২৬ বৈশাখ, ১৪৩২ শুক্রবার ৯ মে, ২০২৫

রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক

পর্ব-১১৩: ভাবনা উইদাউট ভদ্‌কা

পর্ব-১১৩: ভাবনা উইদাউট ভদ্‌কা

কাল শুতে-শুতে অনেক রাত হয়ে গিয়েছিল। বিচ্ছিরি ব্যাপারটা যদি না-ঘটত, তাহলে অন্যরকম প্ল্যান ছিল পূষণের। কিন্তু কাপাডিয়ার উপর কালাদেওর আক্রমণ সমস্ত প্ল্যানটাই চৌপাট করে দিয়েছিল। সে ততক্ষণে ঠিক করে নিয়েছিল আজ ভদকা উইথ জিঞ্জার বিয়ারের সঙ্গে চিজ-বল্‌ আর স্মোকড্‌ ফিস্‌ অর্ডার করবে, তারপর আফটার রঁদ্যেভ্যু একটা গ্রেট সেক্স-সেশন এনজয় করবে। প্রি-ম্যারেজ সেক্স-সেশনের মতো রোমাঞ্চকর ব্যাপার আর কিছুতেই নেই। হানিমুনেও না। কিন্তু অর্ডার করার আগেই কলকাতার অফিস থেকে ম্যানেজার মুখুটিবাবু ফোন করলেন। তাড়াতাড়ি কাজে জয়েন করতে না পারলে...

read more
পর্ব-১১২: অপারেশন অপহরণ

পর্ব-১১২: অপারেশন অপহরণ

শেষ রাতের দিকে ঘুমটা লেগে গিয়েছিল সত্যব্রতর। গাঢ় ঘুম নয়। আজ রাতের উত্তেজনার পর গাঢ় ঘুম অসম্ভব। কিছুক্ষণ আগেও জেগেই ছিলেন পুরোপুরি। বিছানায় শুয়ে শুয়ে জানালার দিকে তাকিয়েছিলেন। প্রতি মুহূর্তেই অপেক্ষা করছিলেন, কারও আসার। মোবাইল ফোনটা হাতের কাছে রেখেছেন। নাইট মোডে আছে সেটা। একটা নাম্বার এসওএস হিসেবে মাথায় রেখেছেন। কিন্তু নিজেই জানেন না, সেটা কার্যক্ষেত্রে কাজে আসবে কি-না।

read more
পর্ব-১১১: বিপদ যখন আসে

পর্ব-১১১: বিপদ যখন আসে

তৃধার উন্মুক্ত স্তনে মুখ ঘষছিল অরণ্য। আলতো করে তার বাম কাঁধ একহাতে চেপে ধরে তৃধার ডান স্তনবৃন্ত দুই ঠোঁটে চেপে ধরে জিভ নাড়াচ্ছিল কখন আস্তে-আস্তে, কখন বা দ্রুত। তৃধা মুখ দিয়ে ভালোলাগার অস্ফুট আওয়াজ তুলছিল, তবে শীৎকার নয়।

read more
পর্ব-১১০: অন্ধকারে, চুপিসারে

পর্ব-১১০: অন্ধকারে, চুপিসারে

চেয়ারটির রং এককালে কী ছিল তা বলা মুশকিল, তবে সেটা যে কখনই এখনকার মতো ফ্যাকাশে রঙের ছিল না, তা বলাই যায়। স্টিলের ট্র্যাঙ্কগুলি যেদিকে রাখা তার প্রায় বিপরীতদিকে একখানা ছোট তক্তোপোষে বিছানা-বালিশ টানটান করে পাতা। দেখেই মনে হচ্ছে কেউ শোয় না। এমনকি এই মঙ্গল ওঝাও নয়। তক্তোপোষের নিচে কিছু বাতিল জিনিসের সঙ্গে কিছু কার্ডবোর্ডের বাক্স রাখা, সম্ভবত জুতোর বাক্স।

read more
পর্ব-১০৯: যে-আঁধার আলোর অধিক

পর্ব-১০৯: যে-আঁধার আলোর অধিক

উন্মেষা একটু আনমনা হল অঞ্জনের কথা শুনে। তারপর মৃদু স্বরে বলল, “তুমি ওয়াশরুমে যাও। উত্তেজনা শান্ত করে এসো। না হলে সারারাত ঘুমাতে পারবে না! আমি একটু বারান্দায় যাবো। খোলা হাওয়ায় গিয়ে দাঁড়াতে ইচ্ছে করছে!”

read more
পর্ব-১০৮: কে দেখেছে, কে দেখেছে…?

