১৮৫৪ সালের ২৩ জুন ২৪ পরগনার এক গন্ডগ্রাম ভ্যাবলাতে জন্মগ্রহণ করেন রাজেন্দ্রনাথ। বাবা ভগবানচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ও মা ব্রহ্মময়ী দেবীর সন্তান ছিলেন তিনি। বাবা পেশায় ছিলেন মোক্তার। পিতার চাকুরীস্থল ছিল বারাসতে। মাত্র ছয় বছর বয়সে তিনি পিতৃহারা হন।
সব লেখাই বিজ্ঞানের
জাপানি রেইকি কী? এই থেরাপি কীভাবে রোগ নিরাময় সাহায্য করে?
রেইকি থেরাপি বহুকাল পূর্ব থেকেই জাপান, তিব্বত এবং চিনে প্রচলিত ছিল। রেইকি শব্দটি দুটি শব্দ্যাংশ দ্বারা তৈরি। ‘রেই’ এর মানে হল ‘গডস উইজডম’ বা ‘ভগবানের জ্ঞান’ এবং ‘কি’ এর মানে হল-‘ভাইটাল এনার্জি’ বা ‘জীবনী শক্তি’।
নাচ যখন থেরাপি
ভারতের শিক্ষা পদ্ধতিতে শৈশব থেকে যৌবন পর্যন্ত আমরা সকলে মিলেমিশে হয় বিদ্যালয়, না হয় মহাবিদ্যালয়, অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ে একসঙ্গে পড়াশোনা করি। এখানে আমাদের মনের অনুভূতি ভাগ করে নেওয়ার অনেক বন্ধু পাওয়া যায়।
এটিএম যখন রোগের আঁতুড়ঘর
রাতবিরেতে বিপদ, প্রয়োজন টাকার। ব্যাঙ্ক খোলা থাকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত। বাড়িতে বেশি টাকা রাখাও সম্ভব নয়। মানুষের প্রয়োজন হল বিজ্ঞানের। বিজ্ঞানলক্ষ্মী তার বরপুত্রদের সাহায্যে তৈরি করালেন এমন এক যন্ত্রের, যা মানুষকে সবসময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল।
বোটানিক্যাল গার্ডেনের প্রথম বাঙালি অধিকর্তা ড. কালিপদ বিশ্বাস
শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন যা বর্তমানে ‘আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু ইন্ডিয়ান বোটানিক গার্ডেন’ হিসেবে বিখ্যাত, তার প্রাক্তন অধিকর্তা তথা ইংরেজ আমলে প্রথম ভারতীয় অধিকর্তা ছিলেন ড. কালিপদ বিশ্বাস। তিনি আপন কর্মদক্ষতায়, প্রতিভায় ও ব্যক্তিত্বে ভারতীয় বিজ্ঞানীমহলে আজও সমাদৃত।
গণিতজ্ঞ নিখিলরঞ্জন সেন এক উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক
প্রখ্যাত গণিতবিদ নিখিলরঞ্জন সেন জন্মগ্রহণ করেন অধুনা বাংলাদেশের ঢাকা জেলায়, ১৮৯৪ সাল। পিতা কালিমোহন সেন ছিলেন ঢাকা হাইকোর্টের একজন স্বনামধন্য অ্যাডভোকেট। বিদ্যালয় ঢাকা কলেজিয়েট ইংলিশ হাই স্কুল। এই স্কুলেই তিনি ক্লাসমেট হিসেবে পেলেন পরবর্তীকালের বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহাকে।
স্পার্ম ব্যাংক বনাম অনাথাশ্রম
আজকের সময় স্পার্ম ব্যাঙ্ক কতটা উপযোগী তা নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে! সমাজ বিষয়টিকে কতটা গ্রহণ করবে, তা নিয়েও তৈরি হয়েছে সংশয়। তবে সময়ের সাথে সাথে মানুষ এবং তার মানসিকতার পরিবর্তন ঘটেছে
ইকিগাই কেবল থেরাপি নয়, এক জীবনদর্শনও
