ঠাকুর নিজে পূজারীর আসনে বসলেন। তাঁর ডানদিকে আলপনা করা দেবীর আসন পাতা। উত্তরমুখী হয়ে সেই আসনেই ঠাকুর শ্রীমাকে বসার জন্য ইঙ্গিত করলেন।

ঠাকুর নিজে পূজারীর আসনে বসলেন। তাঁর ডানদিকে আলপনা করা দেবীর আসন পাতা। উত্তরমুখী হয়ে সেই আসনেই ঠাকুর শ্রীমাকে বসার জন্য ইঙ্গিত করলেন।
দশমহাবিদ্যার তৃতীয় রূপ হলেন অপূর্ব সুন্দরী ষোড়শী। ইনি সর্বজ্ঞানদায়িনী সরস্বতীরূপা, যাঁকে শ্রীবিদ্যা ও রাজরাজেশ্বরীও বলা হয়। তিনি ত্রিনয়না, রক্তবর্ণা ও চতুর্ভুজা।
ঠাকুর যেমন বালকস্বভাব, সকলের কথায় আস্থা রাখতেন। সারদাও তেমনই সরল ছিলেন। কোন একজন মহিলা সারদাকে বুঝিয়েছিলেন যে, সন্তান না হলে সংসারধর্ম রক্ষাকরা যায় না।
সারদার গলা শুনে ঠাকুরের তন্দ্রা কেটে যায়। তিনি তাড়াতাড়ি বিছানা থেকে উঠে নহবতের ঘরে এসে খুবই কাতরভাবে বলতে লাগলেন, ‘দেখো গো, আমি মনে করেছিলুম লক্ষ্মী, তাই ‘তুই’ বলে ফেলেছি।
ঠাকুর বাংলার ঘরোয়া সুস্বাদু খাবার খেতে ভালোবাসতেন। শুধু তাই নয়, সুস্বাদু রন্ধন প্রণালীও জানতেন। এর কারণ কামারপুকুর গ্রামের অন্দরমহলে তাঁর ছেলেবেলা থেকে অবাধ যাতায়াত ছিল।
এরপর, একদিকে শ্রীরামকৃষ্ণদেবের জগজ্জননী দর্শনের আকূতি ও অন্যদিকে কঠোর সাধনা শুরু হয়। তার ফলে অনিয়মের জন্য শরীরের প্রতি তাঁর অবহেলায় স্বাস্থ্য খুব ভেঙে পড়ে।
মায়ের আগ্রহে ঠাকুর বিয়ের পর দু’বছরের বেশি কামারপুকুরে ছিলেন। এরপর ঠাকুর দক্ষিণেশ্বরে গিয়ে একবছর পর ভাগনে হৃদয়কে নিয়ে ফিরে আসেন ও তাকে নিয়ে দ্বিতীয় বার শ্বশুরালয়ে যান।
১২৬৬ সালের বৈশাখ মাসের শেষভাগ। পরবর্তীকালে বিবাহ প্রসঙ্গে সারদা মা বলতেন, ‘খেজুরের দিনে আমার বিয়ে হয়েছিল, মাস মনে নেই। যখন কামারপুকুর গেলুম তখন সেখানে খেজুর কুড়িয়েছি।’
ঠাকুরের যখন ছয় বছর বয়স তখনই তাঁর পিতা ক্ষুদিরাম দেহত্যাগ করেন। তাঁর বড়দাদা রামকুমার কলকাতার টোলে কাজ নেন। পরে নিজেরই টোল খোলেন। ভাই গদাধরকে তিনি পড়াবেন বলে কলকাতায় নিয়ে যান।
ঠাকুরের ভাগ্নে হৃদয় সারদার থেকে বই কেড়ে নিয়ে বলেছিলেন, মেয়েদের বই পড়তে নেই, শেষে কি নাটক-নভেল লিখবে? লক্ষ্মী বই ছাড়েননি। বাড়ির মেয়ে বলে তাঁকে হৃদয় জোর করতে পারেননি।
জয়রামবাটিতে 8 পৌষ, ইংরাজি ২২ ডিসেম্বর, ১২৬০ বঙ্গাব্দের কৃষ্ণাসপ্তমী তিথিতে বৃহস্পতিবার মা শ্যামাসুন্দরীদেবীর কোল আলো করে জন্ম নিলেন প্রথম সন্তান, আদরের সারু।