Skip to content
বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ, ২০২৫

বিচিত্রের বৈচিত্র

স্মৃতিকথায় সুরসম্রাজ্ঞী, পর্ব-৩

স্মৃতিকথায় সুরসম্রাজ্ঞী, পর্ব-৩

মুম্বইয়ে একবার লতাজির সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল আমার। সেই সময় আলোচনা হয়েছিল বিভিন্ন সংগীত পরিচালকের সুরে তাঁর গান গাইবার অভিজ্ঞতা নিয়ে। তাঁর সারাজীবনের কেরিয়ারে তিনি যে সমস্ত সুরকারের সঙ্গে কাজ করেছিলেন তাঁদের মধ্যে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় ছাড়াও শচীন দেব বর্মন, অনিল বিশ্বাস, সি রামচন্দ্র, নৌশাদ, মদনমোহন প্রমুখ সুরস্রষ্টার সঙ্গেও তাঁর সুন্দর সম্পর্ক ছিল। যদিও মাঝে একবার সি রামচন্দ্রের সঙ্গে গানসংক্রান্ত বিষয়েই কিছু মনোমালিন্য হয়েছিল৷ কিন্তু অল্প সময়ের ব্যবধানে তা মিটেও যায়৷ সত্যি কথা বলতে গেলে সেই সময় ছবির জগতে লতাজির...

read more
বিদায়বেলায় সুরের ভেলায়

বিদায়বেলায় সুরের ভেলায়

বাগদেবীর বিসর্জনের সঙ্গে সঙ্গেই যেন বিসর্জন হল সংগীতের সুরের প্রতিমাও। চলে গেলেন সুরসম্রাজ্ঞী, শোকস্তব্ধ আপামর সংগীতজগৎ। লতা মঙ্গেশকরের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা করেন। পাশাপাশি আগামী পনেরো দিন টানা সমগ্র বাংলা জুড়ে বাজবে লতার গান। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের তরফ থেকে জারি করা মুখ্যমন্ত্রী শোকবার্তায় লেখা হয়, ‘কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণে আমি গভীরতম শোক প্রকাশ করছি৷ তিনি আজ মুম্বইয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল...

read more
কোকিলকণ্ঠীর গান শুনে শুনে বড় হয়েছি

কোকিলকণ্ঠীর গান শুনে শুনে বড় হয়েছি

সকল সংগীতপ্রেমী মানুষের অন্তর শূন্য করে তিনি চলে গেলেন। তাঁর গানে আমরা বাঙালিরা মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে আছি কয়েক দশক জুড়ে। ব্যক্তিগত প্রসঙ্গে আসি। তাঁর গান শুনে শুনে বড় হয়েছি। বাংলা ছবির স্বর্ণযুগের এক স্মরণীয় গায়িকাই ছিলেন তিনি। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সুরে তাঁর গাওয়া বাংলা ছবির গানগুলিতে আজও বাঙালি মজে আছেন। এই মুহূর্তে মনে পড়ছে 'মনিহার' ছবির আষাঢ় শ্রাবণ মানে না তো মন, নিঝুম সন্ধ্যায় পান্থ পাখিরা, 'বাঘিনী' ছবির যদিও রজনী পোহালো তবুও, 'মন নিয়ে' ছবির চলে যেতে যেতে দিন বলে যায়, 'অদ্বিতীয়া' ছবির চঞ্চল মন আনমনা...

read more
স্মৃতিকথায় সুরসম্রাজ্ঞী, পর্ব -২

স্মৃতিকথায় সুরসম্রাজ্ঞী, পর্ব -২

চলে গেলেন ভারতবর্ষের সুরসম্রাজ্ঞী। শোকস্তব্ধ দেশবাসী। ভারতবর্ষের আপামর সংগীত জগৎকে বিগত আট দশক ধরে ঋদ্ধ করেছেন তিনি। দেশের প্রতিটি প্রান্তের মতো বাংলা সংগীত জগৎও তাঁর কাছে চিরঋণী৷ বাংলা ভাষায় গেয়েছেন অজস্র গান৷ বাংলার বিভিন্ন খ্যাতনামা সংগীতশিল্পীর সঙ্গেও তাঁর ছিল ভালো সম্পর্ক। তেমনই এক সুমধুর বন্ধুত্বপূর্ণ দিদি-বোনের সম্পর্ক ছিল প্রবাদপ্রতিম শিল্পী লতা মঙ্গেশকর এবং কিংবদন্তি গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের। লতাজি কলকাতায় এলেই হয় উঠতেন ভবানীপুরের রূপনারায়ণ নন্দন লেনে হেমন্তদার বাড়িতে. নয়তো উঠতেন সন্ধ্যা...

