বৃহস্পতিবার ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি

পর্ব-১১২: দারুণ এক গগনবিহারী খেলনা বানিয়েছিলেন গগনেন্দ্রনাথ

পর্ব-১১২: দারুণ এক গগনবিহারী খেলনা বানিয়েছিলেন গগনেন্দ্রনাথ

অবনীন্দ্রনাথের অগ্রজ গগনেন্দ্রনাথ। ছেলেবেলা থেকেই ছবি আঁকায় তাঁর ঝোঁক। বাবা গুণেন্দ্রনাথ ভালো ছবি আঁকতেন। ছেলেও ছবি আঁকা শিখুক, শিল্পী হোক, চেয়েছিলেন তিনি। তখন ‘ছোট্টটি’ অবনীন্দ্রনাথ। বাড়িতে পড়াশোনার জন্য মাস্টারমশায় যেমন আসতেন, তেমনই আসতেন ছবি-আঁকা শেখানোর মাস্টারমশায়। অল্প বয়সেই রপ্ত করেছিলেন ছবি-আঁকা।

read more
পর্ব-১১১: মৃণালিনীর মৃত্যুর পর বিবাহ-প্রস্তাবের মুখোমুখি রবীন্দ্রনাথ

পর্ব-১১১: মৃণালিনীর মৃত্যুর পর বিবাহ-প্রস্তাবের মুখোমুখি রবীন্দ্রনাথ

রবীন্দ্রনাথ নিজেও মৃণালিনী দেবীকে পড়িয়েছেন। ভ্রাতুষ্পুত্র বলেন্দ্রনাথও বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন। সরাসরি পড়ানো নয়, তিনি যখন যে বই পড়তেন, তা অবশ্যই শোনাতেন তাঁর ‘কাকিমা’কে। রথীন্দ্রনাথের লেখায় আছে, ‘বলুদাদার কাছ থেকে শুনে শুনে মায়ের এই তিন ভাষার সাহিত্যের সঙ্গে বেশ ভালো করেই পরিচয় হয়েছিল।’ বলা বাহুল্য, বাংলা, ইংরেজি ও সংস্কৃত ভাষার কথা বলেছেন কবিপুত্র।

read more
পর্ব-১১০: মানুষের পাশে, মানুষের কাছে

পর্ব-১১০: মানুষের পাশে, মানুষের কাছে

মানুষের বিপন্নতা বরাবরই সৌম্যেন্দ্রনাথকে বিব্রত করত। সমস্ত বাধা প্রতিবন্ধকতা অগ্রাহ্য করে বেরিয়ে পড়তেন, বিপন্ন মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়াতেন। সাহায্য করতেন। উত্তরবঙ্গের এই বন্যাপীড়িত মানুষজনকে সাহায্য করার জন্য স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গঠনের ডাক দিয়েছিলেন আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র। সেই ডাকে সৌম্যেন্দ্রনাথ ও তাঁর পিসেমশায় নগেন্দ্রনাথ দু’জনে বেরিয়ে পড়েছিলেন উত্তরবঙ্গের পথে।

read more
পর্ব-১০৯: কী ছিল চিঠিতে, উত্তর  লিখতে গিয়ে উত্তেজনায় রবীন্দ্রনাথের হাত কেঁপেছিল

পর্ব-১০৯: কী ছিল চিঠিতে, উত্তর লিখতে গিয়ে উত্তেজনায় রবীন্দ্রনাথের হাত কেঁপেছিল

রবীন্দ্রনাথ তখন খ্যাতির শিখরে। তাঁর চলা, বলা দেখে কে বলবে পৃথিবীর সেরা সাহিত্য-সম্মান পরাধীন দেশের এই কবি অর্জন করেছেন! খুবই সাদামাঠা জীবনযাপন। অহমিকা-দম্ভ কখনও স্পর্শ করেনি তাঁকে। কত সাধারণ মানুষ তাঁর কাছে আসত। সকলের সঙ্গেই কবি গল্পগাছা করতেন। এ ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। এই আলাপচারিতায় কোনও বাধানিষেধ ছিল না। অবারিত দ্বার।

read more
পর্ব-১০৮: শিশুর মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলেছিলেন দ্বারকানাথ

পর্ব-১০৮: শিশুর মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলেছিলেন দ্বারকানাথ