পর্ব-১০৮: কে দেখেছে, কে দেখেছে…?

শাক্য কাপাডিয়ার দিকে তাকিয়ে দেখছিল। ভদ্রলোক মাঝেমধ্যেই থরথর করে কাঁপছেন। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসলে সঙ্গে-সঙ্গে সে ট্রমা কাটিয়ে ওঠা কঠিন। এই কারণেই সে সময় দিচ্ছিল তঁকে। কাপাডিয়াকে এর আগেরদিন বৈশিষ্ট্যহীন একজন সাধারণ মানুষ বলে মনে হচ্ছিল। আজ ভালো করে খুঁটিয়ে দেখতে গিয়ে শাক্য দেখল, মানুষটির মুখে বহুকালের পোড়খাওয়া চিহ্ন খোদাই করা আছে।

read more
পর্ব-১০৭: লুকাবো বলি, লুকাবো কোথায়?

পর্ব-১০৭: লুকাবো বলি, লুকাবো কোথায়?

সত্যব্রত গুম হয়ে বসেছিলেন। নুনিয়া কিছুক্ষণ আগেই শেষ করেছে তার কথা। আজ যদি সময় করে সে না পালিয়ে আসত, তাহলে এতক্ষণে তার কী দশা যে হত, তা সত্যব্রত আঁচ করতে পারছেন। কেউ বা কারা নুনিয়ার পিছনে হাত ধুয়ে লেগে পড়েছে। আসলে নুনিয়া বোধহয় যা-জানার নয়, তেমন অনেক কিছু জেনে ফেলেছে, ফলে সে এখন অনেকের কাছেই শত্রু হয়ে উঠেছে।

read more
পর্ব-১০৬: নীল রাত্রি, নীল অন্ধকার

পর্ব-১০৬: নীল রাত্রি, নীল অন্ধকার

পিশাচপাহাড় নামক টিলাপাহাড়ের পিছনদিকেই পিঁধারহাটি গ্রাম। পিছনদিক এই কারণে বলা হচ্ছে, পিশাচপাহাড় নামক টিলার উপরের দিকে যেখানে কালাদেওর গুহা আছে, তার মুখটি যেদিকে, তার বিপরীত দিকে এই পিঁধারহাটি। পিশাচপাহাড়ের পূবদিকে পিশাচপাহাড় গ্রাম, পশ্চিমদিকে ধুঁন্ধুডাঙা, আর দক্ষিণে পিঁধারহাটি। উত্তরদিক অর্থাৎ যেদিকে গুহার মুখ, সেইদিকে কেবল কয়েক ক্রোশের মধ্যে কোনও গ্রাম নেই।

read more
পর্ব-১০৫: সরজমিনে

পর্ব-১০৫: সরজমিনে

কাপাডিয়া ভয়ে জড়সড় হয়ে আছেন। চোখমুখের অবস্থা ভালো নয়। একজন ডাক্তারকে কল করা হয়েছিল। তিনি এই রিসর্টের এমার্জেন্সি সার্ভিসের সঙ্গেই যুক্ত, কখন কোন বোর্ডার অসুস্থ হয়ে পড়লে যাতে প্রাইমারি ট্রিটমেন্টের ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা না হয়, সেই জন্য অনেক রিসর্ট-হোটেলেই আজকাল এ-ধরণের ব্যবস্থা রাখা হয়। আর এক্ষেত্রে তো কোনও বোর্ডার নয়, রিসর্টের ম্যানেজার স্বয়ং আহত।

read more
পর্ব-১০৪: খরগোশ ও কচ্ছপ

পর্ব-১০৪: খরগোশ ও কচ্ছপ

সাইকেল মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে ছিল। এতদিন ধরে এত গুরুত্বপূর্ণ কাজ সাফল্যের সঙ্গে করে এসে শেষে যে এই পচা শামুকে পা কাটবে, তা সে কখন স্বপ্নেও ভাবেনি। আন্ডারএস্টিমেট করেছিল নুনিয়াকে। কিন্তু হারামজাদী মেয়েটি তার চেয়েও চালাক এবং খতরনাক।

