কী দেখছে সে? তারপর তার মনে হল, যাই হোক না কেন, বাইরে বেরিয়ে দেখা উচিত। কি হচ্ছে জানতেই হবে তাকে। ঘুরে বেরুতে যাবে, বাধা পেল। পরাণ এসে দাঁড়িয়েছে কখন নিঃশব্দে। ফিসফিস করে বলল সে, “চুপ থাক। কাউকে বলিস না।

কী দেখছে সে? তারপর তার মনে হল, যাই হোক না কেন, বাইরে বেরিয়ে দেখা উচিত। কি হচ্ছে জানতেই হবে তাকে। ঘুরে বেরুতে যাবে, বাধা পেল। পরাণ এসে দাঁড়িয়েছে কখন নিঃশব্দে। ফিসফিস করে বলল সে, “চুপ থাক। কাউকে বলিস না।
নদীর পাড় ধরে গেলে থানাটা কাছে পড়ে। পুরুষোত্তম ওই রাস্তাতেই গেল। পাণ্ডা দুটোকে দড়ি বেঁধে টেনে নিয়ে গেল থানা পর্যন্ত। তখনও অন্ধকার। শুধু পদ্মা আর তার দুই মেয়ে ছাড়া গোটা বার্ণপুর ঘুমোচ্ছে।
পূর্ণিমা তার কথার রাগ করে জানালা দিয়ে তাকে দেখাতে যাবে, তখন দেখল, কোথায় কে? কেউ কোথাও নেই। ঘাটের উপর কেবল জ্যোৎস্না আর পাশের পনস গাছের ছায়া পড়ে মনে হচ্ছে কেউ বসে আছে। ছায়াশরীর কেউ।
পুরুষোত্তম শান্তভাবে পদ্মার কথা শুনল। তারপর খাওয়াদাওয়া করলো একটু বিশ্রাম করে বেরিয়ে গেল। ফিরলো রাতে। এতদিন যে সাংঘাতিক ছটফটানি মানসিক কুণ্ঠা নিয়ে পুরুষোত্তম দিন কাটাচ্ছিল তার লেশমাত্র নেই।
পরাণের আগের পক্ষের বউ ছিল নাকি যেমন দেমাকি, তেমনি লক্ষ্মীমন্ত। এ গাঁয়ের কারও সঙ্গে কথা বলত না তেমন, লোকের সামনে বেরতোও না বিশেষ। বেরলেও এক গলা ঘোমটা, পায়ের পাতা দেখা যায় না এমন করে শাড়ি পরা।
শিউলাল জানতে চায়! “অব কীধর?” তখন অনেক রাত। তখনও সমানভাবে বৃষ্টি পড়ে যাচ্ছে। এবার কোথায়? বড় সাংঘাতিক প্রশ্ন! সত্যিই তো কোথায় যাবে পুরুষোত্তম?
সতী যখন বছর দুই তখন পদ্মার কোলে দ্বিতীয় কন্যাসন্তান এলো। নরোত্তম আবার যেন জীবনের ছন্দ খুঁজে পেলেন। তার নাম রাখলেন সাবিত্রী। পদ্মা খুব যত্ন করে মেয়েদের বড় করে তুলল। পুরুষোত্তম ছুটিতে এলে মেয়েদের আদর দিয়ে মাথায় তুলতো।
কদিন ধরে শিবানী লক্ষ্য করে তার বট গাছটির প্রায় গায়ে আর একটি বট গাছ জন্ম নিয়েছে। সারাটা দিন কাজের পর ক্লান্ত শরীরে বটের নীচে বসে ছেলের বিয়ের স্বপ্ন দেখে শিবানী।
পুরুষোত্তম নরোত্তম ঝা মৈথিলী ব্রাহ্মণ পরিবারের মানুষ। তবে গত তিন প্রজন্ম ধরে তাঁদের হুগলি জেলার তারকেশ্বরে বসবাস। দাদা দেবোত্তম ও তারকেশ্বর শিবমন্দিরের পুরোহিত হয়েছিলেন।
হারিয়ে যাওয়া শিশুর মতো আমাদের নীলরঙা বিগ-শপারকে পিছনে ফেলে রেখে আমরা গেটের মধ্যে অদৃশ্য হলাম। এয়ারপোর্টের বাইরে গাড়ি যাচ্ছে আসছে। আর ‘ব্যাগ অ্যালোন’-এর মতো একা রাস্তায় পড়ে রয়েছে আমাদের সেই নীলরঙা বিগ-শপার।
অনুষ্ঠান শেষ হতেই ছাত্র-ছাত্রীরা ঘিরে ধরল তাদের বিশিষ্ট অতিথিকে। তাদের ভিড় সামলে মহুয়ার খোঁজ করতেই জানতে পারলো শারীরিক অসুস্থতার কারণে মিনিট পাঁচেক আগে সে বেরিয়ে গেছে বাড়ির উদ্দেশ্যে।
জিয়া সব শুনল। জানতে চাইল ডঃ রেজা কী বলেছেন। তারপর জিজ্ঞেস করল তিয়াস কী চায়? তিয়াস জানাল, তিয়াস কী চায় সেটা বড় কথা নয়, এই শিশুকে গর্ভে ধারণ করতে নানান ওষুধপত্রে নিজেকে তৈরি করেছে জিয়া।
কালীপুজোর দিন সকালে জিনিস আনতে গিয়ে দেখি সিকিউরিটিরা কী একটা ব্যাপারে খুব ব্যস্ত। তাঁদের কাছে চার-চারটে মিষ্টির প্যাকেট এসেছে। ডেলিভারি এড্রেস-এ লেখা আছে, ‘সিকিউরিটি স্টাফ’ আমাদের কমপ্লেক্স এর নাম।
পাঁচুর মা ভাবছে মহাদেবের কৃপা। কৃপা তো বটেই। ভূত-প্রেত এরা তো ভোলা মহেশ্বরেরই চেলাচামুণ্ড। মা’তো জানে না ছেলে পাঁচুর অনুরোধেই দা’ঠাকুর এমন ব্যবস্থা করেছেন।
আচ্ছা দাঠাকুর এখন তো আমরা ইচ্ছে করলেই কাউকে একটা বলতে পারি কি নিজেই ওই পরান উকিলের ঘাড়ে চেপে তার মুণ্ডুটা মটকে দিতে পারি!