প্রিন্স দ্বারকানাথের কর্মকাণ্ডের ভুল ব্যাখ্যা হয়ে চলেছে। সঠিক মূল্যায়নে কারও কারও কুণ্ঠা আছে। বুঝে না বুঝে তাঁর কর্মকাণ্ডের অপব্যাখ্যা হচ্ছে। ইংরেজ সরকারের সঙ্গে দ্বারকানাথের আপাত সখ্যকে কেউ ভেবেছেন প্রগাঢ় বন্ধুত্ব। সখ্য যদি কিছু থেকেও থাকে, ভিতরের নয়, বাইরের। একেবারেই প্রয়োজনভিত্তিক। ব্যবসা-বাণিজ্য চালানোর জন্য তার প্রয়োজন ছিল। কত রকমের, কত ধরনের ব্যবসা। ব্যাঙ্ক-ব্যবসা থেকে কয়লাখনি, এমনকি চা-বাগানও। অভূতপূর্ব সাফল্য পেয়েছেন ব্যবসায়।

read more
পর্ব-১০৭: ভয়ংকর প্রাকৃতিক দুর্যোগে মহর্ষি পেলেন চরম দুঃসংবাদ

পর্ব-১০৭: ভয়ংকর প্রাকৃতিক দুর্যোগে মহর্ষি পেলেন চরম দুঃসংবাদ

মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ছিলেন ভ্রমণপ্রিয় মানুষ। সব সময় যে দূরে কোথাও চলে যেতেন, তা নয়, কাছেপিঠেও যেতেন। হিমালয়ের নির্জনবাসের প্রশান্তি হয়তো পেতেন চুঁচুড়োতেও। নদীর প্রতি ছিল অমোঘ আকর্ষণ। যেতেন প্রায়শই জলপথে। জীবনের বেলা শেষে, মহর্ষি তখন রুগ্ন শরীরে সবে ফিরেছেন চৌরঙ্গীর বাড়িতে। অসুস্থতা তখনও রয়ে গিয়েছিল।

read more
পর্ব-১০৬: ‘একবার মাখিলেই  চুল ওঠে’ — জোড়াসাঁকোয় তৈরি ভেষজ তেলের সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ

পর্ব-১০৬: ‘একবার মাখিলেই চুল ওঠে’ — জোড়াসাঁকোয় তৈরি ভেষজ তেলের সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ

ক্ষিতীশবাবুর মাথায় রকমারি ভাবনা খেলা করত। ভেষজ নিয়ে তাঁর ভীষণ আগ্রহ ছিল। করতেন রকমারি পরীক্ষা-নিরীক্ষা। নিজের ঘরে বসে এক ধরনের মাথায় মাখার সুগন্ধি তেল তৈরি করেছিলেন। সে তেলের একটা সুন্দর নামও দিয়েছিলেন। ‘অলকানন্দা হেয়ার অয়েল’। তেল তৈরির পর মাথায় এক ব্যবসায়িক বুদ্ধি আসে। অনেকানেক তেল তৈরি করবেন, বিক্রি করবেন। যেমন ভাবা তেমন কাজ। বোতলে ভরে বিক্রির ব্যবস্থা হয়।

read more
পর্ব-১০৫: রবীন্দ্রনাথ ভয় পেতেন মহর্ষিদেবকে

পর্ব-১০৫: রবীন্দ্রনাথ ভয় পেতেন মহর্ষিদেবকে

যশোরের সারদাসুন্দরী যখন ঠাকুরবাড়িতে বধূ হয়ে এলেন, দেবেন্দ্রনাথের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন, তখন তাঁর বয়স ছয়। কেউ বলে আট। ছয়-আট যাই হোক না কেন, তখন তিনি যে নিতান্তই বালিকা, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। ক্রমে তাঁদের পনেরোটি পুত্র-কন্যার জন্ম হয়। একটি পুত্র ও একটি কন্যা অকালে মারা যায়। অল্পায়ু কন্যাটি সম্পর্কে কিছুই জানা যায় না। নামকরণ হওয়ার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছিল।

read more
পর্ব-১০৪: আশ্রমের আনন্দময় পিকনিক

পর্ব-১০৪: আশ্রমের আনন্দময় পিকনিক

আশ্রমে আনন্দ-আহরণের অফুরান আয়োজন ছিল। নৃত্যগীতি পরিবেশন থেকে নাট্যাভিনয়, এমনকি ফুটবলও। ছাত্র ও শিক্ষকের সম্মিলিত উপস্থাপন, ফলে আনন্দও হত দেদার। আনন্দ হত পিকনিকেও। আনন্দের জন্যেই তো সেই আয়োজন। শীতকালেই পিকনিক হত বেশি।

read more
পর্ব-১০৩: দেবেন্দ্রনাথ হয়েছিলেন ‘কল্পতরু’

পর্ব-১০৩: দেবেন্দ্রনাথ হয়েছিলেন ‘কল্পতরু’

