৭ ফাল্গুন, ১৪৩১ বৃহস্পতিবার ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক

পর্ব-১০৩: গ্রহের ফের

পর্ব-১০৩: গ্রহের ফের

সুদীপ্ত বলল, “আপনি কি স্মোক করেন শাক্যদা?” কিছুক্ষণ আগেই ঠিক হয়েছে, সুদীপ্ত শাক্যকে ‘স্যার, স্যার’ বলার পরিবর্তে ‘শাক্যদা’ বলে ডাকবে। সবার সামনে সে প্রোটোকল মেনটেইন করার জন্য ‘স্যার’ বলতেই পারে, কিন্তু অন্যত্র ঘাটে-বাটে-মাঠে ‘স্যার’ বলা চলবে না। বললেই শাস্তি। অন্যদিকে শাক্য সুদীপ্তকে ‘আপনি’র পরিবর্তে ‘তুমি’ করে বলবে, এটাও ঠিক হয়েছে।

read more
পর্ব-১০২: অন্ধকারে কে?

পর্ব-১০২: অন্ধকারে কে?

এই পৃথিবীতে মানুষ যেমন রাগে-ক্ষোভে-লোভে-স্বভাবে মৃত্যু, ধ্বংস, অপরাহ কিংবা পাপ করে চলে, কোনও সভ্যতা-কোনও মনীষীর বাণী তাদের সেই পথ থেকে বিচ্যুত করতে পারে না, তেমনই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডেও একই নিয়ম। সৃষ্টি কখন চিরন্তন নয়, কিন্তু ধ্বংস চিরন্তন। কিংবা হয়তো সৃষ্টির জন্ম নেয় ধ্বংসের বীজ গর্ভে নিয়েই। আলোর গর্ভেই থাকে অন্ধকারের গোপন অঙ্কুর।

read more
পর্ব-১০১: সরষের মধ্যে ভূত

পর্ব-১০১: সরষের মধ্যে ভূত

ম্যাসিওর যুবকটির নাম উল্লাস মাহাতো। বয়স বছর আঠাশ এবং তার হাত ভারি চমৎকার। শাক্য জিজ্ঞাসা করায় সে জানিয়েছে, বছর তিন-চার সে এই প্রোফেশনে আছে। স্বাধীনভাবে জীবিকা নির্বাহ করতে পারছে। তবে পিশাচ পাহাড় নয়, সে আসলে থাকে জেলাসদরে, যদিও তার আদিবাড়ি এখানেই কিন্তু এই ছোট্ট পাণ্ডববর্জিত জায়গায় ও-সব জিনিসের কদরদারের অভাব বড় বেশি।

read more
পর্ব-১০০: চোর মাচায়ে শোর

পর্ব-১০০: চোর মাচায়ে শোর

লোকটা সাইকেল মাহাতোকে একটু তফাতে ডেকে নিয়ে গেল। যদিও বাইরে সে নিজেকে নিরুত্তাপ দেখানোর চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না। বুঝতেই পারছে, আজকের অভিযান বৃথা। টাকা তো পাবেই না, উপরন্তু এক বোতল বিলিতি মদ আর মাংসের চাটের এক্সট্রা উপরিটাও মায়ের ভোগে! ভয়ে বুকের ভিতরটা শুকিয়ে আসছে। অনেক বড় মুখ করে সে বলেছিল, “কাম ঠিক হয়ে যাবে, তু ভাবিস ক্যানে?”

read more
পর্ব-৯৯: কে? কে ওখানে?

পর্ব-৯৯: কে? কে ওখানে?

