দেবী সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরটি প্রায় ৩২ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট এবং কামতেশ্বরী ও বাণেশ্বর মন্দিরের ন্যায় প্রায় ২.৫ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট এক নাতিউচ্চ প্ল্যাটফর্মের ওপর প্রতিস্থাপিত। স্থাপত্য শব্দকোষ অনুযায়ী যাকে জাগতি বলা হয়।
মন্দিরময় উত্তরবঙ্গ
পর্ব-১২: শতাব্দী প্রাচীন কোচবিহারের মদনমোহন ঠাকুর মহারাজাদের কূলদেবতা
মন্দির চত্বরে মূল মন্দিরের পূর্বদিকে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সৌধ রয়েছে। এই দক্ষিণমুখী সৌধটি ভবানী মন্দির নামে খ্যাত। এর উচ্চতা প্রায় ২৮ ফুট।
পর্ব-১১: কোচবিহারের সব থেকে জনপ্রিয় মন্দির বাণেশ্বর শিব মন্দির
মূল মন্দিরটির দক্ষিণে একটি সরোবর এখন যেটি মহারাজা প্রাণনারায়ণ কর্তৃক নির্মীত, যা মোহনদিঘী নামে খ্যাত। সরোবরটি বহু প্রাচীন কচ্ছপে পরিপূর্ণ ভক্তগণ যেগুলিকে মোহন নামে অভিহিত করেন।
পর্ব-১০: জটিলেশ্বর শিবমন্দিরের স্থাপত্যশৈলী আমাদের আকৃষ্ট করবে/২
স্থাপত্যগত দিক থেকে এমন অসাধারণ সৌধ এই অঞ্চলে বিরল। উত্তরবঙ্গের মন্দিরসমূহের মধ্যে জটিলেশ্বর শিবমন্দির একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ স্থানের অধিকারী, যা নিজ শিল্পগুণে আমাদের আবিষ্ট ও মোহিত করে।
পর্ব-৯: মৌলিকত্ব ও অনন্যতায় সমৃদ্ধ এক স্থাপত্যকীর্তি জটিলেশ্বর শিবমন্দির/১
জটিলেশ্বর মন্দিরটির গঠনগত স্থাপত্যবৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করলে এটা সুস্পষ্টগতভাবেই প্রতীয়মান হয় যে, এর সমগ্র ‘মান্দোভারা’ অংশটি (অর্থাৎ পা ভাগ, জাংঘ ও বরন্ড) পাথরের ও অন্য অংশের তুলনায় অপেক্ষাকৃত প্রাচীন।
পর্ব-৮: সিদ্ধনাথ শিব টেরাকোটা মন্দিরে ছড়িয়ে আছে অনেক চমকপ্রদ অজানা কাহিনি
সিদ্ধনাথ শিব টেরাকোটা মন্দিরের টেরাকোটা ফলকগুলির বিষয়বস্তুসমূহ সামগ্রিকভাবে এক বিস্তৃত বৈচিত্র্যকে নির্দেশিত করে যার মধ্যে পুরাকথা ও লোকসংস্কৃতি উল্লেখযোগ্য।
পর্ব-৭: ফলনাপুর মদনমোহন মন্দির কোচ স্থাপত্যের দ্বিতল পঞ্চরত্ন মন্দিরের একমাত্র নিদর্শন
দেবায়তনটি কোচ স্থাপত্যের খুব সম্ভবত একমাত্র দ্বিতল পঞ্চরত্ন মন্দিরস্থাপত্যের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। পশ্চিমমুখী এই সৌধটির উচ্চতা প্রায় ৫০ ফুট ও দেওয়ালের পুরূত্ব প্রায় ৪.৫ ফুট।
পর্ব-৬: খামার সিতাই বুড়া শিবমন্দির —এক অনালোকিত দেবায়তন
কোচবিহার দেবত্র ট্রাস্ট বোর্ডের পরিচালনাধীন এই অনুপম স্থাপত্যের নয়নাভিরাম মন্দিরের বাস্তুশাস্ত্র আলাদা আকর্ষণের দাবি রাখে।
পর্ব-৫: অনন্যসাধারণ হরিপুরের হরিহর শিবমন্দির
বিশেষজ্ঞদের মতানুযায়ী, এটি হয় মহারাজা উপেন্দ্রনারায়ণের সময় বা মহারাজা ধৈর্যেন্দ্রনারায়ণের সময় নির্মীত হয়েছিল। যদিও হরেন্দ্রনারায়ণ চৌধুরীর মত, এটি বাণেশ্বর মন্দিরের সমসাময়িক।
পর্ব-৪: ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে কোচস্থাপত্যের অন্যতম কীর্তি দেওতাপাড়া শিব মন্দির
শিবলিঙ্গের ঠিক পশ্চাতেই প্রায় ৪ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট ত্রিভুজাকৃতির ত্রিশূলশোভিত অর্ধবৃত্তাকার কুলুঙ্গিযুক্ত সৌধব্লক রয়েছে, যা এই অঞ্চলের গর্ভগৃহের অভ্যন্তর স্থাপত্যে এক বিরল বৈশিষ্ট্য।
পর্ব-৩: কোচ কামতেশ্বরী মন্দিরের স্থাপত্য এক অনন্যসাধারণ মিশ্রশৈলীর উদাহরণ
মন্দিরের নিত্যপুজোর বংশানুক্রমিকভাবে দায়িত্বে রয়েছেন মৈথিলি ‘ঝা’ পদবিপ্রাপ্ত ব্রাহ্মণগোষ্ঠী। বছরের বিভিন্ন সময়ে এখানে দেবী কামতেশ্বরীর পুজো উপলক্ষ্যকে কেন্দ্র করে বহু ভক্তের সমাগম হয়।
পর্ব-২: ভারতের স্থাপত্যশৈলীতে ভিতরকুঠি টেরাকোটা শিব মন্দিরের অবদান অপরিসীম
গৌরীনন্দন ছিলেন মহারাজার অতি বিশ্বাসভাজন ও কাছের মানুষদের মধ্যে অন্যতম। মুঘল আক্রমণকালে মহারাজের ঝাড় সিংহেশ্বরে আত্মগোপন পর্বে তিনি তাঁর সর্বদা পাশে ছিলেন।
পর্ব-১: ভিতরকুঠি টেরাকোটা শিবমন্দির এক অনন্যসাধারণ কোচ স্থাপত্যশৈলীর উদাহরণ
মধ্যযুগের মধ্য পর্বে এই কামরূপের পশ্চিমাংশের পশ্চিম সীমা ছিল করতোয়া নদী পর্যন্ত বিস্তৃত। সেটি পরে কামতা নামে পরিচিত ও খ্যাত হয়ে ওঠে।