১২ চৈত্র, ১৪৩১ বুধবার ২৬ মার্চ, ২০২৫

আলোকের ঝর্ণাধারায়

পর্ব-৬০: শ্রীমার রামেশ্বরম যাত্রা

পর্ব-৬০: শ্রীমার রামেশ্বরম যাত্রা

মা সারদার ভক্ত আশুতোষ মিত্র লিখেছেন যে,বলরাম বসুর কোঠারের জমিদারীতে থাকার সময় তাঁর সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে লক্ষ্য করেছিলেন, শ্রীমার তীর্থভ্রমণের প্রতি বিশেষ আগ্রহ রয়েছে। রামেশ্বরম যাবার কথা উঠলে তিনি বলেছিলেন, ‘ঠিক বলেচ বাবা, আমার শ্বশুরও গিয়েছিলেন আর সেখান থেকে ‘রামশিলা’ নিয়ে এসেছিলেন।

read more
পর্ব-৫৯: শ্রীমায়ের ভক্তের গ্রামে তীর্থদর্শন

পর্ব-৫৯: শ্রীমায়ের ভক্তের গ্রামে তীর্থদর্শন

ভক্তের মনের ইচ্ছা পূর্ণ করার জন্য স্বয়ং জগৎজননী রণজিৎ রায়ের কন্যা রূপে জন্ম নেন। তাঁর দীঘি আরামবাগের দেড়ক্রোশ দক্ষিণপূর্বে ডিহিবায়রা গ্রামে অবস্থিত। সেই দীঘিতেই বালিকা বয়সে তাঁর মেয়ে অন্তর্হিত হন বলে প্রসিদ্ধি আছে। একবার বারুণীর মেলা উপলক্ষে গিয়ে মা সারদা সেই দীঘিতে স্নান করেন এবং বিশালাক্ষী মায়ের মন্দির দর্শন করেন।

read more
পর্ব-৫৮: গুরুরূপে মা সারদা

পর্ব-৫৮: গুরুরূপে মা সারদা

মন্ত্রদান করার আগে মা সারদা তাঁর ভক্তদের ব্যক্তিগত ও কুলপরম্পরাগত সংস্কার দেখে নিতেন। দুটি সংস্কার প্রায়ই একে অপরের অনুরূপ হলেও এর ব্যতিক্রমও দেখা যায়। শশিভূষণ মুখোপাধ্যায় মা সারদার কাছে শক্তিমন্ত্র নিতে চান।

read more
পর্ব-৫৭: উপবাস নিয়ে শ্রীমায়ের দৃষ্টিভঙ্গি

পর্ব-৫৭: উপবাস নিয়ে শ্রীমায়ের দৃষ্টিভঙ্গি

একাদশীর দিন মা সারদা ভাত না খেয়ে লুচি খেতেন। শিবরাত্রির দিনও ঠাকুরের প্রসাদী অন্ন গ্রহণ করতেন। একবার শ্রীঅন্নপূর্ণাপুজোতে কিরণবাবুদের বাড়ীতে শ্রীমার নিমন্ত্রণ ছিল। তিনি তখন বলে পাঠালেন যে, অন্নপ্রসাদ না খেলে তাঁর শরীর ভালো থাকে না।

read more
পর্ব-৫৬: নান্দনিক শিক্ষায় উৎসাহী ছিলেন শ্রীমা

পর্ব-৫৬: নান্দনিক শিক্ষায় উৎসাহী ছিলেন শ্রীমা

মেয়েদের লেখাপড়ার জন্য মা সারদা যেমন তৎকালীন সমাজের নিয়মের বাইরে গিয়ে দুর্গাপুরীকে ইংরেজি শিখতে পাঠান, বা ভবিষ্যতের সারদা মঠের প্রথম অধ্যক্ষা প্রব্রাজিকা ভারতীপ্রাণাকে ধাত্রীবিদ্যা শিখতে পাঠান। তেমনই তিনি বিধিবদ্ধ শিক্ষার বাইরে নান্দনিক শিক্ষাকেও সমান উৎসাহ দিয়েছেন।

read more
পর্ব-৬০: শ্রীমার রামেশ্বরম যাত্রা

পর্ব-৫৫: সঙ্গীত অনুরাগিণী মা সারদা

মা সারদা সংসারের নানা কাজ, সঙ্ঘের নেতৃত্ব করা, নিজের সাধনভজনের মাঝেও তাঁর সুকোমল মানসিক বৃত্তিগুলোকে শুকিয়ে যেতে দেননি। এই জন্য পরিণত বয়সেও,শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও তিনি কিশোরী মেয়ের মতন বৃষ্টির মধ্যে উঠোনে নেমে ছোটদের সঙ্গে ভিজে ভিজে শিল কুঁড়িয়ে অনাবিল আনন্দে মেতে উঠেছেন।

read more
পর্ব-৫৪: লোকশিক্ষক মা সারদা

পর্ব-৫৪: লোকশিক্ষক মা সারদা

একদিন একটি মেয়ে তার ঘর ঝাঁট দিয়ে ক্ষয়ে আসা মুড়োঝাঁটাটি ছুঁড়ে ফেলে দেয়। তাই দেখে মা সারদা বলে ওঠেন, “ও কিগো, কাজটি হয়ে গেল, অমনি ঘেন্নায় ছুঁড়ে ফেলে দিলে?” তারপরই বলেন, “যাকে রাখ, সে-ই রাখে। ওটি সংসারের একটি অঙ্গ। ওরও সম্মান আছে।”

