১২ চৈত্র, ১৪৩১ বুধবার ২৬ মার্চ, ২০২৫

আলোকের ঝর্ণাধারায়

পর্ব-৭৫: ‘ছেলেদের জন্য আমার কোনও নিয়মকানুন থাকে না’

পর্ব-৭৫: ‘ছেলেদের জন্য আমার কোনও নিয়মকানুন থাকে না’

শ্রীমার জনৈক ভক্ত তাঁর প্রসাদ পাবার জন্য অতি ব্যাকুল হল। মা সারদা একটি সন্দেশ হাতে নিয়ে ঠাকুরকে দৃষ্টিভোগ দিয়ে এবং নিজের জিহ্বাগ্রে সেটি ঠেকিয়ে ভক্তকে খুব আনন্দের সঙ্গে দিলেন ও বললেন,’বাবা, খাও প্রসাদ’। স্বামী সারদেশানন্দ ঠাকুর এবং শ্রীমার দেশ দেখে কলকাতায় ফিরছিলেন।

read more
পর্ব-৭৪: শ্রীমার গৃহী ভক্তদের সন্ন্যাসদীক্ষা

পর্ব-৭৪: শ্রীমার গৃহী ভক্তদের সন্ন্যাসদীক্ষা

মা সারদার কাছে বহু গৃহী ভক্ত ব্রহ্মচর্য ও সন্ন্যাসদীক্ষা পেয়ে নিজেদের ধন্য মনে করেছেন। এই দীক্ষাদান নিয়ে শ্রীমা কোন বিশেষ অনুষ্ঠান করতেন না। শুধু ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা করেই তাঁর ভক্তদের মহান ব্রতে দীক্ষা দিতেন। ব্রহ্মচারি হতেন যারা তাদের সাদা ডোরকৌপীন বহির্বাস দিতেন আর সন্ন্যাসীদের গেরুয়া পোশাক দিতেন।

read more
পর্ব-৭৩: ভক্তদের সমস্যার সমাধান দিতেন শ্রীমা

পর্ব-৭৩: ভক্তদের সমস্যার সমাধান দিতেন শ্রীমা

সময়টা ছিল স্বাধীনতাসংগ্রামের যুগ। বিট্রিশ সরকার বিপ্লবীদের দমনের জন্য অকথ্য অত্যাচার শুরু করে যাতে লোকের মনে ভীতির সঞ্চার হয়। তখন চারদিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। এমনকি, রামকৃষ্ণমঠ মিশনের সন্ন্যাসীদেরও সন্দেহভাজন বলে মনে করা হচ্ছে। আর যুবক বিপ্লবীরা অনেকেই শ্রীমার কাছে দীক্ষিত। তাই জয়রামবাটি, কোয়ালপাড়ায় পুলিশের সদা সতর্ক দৃষ্টি ছিল। এই অঞ্চল তখন ম্যালেরিয়াপ্রবণ এবং অশিক্ষিত গরীব মানুষের বাসভূমি ছিল। সেই কারণে সুস্থসবল বিপ্লবী যুবকদের এখানে এনে আটকে রেখে সরকার তাদের শায়েস্তা করার ব্যবস্থা করে। তাই এই জায়গার...

read more
পর্ব-৭২: উদ্বোধনে মা সারদার ভক্তদের কথা

পর্ব-৭২: উদ্বোধনে মা সারদার ভক্তদের কথা

উদ্বোধন শ্রীমার বাটি নামেও পরিচিত তা সকলেরই জানা আছে। এখানে যে সন্ন্যাসী ও ব্রহ্মচারি ভক্তেরা আছেন, তাঁরা সকলেই শ্রীমার কাছে সমান স্নেহের অধিকারী। তাঁদের সকলের খাওয়া পরার সুবিধা নিয়ে তিনি সর্বদা চিন্তায় থাকেন। উদ্বোধনের ডাক্তার মহারাজ পূর্ণানন্দজী কোন কোন দিন রাতে খাবার পঙক্তিতে সময় মতো আসতে না পারার জন্য কথা শোনেন।

read more
পর্ব-৭১: মা সারদার নলিনীর মানভঞ্জন

পর্ব-৭১: মা সারদার নলিনীর মানভঞ্জন

শ্রীমার ছোট ভাজ নিজে রেঁধে নিজের ঘরে খান। তার কিছু ভাগে পাওয়া ধানজমি আছে। এছাড়া সিংহবাহিনী মন্দিরের আয়ের কিছু অংশও আছে। সব মিলিয়ে তার চলে যায়। সে বিধবার কঠোর জীবন যাপন করে। তার মেয়ে রাধু আর জামাই শ্রীমার সংসারেই খান। তবে ছোট বউও সাধ্যমতো তাঁদের রেঁধে খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। তার রাধুকে নিয়ে শ্রীমার সঙ্গে ঝগড়া লেগেই আছে।

