১৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ শুক্রবার ৩০ মে, ২০২৫

আলোকের ঝর্ণাধারায়

পর্ব-৭০: ভানুপিসি ও শ্রীমার ভক্ত

পর্ব-৭০: ভানুপিসি ও শ্রীমার ভক্ত

ভানুপিসির সঙ্গে শ্রীমার ভক্তদের স্নেহের সম্পর্ক ছিল। ছেলেদের তিনি তাঁর ‘লাতি’ অর্থাৎ নাতি বলতেন। স্বামী সারদেশানন্দের সঙ্গে তাঁর খুব ভাব ছিল। তাঁকে ভানুপিসি গোপনে বলেন যে মা সারদার ভক্ত ছেলেরা তাঁর পায়ের চিহ্ন নিয়ে রাখে। সারদেশানন্দ তাই শুনে শ্রীমার সম্মতি চান এবং শ্রীমা তাঁকে অনুমতি দেন। কয়েকদিন বাদে তিনি এক শিশি লাল রঙ আর কিছু সাদা রুমাল নিয়ে এসে শ্রীমাকে নিবেদন করেন।

read more
পর্ব-৬৯: শ্রীমার সন্তানস্নেহ

পর্ব-৬৯: শ্রীমার সন্তানস্নেহ

একবার গড়বেতা থেকে এক ভক্ত স্বামী-স্ত্রী তাদের চারজন মেয়ে ও কোলের ছোট ছেলেকে নিয়ে হেমন্তকালে আধপাকা ধানের আল পেরিয়ে গরুর গাড়ি করে নয় ক্রোশ পথ সারা রাত চলে সকালে জয়রামবাটি পৌঁছন। জিবটে গ্রামের পূর্বপ্রান্তে বড়রাস্তায় গাড়ি রেখে দেড়মাইল মাঠ হেঁটে এসে তারা দশটার সময় শ্রীমার নতুন বাড়িতে আসেন। তখন তাদের ছেলেটি ম্যালেরিয়া জ্বরে অসুস্থ।

read more
পর্ব-৬৮: লক্ষ্মীস্বরূপিনী মা সারদা

পর্ব-৬৮: লক্ষ্মীস্বরূপিনী মা সারদা

রামায়ণগান গেয়ে বাঁকু জয়রামবাটির সকলের প্রিয়পাত্র হয়ে উঠেছে। সর্বদা তাঁর সেখানে যাতায়াত। তবে যখন তাঁর গানের পসার বেশ জমে উঠেছে, তখন তার আর দেখা পাওয়া গেল না। সব ছেড়ে সে উধাও হয়ে গেল। বহুদিন তার কোন খবর নেই।

read more
পর্ব-৭০: ভানুপিসি ও শ্রীমার ভক্ত

পর্ব-৬৭: জননী সারদা সন্তানের দুঃখভার লাঘব করেন

স্বামী অরূপানন্দ অল্পবয়সে সংসার ত্যাগ করে সন্ন্যাসী হয়ে একটি আশ্রমে যোগ দেন। সেখানে তাঁকে কঠোর পরিশ্রম করতে হত। থাকা ও খাওয়ার কষ্ট তো ছিলই, তাছাড়া আশ্রমের প্রধান তাঁকে অনেক সময় পীড়ন করতেন। এতসব সহ্য করেও অরূপানন্দ ওই আশ্রমের অধ্যক্ষকে শ্রদ্ধার চোখে দেখতেন। তাই নিদারুণ কষ্ট সহ্য করেও তিনি ওই আশ্রমে অনেকদিন ছিলেন।

read more
পর্ব-৬৬: কোমলপ্রাণা মা সারদা

পর্ব-৬৬: কোমলপ্রাণা মা সারদা

শ্রীমা তাঁর বাল্যকাল থেকে আর্থিক শোষণে দেশের দুর্দশা দেখেছেন। মানুষ এর বিরোধ করলে নিপীড়নের কথা নিজকর্ণে শুনেছেন। তাই ইংরেজের শাসনের অবসান চেয়েছেন। তাদের প্রতি শ্রীমার কোনও বিদ্বেষভাব ছিল না।