read more
পর্ব-৫৩: মহীয়সী গৃহস্থনারী মা সারদা

পর্ব-৫৩: মহীয়সী গৃহস্থনারী মা সারদা

শ্রীমার সঙ্গে দরিদ্র সংসারে পরিশ্রমী অন্যান্য মেয়ে বা ভগিনীর পার্থক্য আছে। কারণ যাদের পরিবারে শ্রম করতে হয়, তারা সেই অবস্থার অধীন হয়েই সেই শ্রম করে। কিন্তু মা সারদা জীবনে সবসময় অবস্থার অধীন হয়ে কাজ করেননি। কর্তব্যবোধ এবং হৃদয়ের প্রেরণাতেই কাজ করেছেন।

read more
পর্ব-৫৮: গুরুরূপে মা সারদা

পর্ব-৫২: দেশহিতৈষী মা সারদা

গ্রামবাসীদের সুখ-দুঃখের খবর রাখার সঙ্গে সঙ্গে শ্রীমা স্বদেশ ও বিদেশের খবর নানাস্থান থেকে তাঁর কাছে আসা মানুষজনের কাছে জিজ্ঞাসা করে জানতেন। কখনও বা পত্রিকা পড়িয়ে শুনতেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন তিনি অনেকদিন এইভাবে পত্রিকা পড়িয়ে খবর শুনতেন।

read more
পর্ব-৬০: শ্রীমার রামেশ্বরম যাত্রা

পর্ব-৫১: জয়রামবাটির যথার্থ রক্ষয়িত্রী

কলকাতায় খাকার সময় শ্রীমার ভক্ত চন্দ্রমোহন দত্ত একবার শুনতে পান, পাগলি মামি বিড়বিড় করে শ্রীমাকে কটুকথা বলছেন। মা সারদা তখন পুজো করছিলেন। পুজো শেষ করে পাগলির দিকে চেয়ে বলেন, ‘কত মুনি ঋষি তপস্যা করেও আমাকে পায় না, তোরা আমাকে পেয়ে হারালি’।

read more
পর্ব-৫০: ঠাকুরের ছবি শুধু ছবি নয়

পর্ব-৫০: ঠাকুরের ছবি শুধু ছবি নয়

একদিন জয়রামবাটির কোনও একজন লোক শ্রীমাকে বলেন যে, তাঁকে দেখতে কত লোক কত দূরদেশ থেকে আসছে। আর তারা কাছে থেকেও মা সারদাকে বুঝতে পারছে না কেন? তার উত্তরে শ্রীমা বলেন, ‘তা নাই বা বুঝলে, তোমরা আমার সখা, তোমরা আমার সখী’।

read more
পর্ব-৫৩: মহীয়সী গৃহস্থনারী মা সারদা

পর্ব-৪৯: রসিক স্বভাব মা সারদা

রামলালের ছোটমেয়ে রাধার বিয়েতে শ্রীমা কামারপুকুর আসেন। সেখানে বাসর জাগার কোনও লোক না থাকায় তাঁকেই জাগতে বলা হয়। বাসরঘরে বসে শ্রীমা আপন মনে গান ধরলেন, “রাধাশ্যাম একাসনে সেজেছে ভাল। রাই আমাদের হেমবরণী শ্যাম চিকন কালো”।

read more
পর্ব-৫৯: শ্রীমায়ের ভক্তের গ্রামে তীর্থদর্শন

পর্ব-৪৮: বিয়ের পর রাধুর প্রত্যাবর্তন

শ্রীমা বললেন, ‘রাধুর অসুখের জন্য ঠাকুরকে বল্লুম, কিছু হল না। কত ডাক্তার, কবরেজ এসে গেল, তাদেরই সুবিধে হল’। নলিনী, সুশীলা আর রাধারানি, তিনজনেরই এখন পনের থেকে একুশের মধ্যে বয়স। কেউই সেইভাবে শ্বশুরবাড়ির ঘর করল না। রাধারানিও বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি কদাচিৎ যেত।

read more
পর্ব-৫৭: উপবাস নিয়ে শ্রীমায়ের দৃষ্টিভঙ্গি

পর্ব-৪৭: সারদা মা ও তাঁর রাধু

শ্রীমা ভেবেছিলেন, সুরোকে তিরোলের ক্ষ্যাপা কালীর বালা পরাবেন। তিনি জেনেছিলেন যে, অনেকের মাথার ব্যামো নাকি সেরে গিয়েছে। রাধু তার মার ন্যাড়া মাথা বলে তাকে ‘নেড়িমা’ বলে ডাকত আর শ্রীমাকে ‘মা’ বলত। সুরবালা মেয়ের ওপর রাগ করলে রাধু খিলখিল করে হাসত।

read more
পর্ব-৪৬: শ্রীমায়ের দুই ভ্রাতৃবধূর কথা

পর্ব-৪৬: শ্রীমায়ের দুই ভ্রাতৃবধূর কথা

শরৎ মহারাজ শ্রীমাকে সাষ্টাঙ্গ প্রণাম করতেই মা সারদা বলেন, ‘এসেছ বাবা শরৎ। তোমার জন্যই নিমপাতা পাড়ছি, তুমি খাওয়ার সময় প্রথমপাতে তেতো নিমবেগুন খেতে ভালবাস, জানি’। শ্রীমা সকলকে এবার বললেন, ‘জল খেয়ে সবাই একটু জিরিয়ে নিয়ে স্নান কোরো’।

read more

Skip to content