read more
পর্ব-৭০: ভানুপিসি ও শ্রীমার ভক্ত

পর্ব-৭০: ভানুপিসি ও শ্রীমার ভক্ত

ভানুপিসির সঙ্গে শ্রীমার ভক্তদের স্নেহের সম্পর্ক ছিল। ছেলেদের তিনি তাঁর ‘লাতি’ অর্থাৎ নাতি বলতেন। স্বামী সারদেশানন্দের সঙ্গে তাঁর খুব ভাব ছিল। তাঁকে ভানুপিসি গোপনে বলেন যে মা সারদার ভক্ত ছেলেরা তাঁর পায়ের চিহ্ন নিয়ে রাখে। সারদেশানন্দ তাই শুনে শ্রীমার সম্মতি চান এবং শ্রীমা তাঁকে অনুমতি দেন। কয়েকদিন বাদে তিনি এক শিশি লাল রঙ আর কিছু সাদা রুমাল নিয়ে এসে শ্রীমাকে নিবেদন করেন।

read more
পর্ব-৬৯: শ্রীমার সন্তানস্নেহ

পর্ব-৬৯: শ্রীমার সন্তানস্নেহ

একবার গড়বেতা থেকে এক ভক্ত স্বামী-স্ত্রী তাদের চারজন মেয়ে ও কোলের ছোট ছেলেকে নিয়ে হেমন্তকালে আধপাকা ধানের আল পেরিয়ে গরুর গাড়ি করে নয় ক্রোশ পথ সারা রাত চলে সকালে জয়রামবাটি পৌঁছন। জিবটে গ্রামের পূর্বপ্রান্তে বড়রাস্তায় গাড়ি রেখে দেড়মাইল মাঠ হেঁটে এসে তারা দশটার সময় শ্রীমার নতুন বাড়িতে আসেন। তখন তাদের ছেলেটি ম্যালেরিয়া জ্বরে অসুস্থ।

read more
পর্ব-৭৫: ‘ছেলেদের জন্য আমার কোনও নিয়মকানুন থাকে না’

পর্ব-৬৮: লক্ষ্মীস্বরূপিনী মা সারদা

রামায়ণগান গেয়ে বাঁকু জয়রামবাটির সকলের প্রিয়পাত্র হয়ে উঠেছে। সর্বদা তাঁর সেখানে যাতায়াত। তবে যখন তাঁর গানের পসার বেশ জমে উঠেছে, তখন তার আর দেখা পাওয়া গেল না। সব ছেড়ে সে উধাও হয়ে গেল। বহুদিন তার কোন খবর নেই।

read more
পর্ব-৭০: ভানুপিসি ও শ্রীমার ভক্ত

পর্ব-৬৭: জননী সারদা সন্তানের দুঃখভার লাঘব করেন

স্বামী অরূপানন্দ অল্পবয়সে সংসার ত্যাগ করে সন্ন্যাসী হয়ে একটি আশ্রমে যোগ দেন। সেখানে তাঁকে কঠোর পরিশ্রম করতে হত। থাকা ও খাওয়ার কষ্ট তো ছিলই, তাছাড়া আশ্রমের প্রধান তাঁকে অনেক সময় পীড়ন করতেন। এতসব সহ্য করেও অরূপানন্দ ওই আশ্রমের অধ্যক্ষকে শ্রদ্ধার চোখে দেখতেন। তাই নিদারুণ কষ্ট সহ্য করেও তিনি ওই আশ্রমে অনেকদিন ছিলেন।

read more
পর্ব-৬৬: কোমলপ্রাণা মা সারদা

পর্ব-৬৬: কোমলপ্রাণা মা সারদা

শ্রীমা তাঁর বাল্যকাল থেকে আর্থিক শোষণে দেশের দুর্দশা দেখেছেন। মানুষ এর বিরোধ করলে নিপীড়নের কথা নিজকর্ণে শুনেছেন। তাই ইংরেজের শাসনের অবসান চেয়েছেন। তাদের প্রতি শ্রীমার কোনও বিদ্বেষভাব ছিল না।

