বাবা ছিলেন নৈহাটির বিখ্যাত ডাক্তার সাধনকুমার মিত্র। স্বয়ং বিধানচন্দ্র রায়ের ছাত্র। সেই সূত্রে তাঁকে বাড়িতে আসতেও দেখেছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই বাবা চাইতেন ছেলে তাঁর মতো ডাক্তার হবে। কিন্তু ছেলের তো গান অন্ত প্রাণ।

বাবা ছিলেন নৈহাটির বিখ্যাত ডাক্তার সাধনকুমার মিত্র। স্বয়ং বিধানচন্দ্র রায়ের ছাত্র। সেই সূত্রে তাঁকে বাড়িতে আসতেও দেখেছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই বাবা চাইতেন ছেলে তাঁর মতো ডাক্তার হবে। কিন্তু ছেলের তো গান অন্ত প্রাণ।
…তাই বলি পুরুষ, ভালোবাসি তোমায়, আদর শুধু তোমারই জন্য। তুমি শুধু বুঝে চল আমায়, মুঠো বন্ধ করে রেখো না, উদার হাতে ছেড়ে দিও।
দীপাবলি নামটির মধ্যে রয়েছে ঈশ্বরীয় আবেশ, ইতিহাস ও পুরাণের অভিবন্দনা। দীপাবলি— এই সংস্কৃত শব্দ থেকেই দিওয়ালি কথাটি এসেছে। ‘দীপ’ অর্থ প্রদীপ, ‘আবালি’ অর্থ সারি।
অন্নদামঙ্গল কাব্যে ঈশ্বরী পাটনী বলেছিলেন— “আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে”। মা দুর্গাও চান তাঁর আগমনে মর্তবাসী কেউ যেন না খেয়ে থাকেন।
তর্পণের উল্লেখ পাওয়া যায় মহাভারতেও। দাতা কর্ণের মৃত্যুর পর তাঁর আত্মা স্বর্গে গমন করলে সোনা ও মূল্যবান ধাতু খাদ্য হিসেবে দেওয়া হয় তাঁকে।
নেত্র সেনের স্ত্রীর প্রত্যক্ষ সহায়তা পেয়েছিলেন তিনি। বেঁচে থাকতে কখনও স্বামীর হন্তাকে চিনিয়ে দেননি তিনি। কারণ, তিনি ছিলেন মাষ্টারদার একনিষ্ঠ ভক্ত। এমনি প্রভাব ছিল জনমানসে মাষ্টারদার।
আমরা যাঁর মৃত্যুদিবস পালন করি তাঁর জীবদ্দশায় মৃত্যু এসেছে এত অথচ তিনি রয়েছেন জীবিত বরাবর। সশরীরে বা অশরীরে। তাঁর অনুভবের প্রতিটা মৃত্যুই ছিল একের থেকে এক ভারবহ। সকলেই ছিলেন তাঁর প্রিয়তর থেকে প্রিয়তম।
“আমি পৃথিবীর কবি যেথা তার যত উঠে ধ্বনি আমার বাঁশির সুরে সাড়া তার জাগিবে তখনই” বলেছিলেন যে কবি, তাঁর নিজের একান্ত পার্থিব বৃত্তের বেদনবাঁশির ঝঙ্কারও বড় কম নয়।
অবনীন্দ্রনাথের বেশিরভাগ বই-ই শিশুসাহিত্যের পর্যায়ভুক্ত। ছোটদের নিতান্ত ছোট ভেবে অবজ্ঞায়, অবহেলায় লেখা নয়, রীতি মতো দরদ দিয়ে, আন্তরিকতার সঙ্গে লেখা।
আজ আমরা ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পের এমন দু’জন নক্ষত্রকে নিয়ে আলোচনা করব যা, সারস্বত সমাজে ব্যতিক্রম পদবীভূক্ত। স্বর্গীয় দ্যুতিভরা মুখের হাসিতে দু’জন গন্ধর্বের একসঙ্গে একটা ছবিও পাওয়া যায় না।
‘নায়ক’ ছবির সারস্বত সম্পদের প্রতি শতকরা একশো ভাগ শ্রদ্ধা রেখেই বলা যায়, প্রভাত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘বিচারক’ ছবিটিও উত্তম কুমারের জাত চেনানোর জন্য যথেষ্ঠ।
অ্যালিয়াস উইট বলেছিলেন, ‘অভিনয় জিনিসটা আসলেই যাদুর মতো। বেশভূষা এবং আচরণ পরিবর্তন করেই আপনি পুরোপুরি নতুন একজনে পরিবর্তন হয়ে যেতে পারেন।’
সম্পাদকীয়র পাতায় পাতায় আত্মকথনে মগ্ন হয়েছেন ঋতুপর্ণ কখনও অত্যন্ত সচেতনে আবার কখনও অসচেতনে। প্রান্তিক একাকী এক মানুষের নিঃসঙ্গতার উদযাপন ধরা পড়েছে তাঁর দিনলিপির পাতায়, সাহিত্যগুণে যা কোনও অংশে কম নয়।
কাজী নজরুল ইসলাম যে কয়েকটি নারী জাগরণের গান বেঁধেছেন, বাংলা সাহিত্যে ও সংগীতে তা অমূল্য সম্পদ হয়ে রয়ে যাবে।
‘কবে আমি বাহির হলেম তোমারি গান গেয়ে, সে তো আজকে নয়, সে আজকে নয়!...’ আজ রবীন্দ্রজয়ন্তী। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে চারদিকে সাজো সাজো রব। আপামর বাঙালির বড় প্রাণের উৎসবে আজ। এবছর আরও আনন্দের কারণ দু’বছর পর সকলে আবার আনন্দ উৎসবে শামিল হতে পেরেছে। দ্বারকানাথ ঠাকুর লেন যেখানে রবীন্দ্র সরণীতে মিশেছে, সে পথটার সকালবেলার ছবি আজ অন্যরকম। ‘অশনি’ সংকেত উপেক্ষা করেই ভোরবেলা থেকে দলে দলে রবীন্দ্রানুরাগী মানুষের ঢল নেমেছে এ পথে। বেল জুঁইয়ের গন্ধে ম ম করছে এ পথ। সাদা শাড়ি, পাঞ্জাবির সাজ চলতে চলতে থমকে...