এ বার একটা বানরের গল্প জাতকমালা থেকে। সেবার বোধিসত্ত্ব রাজার অমাত্য হয়ে জন্মেছেন এবং প্রভুকে ধর্ম ও অর্থবিষয়ে পরামর্শ দিয়ে তাঁর সর্বার্থসিদ্ধি করেন। একবার প্রান্তদেশীয় জনগণ বিদ্রোহী হল, সেই সংবাদ রাজার কাছে পৌঁছল।

এ বার একটা বানরের গল্প জাতকমালা থেকে। সেবার বোধিসত্ত্ব রাজার অমাত্য হয়ে জন্মেছেন এবং প্রভুকে ধর্ম ও অর্থবিষয়ে পরামর্শ দিয়ে তাঁর সর্বার্থসিদ্ধি করেন। একবার প্রান্তদেশীয় জনগণ বিদ্রোহী হল, সেই সংবাদ রাজার কাছে পৌঁছল।
১৯১২ সালের জানুয়ারি মাসে লিওনার্ড ভার্জিনিয়াকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। তখন মাস ছয়েক তিনি ভার্জিনিয়ার বোনের বাড়ির ওপর তলায় থাকতেন। প্রেমের তীব্র আকর্ষণে সে সময় তিনি ভার্জিনিয়াকে ছেড়ে শ্রীলঙ্কায় চাকরিতে ফিরে যাওয়ার কথা ভাবতেই পারছিলেন না। ছুটি চাইলেন চাকরি স্থল থেকে। ছুটি নামঞ্জুর হল। ভালো চাকরিটি ছেড়ে দিলেন।
দেওয়ালি মেলাকে কেন্দ্র করে ত্রিপুরার উদয়পুরের ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দির সেজে উঠেছে এখন। শুধু ত্রিপুরা কেন, গোটা উত্তর-পূর্বাঞ্চলেরই এক উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় পর্যটন ক্ষেত্র হচ্ছে মাতা ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দির প্রাঙ্গণ। তার সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইতিহাস,পুরাণ আর কিংবদন্তী! একান্ন পীঠভূমির এক পীঠভূমি হচ্ছে উদয়পুর। সারা বছর রাজ্য ও বহির্রাজ্যের পুণ্যার্থী মানুষ ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দির দর্শনে উদয়পুর আসেন।
শেয়াল কখনও কোনও গল্পে বীরের মর্যাদা পেয়েছে? গল্পসাহিত্যের প্রকল্প বা প্লটে সিংহ উদারচেতা পশুরাজ, কখনও বা অবিমৃষ্যকারী, অপরিণামদর্শী। আর শেয়াল? “আমাকে দেখুন” টাইপের ঔদ্ধত্য নিয়ে নিজের নাক কেটে অন্যের যাত্রাভঙ্গে তার জুড়ি মেলা ভার। এই যেমন আজকের গল্পেও একটা শেয়াল আছে, সিংহ-ও আছে।
ভার্জিনিয়ার মানসিক অসুস্থতার শিকড় তার শৈশবে। সৎ ভাই জর্জ ডাকওয়ার্থ-এর যৌন হেনস্থার শিকার হন মাত্র ছ’ বছর বয়সে। তারপর আবার মায়ের মৃত্যুর পর সমবেদনা জানানোর অছিলায় ভার্জিনিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হন জর্জ। পরবর্তীকালে তার জীবনীকার এই মনোবেদনার কথা লিখেছেন।
সিংহ পশুরাজ। তার কাজকর্মে রজোগুণের উৎসাহ, উৎসাহের চোটে কখনও নির্বোধের মতো কাজ করলেও খারাপ কাজ তার নীতিবিরুদ্ধ। শেয়াল অবশ্য তেমনটা নয়, প্রাংশুলভ্যে ফলে লোভ দেওয়া থেকে ছলচাতুরি করে অপ্রাপ্যকে হাতানোর প্রতারণাকৌশল তার নখদর্পণে। সিংহমামা আর শেয়ালমামার এই ফারাকটুকু বুঝে নিয়ে গল্পে এগোনো যাক।
হে বীর, তোমার যা কর্ম, তার যথাযথ সম্পাদন তোমার কর্তব্য। সেই কর্তব্যের হানি জীবনে দুঃখকেই জাগিয়ে তোলে কেবল। কর্মের সম্পাদনের মধ্যে দিয়ে নিজেকে যোগ্য থেকে যোগ্যতর করে তোলাই পার্থিব জীবনের লক্ষ্য। কর্মফলের আকাঙ্ক্ষা অন্তর্লোকে আসক্তিকেই পুষ্ট করে ক্রমাগত। আসক্ত জীবন মুক্তচিত্তে বিরাটের অনুধ্যান ও তাকে উপলব্ধি করতে সমর্থ হয় না। স্যার বুকুকে বললেন, "কী ব্যাপার বল তো? আজ চারদিন হল, তুই পড়াটা তৈরি করে উঠতে পারছিস না, তুই কি আদৌ বুঝেছিস কি বলতে চেয়েছে ওখানে? অন্ধের মতো মুখস্থ করে আজকাল আর কিছু হয় না, সে তো তোর...