জাপানি এই দর্শনের মতে, একজন মানুষ কেবলমাত্র শারীরিকভাবে সুস্থ থাকে তাই নয়, মানসিকভাবেও সুস্থ থাকার চেষ্টা করে। আর কেউ যদি পারপাস অফ লাইফ বা জীবনের সঠিক লক্ষ্য খুঁজে পায় সে মানসিক আনন্দ যেমন লাভ করে, তেমনি শরীরের সুস্থতা, অর্থ এবং পৃথিবীর জন্যও কিছু করতে পারে।
পরকীয়া ও প্রেম, সব দোষ হরমোনের
সুখ হল একটি মানসিক অনুভূতি, যা মূলত ভালোবাসা, তৃপ্তি, আনন্দ বা উচ্ছ্বাস দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। মানসিক, জৈবিক, ধার্মিক ও দর্শনভিত্তিক দিক থেকে বিচার করলে দেখা যায়, প্রতিটি ক্ষেত্রেই সুখের সংজ্ঞা ভিন্ন।
জীবন বিজ্ঞানের মহীরূহ গোবিন্দকিশোর মান্না
ড. মান্নাই প্রথম ভারতে মানব ক্রোমোজোম হ্যান্ডেলিং করার পদ্ধতি আবিষ্কার, সময়কাল হল ১৯৫৪ সাল। তিনি মহিলাদের জরায়ু মুখ ক্যানসারের ওপর গভীর গবেষণা করেন। নিরেট বা সলিড টিউমারের ক্রোমোজোমকে বের করে এনে তা নিয়ে গবেষণা করার নতুন পথ দেখান তিনি।
ঘুম জাগানিয়া চাঁদ
চাঁদ পৃথিবীর মানুষকে কিছুটা হলেও অধিক সময় জাগিয়ে রাখে। শুক্লপক্ষে মানুষ কিছুটা দেরিতে ঘুমাতে যান অথবা, বিছানায় সময় করে শুতে গেলেও, ঘুম আসে দেরিতে। ফলে, রাত্রে ঘুমানোর সময় সীমা কমে যায়।
এক বিস্তৃত বাঙালি বিজ্ঞানী সাধন বসু
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী সাধন বসু ছিলেন কোয়ান্টাম রসায়ন ও আলোক রসায়নের এক দিকপাল পণ্ডিত। ১৯২২ সালের জানুয়ারি মাসে পিতা জ্যোতিষচন্দ্র বসু ও মাতা সরযূবালা দেবীর গৃহে জন্মগ্রহণ করেন এই বিশিষ্ট মানুষটি।
লোগোথেরাপি—জীবনের অর্থ খুঁজতে শেখায়
লোগো থেরাপির তিনটি প্রধান ধারণা হল—ইচ্ছার স্বাধীনতা, ইচ্ছার অর্থ এবং জীবনের অর্থ। এই থেরাপিকে অনেকে ফ্রাঙ্কলিয়ান ফিলোজফি বলে থাকেন। এই দর্শন অনুসারে মনে করা হয়, প্রত্যেক ব্যক্তির মধ্যে একটি নিজস্ব অন্তরমুখী অঞ্চল আছে।
প্রাণঘাতী হতে পারে ধূপের ধোঁয়া
‘ধুপ জেলেছি মন্দিরে মোর দীপ জালি নাই’—ভবা পাগলা ধুপ আমাদের অন্তরের আত্মার ন্যায়। জন্ম থেকে মৃত্যু জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে এর রাজকীয় আবির্ভাব। ঈশ্বরের অর্ঘ্য ধূপ ব্যতীত অসম্পূর্ণ। অতি প্রাচীনকাল থেকেই ধর্মীয় আচার, উপাচারে মন্দিরের ন্যায় প্রায় সকল ধর্ম স্থানে, সাধনকর্মে, নানান আচার-অনুষ্ঠানে, গৃহের সুগন্ধি হিসাবে, কীটপতঙ্গ দূরীকরণে বা কোনও কারণ ছাড়াই মন ভালো রাখতে ধুপ ব্যবহৃত হয়। ইংরেজি ‘Incense’ শব্দটি এসেছে ল্যাটিন শব্দ ‘incendere’ থেকে, যার আক্ষরিক অর্থ হল ‘জ্বালা’। ইতিহাসের পাতা উল্টালে দেখা যায়...
ছাত্রদরদী বিজ্ঞানী নীরজনাথ দাশগুপ্ত ছিলেন জৈব-পদার্থ বিজ্ঞানের ভগীরথ
বহুধা কাজকর্মের সঙ্গে যেমন তিনি যুক্ত ছিলেন, তেমনি নানান সম্মান তাঁর জীবনে এসেছে। কিন্তু স্বারস্বত সাধনায়ব্রতী এই মহান বিজ্ঞানীকে অহংবোধ কখনও স্পর্শ করেনি।