয়াইনের অর্ধেক খালি বোতল। পাশে দুটো মোবাইল। তার শরীরে শুধু একটা তোয়ালে ঢাকাদেওয়া। ধৃতিমান নিশ্চিত এটা মফিজুল-এর কাজ। তারা দু'জনে একসঙ্গে বহু মৃতদেহের প্রথম তদন্তে পৌঁছেছে। স্ত্রী-পুরুষ নির্বিশেষে মফিজুল মৃতদেহের নিরাভরণ শরীরের ওপর ফরেন্সিকের ছাপ মারা তোয়ালে চাপা দিয়ে দেয়।...

পর্ব-৫১: বাথটাব: এটা শবর দাশগুপ্তদের যুগ!

পর্ব-৫১: বাথটাব: এটা শবর দাশগুপ্তদের যুগ!

রণজয় রায়ও কৃতী অফিসার কিন্তু একজন পেশায় সখের গোয়েন্দা, যার নাটকের দল আছে। যিনি দুটি মাত্র ফিচার ছবি আর কিছু ডকুমেন্টারি বানিয়েছেন তাকে নিয়ে ভৈরব চক্রবর্তীর মাতামাতি কিছুতেই সহ্য করতে পারে না। রণজয় তার ব্যক্তিগত পরিসরে মন্তব্যও করেছে ফেলুদা ব্যোমকেশ পরাশর কিরীটী রায় বা দীপক চ্যাটার্জি এককালে ছিল, এটা শবর দাশগুপ্তদের যুগ!

Skip to content