রাতে ডিনারের পর সামান্য পড়াশোনা করেন সত্যব্রত। এ-তাঁর অনেককালের অভ্যাস। এর আগে যে-ব্লকে ছিলেন, সেখানে পেশেন্টের চাপ খুব বেশি ছিল। দিনরাত বলে আলাদা কিছু ছিল না। লেবার রুমের বেড খালি থাকত না কখনই। তার উপর রাতবিরেতে কেউ মদ খেয়ে মাথা ফাটিয়ে এসে হাজির হতো, কেউ আবার সন্দেহজনক আগুনে পোড়া শরীর নিয়ে হাজির হত। পেশেন্টপার্টির ছিল মাথা গরম। ডাক্তার যেন ভগবান।

read more
পর্ব-৯৮: কপোত-কপোতী

পর্ব-৯৮: কপোত-কপোতী

অঞ্জন সাক্সেনা যেন মনে-মনে এমন নারীকেই চেয়েছিল, যে কেবল শয্যাসঙ্গিনী হবে না, হবে আ ভেরি ট্র্যু লাইফপার্টনার—ফ্রেন্ড, ফিলোসপফার অ্যান্ড গাইড। এ-কারণেই এত দূরে বেড়াতে এসে, এক রুমে থেকেও সে নিজেকে সংযত রেখেছে। যদিও সে জানে, কলকাতায় ফিরে গেলেই তাকে কাউকে ডাকতে হবে। কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী জেলা জুড়ে নামে-বেনামে ছড়িয়ে থাকা কোন ফ্ল্যাট কিংবা বাড়িতে এক-দু’রাতের উদ্দাম সেক্স না করলে সে হয়ত পাগল হয়ে যাবে এরপর।

read more
পর্ব-৯৭: ভাগ নুনিয়া, ভাগ

পর্ব-৯৭: ভাগ নুনিয়া, ভাগ

নুনিয়া দৌড়াচ্ছিল। অন্ধকারে যত জোরে দৌড়ানো যায়, সম্ভবত তার চেয়েও বেশি জোরে। এর আগে সে পালিয়েছে হোস্টেল থেকে, স্কুল থেকে, চার্চের ঘেরাটোপ থেকে, কিন্তু এত রাতে কখনও নয়। যে-পথ দিয়ে সে এর আগে বহুবার পালিয়েছে, এমনকি শাস্তি পাওয়ার পরেও পালিয়েছে, সেই পথই এত রাতে তার কাছে অজানা-অচেনা বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু উপায় নেই তাকে পালাতেই হবে।

read more
পর্ব-৯৬: যদি হই চোরকাঁটা

পর্ব-৯৬: যদি হই চোরকাঁটা

অনিলের কথায় অরণ্য হালকা-তরল মুড ছেড়ে আবার সিরিয়াস গম্ভীর হয়ে গেল। বলল, “না! অনিলকে কে মারল আর কেনই বা মারল, সেই প্রশ্ন আমাকে কুরে-কুরে খাচ্ছে আর্য! আমি যত ভাবছি, তত অবাক হয়ে যাচ্ছিস!”
আর্য বলল, “আমিও!”

read more
পর্ব-৯৫: পরবর্তী পদক্ষেপ

পর্ব-৯৫: পরবর্তী পদক্ষেপ

সত্যব্রতর কাছ থেকে ফেরার সময় গাড়িতে শাক্য বা সুদীপ্ত কেস নিয়ে কোন কথা বলছিল না। শাক্যই বারণ করেছিল। এখন সে কাউকেই বিশ্বাস করতে পারছে না। যাদের বিরুদ্ধে পুলিশ বিভাগ লড়াই শুরু করেছে, তারা যে যথেষ্ট শক্রিশালী কোন গ্যাং, তাতে কোন সন্দেহ নেই। এর সঙ্গে আবার যুক্ত হয়েছে, পিশাচপাহাড় রিসর্টের মার্ডার। কালাদেও কেন যে পিশাচপাহাড় রিসর্টে ঢুকে মার্ডার করতে যাবে, এটা শাক্য বা সুদীপ্ত কারওই মাথায় আসেনি।

read more
পর্ব-৯৪: নুনিয়া কোথায়?

পর্ব-৯৪: নুনিয়া কোথায়?