ভোগবিলাসের আবর্তে দেবেন্দ্রনাথ ঘুরলেও কখনও রুচি বিসর্জন দেননি। যতই অর্থবান হোক না কেন, রুচিহীন মানুষজনকে কৌশলে তিনি ধিক্কারও জানিয়েছেন। তিনি বাবুয়ানায় মজে ছিলেন সত্য, আবার সেই জায়গা থেকে সহসা সরেও দাঁড়িয়েছিলেন।

read more
পর্ব-১০২: দ্বারকানাথের বেলগাছিয়ার বাগানবাড়ি

পর্ব-১০২: দ্বারকানাথের বেলগাছিয়ার বাগানবাড়ি

বেলগাছিয়া ভিলায় ছিল সাহেব-মেমের আনাগোনা। সমবেত অতিথিদের মনোরঞ্জনের জন্য আসত শহরের সেরা গাইয়ে ও বাজিয়েরা। নাচ-ঘরের পাশাপাশি গান-ঘরটিও ছিল সুন্দর করে সাজানো। পাথরের ঘড়ি, নানা দেশের ফুলদানি, মার্বেলের আসবাব, আসবাবের সঙ্গে মানানসই ‘কমলালেবু রঙের দুর্মূল্য রেশমের পর্দা’।

read more
পর্ব-১০১: খামখেয়ালির গিরীন্দ্রনাথ

পর্ব-১০১: খামখেয়ালির গিরীন্দ্রনাথ

গিরীন্দ্রনাথ ছিলেন খেয়ালি-মনের মানুষ। আনন্দে-আমোদে দিন কাটাতে ভালোবাসতেন। জীবনকে উপভোগ করতে জানতেন। চার পুত্র-কন্যা ও স্ত্রী যোগমায়াকে রেখে মাত্র চৌত্রিশ বছর বয়সে মারা গিয়েছিলেন তিনি। খোশমেজাজে থাকতেন। সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখায় আছে, তিনি কতখানি ‘সুরসিক অমায়িক সৌখিন পুরুষ ছিলেন। যেন বিলাসিতা মূর্তিমান।’

read more
পর্ব-১০০: ঠাকুরবাড়ির রূপবান, ঠাকুরবাড়ির গুণবান

পর্ব-১০০: ঠাকুরবাড়ির রূপবান, ঠাকুরবাড়ির গুণবান

মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ও সারদাসুন্দরীর পুত্রদের মধ্যে জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ছিলেন সৌন্দর্যের প্রতিমূর্তি। তরুণ-বয়সে কী সুন্দরই দেখতে ছিল তাঁকে। ব্যায়াম করা নির্মেদ চেহারা। নিয়মিত মুগুর-ভাঁজতেন, ঘোড়ায় চড়তেন। সুভো ঠাকুরের স্মৃতি চর্চা থেকে জানা যায়, মহর্ষির পুত্রদের মধ্যে হেমেন্দ্রনাথ ছিলেন সর্বাধিক সুপুরুষ, সুস্বাস্থ্যের অধিকারী।

read more
পর্ব-৯৯: ভ্রমণে বেরিয়ে মহর্ষি পেয়েছিলেন পুত্রের মৃত্যু-সংবাদ

পর্ব-৯৯: ভ্রমণে বেরিয়ে মহর্ষি পেয়েছিলেন পুত্রের মৃত্যু-সংবাদ

কবির পিতৃদেব মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ বছরের অনেকখানিই ব্যস্ত থাকতেন পর্যটনে, দেশভ্রমণে। এই ভ্রমণ যে তাঁর জীবনের কতটা জুড়ে ছিল, সে সাক্ষ্য রয়েছে রবীন্দ্র-রচনায়। ‘জীবনস্মৃতি’তে আছে, ‘আমার জন্মের কয়েক বৎসর পূর্ব হইতেই আমার পিতা দেশভ্রমণেই নিযুক্ত ছিলেন। বাল্যকালে তিনি আমার কাছে অপরিচিত ছিলেন বলিলেই হয়; মাঝে মাঝে তিনি কখনো বাড়ি আসিতেন।’

read more
পর্ব-৯৮: মংপুর কমলালেবু পেয়ে অসুস্থ কবি খুব আনন্দ পেয়েছিলেন

পর্ব-৯৮: মংপুর কমলালেবু পেয়ে অসুস্থ কবি খুব আনন্দ পেয়েছিলেন

সাহিত্যের প্রতি গভীর আকর্ষণ ছিল মৈত্রেয়ী দেবীর। লিখতেন, যত না লিখতেন, তাঁর থেকে ঢের বেশি পড়তেন। জীবনের প্রথম দিকে লিখতেন কবিতা। বিস্ময়কর হলেও সত্য, বছর ষোলো যখন বয়েস,তখনই বের হয়েছিল তাঁর প্রথম বই। সে বইয়ের নাম ‘উদিতা’। ভূমিকা লিখে দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ।

read more

 

 

Skip to content