read more
পর্ব-৬৯: শ্রীমার সন্তানস্নেহ

পর্ব-৬৫: মা সারদার পুনরায় কাশীযাত্রা

১৩১৯ সালের ঊনিশে কার্তিক শ্রীমা কাশীর উদ্দেশে যাত্রা করেন। পরের দিন বেলা একটার সময় কাশী পৌঁছন। শ্রীরামকৃষ্ণ অদ্বৈত আশ্রমের কাছে লক্ষ্মীনিবাসে তিনি প্রায় আড়াই মাস থাকেন। গোলাপমা, ভানুপিসি, কেদারের মা, নিকুঞ্জদেবী, মহামায়া মিত্র প্রমুখ মহিলা ভক্তরা আর মাস্টারমশাই, বিভূতিবাবু প্রভৃতি পুরুষভক্তরা তাঁর সঙ্গে সেবার কাশী যান।

read more
পর্ব-৬৪: শ্রীমার সঙ্গে বেলুড়মঠে দুর্গোৎসব পালন

পর্ব-৬৪: শ্রীমার সঙ্গে বেলুড়মঠে দুর্গোৎসব পালন

ঠাকুরের পার্ষদগণ শ্রীমাকেই সাক্ষাৎ জগদম্বা জ্ঞানে তাঁরই অর্চনা করতেন। একবার মহাষ্টমীর দিন মহারাজ ১০৮টি পদ্মফুল দিয়ে মা সারদার পুজো করেন। ১৩১৯ সালের দুর্গাপুজো নিয়ে লাবণ্যকুমার চক্রবর্তী লিখেছেন, “ষষ্ঠীর দিন মঠের ফটকে শ্রীমাতাঠাকুরাণীর গাড়ি এসে থামল। ঘোড়া ছেড়ে দিয়ে প্রেমানন্দস্বামী ও ঠাকুরের ভক্তরা গাড়ি টেনে মঠের প্রাঙ্গণে নিয়ে আসেন। আনন্দে বাবুরাম মহারাজের চোখ যেন ফেটে যাচ্ছে”।

read more
পর্ব-৭২: উদ্বোধনে মা সারদার ভক্তদের কথা

পর্ব-৬৩: বেলুড়মঠে শ্রীমায়ের অভিনন্দন

দক্ষিণ ভারত থেকে মা সারদার ফেরার পর বেলুড়মঠে তাঁকে অভিনন্দন জানানো হয়। তাঁর গাড়ি দেখামাত্র ন’টি বোমা ছোঁড়া হয়। আর অসংখ্য ভক্তবৃন্দ দু’ দিকে সারিবদ্ধভাবে ‘সর্বমঙ্গলমঙ্গল্যে….’ প্রভৃতি মাতৃস্তব গাইতে আরম্ভ করে। শ্রীমা তাঁর সঙ্গিণীদের সঙ্গে সেই সারিবদ্ধ স্তুতির মধ্যে দিয়ে এগিয়ে আসেন।

read more
পর্ব-৬২: শ্রীমার দক্ষিণ ভারত থেকে প্রত্যাবর্তন

পর্ব-৬২: শ্রীমার দক্ষিণ ভারত থেকে প্রত্যাবর্তন

রামেশ্বর মন্দির থেকে চোদ্দ-পনের মাইল দূরে এই দ্বীপের শেষ প্রান্তে প্রসিদ্ধ তীর্থ হল ধনুস্তীর্থ বা ধনুষ্কোটি। এখানে সোনা বা রূপোর তীরধনুক দিয়ে সমুদ্রের পুজো দিতে হয়। শ্রীমা আশুতোষ মিত্র ও কৃষ্ণলাল মহারাজের মাধ্যমে সেখানে রূপোর তীরধনুক পাঠান।

read more
পর্ব-৭১: মা সারদার নলিনীর মানভঞ্জন

পর্ব-৬১: মা সারদার রামেশ্বরম মন্দির দর্শন

মাদ্রাজে স্বামী রামকৃষ্ণানন্দ ও ঠাকুরের মেজভাইয়ের ছেলে রামলাল এসে পৌঁছলেন। নিতাইয়ের মার অসুখ হওয়ায় দেরি হয়ে যাওয়ায় তাকে মাদ্রাজে রেখে সকলে রামেশ্বরমে গেলেন। রাত্রিতে যাত্রা করে ভোরবেলায় সকলে মাদুরাইতে পৌঁছলেন। সেখানকার পৌর প্রতিষ্ঠানের সভাপতি জনৈক মাদ্রাজী ভক্তের আতিথ্য গ্রহণ করলেন সবাই।

read more

Skip to content