read more
স্মৃতিকথায় সুরসম্রাজ্ঞী, পর্ব -১

স্মৃতিকথায় সুরসম্রাজ্ঞী, পর্ব -১

প্রায় ৩৪ বছর আগের কথা। সেবার পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে আয়োজন করা হয়েছিল এক বিশাল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেদিন উপস্থিত ছিলেন লতা মঙ্গেশকর, হেমন্ত মুখোপাধ্যায় সহ মুম্বই চলচ্চিত্র জগতের তাবড় তাবড় অভিনেতা-অভিনেত্রী ও গায়ক-গায়িকা। উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী সস্ত্রীক জ্যোতি বসু। ঘূর্ণায়মান মূল মঞ্চের সামনে ভিআইপি এনক্লোজারে বসে লতাজি, সামান্য তফাতে বসে রয়েছেন জ্যোতি বসু। সাংবাদিক হিসেবে আমিও ভিআইপি এনক্লোজারে থাকার সুযোগ পেয়েছিলাম। প্রসঙ্গত, কলকাতার স্বনামধন্য ব্যবসায়ী গোয়েঙ্কা পরিবারের কোনও...

read more
লতাজি তাঁর সোনার পায়েল খুলে আমার পায়ে পরিয়ে দিলেন নিজের হাতে

লতাজি তাঁর সোনার পায়েল খুলে আমার পায়ে পরিয়ে দিলেন নিজের হাতে

বহুদিন আগের কথা। প্রায় পঞ্চাশ বছর তো হবেই। আমার শ্বশুরমশাই হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমি একদিন দেখা করতে গিয়েছিলাম সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে। ওঁর বাড়িতে গিয়ে দেখলাম তিনি বেডরুমে বসে আছেন। বেডরুমটি একেবারে ঠাকুরঘরের মতো। অনেক ঠাকুর দিয়ে চারদিক সাজানো। রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব, মা সরস্বতী, সারদা মা, সিদ্ধিদাতা গণেশ, স্বামী বিবেকানন্দ আরও কত দেব-দেবীর ছবি চারদিকে। ধূপকাঠির ধোঁয়ায় ঘর ম ম করছে। সুরসম্রাজ্ঞী খোলা চুলে বুটি বুটি নকশা করা সাদা শাড়ি পরে বসেছিলেন। হাতে ছিল ওঁর তানপুরা। তখনই আমার মনে হয়েছিল সাক্ষাৎ মা...

read more
আমার সরস্বতী

আমার সরস্বতী

গতকালের সরস্বতী পুজোর রেশ এখনও কাটেনি। আজ সকালেও ভেসে আসছে টুকরো টুকরো শাঁখের আওয়াজ, ঘণ্টাধ্বনি ও ধুপধুনোর গন্ধ। সবে চায়ের কাপে চুমুক দিয়েছি, ঠিক তখনই মুঠোফোনে এল একটি বুক-খালি-করা বার্তা— সুরসম্রাজ্ঞী কোকিলকণ্ঠী লতা মঙ্গেশকর আর আমাদের মধ্যে নেই! করোনা আর আমাদের কত রিক্ত করবে কে জানে! গতকাল রাতের খবরেই শুনেছিলাম শিল্পীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। মাকে বলেওছিলাম বোধহয়, 'আর মনে হচ্ছে বেশি দিন নয়!' কিন্তু কথাটা যে পরের দিন সকালেই এমনভাবে সত্যি হয়ে যাবে ভাবিনি! প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে বাগদেবীর মৃন্ময়ী মূর্তির আরাধনা...

read more
নেতাজি ছাত্রদের অনুপ্রাণিত করেছিলেন দেশসেবার মন্ত্রে

নেতাজি ছাত্রদের অনুপ্রাণিত করেছিলেন দেশসেবার মন্ত্রে

শুভ সকাল। আমার সকল স্নেহের ছাত্রছাত্রীরা তোমরা আশা করি ভালো আছো। বর্তমানে আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি, আশা করি ভবিষ্যতে সকল দুঃখ কষ্টের অবসান হবে। পৃথিবী আবারও নতুন করে শ্বাস গ্রহণ করবে, প্রভাতের আলোতে স্নাত হবে সমগ্র মানবপ্রজাতি। আজ ২৩ জানুয়ারি। সেই বিখ্যাত দিন যেদিন জন্ম হয়েছিলেন মহান দেশনায়ক নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। নত মস্তকে আমরা তাঁকে সশ্রদ্ধ প্রণাম জানাই। শুধু এই দিনটি নয়, বছরের প্রত্যেকটা দিন, প্রত্যেকটা মিনিট আমরা এই মহান কর্মঠ, পৌরুষকে স্মরণ করি। তিনি যেন গ্রহান্তরের কক্ষপথ হতে ছিটকে এসে...