read more
পর্ব-১০৩: গ্রহের ফের

পর্ব-১০৩: গ্রহের ফের

সুদীপ্ত বলল, “আপনি কি স্মোক করেন শাক্যদা?” কিছুক্ষণ আগেই ঠিক হয়েছে, সুদীপ্ত শাক্যকে ‘স্যার, স্যার’ বলার পরিবর্তে ‘শাক্যদা’ বলে ডাকবে। সবার সামনে সে প্রোটোকল মেনটেইন করার জন্য ‘স্যার’ বলতেই পারে, কিন্তু অন্যত্র ঘাটে-বাটে-মাঠে ‘স্যার’ বলা চলবে না। বললেই শাস্তি। অন্যদিকে শাক্য সুদীপ্তকে ‘আপনি’র পরিবর্তে ‘তুমি’ করে বলবে, এটাও ঠিক হয়েছে।

read more
পর্ব-১০২: অন্ধকারে কে?

পর্ব-১০২: অন্ধকারে কে?

এই পৃথিবীতে মানুষ যেমন রাগে-ক্ষোভে-লোভে-স্বভাবে মৃত্যু, ধ্বংস, অপরাহ কিংবা পাপ করে চলে, কোনও সভ্যতা-কোনও মনীষীর বাণী তাদের সেই পথ থেকে বিচ্যুত করতে পারে না, তেমনই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডেও একই নিয়ম। সৃষ্টি কখন চিরন্তন নয়, কিন্তু ধ্বংস চিরন্তন। কিংবা হয়তো সৃষ্টির জন্ম নেয় ধ্বংসের বীজ গর্ভে নিয়েই। আলোর গর্ভেই থাকে অন্ধকারের গোপন অঙ্কুর।

read more
পর্ব-১০১: সরষের মধ্যে ভূত

পর্ব-১০১: সরষের মধ্যে ভূত

ম্যাসিওর যুবকটির নাম উল্লাস মাহাতো। বয়স বছর আঠাশ এবং তার হাত ভারি চমৎকার। শাক্য জিজ্ঞাসা করায় সে জানিয়েছে, বছর তিন-চার সে এই প্রোফেশনে আছে। স্বাধীনভাবে জীবিকা নির্বাহ করতে পারছে। তবে পিশাচ পাহাড় নয়, সে আসলে থাকে জেলাসদরে, যদিও তার আদিবাড়ি এখানেই কিন্তু এই ছোট্ট পাণ্ডববর্জিত জায়গায় ও-সব জিনিসের কদরদারের অভাব বড় বেশি।

read more
পর্ব-১০০: চোর মাচায়ে শোর

পর্ব-১০০: চোর মাচায়ে শোর

লোকটা সাইকেল মাহাতোকে একটু তফাতে ডেকে নিয়ে গেল। যদিও বাইরে সে নিজেকে নিরুত্তাপ দেখানোর চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না। বুঝতেই পারছে, আজকের অভিযান বৃথা। টাকা তো পাবেই না, উপরন্তু এক বোতল বিলিতি মদ আর মাংসের চাটের এক্সট্রা উপরিটাও মায়ের ভোগে! ভয়ে বুকের ভিতরটা শুকিয়ে আসছে। অনেক বড় মুখ করে সে বলেছিল, “কাম ঠিক হয়ে যাবে, তু ভাবিস ক্যানে?”

read more
পর্ব-৯৯: কে? কে ওখানে?

পর্ব-৯৯: কে? কে ওখানে?

রাতে ডিনারের পর সামান্য পড়াশোনা করেন সত্যব্রত। এ-তাঁর অনেককালের অভ্যাস। এর আগে যে-ব্লকে ছিলেন, সেখানে পেশেন্টের চাপ খুব বেশি ছিল। দিনরাত বলে আলাদা কিছু ছিল না। লেবার রুমের বেড খালি থাকত না কখনই। তার উপর রাতবিরেতে কেউ মদ খেয়ে মাথা ফাটিয়ে এসে হাজির হতো, কেউ আবার সন্দেহজনক আগুনে পোড়া শরীর নিয়ে হাজির হত। পেশেন্টপার্টির ছিল মাথা গরম। ডাক্তার যেন ভগবান।

read more

Skip to content