বোধিসত্ত্ব সেবার এক বণিক হয়ে জন্মেছেন। এমনিতেই বলা হয় বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী, আর বাণিজ্যের নিয়মনীতি, কৌশল নানারকম, তার মধ্যে একটা হল প্রতারণা। বণিকমাত্রেই এমন করবেন সেটা না হলেও, জটিল কৌশল আর মানুষের মন বুঝে তাকে নিজের জিনিসটা গছানোর একটা চেষ্টা কিংবা দায় থাকে। মহানগর চলচ্চিত্রে নায়িকা সেলসের চাকরি পেয়ে এই বাণিজ্যনীতির মুখোমুখি হয়েছিল।
গোপন খবর অনুযায়ী ওই বছরই ব্যস্ত কলকাতার ১৪ জুন সকালে টাউনসেন্ড রোড ও হাজরা রোডের মোড়ে একটি বাড়িতে অভিযান চালায় ব্রিটিশ পুলিশ। খবর ছিল ওই বাড়ির দোতলায় লুকিয়ে আছেন যতীন দাস। খবর মিলে যায়। জেপি স্যান্ডার্সকে হত্যার অপরাধ ও ইংরেজ সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অন্যতম অভিযোগী হিসেবে গ্রেফতার হন ২৪ বছরের তরুণ বিপ্লবী যতীন দাস।
গল্প শোনার আগ্রহ মানুষের চিরকালীন প্রবণতা। কেন ভালো লাগে? অবসরের বিনোদন হল গল্প, অনেককিছু জানা যায় বৈকী! কোথায় গল্প হচ্ছে না? রাস্তায়, বাড়িতে, বাসে, ট্রেনে, বাজারে, চায়ের আড্ডায় কিংবা কেজি থেকে পিজির ক্লাসে, হোটেল থেকে হোস্টেলে, বোর্ড মিটিং থেকে রাজনীতির ময়দানে কল্পনা জল্পনা মিশিয়ে যে সংলাপধর্মী বার্তালাপ চলে, তাকে ভালো কথায় আড্ডা, আলাপচারিতা বলা যায়।
শুধু রাষ্ট্র এবং সমাজের ওপর দোষ না চাপিয়ে প্রত্যেক বাঙালি যদি তার নিজের কর্তব্যবোধ থেকে বাংলা ভাষার প্রতি যত্নশীল হয়ে উঠতে পারে। নিত্যযাপনের সঙ্গী করে নিতে পারে বাংলা ভাষাকে, পারিপার্শ্বিক মানুষের মধ্যে জ্বালিয়ে রাখতে পারে বাংলা ভাষা নামক মশালটিকে।
ভাষাই ভাবের আধার, ভাবনার আশ্রয় হয়ে সামাজিক অবস্থান, উত্তরণ, জাতির বৌদ্ধিক চর্যা-চর্যার সাক্ষ্য বহন করেছে। বাংলাভাষা তার ব্যতিক্রম নয়। তার খাতায়-কলমে ‘ক্লাসিক্যাল’ হয়ে ওঠায় নতুন নতুন ভাষ্য ও সমীকরণের সম্ভাবনা, মৌরলা মাছ আর নালচে শাক দিয়ে লাঞ্চ করা আর তার দুঃখ অবধানের চর্যার বারোমাস্যা আমানির গর্ত দেখা সেই অতীত মানুষ বাংলাকে জীবনানন্দ, প্রাণের সুখ বলে ভেবেছে, ভাবছে।
>অল ইন্ডিয়া রেডিওতে যোগ দেওয়ার তিন বছরের মধ্যে ১৯৩১ সালে তিনি, বাণীকুমার ভট্টাচার্য, রায়চাঁদ বড়াল, পঙ্কজকুমার মল্লিক এবং আরও অনেক গুণী মানুষের প্রচেষ্টা স্বরূপ কালজয়ী সৃষ্টি ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ হয়ে ওঠে বাঙালি জীবনের অঙ্গ। পুরো দলটিকে যথাযথ পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করেছিলেন অধ্যাপক অশোকনাথ শাস্ত্রী বেদান্ততীর্থ মহাশয়। এই অনুষ্ঠান প্রথম সম্প্রচারের প্রায় ৯০ বছর অতিক্রান্ত হলেও এর আবেদন আজও অমলিন।
ব্যক্তিপুজোর দেশে নাকি এ সব হয়ে থাকে। এখন পোস্ট ট্রুথের জমানা। অনায়াসে বঙ্কিমে ভাগ বসান রবি, রবিকে খানিক হজম করেন শরচ্চন্দ্র, আবার চাঁদ গিলে নেয় অন্য নক্ষত্র। তেমনই, বিদ্যাসাগর রামমোহন একাকার। বিদ্যাসাগর এবছর যদি বিধবা বিবাহ চালু করলেন তো পরের বছর সতীদাহ আটকালেন।
চতুর্বিধ মানুষের আত্মজিজ্ঞাসা জাগে। যারা সকাম, অর্থ বা বিষয়ের আসক্তি যাদের আবদ্ধ রেখেছে, তাদের আত্মজাগরণ ঘটতে পারে। যারা আর্ত, দুঃখী, সম্পন্নতায় কিংবা ধনাভাবে যাদের বিপন্নতা, যারা লব্ধকাম নয়, তারাও আত্মজিজ্ঞাসু হতে পারে।