read more
পর্ব-৬৯: শ্রীমার সন্তানস্নেহ

পর্ব-৬৫: মা সারদার পুনরায় কাশীযাত্রা

১৩১৯ সালের ঊনিশে কার্তিক শ্রীমা কাশীর উদ্দেশে যাত্রা করেন। পরের দিন বেলা একটার সময় কাশী পৌঁছন। শ্রীরামকৃষ্ণ অদ্বৈত আশ্রমের কাছে লক্ষ্মীনিবাসে তিনি প্রায় আড়াই মাস থাকেন। গোলাপমা, ভানুপিসি, কেদারের মা, নিকুঞ্জদেবী, মহামায়া মিত্র প্রমুখ মহিলা ভক্তরা আর মাস্টারমশাই, বিভূতিবাবু প্রভৃতি পুরুষভক্তরা তাঁর সঙ্গে সেবার কাশী যান।

read more
পর্ব-৬৪: শ্রীমার সঙ্গে বেলুড়মঠে দুর্গোৎসব পালন

পর্ব-৬৪: শ্রীমার সঙ্গে বেলুড়মঠে দুর্গোৎসব পালন

ঠাকুরের পার্ষদগণ শ্রীমাকেই সাক্ষাৎ জগদম্বা জ্ঞানে তাঁরই অর্চনা করতেন। একবার মহাষ্টমীর দিন মহারাজ ১০৮টি পদ্মফুল দিয়ে মা সারদার পুজো করেন। ১৩১৯ সালের দুর্গাপুজো নিয়ে লাবণ্যকুমার চক্রবর্তী লিখেছেন, “ষষ্ঠীর দিন মঠের ফটকে শ্রীমাতাঠাকুরাণীর গাড়ি এসে থামল। ঘোড়া ছেড়ে দিয়ে প্রেমানন্দস্বামী ও ঠাকুরের ভক্তরা গাড়ি টেনে মঠের প্রাঙ্গণে নিয়ে আসেন। আনন্দে বাবুরাম মহারাজের চোখ যেন ফেটে যাচ্ছে”।

read more
পর্ব-৬৩: বেলুড়মঠে শ্রীমায়ের অভিনন্দন

পর্ব-৬৩: বেলুড়মঠে শ্রীমায়ের অভিনন্দন

দক্ষিণ ভারত থেকে মা সারদার ফেরার পর বেলুড়মঠে তাঁকে অভিনন্দন জানানো হয়। তাঁর গাড়ি দেখামাত্র ন’টি বোমা ছোঁড়া হয়। আর অসংখ্য ভক্তবৃন্দ দু’ দিকে সারিবদ্ধভাবে ‘সর্বমঙ্গলমঙ্গল্যে….’ প্রভৃতি মাতৃস্তব গাইতে আরম্ভ করে। শ্রীমা তাঁর সঙ্গিণীদের সঙ্গে সেই সারিবদ্ধ স্তুতির মধ্যে দিয়ে এগিয়ে আসেন।

read more
পর্ব-৬২: শ্রীমার দক্ষিণ ভারত থেকে প্রত্যাবর্তন

পর্ব-৬২: শ্রীমার দক্ষিণ ভারত থেকে প্রত্যাবর্তন

রামেশ্বর মন্দির থেকে চোদ্দ-পনের মাইল দূরে এই দ্বীপের শেষ প্রান্তে প্রসিদ্ধ তীর্থ হল ধনুস্তীর্থ বা ধনুষ্কোটি। এখানে সোনা বা রূপোর তীরধনুক দিয়ে সমুদ্রের পুজো দিতে হয়। শ্রীমা আশুতোষ মিত্র ও কৃষ্ণলাল মহারাজের মাধ্যমে সেখানে রূপোর তীরধনুক পাঠান।

read more
পর্ব-৬১: মা সারদার রামেশ্বরম মন্দির দর্শন

পর্ব-৬১: মা সারদার রামেশ্বরম মন্দির দর্শন

মাদ্রাজে স্বামী রামকৃষ্ণানন্দ ও ঠাকুরের মেজভাইয়ের ছেলে রামলাল এসে পৌঁছলেন। নিতাইয়ের মার অসুখ হওয়ায় দেরি হয়ে যাওয়ায় তাকে মাদ্রাজে রেখে সকলে রামেশ্বরমে গেলেন। রাত্রিতে যাত্রা করে ভোরবেলায় সকলে মাদুরাইতে পৌঁছলেন। সেখানকার পৌর প্রতিষ্ঠানের সভাপতি জনৈক মাদ্রাজী ভক্তের আতিথ্য গ্রহণ করলেন সবাই।

