পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের অধীনে সৌরযানটিকে মোট পাঁচটি কক্ষপথ পরিবর্তন করতে হবে। প্রতি ধাপেই এই সৌরযানের গতি একটু একটু করে বাড়বে। পাঁচ বার কক্ষপথ বদলের পর আদিত্য-এল১ পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ ছেড়ে বেরিয়ে যাবে।

পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের অধীনে সৌরযানটিকে মোট পাঁচটি কক্ষপথ পরিবর্তন করতে হবে। প্রতি ধাপেই এই সৌরযানের গতি একটু একটু করে বাড়বে। পাঁচ বার কক্ষপথ বদলের পর আদিত্য-এল১ পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ ছেড়ে বেরিয়ে যাবে।
চাঁদের দক্ষিণ মেরুর মাটিতে প্রজ্ঞানের চাকা গড়ালেই মাটিতে সেই সব চিহ্নের ছাপ পড়বে। অর্থাৎ, ওই ১০০ মিটার পথে এই চিহ্ন খোদাই করা হয়ে গিয়েছে।
চাঁদের মাটিতে যান পাঠানোর প্রস্তুতিটে এক নাগাড়ে ক্লান্তিহীন পরিশ্রম এবং বিনিদ্র রাত কাটানো সত্ত্বেও তাঁরা অবসাদে না ভুগে বিরামহীন ভাবে কাজ করে গিয়েছেন।
ইসরোর রোভার প্রজ্ঞান চাঁদের মাটিতে নতুন ‘মাইলফলক’ ছুঁলো। সে ধীরে ধীরে তার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে। প্রজ্ঞান ১০০ মিটার দূরত্ব পার করে ফেলেছে।
শনিবার কাঁটায় কাঁটায় ঠিক ১১টা বেজে ৫০ মিনিট। ভারত আরও এক ঐতিহাসিক মাহেন্দ্রক্ষণের সাক্ষী হল। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর মহাকাশযান আদিত্য-এল১ পাড়ি দিল সূর্যের উদ্দেশে।
ইসরো জানিয়ে দিয়েছে, শনিবার সকাল ১১টা ২০ মিনিট থেকেই এই অভিযান সরাসরি দেখতে পাওয়া যাবে। আদিত্য-এল১ মহাকাশযানটিকে নিয়ে উড়বে পিএসএলভি-সি৫৭ রকেট।
বৃহস্পতিবার ইসরো এই ভিডিয়োটি টুইট করেছে। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, চাঁদের মাটিতে প্রজ্ঞান এদিকে ওদিক ঘুরছে। পাক খেতে খেতে একটু একটু করে সে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
ছবিটি দেখে উত্তেজিত বিজ্ঞানীরা রোভারের নেভিগেশন ক্যামেরাতে তোলা ওই ছবিকে ‘অভিযানের সেরা ছবি’র (ইমেজ অফ দ্য মিশন) তকমা দিয়েছেন।
রোভার প্রজ্ঞান চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে সালফারের খোঁজ পেয়েছে। ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাদের এক্স (টুইটার) হ্যান্ডলে এমনটাই জানিয়েছে।
কিন্তু চাঁদে যদি কেউ সরাসরি প্রস্রাব করেন, তা হলে কী হবে? উত্তরটি নির্ভর করবে আপনি কোন পরিবেশে থেকে প্রস্রাব করছেন তার উপর।
চন্দ্রযান-৩ চাঁদে অবতরণের পরে এই প্রথম বার বাধা পেল। একটি বড়সড় গর্তের সামনে চলে এসেছিল রোভার প্রজ্ঞান। ইসরো সূত্রে খবর, গর্তটি চওড়ায় ছিল চার মিটার।
চাঁদের মাটির নীচে মাত্র ২০ মিলিমিটার গভীরে পৌঁছলেই বাংলার শরৎকালের মতো তাপমাত্রা। সেখানে ৩০ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের মধ্যে ওঠানামা করে পারদ।
শুধু চন্দ্রযান-৩ নয়, ২০১৯ সালে যে জায়গায় চন্দ্রযান-২ ভেঙে পড়েছিল, সেই জায়গারও প্রধানমন্ত্রী নামকরণ করেন। চাঁদে সেই স্থলের নাম দিয়েছেন ‘তেরঙা’।
রোভার ‘প্রজ্ঞান’ কী ভাবে ভিতর থেকে আস্তে আস্তে বেরিয়ে এসে চাঁদের মাটিতে পা রাখল তা প্রকাশ্যে এনেছে ইসরো। ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ সেই ভিডিয়ো ক্যামেরা বন্দি করে সকালেই পাঠিয়ে দিয়েছে।
শুধু চন্দ্রাভিযান নয়, ইসরোর বিজ্ঞানীরা নিঃশব্দে অন্য একটি লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছেন। এখন ইসরোর ভাবনায় চাঁদের সঙ্গে সূর্যও রয়েছে। এই সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই ‘আদিত্য-এল১’ পাড়ি দেবে সূর্যে। এমনটাই জানিয়েছে ইসরো।