রবীন্দ্রনাথ মনীষী? ঠাকুর? যুগপুরুষ? রবীন্দ্ররচনাবলীতেই তাঁর সর্বস্ব আটকে গিয়েছে? আকাশ পানে কাহার তরে হাত বাড়ানো কোনও শাপগ্রস্ত যক্ষের অকৃত্রিম আনন্দমগ্ন কল্পনাই কেবল রবীন্দ্রনাথ? রবীন্দ্রনাথ মানেই জীবত্কালে ছায়াতরু কিংবা পারিজাত হয়ে ওঠা?

রবীন্দ্রনাথ মনীষী? ঠাকুর? যুগপুরুষ? রবীন্দ্ররচনাবলীতেই তাঁর সর্বস্ব আটকে গিয়েছে? আকাশ পানে কাহার তরে হাত বাড়ানো কোনও শাপগ্রস্ত যক্ষের অকৃত্রিম আনন্দমগ্ন কল্পনাই কেবল রবীন্দ্রনাথ? রবীন্দ্রনাথ মানেই জীবত্কালে ছায়াতরু কিংবা পারিজাত হয়ে ওঠা?
বাঙালি তার পঞ্জিকায় নববর্ষকে জেনেছে, আলপনায় তাকে ভরিয়েছে। পুরনো কর্জ মিটিয়ে নতুন জমার হিসাব শুরু করেছে। নতুন নতুন স্বপ্নজাল বুনতে চেয়েছে। এর সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে তার জীবনশৈলীর চেনাবাঁধা ছক, পছন্দ অপছন্দের টুকিটাকি। তারপরেও নদী তার নিজের ছন্দে চলেছে। বাতাস বয়েছে আপন খেয়ালে।
চৈত্র-বৈশাখের সন্ধিক্ষণে ত্রিপুরার জনজাতিদের প্রধান লোক উৎসব গরিয়া অনুষ্ঠিত হয়। গরিয়া হলেন সুখ ও সমৃদ্ধির দেবতা। জনজাতিদের বিশ্বাস গরিয়া দেবতা তুষ্ট হলে সম্পদ, সন্তান ও শান্তি সুনিশ্চিত হবে। গোলা ভরা ফসল হবে। চৈত্র সংক্রান্তির দিন আবাহন হয় গরিয়ার। এক সপ্তাহ পর উৎসবের সমাপ্তি ঘটে বৈশাখে।
ত্রিপুরায় সুদূর অতীতকাল থেকেই হোলির এক ঐতিহ্য রয়েছে। অষ্টাদশ-ঊনবিংশ শতকে মাণিক্য রাজাদের পৃষ্ঠপোষকতায় রাজধানীতে হোলি উৎসবের তথ্য পাওয়া যায় ইতিহাসে। মহারাজা বীরচন্দ্রের রাজত্বকালে ত্রিপুরায় হোলি অন্যতম এক প্রধান উৎসবে পর্যবসিত হয়েছিল।
দোলের দিন জোড়াসাঁকো-বাড়ির দেউড়ি ‘গমগম’ করত, সে বর্ণনা আছে অবনীন্দ্রনাথের লেখায়। মনোহর সিং ছিল বাড়ির পুরোনো দারোয়ান, দারুণ হাসিখুশি, প্রাণখোলা মানুষ। লম্বা-চওড়া চেহারা। একমুখ সাদা দাড়ি। খালি গায়ে লুঙ্গি পরে বসে মনোহর সিং দাড়িতে দই ঘষতো। হোক না সাদা, সেই সাদা দাড়িতে ঔজ্জ্বল্য আনার জন্যই বোধহয় দই মাখানোর প্রয়াস।
জীবনানন্দ পথ হাঁটছেন। মধ্যরাত্রির কাছাকাছি। কলকাতা নির্বাক। এই কিছুক্ষণ আগেই একদল তরুণ তরুণী পার হয়ে গেল সেই পথ। হাতে মোবাইল। চোখ স্ক্রিনে। দৃষ্টি চঞ্চল, চিন্তিত। জেব্রা ক্রসিং, একটা বেপরোয়া বাস আর একঝাঁক বাইক উড়ে গেল পথ দিয়ে। এই কিছুক্ষণ আগেই একটা খবর ছড়িয়ে পড়েছে। স্যোশাল মিডিয়াতে আকস্মিক লোডশেডিং হয়ে গিয়েছে। কেমন লাগছে আপনার? কেমন লাগছিল আপনার? বেশ ভালো। খুব ভালো। আর না ফিরলেই বাঁচা যেত। অথবা, শ্বাসকষ্ট, একটা চাপা আর্তনাদ বুকের কাছে পাক খাচ্ছিল। অথবা, ফিরে এসেছিল আদিম গুহাজীবনের শান্তি আর স্বস্তি, টিভি...