read more
পর্ব-৬০: শ্রীমার রামেশ্বরম যাত্রা

পর্ব-৬০: শ্রীমার রামেশ্বরম যাত্রা

মা সারদার ভক্ত আশুতোষ মিত্র লিখেছেন যে,বলরাম বসুর কোঠারের জমিদারীতে থাকার সময় তাঁর সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে লক্ষ্য করেছিলেন, শ্রীমার তীর্থভ্রমণের প্রতি বিশেষ আগ্রহ রয়েছে। রামেশ্বরম যাবার কথা উঠলে তিনি বলেছিলেন, ‘ঠিক বলেচ বাবা, আমার শ্বশুরও গিয়েছিলেন আর সেখান থেকে ‘রামশিলা’ নিয়ে এসেছিলেন।

read more
পর্ব-৫৯: শ্রীমায়ের ভক্তের গ্রামে তীর্থদর্শন

পর্ব-৫৯: শ্রীমায়ের ভক্তের গ্রামে তীর্থদর্শন

ভক্তের মনের ইচ্ছা পূর্ণ করার জন্য স্বয়ং জগৎজননী রণজিৎ রায়ের কন্যা রূপে জন্ম নেন। তাঁর দীঘি আরামবাগের দেড়ক্রোশ দক্ষিণপূর্বে ডিহিবায়রা গ্রামে অবস্থিত। সেই দীঘিতেই বালিকা বয়সে তাঁর মেয়ে অন্তর্হিত হন বলে প্রসিদ্ধি আছে। একবার বারুণীর মেলা উপলক্ষে গিয়ে মা সারদা সেই দীঘিতে স্নান করেন এবং বিশালাক্ষী মায়ের মন্দির দর্শন করেন।

read more
পর্ব-৬৬: কোমলপ্রাণা মা সারদা

পর্ব-৫৮: গুরুরূপে মা সারদা

মন্ত্রদান করার আগে মা সারদা তাঁর ভক্তদের ব্যক্তিগত ও কুলপরম্পরাগত সংস্কার দেখে নিতেন। দুটি সংস্কার প্রায়ই একে অপরের অনুরূপ হলেও এর ব্যতিক্রমও দেখা যায়। শশিভূষণ মুখোপাধ্যায় মা সারদার কাছে শক্তিমন্ত্র নিতে চান।

read more
পর্ব-৬৩: বেলুড়মঠে শ্রীমায়ের অভিনন্দন

পর্ব-৫৭: উপবাস নিয়ে শ্রীমায়ের দৃষ্টিভঙ্গি

একাদশীর দিন মা সারদা ভাত না খেয়ে লুচি খেতেন। শিবরাত্রির দিনও ঠাকুরের প্রসাদী অন্ন গ্রহণ করতেন। একবার শ্রীঅন্নপূর্ণাপুজোতে কিরণবাবুদের বাড়ীতে শ্রীমার নিমন্ত্রণ ছিল। তিনি তখন বলে পাঠালেন যে, অন্নপ্রসাদ না খেলে তাঁর শরীর ভালো থাকে না।

read more
পর্ব-৫৬: নান্দনিক শিক্ষায় উৎসাহী ছিলেন শ্রীমা

পর্ব-৫৬: নান্দনিক শিক্ষায় উৎসাহী ছিলেন শ্রীমা

মেয়েদের লেখাপড়ার জন্য মা সারদা যেমন তৎকালীন সমাজের নিয়মের বাইরে গিয়ে দুর্গাপুরীকে ইংরেজি শিখতে পাঠান, বা ভবিষ্যতের সারদা মঠের প্রথম অধ্যক্ষা প্রব্রাজিকা ভারতীপ্রাণাকে ধাত্রীবিদ্যা শিখতে পাঠান। তেমনই তিনি বিধিবদ্ধ শিক্ষার বাইরে নান্দনিক শিক্ষাকেও সমান উৎসাহ দিয়েছেন।

read more

Skip to content