read more
লয়ের অপর নাম মহারাজজি…

লয়ের অপর নাম মহারাজজি…

শাস্ত্রীয় নৃত্যজগতের অন্যতম কাণ্ডারি বিরজু মহারাজজির দেহাবসান হয়েছে গত ১৬ জানুয়ারি। মঞ্চ আজ শোকস্তব্ধ, থেমে গেল চিরতরে ‘লয়ের পুতুল’-এর ঘুঙুর। তাঁর বিদায়কালে এহেন অভাবনীয় শিল্পীসত্তার প্রতি রইল আমাদের শ্রদ্ধার্ঘ্য।‘মালতী গুন্দাভ কেশ প্যায়ার গুলগবারে মুখ দামিনী সি দমখত চল মাতয়ারি চল মাতয়ারি, চল মাতয়ারি’ঝাড়বাতির চতুর্ভেদী আলোর ছটায় সুসজ্জিত এক ‘রঙমহাল’এ জুঁই, রজনীগন্ধা আর আতর সুবাসিত পথ ধরে এসে দাঁড়ালেন যিনি তাঁর চলনে শাস্ত্রীয় শিক্ষার স্পর্শ যেন পরতে পরতে। দু পায়ে দুশো দুশো চারশো ওজনের ঘুঙুর নিয়ে যথাযথ সেলামির পর...

read more
যেতে পারি কিন্তু কেন যাব?

যেতে পারি কিন্তু কেন যাব?

বাংলায় তুর্কি আক্রমণের পরে বাঙালির জাতীয় জীবনের আইডল, সুপারহিরো হিসাবে প্রতীকী ধারণা হিসাবে মূর্ত হয়ে উঠেছিলেন 'শ্রীকৃষ্ণ'। শ্রীকৃষ্ণ ঈশ্বর, হিন্দু দেবত্ববাদে বিশ্বাসী সাধারণ মানুষের জাতীয় আত্মতুষ্টিকে মালাধরের বীররস সমৃদ্ধ শ্রীকৃষ্ণের ইমেজ এই অন্য স্তরে উন্নীত করেছিল। শ্রীকৃষ্ণ হোক বা রামচন্দ্র বাঙালির, আদর্শবান সুপারহিরোরা তথা মানববেশী ঈশ্বরদের অরিষ্টাসুর, কেশি বা রাবণ বধের প্রোটোটাইপ গড়ার মধ্য দিয়ে বাঙালির হাতে আশ্বস্তির চাবিকাঠি তুলে দিয়ে চেতনাগতভাবে তাকে খানিকটা আরাম দিলেও মানুষ মানুষকেই বেশি ভালো চেনে। তাই...

read more
আক্ষেপ থেকেই গেল…

আক্ষেপ থেকেই গেল…

চাপারমুখ আর জাগিরোড‌ থেকে মামারা যেতেন গ্রামের বাড়িতে।‌ তাঁদের হাত দিয়ে যেত 'শুকতারা', 'নবকল্লোল', দেব সাহিত্য কুটিরের নানারকম বই। মধ্য অসমের ওইরকম একটি দূর দরিদ্র গাঁয়ে বসে সেই অতি শৈশবে বাঁটুল দ্য গ্রেট, হাঁদা-ভোঁদার সঙ্গে আমার পরিচয়। পরে দাদারা কলেজে পড়ার সময় হোজাই লংকা থেকে স্বপ্নের পত্রিকাগুলো নিয়ে আসত।‌ এর পরের সিরিজটি ছিল নন্টে-ফন্টে আর বাহাদুর বেড়াল।‌ ২০১৩-তে কলকাতা বইমেলায় অসম প্রকাশন পরিষদের স্টল দিই আমরা। বিরাট‌ অনুষ্ঠান হয়। সঞ্চালক কালিকাপ্রসাদ। মুখ্য অতিথি সাহিত্যিক শংকর আর শীর্ষেন্দু...

read more