ঠাকুরবাড়িতে সাহেবসুবোরা অনেকে নিয়মিত আসতেন। রবীন্দ্রনাথ-গগনেন্দ্রনাথ-অবনীন্দ্রনাথের সঙ্গে তাঁদের কারও কারও সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। সখ্যের বন্ধন সূচিত হয়েছিল। ব্যবসায়িক স্বার্থেই দ্বারকানাথ সাহেবসুবোদের সঙ্গে মিশতেন। ছিল অন্তরঙ্গতার সম্পর্ক।
২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ সালের কথা ভাবলে অবাক হতে হয়। একটা ভাষার জন্য আন্দোলন, তাও কাগজে কলমে কাদা- ছোঁড়াছুড়ি নয়, পুলিশের গুলির সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়ানো, ভাষার জন্য শহিদ হওয়া। এত আবেগের উৎস কোথায়
কেন মাতৃভাষা আমাদের কাছে বাংলা, শুধু বাংলা-ই? কেন অন্য জাতিগুলির মাতৃভাষার জন্য দরদ আমাদের কাছে শিক্ষণীয় নয়? অন্য ভাষাশিক্ষা প্রশংসনীয় হলে কিছু কিছু মাতৃভাষার চর্চা কেন নিরর্থক? ভাষা কি আজ কেবল অর্থকরী, মানুষের বোধের বিকাশে আজ কি তার ভূমিকা নেই?
‘নাই টেলিফোন, নাইরে পিয়ন, নাইরে টেলিগ্রাম’-জনপ্রিয় এই গানটিই মনে করিয়ে দেয় জনপ্রিয় টেলিগ্রাম পরিষেবার কথা। কিন্তু বর্তমানে মুঠোফোন, এসএমএস আর ইমেইলের জনপ্রিয়তার যুগে টেলিফোন, পিয়ন আর টেলিগ্রাম তার জনপ্রিয়তা হারিয়ে ফেলেছে। বর্তমানে ভারতে বন্ধ হয়ে গিয়েছে এই পরিষেবা। আগে টেলিগ্রামকে বলা হতো ‘তার বার্তা’। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও পছন্দ করতেন এই তারবার্তায় খবরাখবর আদান প্রদান করতে ১৮৪৪ সালে স্যামুয়েল মোর্স প্রথম এই টেলিগ্রাফ যন্ত্রটি তৈরি করেন। ১৮৫০ সালে ভারতে প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে টেলিগ্রাম পরিষেবা শুরু...
খ্যাতির মধ্যগগনে থাকা প্রাণখোলা, আমুদে, আড্ডাপ্রিয় আর শিশুর সরলতা নিয়ে বেঁচে থাকা, নামী শিল্পী না হলেও তাঁদের গুণের কদর করা, গুরু-শিষ্য পরম্পরায় বিশ্বাসী, শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রতিনিধি হয়েও রবি ঠাকুরের গান গাওয়া মানুষটা গত মঙ্গলবার ৯ জানুয়ারি স্বল্প রোগভোগের পর চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
রিলিজের প্রায় ২৬ বছর পর পৃথিবীর অন্যতম আলোচিত চলচ্চিত্র উৎসবের এক বিশেষ দিন মুখর হয়েছিল এই ছবিকে ঘিরে। প্রদর্শনের শেষে বিদেশি দর্শকদের করতালি সেদিন অনেকক্ষণ স্থায়ী হয়েছিল, উদ্ভাসিত হয়েছিল অশীতিপর পরিচালকের মুখ।
“ম্যাক্স মুলার ভারতবর্ষকে যে পরিমাণ ভালবাসেন আমি আমার মাতৃভূমিকে তাহার শতাংশ ভাগ ভালবাসিতে পারিলে নিজেকে কৃতার্থ বলিয়া মনে করিতাম”।— স্বামী বিবেকানন্দ
মুলার ১৮২৩ সালের ৬ ডিসেম্বর জার্মানির আনহাল্ট রাজ্যের রাজধানী দেসাউতে জন্মগ্রহণের চার বছরের মধ্যে পিতৃহারা হন। ছোট সেই ছেলের তখন একমাত্র আশা ভরসা তাঁর মা।
আজ শুরু নবদ্বীপের ঐতিহ্যশালী রাস উৎসব। ধীরে ধীরে সেজে উঠেছে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড, চৈতন্যদেবের জন্মভূমি, বর্তমানের ‘হেরিটেজ সিটি’—সুপ্রাচীন এই নগর।