সত্যব্রতর কাছ থেকে ফেরার সময় গাড়িতে শাক্য বা সুদীপ্ত কেস নিয়ে কোন কথা বলছিল না। শাক্যই বারণ করেছিল। এখন সে কাউকেই বিশ্বাস করতে পারছে না। যাদের বিরুদ্ধে পুলিশ বিভাগ লড়াই শুরু করেছে, তারা যে যথেষ্ট শক্রিশালী কোন গ্যাং, তাতে কোন সন্দেহ নেই। এর সঙ্গে আবার যুক্ত হয়েছে, পিশাচপাহাড় রিসর্টের মার্ডার। কালাদেও কেন যে পিশাচপাহাড় রিসর্টে ঢুকে মার্ডার করতে যাবে, এটা শাক্য বা সুদীপ্ত কারুরই মাথায় আসেনি।

read more
পর্ব-৯৩: কালাদেওর কবলে

পর্ব-৯৩: কালাদেওর কবলে

কাপাডিয়া রিসেপশনে বসে সেই কথাই ভাবছিলেন। যদি পিশাচপাহাড় নামের এই রিসর্টটি এখানে না চালু হত, তাহলে আজ এই জায়গার যে-রমরমা, তা স্বপ্নই থেকে যেত। কথাটা অহংকারের মতো শোনালেও, আশেপাশের অন্যান্য রিসর্ট-হোটেলগুলিও এতকাল এই কথা স্বীকার করে এসেছে।

read more
পর্ব-৯২: মিরাকল

পর্ব-৯২: মিরাকল

শাক্যর মতে, কে খুন করেছে, কীভাবে খুন করেছে এবং কেন খুন করেছের রাস্তায় তো যে-কোন তদন্তকারীকেই যেতে হবে, কিন্তু তার আগে যে ব্যক্তি খুন হয়েছে, তাঁর ‘হয়ার অ্যাবাউটস্’ জানাটা তার নিজের কাছে জরুরি। কারণ, সে মনে করে কোনও একটি অপরাধে পারিপার্শ্বিক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং খুনের ক্ষেত্রে ভিকটিমের জীবনবৃত্তান্ত। ত

read more
পর্ব-৯১: নুনিয়ার অদ্ভুত ক্ষমতা

পর্ব-৯১: নুনিয়ার অদ্ভুত ক্ষমতা

নুনিয়ার ঘুম আসছিল না। প্রায়ই আসে না। সারাদিন এত দৌড়ঝাঁপ করে, ঘুরে বেড়ায়, শরীর ক্লান্তিতে ভেঙে পড়ার কথা। কিন্তু পড়ে না। আগে যেমন বিছানায় শুলেই ঘুম দু’-চোখ ভরে ঝেঁপে আসত, এমনকি সন্ধে থেকেই ঘুমে ঢুলে পড়ত বলে মা বকাবকি করত, আজকাল আর তেমন হয় না। মা-ও নেই, ঘুমও যেন চলে গিয়েছে সেই থেকে। তার উপর ফাদারের সঙ্গে আজকাল আর দেখা করতে দেওয়া হয় না তাঁকে। তিনি না-কি আরও অসুস্থ।

read more
পর্ব-৯০: দুই ভবানী

পর্ব-৯০: দুই ভবানী

সুধাবিন্দু খুব পান খান। তাঁর দাঁতই সে-কথার সাক্ষ্য দিচ্ছিল। মানুষটির বয়স পঞ্চাশের আশেপাশে। মাথায় কাঁচা-পাকা চুল, তবে দূর থেকে বোঝা যায় না। এমনিতে স্মার্ট। পরনে একখানা রঙচটা জিনস এবং হাতাওয়ালা জামা। জামাটি অবশ্য রংচঙে। দেখলেই মনে হবে লাল-নীল-সবুজের মেলা বসেছে। হাতের আঙুলে গোটা আটেক আংটি। তার মানে দৈবে খুব বেশি আস্থাশীল মানুষ।

read more
পর্ব-৮৯: মাথার কান

পর্ব-৮৯: মাথার কান

শাক্য ইচ্ছে করেই লোকাল পুলিশের ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করেছিল। সুদীপ্তর ভিতর প্রতিক্রিয়া হবে জেনেই। হল-ও। সুদীপ্ত মৃদু স্বরে বলল, “আমরা কিন্তু যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলাম স্যার! কিন্তু এঁরা সকলে যদি ক্ল্যুগুলিকে নিজেদের কাছে লুকিয়ে রাখেন, তাহলে আমরা কী করতে পারি?”

read more

Skip to content